তামা একটি রাসায়নিক মৌল যার চিহ্ন Cu এসেছে ল্যাটিন শব্দ কিউপ্রাম (cuprum) থেকে এবং এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ২৯। তামা একটি নমনীয় ধাতু এবং এর তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবাহীতা খুব উঁচু দরের তাই অনেক বিজলিবাহী তারের মধ্যেই তামার তার থাকে । বিশুদ্ধ তামা খুব বেশি নরম ও নিজস্ব উজ্জ্বল বর্ণ সমন্বিত কিন্তু আবহাওয়ার সংস্পর্শে এর বাইরে একটি লালচে-কমলা বিবর্ণ স্তর তৈরী হয়। তামা ও তামার বহু মিশ্র ধাতু (যেমন ব্রোঞ্জ, পিতল ইত্যাদি) অনেক হাজার বছর ধরে মানুষের নিত্য সঙ্গী । প্রাচীনকালে তামার অনেক খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে সাইপ্রাস (লাতিনে Cyprus ক্যুপ্রুস্) দ্বীপের খনিগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যময়। অনেকের মতে তামার ইংরেজি নাম কপার (ল্যাটিন ভাষার এর নাম Cuprum কুপ্রুম) শব্দটি এখান থেকে এসেছে।
তামা | |||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নাম, প্রতীক | তামা, Cu | ||||||||||||||||||
উপস্থিতি | red-orange metallic luster | ||||||||||||||||||
পর্যায় সারণিতে তামা | |||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||
পারমাণবিক সংখ্যা | ২৯ | ||||||||||||||||||
আদর্শ পারমাণবিক ভর | 63.546(3) | ||||||||||||||||||
মৌলের শ্রেণী | অবস্থান্তর ধাতু | ||||||||||||||||||
গ্রুপ | গ্রুপ ১১ | ||||||||||||||||||
পর্যায় | পর্যায় ৪ | ||||||||||||||||||
ব্লক | d-block | ||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | [Ar] 3d10 4s1 | ||||||||||||||||||
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা | 2, 8, 18, 1 | ||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||
দশা | solid | ||||||||||||||||||
গলনাঙ্ক | 1357.77 কে (1084.62 °সে, 1984.32 °ফা) | ||||||||||||||||||
স্ফুটনাঙ্ক | 2835 K (2562 °সে, 4643 °ফা) | ||||||||||||||||||
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে) | 8.94 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa) | ||||||||||||||||||
তরলের ঘনত্ব | m.p.: 8.02 g·cm−৩ | ||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | 13.26 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||
বাষ্পীভবনের এনথালপি | 300.4 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||
তাপ ধারকত্ব | 24.440 J·mol−১·K−১ | ||||||||||||||||||
বাষ্প চাপ
| |||||||||||||||||||
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | +1, +2, +3, +4 mildly basic oxide | ||||||||||||||||||
তড়িৎ-চুম্বকত্ব | 1.90 (পলিং স্কেল) | ||||||||||||||||||
আয়নীকরণ বিভব | (আরও) | ||||||||||||||||||
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ | empirical: 128 pm | ||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ | 132±4 pm | ||||||||||||||||||
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ | 140 pm | ||||||||||||||||||
বিবিধ | |||||||||||||||||||
কেলাসের গঠন | face-centered cubic (fcc) | ||||||||||||||||||
শব্দের দ্রুতি | পাতলা রডে: (annealed) 3810 m·s−১ (at r.t.) | ||||||||||||||||||
তাপীয় প্রসারাঙ্ক | 16.5 µm·m−১·K−১ (২৫ °সে-এ) | ||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহিতা | 401 W·m−১·K−১ | ||||||||||||||||||
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা | ২০ °সে-এ: 16.78 n Ω·m | ||||||||||||||||||
চুম্বকত্ব | diamagnetic | ||||||||||||||||||
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক | 110–128 GPa | ||||||||||||||||||
কৃন্তন গুণাঙ্ক | 48 GPa | ||||||||||||||||||
আয়তন গুণাঙ্ক | 140 GPa | ||||||||||||||||||
পোয়াসোঁর অনুপাত | 0.34 | ||||||||||||||||||
(মোজ) কাঠিন্য | 3.0 | ||||||||||||||||||
ভিকার্স কাঠিন্য | 369 MPa | ||||||||||||||||||
ব্রিনেল কাঠিন্য | 874 MPa | ||||||||||||||||||
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা | 7440-50-8 | ||||||||||||||||||
তামার আইসোটোপ | |||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||
ফরাসি রসায়নবিদ এম. বারথেলটের মতানুসারে মানুষ পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি আগে থেকে তামার সাথে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে আরও আগে থেকে এই পরিচয় ঘটেছিল। বহুকাল পূর্ব থেকেই ব্রোঞ্জ ছিল সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। এই ধাতুটি মূলত তামা এবং টিন-এর সংকর। এই দুই মৌলিক পদার্থ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশেষ যুগের নির্দেশনা প্রদান করে যাকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগ। তামা, যুগ বিনির্মাণে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রকৃতিতে তামার প্রাচুর্য মধ্যম ধরনের। প্রাথমিক যুগে মানুষ কেবল প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত তামাই ব্যবহার করতো। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আকরিক থেকে তামা নিষ্কাশনে বাধ্য হয় মানুষ। যেসব আকরিকে তামার আধিক্য রয়েছে তা থেকে এটি নিষ্কাশন বেশ সহজসাধ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে নানাবিধ যন্ত্রপাতি তৈরীতে তামা ব্যবহৃত হতো। চিয়োপ্স-এর (cheops) মিশরীয় পিরামিড তৈরীতে পাথরের যে সুবৃহৎ খণ্ডগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো কাটতে তামার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
ব্রোঞ্জ আবিষ্কার ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিপ্লব। এর পর পাথরের সব জিনিসপত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও ব্রোঞ্জের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাইসিনিয়ান যুগের সূচনাতে গ্রীসে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এটি ছাড়াও তামার অপর বিস্ময়কর সংকর হল পিতল। তামার সঙ্গে দস্তার আকরিক গলিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। প্রাচীন মিশর, ভারত, এশিরিয়া, রোম ও গ্রীসে তামা, ব্রোঞ্জ ও পিতলের ব্যবহার জানা ছিল। অস্ত্র তৈরীতে তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়টিই ব্যবহৃত হতো। আলতাই, সাইবেরিয়া এবং ট্রান্স ককেশাস অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্রোঞ্জ ও তামার ছুরি, তীরের ফলা, ঢাল, শিরস্ত্রাণ পাওয়া গেছে। গ্রীস।গ্রীসে ও রোম।রোমে তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাল ও শিরস্ত্রাণ তৈরি হতো।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article তামা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.