রাম

রাম (/ˈrɑːmə/; সংস্কৃত: राम, প্রতিবর্ণীকৃত: Rāma; সংস্কৃত:  (ⓘ)) হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে তাকে অযোধ্যার রাজা বলা হয়েছে। তিনি সপ্তম বা অষ্টম শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন বলে অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন। রামায়ন শ্রুতিত শুরু হয় চতুর্থ শতাব্দীতে। আর লেখা শুরু হয় একাদশ শতাব্দীতে। রাম মূলত একজন গোষ্ঠী রাজা ছিলেন। অবতার রাম হিন্দুধর্মে তিনি একজন জনপ্রিয় দেবতা। ভারত এবং নেপাল ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশে রামপূজা প্রচলিত আছে। রাম সূর্যবংশে (ইক্ষ্বাকুবংশ বা পরবর্তীকালে উক্ত বংশের রাজা রঘুর নামানুসারে রঘু বংশ নামে পরিচিত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রামের একটি বিশেষ মূর্তিতে তার পাশে তার ভাই লক্ষ্মণ, স্ত্রী সীতা ও ভক্ত হনুমানকে দেখা যায়। এই মূর্তিকে বলা হয় রাম পরিবার। হিন্দু মন্দিরে এই রাম পরিবার মূর্তির পূজাই বেশি হতে দেখা যায়। রামনবমী তিথিতে ভগবান রামচন্দ্রের জন্ম-উৎসব পালন করা হয়।

রাম
দশাবতার গোষ্ঠীর সদস্য
রাম
শ্রী রাম হলেন একজন হিন্দু দেবতা এবং তার বিভিন্ন মূর্তিতত্ত্ব
দেবনাগরীराम
সংস্কৃত লিপ্যন্তরRāma
তামিল লিপিராமா
অন্তর্ভুক্তি
পূর্বসূরিদশরথ
উত্তরসূরিলব
আবাস
মন্ত্রজয় শ্রী রাম
জয় সিয়া রাম
হরে রাম
অস্ত্রতীর-ধনুক
সেনাবানর সেনা
অযোধ্যা সেনা
দিবসবৃহস্পতিবার
গ্রন্থসমূহ
লিঙ্গপুরুষ
উৎসব
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু
সরায়ু নদী, অযোধ্যা, কোশল (বর্তমান উত্তর প্রদেশ, ভারত)
মাতাপিতা
সহোদর
দম্পত্য সঙ্গীসীতা, সত্যবতী
সন্তান
রাজবংশরঘুবংশ-সূর্যবংশ
দশাবতার ক্রম
পূর্বসূরিপরশুরাম
উত্তরসূরিকৃষ্ণ
রাম
রাম তীর ধারণ করে আছেন,উনিশ শতকের প্রথম দিকের চিত্র
রাম
ভগবান শ্রীরামের অযোধ্যায় বনবাসের সময়ের প্রতিমা।

হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব সম্প্রদায় ও বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থগুলিতে যেসব জনপ্রিয় দেবতার কথা পাওয়া যায়, তার অন্যতম হলেন রাম। সারা দক্ষিণদক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় রাম জনপ্রিয় দেবতা। লোকবিশ্বাসানুসারে, রামের জন্মস্থান হল ভারতের অযোধ্যা শহর। সেখানে "রামলীলা" বা শিশু রামের মূর্তিপূজা হয়। রাম-সংক্রান্ত উপাখ্যানের প্রধান উৎস হল বাল্মীকি রচিত ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ

অযোধ্যার রাজা দশরথ ও তার প্রধান স্ত্রী কৌশল্যার জ্যেষ্ঠপুত্র হলেন রাম। হিন্দুরা রামকে বলেন "সর্বময়মর্যাদা পুরুষোত্তম" (অর্থাৎ, "সর্বশ্রেষ্ঠ সুপুরুষ" বা "আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিপতি" বা "গুণাধীশ")। তিনি সীতারসত্যবতী স্বামী। সীতাকে হিন্দুরা লক্ষ্মীর অবতার বলে মনে করেন। হিন্দুদের দৃষ্টিতে তিনি নারীর আদর্শ। বিভিন্ন মতে তাকে কাল্পনিক বলা হলেও তাঁর বাস্তবতার প্রমাণ আবিষ্কার করতে পেরেছেন বর্তমান গবেষকরা। তবে রাম দুটি বিবাহ করলেও তার উপপত্নীর সংখ্যা ৪১টি বলে বিষ্ণু পূরাণে উল্লেখ আছে। রামের মতো ধার্মিক ব্যক্তি বা তার সমসাময়িক ধার্মিক পৃথিবীতে বিরল।

রামের জীবনকথাকে হিন্দুরা ধর্মনিষ্ঠার আদর্শ হিসেবে মান্য করেন। তাকে আদর্শ মানুষ মনে করা হয়। পিতার সম্মানরক্ষার্থে তিনি সিংহাসনের দাবি ত্যাগ করে চৌদ্দ বছরের জন্য বনে গিয়েছিলেন। তার স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণও তার বিচ্ছেদ সহ্য করতে পারবেন না বলে তার সঙ্গে বনে গিয়েছিলেন। তারা একসঙ্গে চৌদ্দ বছর বনে কাটিয়েছিলেন। বনবাসকালে লঙ্কার রাজা রাবণ সীতাকে অপহরণ করে স্বর্ণলঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর রাম হনুমানের মাধ্যমে জানতে পারেন যে সীতা স্বর্ণলঙ্কায় (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা)। তখন বানর সেনা দিয়ে স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার জন্য সেতু নির্মাণ করেন। আর রাবণের বিরাট রাক্ষস বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে রাবণ পরাজিত হন। রাম সীতাকে উদ্ধার করে অযোধ্যায় ফিরে আসেন। সেখানে তার রাজ্যাভিষেক হয়। পরে তিনি একজন সম্রাটে পরিণত হন। তার রাজ্যে প্রজারা সুখে-শান্তিতে বাস করত এবং রাজ্যের সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার অব্যাহত ছিল। এই জন্য রামের শাসনের অনুসরণে সুশাসিত রাজ্যকে "রামরাজ্য" বলার প্রবণতা চালু হয়।

রামায়ণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, রামের সীতা-অনুসন্ধান ও যুদ্ধজয়ের ক্ষেত্রে রামের প্রতি সীতার চরম প্রেম ও সতীত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ। রাবণের বন্দিনী হওয়া সত্ত্বেও সীতার পবিত্রতা রক্ষিত হয়েছিল। অন্যদিকে, রামের ছোটো তিন ভাই লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্নভরতও পবিত্রতা, ভ্রাতৃপ্রেম ও শক্তির আদর্শ। কোনো কোনো মতে, তারাও "মর্যাদা পুরুষোত্তম" ও সপ্তম অবতারের অংশ। রামের পবিত্রতা কিষ্কিন্ধ্যার বানরহনুমানকে আকৃষ্ট করেছিল। তারাই সীতাকে উদ্ধারে সাহায্য করেন। রামের গল্প ভারতীয় উপমহাদেশদক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বিশেষ জনপ্রিয়। হিন্দুধর্মে রাম অন্তহীন প্রেম, সাহস, শক্তি, ভক্তি, কর্তব্য ও মূল্যবোধের দেবতা।


ব্যুৎপত্তি

ব্যক্তিনাম হিসেবে "রাম" শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদে (১০।৯৩।১৪): দুঃসীম প্রথবনের স্তব গাই, বেণ ও রামের স্তব গাই, বিশিষ্ট অসুরদের স্তব গাই, রাজন্যবর্গের স্তব গাই। রাম শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ হল "রামী", রাত্রির একটি বিশেষণ। বেদে দুই জন রামের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রথম জন হলেন "মার্গবেয়" বা "ঔপতশ্বিনী" রাম এবং দ্বিতীয় জন হলেন "জামদগ্ন্য" রাম। উত্তর-বৈদিক যুগে তিন জন রামের কথা জানা যায়,

  1. বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। ইনি দশরথের পুত্র এবং রঘুবংশে জাত।
  2. বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। ইনি "জামদগ্ন্য" বা "ভার্গব" রাম নামে পরিচিত। ইনি অমর।
  3. বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলরাম

বিষ্ণু সহস্রনাম স্তোত্রে বিষ্ণুর ৩৯৪তম নামটি হল রাম। আদি শঙ্করের টীকা অনুসারে (রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী তপস্যানন্দের অনুবাদ) "রাম" শব্দের দুটি অর্থ আছে: যোগীরা যাঁর সঙ্গে রমণ (ধ্যান) করে আনন্দ পান, সেই পরব্রহ্ম বা সেই বিষ্ণু যিনি দশরথের পুত্ররূপে অবতার গ্রহণ করেছিলেন।

রামের অন্যান্য নামগুলি হল "রামবিজয়" (জাভানিজ ভাষা), ফ্রেয়াহ রাম (খমের ভাষা), ফ্রা রাম (লাও ভাষা ও থাই ভাষা), মেগাত সেরি রাম (মালয় ভাষা), রাকা বানতুগান (মারানাও ভাষা) ও রামার (তামিল ভাষা)।

সাহিত্যিক উৎস

রাম 
বাল্মীকি

রাম-সংক্রান্ত পৌরাণিক উপাখ্যানের প্রধান উৎস ঋষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণ মহাকাব্য। এছাড়া বিষ্ণু পুরাণ-এ বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের উল্লেখ আছে। ভাগবত পুরাণ-এর নবম স্কন্ধের দশম ও একাদশ অধ্যায়ের রামের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া মহাভারত-এও রামের উপাখ্যান উল্লিখিত হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রামায়ণের নানা পাঠান্তর প্রচলিত আছে। যদিও সংস্কৃতে লেখা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থেও রামায়ণের কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। মধ্বের অনুগামীরা মনে করেন, মূল-রামায়ণ নামে একটি রামায়ণ বাল্মীকি রামায়ণেরও আগে লেখা হয়েছিল। সেই রামায়ণকে তারা বাল্মীকি রামায়ণের চেয়েও বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন। সংস্কৃত ভাষায় অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ রামায়ণ হল অধ্যাত্ম রামায়ণ। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর গুজরাতি কবি ভট্টির লেখা সংস্কৃত কাব্য ভট্টিকাব্য রামায়ণের কাহিনির পুনর্কথনের পাশাপাশি পাণিনির ব্যাকরণ গ্রন্থ অষ্টাধ্যায়ীপ্রাকৃত ভাষাশৈলী নিয়ে আলোচনা করেছে। ভারতের অধিকাংশ প্রধান ভাষায় নিজস্ব রামায়ণ রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বাদশ শতাব্দীর তামিল কবি কম্বরের লেখা রামাবতারম্, পঞ্চদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি কৃত্তিবাস ওঝার লেখা শ্রীরাম পাঁচালি ও ষোড়শ শতাব্দীর হিন্দি কবি তুলসীদাসের লেখা রামচরিতমানস। আধুনিক রামায়ণ গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুভেম্পুর কন্নড় রামায়ণ শ্রীরামদর্শনম্, বিশ্বনাথ সত্যনারায়ণের তেলুগু রামায়ণ রামায়ণ কল্পবৃক্ষম্। এই দুই গ্রন্থই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপ্ত। ভারতের স্থানীয় ভাষায় রচিত রামায়ণগুলির মধ্যে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও রামায়ণের বিভিন্ন পাঠান্তর দেখা যায়। এই সব পাঠান্তরে স্থানীয় ইতিহাস, লোককথা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও স্থানীয় ভাষাগুলির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলি ফুটে উঠেছে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের কাকাউইন রামায়ণ, বালি দ্বীপের রামকবচ, মালয়েশিয়ার হিকায়ত সেরি রাম, ফিলিপিনসের মারাদিয়া লাওয়ানাথাইল্যান্ডের রামকিয়েন (বা ফ্রা রাম) এই জাতীয় গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ব্যাংককের ওয়াট ফ্রা কায়েউ মন্দিরে রামায়ণের ছবি দেখা যায়। মায়ানমারের জাতীয় মহাকাব্য হল ইয়ামা জাতদাও হল রামায়ণের ব্রহ্মদেশীয় সংস্করণ। এই গ্রন্থে রামকে ইয়ামা নামে অভিহিত করা হয়েছে। কম্বোডিয়ার রেয়ামকেরে রামের নাম ফ্রেয়াহ রাম। লাওসের ফ্রা লাক ফ্রা লাম গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধকে রামের অবতার বলা হয়েছে।

ঐতিহাসিক যুগ

ঐতিহাসিক এইচ. ডি. শঙ্কলিয়ার মতে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে রামায়ণ রচিত হয়। এ. এল. ব্যাশামের মতে অবশ্য রাম খ্রিস্টীয় অষ্টম বা সপ্তম শতাব্দীর এক গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন।

বাংলায় রাম

রাম 
হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় রাম ও সীতা

বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে রামের পূজা অনেক আগে থেকে করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়া মহকুমায় প্রায় কুড়িটির মত রামের মূর্তি‌ আছে। এছাড়া বাঁকুড়া জেলাতেও রাম মন্দির পাওয়া যায়। বাংলায় রঘুনাথশিলা রূপে ও তার পূজা করা হত।বাংলায় অনেক রাম মূর্তিতে রামের গোঁফ দেখা যায়।বাংলায় কৃত্তিবাসী রামায়ণ খুব জনপ্রিয়।বাংলায় অনেক জায়গায় রামায়ণ গান হয়। রাঢ়বাংলায় রামকে নিয়ে অনেক মুদ্রা পাওয়া গেছে। কাজী নজরুল ইসলাম তাকে নিয়ে গান লিখেছেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস,রাণী রাসমণি,মুরারি গুপ্ত,চৈতন্যজীবনীলেখক দয়ানন্দ,অদ্বৈত আচার্য সহ অনেকে রামের পূজা করতেন।বাংলায় গৌড়ীয় বৈষ্ণবমত জনপ্রিয় হওয়ার আগে অনেকেই রাম মন্ত্রে দীক্ষা নিত। রাণী রাসমণি রঘুবীরের রথযাত্রা করতেন।বীর হাম্বীর এর সময় বাঁকুড়া জেলায় অনেক রাম মন্দির তৈরি হয়।বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়াতে দুর্গাপূজার শেষ হয় "রাবণকাটা নৃত্য" দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাম মন্দির হল-

১. রামচন্দ্র মন্দির গুপ্তিপাড়া, হুগলি,

২. রঘুনাথ মন্দির চন্দ্রকোনা ,মেদিনীপুর ,

৩. রাম মন্দির রামরাজাতলা ,হাওড়া ,

৪. রামজীউ দেউল মন্দির, তমলুক

৫. রামচন্দ্র মন্দির চিরুলিয়া ,মেদিনীপুর,

৬. রঘুনাথ মন্দির নাশিপুর আখড়া ,মুর্শিদাবাদ,

৭. রামজিউ দেউল,তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর,

৮. রামসীতা মন্দির, শ্রীরামপুর, হুগলি,

৯. মাতিয়ারি রাম সীতা মন্দির,নদীয়া,

১০. রামচন্দ্র মন্দির নারাজোল,পশ্চিম মেদিনীপুর,

১১. নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের রাম সীতা মন্দির,

১২.সীতা রাম মন্দির,ঘাটাল,পশ্চিম মেদিনীপুর

১৩. চিরুলিয়ার রামচন্দ্র মন্দির ,মেদিনীপুর

১৪. সীতা রামজী মন্দির,রাউতারা, মেদিনীপুর

১৫. গড় পঞ্চকোট রাম মন্দির,পুরুলিয়া

১৬.রঘুনাথবাড়ি,লালগোলা,মুর্শিদাবাদ,

১৭.বিড়লা রাম মন্দির,কলকাতা,

১৮. দুর্গাপুরের রাম মন্দির

১৯. রঘুনাথ মন্দির,পুরশুড়া,আরামবাগ,হুগলি।

২০.নবদ্বীপ রামসীতা পাড়ার চ্যাটার্জী বাড়ি, নদীয়া।

ংাংলাদেশে রাম মন্দির-

অন্যান্য ভারতীয় ধর্মে রামচন্দ্র

বৌদ্ধধর্ম

বৌদ্ধধর্মানুসারে একবার বোধিসত্ত্ব শ্রীরামচন্দ্ররূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জাতকের কাহিনিতে তাই রামচন্দ্রের উল্লেখ আছে। বৌদ্ধধর্মে রামচন্দ্রকে পরম ধার্মিক এবং আদর্শ নৃপতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

শিখ ধর্ম

শিখ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ আদিগ্রন্থ বা শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব-এ অযোধ্যা নৃপতি পরম ধার্মিক রাজা রামচন্দ্রের কাহিনী ও রামায়ণের যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত আছে।

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

  • Adi Kanda (আদি কান্ড) রামায়ণ
  • Vyas, R.T. (ed.) Vālmīki Rāmāyaṇa, Text as Constituted in its Critical Edition, Oriental Institute, Vadodara, 1992.
  • Valmiki, Ramayana, Gita Press, Gorakhpur, India.
  • Ramesh Menon, The Ramayana: A Modern Retelling of the Great Indian Epic [২]
  • F.S. Growse, The Ramayana of Tulsidas
  • Devadutt Pattanaik, Indian Mythology: Tales, symbols and Rituals from the Heart of the Subcontinent [৩]
  • Jonah Blank, Arrow of the Blue-Skinned God: Retracing the Ramayana Through India [৪]

বহিঃসংযোগ

Tags:

রাম ব্যুৎপত্তিরাম সাহিত্যিক উৎসরাম ঐতিহাসিক যুগরাম বাংলায় রাম অন্যান্য ভারতীয় ধর্মে চন্দ্ররাম পাদটীকারাম তথ্যসূত্ররাম বহিঃসংযোগরামঅবতারঅযোধ্যাইক্ষ্বাকুবংশচিত্র:Sa-राम.ogaদশাবতারনেপালবিষ্ণুভারতরঘুলক্ষ্মণসংস্কৃত ভাষাসাহায্য:আধ্বব/ইংরেজিসাহায্য:সংস্কৃতের জন্য আইপিএসীতাহনুমান (দেবতা)হিন্দুধর্ম

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কুরআনের সূরাসমূহের তালিকাবাঁশপ্রথম বিশ্বযুদ্ধরানা প্লাজা ধসকোকা-কোলাসিফিলিসপদ (ব্যাকরণ)আফগানিস্তানমুহাম্মাদবিদ্যালয়তাপ সঞ্চালনজৈন ধর্মব্যাকটেরিয়ানীল বিদ্রোহবঙ্গভঙ্গ আন্দোলনফজরের নামাজলালননামাজজাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকাজাপানসহীহ বুখারীক্রোমোজোমগাঁজাকুমিল্লালিঙ্গ উত্থান ত্রুটিবাংলাদেশের জেলাআমলাতন্ত্রবিকাশবাংলাদেশ সেনাবাহিনীজলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতিবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপবটসিঙ্গাপুরদৈনিক ইত্তেফাকপ্লাস্টিক দূষণজরায়ুপ্রাকৃতিক ভূগোলক্রিকেটপলাশীর যুদ্ধলোকনাথ ব্রহ্মচারীচাঁদহেপাটাইটিস বিমোবাইল ফোনবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনবেনজীর আহমেদহস্তমৈথুনভরিইসলামে যৌনতাচিরস্থায়ী বন্দোবস্তগণতন্ত্র২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (এপ্রিল ২০২৩)আল্লাহর ৯৯টি নামফুটবলজীবমণ্ডল২৩ এপ্রিলসন্ধিসৈয়দ সায়েদুল হক সুমনদুবাইজ্ঞানচাকমাকোষ বিভাজনওপেকমহাত্মা গান্ধীজানাজার নামাজসবচেয়ে বেশি গোলকারী ফুটবলারের তালিকাপদ্মা নদীইসলাম ও হস্তমৈথুনতাপপ্রবাহরামপ্রসাদ সেনদর্শনতুরস্কভারত বিভাজনহুমায়ূন আহমেদচুম্বকদ্বৈত শাসন ব্যবস্থাকাশ্মীর🡆 More