নেপাল: দক্ষিণ এশিয়ার দেশ

নেপাল (নেপালি: नेपाल), আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল (নেপালি: सङ्घीय लोकतान्त्रिक गणतन्त्र नेपाल) হিমালয় অধ্যুষিত একটি দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। যার সাথে উত্তরে চীন এবং দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। এর শতকরা ৮১ ভাগ জনগণই হিন্দু ধর্মের অনুসারী। বেশ ছোট আয়তনের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের ভূমিরূপ অত্যন্ত বিচিত্র। আর্দ্র আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল, তরাই থেকে শুরু করে সুবিশাল হিমালয়; সর্বত্রই এই বৈচিত্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়। নেপাল এবং চীনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০ টি পর্বতের ৮ টিই অবস্থিত। এখানেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল

सङ्घीय लोकतान्त्रिक गणतन्त्र नेपाल (নেপালি)
সাংঘিয়া লোকতন্ত্র গণতন্ত্র নেপাল
নেপালের প্রতীক
প্রতীক
নীতিবাক্য: जननी जन्मभूमिश्च स्वर्गादपि गरीयसी" (সংস্কৃত)
"মা এবং মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও উঁচু
জাতীয় সঙ্গীত: "নেপালের জাতীয় সঙ্গীত"
"শত শত ফুল দিয়ে তৈরি (নেপালি - সাঁইয়ো থুঙ্গকা ফুলকা)"
নেপালের অবস্থান
নেপালের অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
কাঠমান্ডু
২৮°১০′ উত্তর ৮৪°১৫′ পূর্ব / ২৮.১৬৭° উত্তর ৮৪.২৫০° পূর্ব / 28.167; 84.250
সরকারি ভাষানেপালি
সরকারযুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র
রাম চন্দ্র পাউডেল
• প্রধানমন্ত্রী
পুষ্পকমল দাহাল
অগ্নি প্রশাদ সাপকোটা
• উপরাষ্ট্রপতি
রাম সহায় যাদব
আইন-সভানেপালের সংসদ
• উচ্চকক্ষ
রাষ্ট্রীয় সভা
• নিম্নকক্ষ
প্রতিনিধি সভা
একীভূতকরণ 
• রাজ্য
১৭৬৯
• প্রজাতন্ত্র
২৮ মে ২০০৮
• বর্তমান সংবিধান
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আয়তন
• মোট
১,৪৭,১৮১ কিমি (৫৬,৮২৭ মা) (৯৩তম)
• পানি (%)
২.৮
জনসংখ্যা
• জুলাই ২০১৮ আনুমানিক
২৮০৯৫৭১৪ (৪৯ তম)
• ২০০২ আদমশুমারি
২৩,১৫১,৪২৩
জিডিপি (পিপিপি)২০১৯ আনুমানিক
• মোট
$৯৪ বিলিয়ন (৮৭তম)
• মাথাপিছু
$৩৩১৮ (১৫৩তম)
জিডিপি (মনোনীত)আনুমানিক
• মোট
$৩০ বিলিয়ন (101তম)
• মাথাপিছু
$১০৪৮
জিনি (২০১০)৩২.৮
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯)০.৫৭৮
মধ্যম · ১৩৬তম
মুদ্রানেপালি রুপি (NPR)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৫:৪৫ (নেপাল সময়)
কলিং কোড+৯৭৭
ইন্টারনেট টিএলডি.np
  1. রাজার রাষ্ট্রীয় প্রধান হিসেবে যে ক্ষমতা ছিল তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০০৭-রর নভেম্বরে সাংবিধানিক সভা কর্তৃক রাজতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত এই পদ বহাল থাকবে।

নামকরণ

নেপাল নামটির সঠিক উৎপত্তি সম্বন্ধে জানা যায়নি, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মত অনুসারে নেপাল নামটি দুটি শব্দ নে এবং পাল থেকে এসেছে যাদের অর্থ যথাক্রমে পবিত্র এবং গুহা। তাহলে নেপাল শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে পবিত্র গুহা

ইতিহাস

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপত্যকায় প্রাপ্ত নিওলিথিক যুগের বেশকিছু উপাদান এটিই নির্দেশ করে যে হিমালয়ান অঞ্চলে প্রায় ৯০০০ বছর থেকে মানুষ বসবাস করছে। এটি প্রতিষ্ঠিত যে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে নেপালে তিব্বতী-বার্মীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। ১৫০০ খৃস্টপূর্বাব্দে ইন্দো ইরানীয় বা আর্য জাতিগোষ্ঠী এই হিমালয়ান উপত্যকায় প্রবেশ করে। ১০০০ খৃস্টপূর্বাব্দের দিকে এই অঞ্চলটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য স্বতন্ত্র রাজ্য ও কনফেডারেশন গড়ে উঠে। এরকমই একটি কনফেডারেশন ছিল সাকিয়া যার একসময়কার রাজা ছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম (৫৬৩-৪৮৩ খৃস্টাপূর্বাব্দ) যিনি গৌতম বুদ্ধ বা শুধু বুদ্ধ নামেই পরিচিত। তিনি পবিত্র ও সাধনাময় জীবনযাপনের জন্য তার রাজত্ব ত্যাগ করেছিলেন। ২৫০ খৃস্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলটি উত্তর ভারতের মৌর্য সম্রাজ্যের অধীনে আসে এবং পরবর্তীতে ৪র্থ শতাব্দীতে এটি গুপ্ত সম্রাজ্যের অধীনে একটি পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত হয়। পঞ্চম শতাব্দীর শেষ হতে শুরু করে পরবর্তী বেশ কিছুটা সময় শাসন করে একদল শাসক যারা সাধারণভাবে লিচ্ছবি নামে পরিচিত। লিচ্ছভি সাম্রাজ্যের পতন ঘটে অষ্টম শতাব্দীতে এবং এরই সাথে শুরু হয় নেওয়ারি যুগের। ৮৭৯ সালে নেওয়ারিদের রাজত্ব শুরু হলেও সমগ্র রাষ্ট্রের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই অনিশ্চিত ছিল। একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নেপালের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ ভারতের চালুক্য সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। চালুক্যদের রাজত্বকালে নেপালের ধর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আসে কারণ সব রাজাই হিন্দু ধর্মের পৃ্ষ্ঠপোষকতা করতেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের বিপরীতে হিন্দু ধর্মের প্রচারে অবদান রাখেন।

দ্বাদশ শতাব্দীতে যেসব রাজা অধিষ্ঠান করেন তাদের নামের শেষে সাধারণ একটি শব্দ ছিল আর তা হল মল্ল যার অর্থ হচ্ছে কুস্তিগির

নেপাল: নামকরণ, ইতিহাস, রাজনীতি 
চানগুনারায়ণ মন্দির

গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহ কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের পর কাঠমান্ডু উপত্যকা দখল করে ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত নেপালকে একটি রাষ্ট্রীয় সংহতি দান করেন। নেপালের ইতিহাসে এই সময় থেকে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে হিমালয় কন্যা নেপালের যাত্রা শুরু বলা যায়। এই পৃথ্বীনারায়ণ শাহকে আজকের নেপালের প্রতিষ্ঠাতা বলা যায়।

রাজনীতি

বর্তমানে নেপালের রাজনীতি একটি বহুদলীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোতে সংঘটিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। আইনসভার উপর আইন প্রণয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত। বর্তমানে রাম চন্দ্র পাউডেল নেপালের রাষ্ট্রপতি এবং পুষ্প কমল দাহাল প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত নেপাল একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ছিল। ঐ মাসের ২৮ তারিখে নেপালের আইনসভা সংবিধানে সংশোধন আনে এবং নেপালকে একটি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করে।

নেপালের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল গুলো হলো:

  • মধ্যম থেকে ডানপন্থী
  1. জাতীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি
  • মধ্যমপন্থী-
  1. নেপালি কংগ্রেস
  • মধ্যম-বামপন্থী-
  1. জাতীয় জনতা পার্টি
  • মধ্যম থেকে বামপন্থী -
  1. নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)
  2. নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (সংযুক্ত মার্কসবাদী)
  3. সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরাম
  • পূর্ণ বামপন্থী-
  1. নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী-কেন্দ্র)
  2. নেপাল মজদুর কিসান পার্টি

সামরিক বাহিনী

নেপালী সেনাবাহিনী ১৭৬২ সালে গঠিত হয় এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত নেপালের সেনাবাহিনীর নাম 'রাজকীয় নেপালি সেনা' ছিলো। নেপালে কোনো বিমান বাহিনী নেই আর যেহেতু নেপালের কোনো সমুদ্র সীমানা নেই তাই নৌবাহিনীও নেই।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

নেপাল: নামকরণ, ইতিহাস, রাজনীতি 
মানচিত্রে নেপালের প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

নেপালকে ১৪টি প্রশাসনিক অঞ্চলে (নেপালি ভাষায় अञ्चल) ভাগ করা হয়েছে, যেগুলি আবার ৭৫টি জেলায় (নেপালি ভাষায় जिल्ला) বিভক্ত। নেপাল ১৪ টি জোনে ভাগ করা। ৭৫ টি জেলা।

ভূগোল

নেপালের ভূ-প্রকৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ নেপালের আকৃতি অনেকটা চতুর্ভুজের মত, প্রায় ৮০০ কিমি (৫০০মাইল) দৈর্ঘ্য এবং ২০০ কিমি (১২৫ মাইল) প্রস্থ। নেপালের মোট আয়তন প্রায় ১৪৭,১৮১ বর্গকিমি (৫৬,৮২৭ বর্গমাইল)। ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে নেপাল তিন ভাগে বিভক্ত- পর্বত, পাহাড়ী উঁচু ভূমি(Hill and Siwalik region) এবং নিচু সমতল ভূমি অর্থাৎ তরাই
প্রধান ভৌগোলিক ক্ষেত্র-

দক্ষিণে ভারতের সীমান্তঘেঁষা তরাই নিম্নভূমি নারায়ণী ও কর্ণালী নদীবিধৌত।

অর্থনীতি

নেপালের অর্থনীতি মূলত পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো মানুষ নেপাল ভ্রমণ করে।

জনসংখ্যা

নেপাল: নামকরণ, ইতিহাস, রাজনীতি 
নেপালের তুলনামুলক জনসখ্যা
জনসংখ্যার পরিসংখ্যান
শ্রেনী সংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ২৬,৪৯৪,৫০৪ (২০১১)
বৃদ্ধি হার ১.৩৫%
বয়সসীমা ১৪ বছরের নিচে ৩৪.১৯%
বয়সসীমা ১৫ থেকে ৫৯ এর মধ্যে ৫৪.১৫%
বয়সসীমা ৬০ এর উপরে ৮.১৩%
গড় বয়স ২০.০৭
গড় বয়স (পুরুষ) ১৯.৯১
গড় বয়স (মহিলা) ২০.২৪
অনুপাত (পুরুষ : মহিলা) ১০০ : ৯৪.১৬
অনুমিত অয়ুষ্কাল(গড়)(তথ্যসূত্র:) ৬৬.১৬ বছর
অনুমিত অয়ুষ্কাল (পুরুষ) ৬৪.৯৪
অনুমিত অয়ুষ্কাল (মহিলা) ৬৭.৪৪
স্বাক্ষরতার হার (গড়) ৬৫.৯%
স্বাক্ষরতার হার (পুরুষ) ৭৫.১%
স্বাক্ষরতার হার (মহিলা) ৫৭.৪%

সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর লোক দক্ষিণের সমতল ভূমি অর্থাৎ তরাই-এ বসবাস শুরু করলেও এখনো দেশের সিংহভাগ মানুষ বাস করে মধ্য উচ্চভূমিতে। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল জনবিরল। রাজধানী কাঠমান্ডু দেশের সবচেয়ে বড় শহর এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৮০০,০০০ (মেট্রোপলিটন এলাকায়: ১৫ লক্ষ)।

নেপালি ভাষা নেপালের সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় ৬০% লোক নেপালি ভাষাতে কথা বলেন। এছাড়াও নেপালে আরও প্রায় ১২০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে মৈথিলী ভাষা (প্রায় ১১% বক্তা), ভোজপুরি ভাষা (প্রায় ৮%), মুর্মি ভাষা, নেওয়ারি ভাষা, এবং মগর ভাষা উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

সংস্কৃতি

নেপাল: নামকরণ, ইতিহাস, রাজনীতি 
ডাল ভাত, নেপালের ঐতিহ্যবাহী খাবার

নেপালের সংস্কৃতি হিন্দু এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতির মিশ্রণে হয়েছে। নেপালের প্রধান পর্ব বিজয়া দশমী, বুদ্ধ জয়ন্তী, তিহার, ল্হোসার আদি।নেপালের রাষ্ট্রীয় পোশাক দৌরা সুরুৱাল (পুরুষ) এবং সারী (মহিলা)।

নেপালের সংস্কৃতি অনেকগুলো দেশীয়, আদিবাসী গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে, ফলে নেপাল এক বহুসাংস্কৃতিক রাষ্ট্র। নেপালের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ, বিশেষকরে নেওয়ার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি। নেওয়ার জনগোষ্ঠী অনেকগুলো পার্বণ পালন করে এবং তারা তাদের গান ও নাচের জন্য সুপরিচিত।

নেপালের সাধারণ খাদ্যতালিকা- ডাল-ভাত-তরকারি, এর সাথে থাকে আচার বা চাটনী। নিচু সমতল ভূমিতে ঘরের কাঠামো তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশ, গোবর মিশ্রিত কাদা দিয়ে ঘরের দেয়াল তৈরি করা হয়। এধরনের ঘর শীতের দিনে বেশ গরম এবং গরমের দিনে বেশ ঠান্ডা থাকে।

নেপালী বৎসর ১২ মাসে বিভক্ত এবং বছরের শুরু হয় মধ্য এপ্রিলে। নেপালে সাপ্তহিক ছুটির দিন হচ্ছে শনিবার।

নেওয়ারী সঙ্গীতে ঐকতান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়, অধিকাংশই বাজাতে হয় ঘষে ঘষে, তবে বাঁশি ও বাঁশিজাতীয় আরো কিছু বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র খুব কম ব্যবহৃত হয়। সঙ্গীত রয়েছে বিভিন্ন ব্যঞ্জনার, যা ভিন্ন ভিন্ন ঋতু এবং উৎসবকে মূর্ত করে তোলে। যেমন, পাহান চারে সঙ্গীত পরিবেশিত হয় অত্যন্ত দ্রুত লয়ে এবং ডাপা সঙ্গীত পরিবেশিত হয় খুব ধীর লয়ে। কিছু বাদ্যযন্ত্র আছে যেগুলো শুধুমাত্র যন্ত্রসঙ্গীতেই ব্যবহৃত হয়, যেমন- ধিমাইভুসিয়াধিমাই বাজে সবচেয়ে উচ্চগ্রামে। পাহাড়গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে, লোকগীত বা লোক দোহারী অত্যন্ত জনপ্রিয়। লোকগাঁথা নেপালী সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। চিরায়ত লোকগল্পগুলোর মূলে রয়েছে দৈনন্দিন বাস্তবতা, প্রেম-ভালবাসা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দানব, দেবতা যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় প্রচলিত বিশ্বাস ও সংস্কৃতি। অনেক নেপালী লোককাহিনী গান ও নাচ সহযোগে পরিবেশিত হয়।

নেপাল: নামকরণ, ইতিহাস, রাজনীতি 
কালাটপ থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গ ও নুপ্তসে হিমবাহ

উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ

বন্যপ্রাণী বৈচিত্র্যা নেপালের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ।অত্যন্ত ঠান্ডা থেকে উষ্ণপ্রধান আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য ,নেপালে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতে এক বিরাট বিভিন্নতা বা বৈচিত্র আছে। বন্যপ্রাণী পর্যটন এই দেশের অন্যতম পর্যটন। এখানে কিছু বন্যপ্রাণী আছে যা একমাত্র নেপালে দেখা যায় যেমন স্পিনি ব্যাব্লার। নেপালেই বিভিন্ন প্রজাতির রডোডেন্ড্রন দেখা যায়। নেপালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য অনেকগুলি জাতীয় উদ্যান স্থাপন করা হয়। যার মধ্যে গুরত্বপূর্ণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হল সাগরমাথা জাতীয় উদ্যানচিতওয়ান জাতীয় উদ্যান

গণমাধ্যম

নেপাল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি জনপ্রিয় পত্রিকার নাম হচ্ছে,কান্তিপুর ন্যাশনাল,ডেইলি নেপাল,সমাচারপত্র,দ্য কাঠমন্ডু পোস্ট,দ্য হিমালয়ান টাইমস,রাজধানি,মজদুর,দ্য রাইজিং নেপাল,ডেইলী বুধবার সাপ্তাহিক,জন আস্থা জাতীয় সাপ্তাহিক৷

দর্শনীয় স্থান

নাগরকট,পোখরা,কাঠমান্ডু

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

নেপাল নামকরণনেপাল ইতিহাসনেপাল রাজনীতিনেপাল সামরিক বাহিনীনেপাল প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহনেপাল ভূগোলনেপাল অর্থনীতিনেপাল জনসংখ্যানেপাল সংস্কৃতিনেপাল তথ্যসূত্রনেপাল বহিঃসংযোগনেপালচীনতরাইদক্ষিণ এশিয়ানেপালি ভাষাভারতমাউন্ট এভারেস্টস্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রহিন্দু ধর্মহিমালয়

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসজোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনজাতিইসরায়েল–হামাস যুদ্ধলিওনেল মেসিঅসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)বাংলা বাগধারার তালিকাআইজাক নিউটনইসলামহৃৎপিণ্ডবিদ্যাপতিবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকানিউটনের গতিসূত্রসমূহরুয়ান্ডাজান্নাতযুক্তফ্রন্টসুফিয়া কামাললোকনাথ ব্রহ্মচারীপানি দূষণশিবনারায়ণ দাসবাল্যবিবাহতাপ সঞ্চালনসূরা নাসভারতের জাতীয় পতাকাঅস্ট্রেলিয়াইসলাম ও হস্তমৈথুনশাবনূরসাইপ্রাসউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগযশস্বী জয়সওয়ালযোনি পিচ্ছিলকারকআমলাতন্ত্রব্র্যাকমুহাম্মাদ ফাতিহআলাউদ্দিন খিলজিটাইফয়েড জ্বরবাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আদমবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাশ্রীকৃষ্ণকীর্তনআসমানী কিতাবআয়করভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাদেব (অভিনেতা)যোগাসনস্মার্ট বাংলাদেশমিজানুর রহমান আজহারীবেল (ফল)বিবর্তনরাজ্যসভাখাদ্যযুক্তরাজ্য২০২২ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরনগরায়ননেপাল২০২১–২২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরথ্যালাসেমিয়ারেনেসাঁবন্ধুত্বপানিচক্রসামাজিক স্তরবিন্যাসডিপজলশান্তিনিকেতনরিয়াজজগদীশ চন্দ্র বসুদিল্লিপদ্মা সেতুহারুন-অর-রশিদ (পুলিশ কর্মকর্তা)সমাজবিজ্ঞানমুসাগেরিনা ফ্রি ফায়ারবাংলাদেশের বিভাগসমূহশিবম দুবেপ্রথম ওরহানপরমাণুলখনউ সুপার জায়ান্টস🡆 More