জীবাশ্ম

জীবাশ্ম (ইংরেজি: Fossil) বলতে প্রাণী বা উদ্ভিদ পাথরে পরিণত হয়েছে এমন ধরনের পদার্থ কে বোঝায় । প্রাগৈতিহাসিক যুগের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ধ্বংসাবশেষ তথা মৃতদেহের চিহ্ন পাওয়া যায় ভূগর্ভ কিংবা ভূ-পৃষ্ঠের কঠিন স্তরে সংরক্ষিত পাললিক শিলা অথবা যৌগিক পদার্থে মিশ্রিত ও রূপান্তরিত অবস্থায়। অধিকাংশ জীবিত প্রাণীকুলেরই জীবাশ্ম সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, অনেক প্রজাতিরই জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে যারা পৃথিবীতে বর্তমানে বিলুপ্ত। ৩৪০ কোটি বছর থেকে দশ হাজার বছর পূর্বেকার তুষার যুগের প্রাণী ও উদ্ভিদদেহের ধ্বংসাবশেষ জীবাশ্মরূপে সংরক্ষিত আছে। যেমন -

জীবাশ্ম
জীবাশ্ম
জীবাশ্ম
জীবাশ্ম

ইতিহাস

ল্যাটিন শব্দ ফসাস (fossus) (অর্থ - উত্তোলন করা) থেকে ফসিল শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। বৈশ্বিকভাবে জীবাশ্মের ন্যায় জটিল বিষয়ের তথ্য সংরক্ষণকে ফসিল রেকর্ড নামে অভিহিত করা হয়। আবিষ্কৃত কিংবা অনাবিষ্কৃত সমুদয় জীবাশ্মের সংখ্যা, তাদের অবস্থান, শিলার বিন্যাস এবং পাললিক শিলার স্তর - এগুলোকে একত্রে ফসিল রেকর্ড বলা হয়। এই রেকর্ডের বিশ্লেষণ পৃথিবীর জীবনচক্রের ইতিহাস তুলে ধরার সেরা উপায় হিসেবে বিবেচিত। ভৌগোলিক সময়ের মানদণ্ডে জীবাশ্মের গঠন, বয়স এবং বিবর্তনের ধারায় সম্পৃক্ততা জীবাশ্মবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সংরক্ষিত নমুনাকে জীবাশ্ম হিসেবে তখনই বিবেচনা করা হয়, যখন এটি কমপক্ষে দশ সহস্রাধিক বছরের প্রাচীনকালের। ঊনবিংশ শতকে শীর্ষস্থানীয় ভূতাত্ত্বিকগণ ভৌগোলিক সময়ের মানদণ্ডে ৩৪০ কোটি - ১০,০০০ বছর বয়সের মধ্যে সংগৃহীত বস্তুকে জীবাশ্ম নামে আখ্যায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিংশ শতকের শুরুতে রেডিওম্যাট্রিক ডেটিংয়ের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জীবাশ্ম চিহ্নিত করতে বেশ সহায়ক হয়েছে।

জীবাশ্মের আকার এককোষী ব্যাক্টেরিয়া থেকে বিশালাকৃতির ডাইনোসর ও অনেক মিটার লম্বা এবং কয়েক টন ওজনের গাছের মতো হতে পারে। সাধারণতঃ মৃত প্রাণীর অংশবিশেষ হিসেবে হাড় এবং দাঁত প্রায়শই বিচ্ছিন্ন জীবাশ্ম হিসেবে পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Tags:

জীবাশ্ম ইতিহাসজীবাশ্ম তথ্যসূত্রজীবাশ্ম আরও দেখুনজীবাশ্ম আরও পড়ুনজীবাশ্ম বহিঃসংযোগজীবাশ্মআবিষ্কারইংরেজি ভাষাউদ্ভিদপৃথিবীপ্রজাতি (জীববিদ্যা)প্রাণীবিলোপনশিলা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

আযানস্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাববাংলাদেশ সেনাবাহিনীআল্লাহসেশেলসসাপদুর্গাসমাসবাংলাদেশের ইউনিয়নবাস্তব সত্যকারকআইজাক নিউটনসমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিচারালয়মুহাম্মাদের মৃত্যুবাংলাদেশের জাতীয় পতাকাসেশেলস জাতীয় ফুটবল দলবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)বিবাহশ্রীকৃষ্ণকীর্তনইশার নামাজঅন্নপূর্ণা পূজামহাস্থানগড়ভারতীয় জনতা পার্টিরাজনীতিফ্রান্সের ষোড়শ লুইজাতিসংঘসুনামগঞ্জ জেলাবাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাদোয়া কুনুতবাংলা টিভি চ্যানেলের তালিকাউমাইয়া খিলাফতটাইফয়েড জ্বরজ্ঞানসাঁওতাল বিদ্রোহহিন্দুধর্মসভ্যতাঅন্নপূর্ণা (দেবী)উইকিবইমারি অঁতোয়ানেতইয়াজুজ মাজুজমনোবিজ্ঞানপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)ঢাকাইন্দিরা গান্ধীরোনাল্ড রসমরিশাসকুমিল্লা জেলাসূরা আল-ইমরানসূরা বাকারাবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাসুকুমার রায়স্বামী বিবেকানন্দওমানভারতভ্লাদিমির পুতিনহেপাটাইটিস বিসুকান্ত ভট্টাচার্যঅক্সিজেনইমাম বুখারীপলাশীর যুদ্ধমরক্কোষাট গম্বুজ মসজিদবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাসনি মিউজিকমৃত্যু পরবর্তী জীবনপশ্চিমবঙ্গসংস্কৃত ভাষাবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সবুধ গ্রহআতানিউমোনিয়াদক্ষিণ আফ্রিকাচৈতন্য মহাপ্রভুনীল তিমিযাকাতডিম্বাশয়২৯ মার্চ🡆 More