ওপেক (ইংরেজি: Organization of the Petroleum Exporting Countries, OPEC) হচ্ছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এর সদস্য মোট ১৩ টি দেশ। ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে বাগদাদে প্রথম পাঁচ সদস্য (ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ভেনেজুয়েলা) এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এর সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যদিও অস্ট্রিয়া ওপেক সদস্যভুক্ত দেশ নয়। সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত, ১৩ টি সদস্য দেশ বিশ্বব্যাপী তেল উৎপাদনের আনুমানিক ৪৪ শতাংশ এবং বিশ্বের প্রমাণিত তেলের রিজার্ভের ৮১.৫ শতাংশের মত সংগ্রহে ছিল। ফলে ওপেক বিশ্বব্যাপী তেলের দামের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। ১ জানুয়ারী ২০১৯ এ কাতার এবং ১ জানুয়ারী ২০২০ এ ইকুয়েডর এবং ১ জানুয়ারী ২০২৪ এ এঙ্গোলা সদস্য পদ ছেড়ে দেয়ার দরুন এর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১২ টি।
তেল রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংগঠন | |
---|---|
সদর দপ্তর | ভিয়েনা, অষ্ট্রিয়া |
সরকারী ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | বাণিজ্য সংযোজন (Trade bloc) |
সদস্য দেশগুলি | ১৩টি সদস্য দেশ হলো: |
নেতৃবৃন্দ | |
• মহাসচিব | মোহাম্মদ সানুসি বারকিন্দো (নাইজেরিয়া) ( ১ আগস্ট ২০১৬- বর্তমান) |
প্রতিষ্ঠিত | |
• সংবিধি | সেপ্টেম্বর ১০-১৪ ১৯৬০ কার্যত জানুয়ারি ১৯৬১ |
আয়তন | |
• মোট | ১,১৮,৫৪,৯৭৭ কিমি২ (৪৫,৭৭,২৩২ মা২) |
জনসংখ্যা | |
• আনুমানিক | ৩৭,২৩,৬৮,৪২৯ |
• ঘনত্ব | ৩১.১৬/কিমি২ (৮০.৭/বর্গমাইল) |
মুদ্রা | Indexed as USD-per-barrel |
ওয়েবসাইট http://www.opec.org/ |
এ সংস্থার লক্ষ্য হল "এর সদস্য দেশগুলির পেট্রোলিয়াম নীতিগুলির সমন্বয় ও একীকরণ করা এবং তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, যাতে ভোক্তাদের কাছে পেট্রোলিয়ামের একটি দক্ষ, অর্থনৈতিক এবং নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তেল উৎপাদনপকারী দেশের একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস তৈরি হত এবং পেট্রোলিয়াম শিল্পে বিনিয়োগকারীরা যেন তাদের মূলধনের উপর ন্যায্য রিটার্ন পায়।"
১৯৬০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ওপেক গঠিত হয়।
ওপেক এর বর্তমানে এর সদস্য.১৩টি দেশ - অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, ইউএই, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি। ইন্দোনেশিয়া ২০০৮ সালে ওপেক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সারা পৃথিবীতে তেলের দাম নিধারন এবং রপ্তানি ও আমদানিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে ।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পরস্পরকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের এক বিশাল এলাকা গড়ে তোলা। ইন্দোনেশিয়া, ইকুয়েডর ও কাতার এর প্রাক্তন সদস্য।
ওপেকের গঠন প্রাকৃতিক সম্পদের উপর জাতীয় সার্বভৌমত্বের দিকে মোড় ঘুরিয়েছে এবং ওপেকের সিদ্ধান্তগুলি বিশ্বব্যাপী তেল বাজার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রভাবগুলি বিশেষত শক্তিশালী হতে পারে যখন যুদ্ধ বা নাগরিক ব্যাধি সরবরাহে বর্ধিত বাধা সৃষ্টি করে। 1970-এর দশকে তেল উৎপাদনে বিধিনিষেধের ফলে তেলের দাম এবং ওপেকের উপার্জন ও সম্পদে নাটকীয় বৃদ্ধি ঘটে, বৈশ্বিক অর্থনীতির দীর্ঘস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি ঘটে। ১৯৮০-এর দশকে, ওপেক তার সদস্য দেশগুলির জন্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ শুরু করে; সাধারণত লক্ষ্যমাত্রা কমে গেলে তেলের দাম বেড়ে যায়। সংস্থাটির 2008 এবং 2016 সালের ওভারসপ্লাই ট্রিম করার সিদ্ধান্ত থেকে এটি সম্প্রতি ঘটেছিল।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ওপেক, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.