উভচর প্রাণী

উভচর হল এ্যামফিবিয়া শ্রেণীর ectothermic, টেট্রাপড মেরুদন্ডী প্রাণী। আধুনিক উভচরেরা হল লিসামফিবিয়া। তারা বিভিন্ন ধরনের বসবাস অভ্যাস গড়ে তুলেছে, বেশিরভাগ প্রজাতিই মাটি, fossorial, arboreal বা স্বাদু জলের জলজ প্রাণী। উভচরেরা সাধারণত জলে লার্ভা হিসেবে জীবন শুরু করে কিন্তু কিছু প্রজাতি আচরণগত অভিযোজন করে এই ব্যবস্থাটি এড়িয়ে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে লার্ভা অবস্থায় পানিতে শ্বাস নেবার সক্ষমতা থেকে বড় হতে হতে শারীরিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস কাজ চালানোর সক্ষমতা অর্জন করে। উভচরেরা তাদের ত্বককে দ্বিতীয় শ্বসন সহায়ক বর্হিরাঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করে এবং কিছু মাটির সালামান্ডার এবং ব্যাঙ শুধুমাত্র তাদের চামড়ার উপর নির্ভর করে কারণ তাদের কোন ফুসফুস নেই। তারা বাহ্যত টিকটিকির সাথে মিলে কিন্তু সরীসৃপের স্তন্যপায়ী ও পাখির মত ভূমিতে বংশবৃদ্ধি করে তাদের জলের প্রয়োজন হয় না। এদের জটিল বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া ও বিশেষ ত্বকের জন্য বাস্তব্যবিদ্যা নির্দেশক রয়েছে। তাছাড়া গত কয়েক দশকে সারা পৃথিবীতে উভচর প্রাণীর অনেক প্রজাতি সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমেছে।

উভচর
সময়গত পরিসীমা: Carboniferous–Present
কা
পা
ক্রি
প্যা
Collage of amphibians
ঘড়ির কাটানুসারে উপরে ডান হতে: Seymouria, মেক্সিকান বারোইং সিসিলিয়ান, ইস্টার্ন নিউট এবং সবুজ পাতা গেছো ব্যাঙ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Amphibia
উভচর প্রাণী
এক জাতের গেছো ব্যাঙ
উভচর প্রাণী
একটি সালামান্ডার
উভচর প্রাণী
একটি সিসিলিয়ান

সাধারণত সেই সব প্রাণীদেরকে উভচর প্রাণী (ইংরেজি: Amphibian) বলা হয় যাদের ত্বক চুলহীন ও ভেজা থাকে এবং এই ত্বকের মধ্য দিয়ে পানি দেহের ভেতরে-বাইরে আসা-যাওয়া করতে পারে। প্রায় সব উভচর প্রাণীই তাদের জীবনের প্রথম অংশ পানিতে কাটায় এবং পরবর্তী জীবন স্থলে অতিবাহিত করে। এই দ্বৈত জীবনযাপনের কারণেই এদের নাম দেয়া হয়েছে উভচর। এদের ইংরেজি নাম amphibian গ্রিক শব্দ amphi অর্থাৎ উভয় এবং bios অর্থাৎ জীবন থেকে এসেছে। উভচর প্রাণীরাই ছিল প্রথম মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা অভিযোজনের মাধ্যমে স্থলে বসবাস করে শুরু করে। এরা সরীসৃপদের পূর্বপুরুষ, যেগুলি আবার পাখি ও স্তন্যপায়ীদের পূর্বপুরুষ।

সমস্ত উভচর প্রাণীকে তিনটি মূল বর্গে ভাগ করা যায়:

  1. কাউডাটা বা লেজযুক্ত উভচর; এদের মধ্যে আছে সাইরেন, সালামান্ডার, ও নিউট।
  2. অ্যানুরা বা লেজবিহীন উভচর; এদের মধ্যে আছে বিভিন্ন জাতের ব্যাঙ।
  3. জিম্নোফিওনা; এরা অনেকটা কেঁচোসদৃশ, যেমন সিসিলিয়ান।

বিজ্ঞানীরা প্রায় ৬,০০০ প্রজাতির উভচর প্রাণীর দেখা পেয়েছেন। এদের মধ্যে ব্যাঙের প্রজাতির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি; এ পর্যন্ত প্রায় ৫৩৬২ প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কৃত হয়েছে। Frog–জাতীয় ব্যাঙদের ত্বক সাধারণত মসৃণ ও এদের হাত-পা লম্বা। আর Toad-জাতীয় ব্যাঙের ত্বক অমসৃণ, গ্রন্থিময় এবং এদের হাত-পা ছোট ছোট।

ব্যাঙের বাইরে অন্যান্য উভচরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজাতি আছে সালামান্ডার নামের প্রাণীর। এদের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৫৫৬। এই শ্রেণীর উভচরদের দেহ সরু ও লম্বা এবং লেজযুক্ত।

সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রজাতির উভচর হল সিসিলিয়ান জাতের উভচর। এদের প্রজাতির সংখ্যা ১৭৩। এদের কোন হাত-পা নেই, তাই এরা দেখতে অনেকটা কেঁচোর মত। এদের বেশির ভাগই ভূ-তলদেশে মাটি খুঁড়ে বসবাস করে, তবে এদের কিছু কিছু প্রজাতি পানিতেও থাকে।

তথ্যসূত্র

Tags:

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মুহাম্মাদ ফাতিহগোপালগঞ্জ জেলাছয় দফা আন্দোলনবৃত্তভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনখালেদা জিয়ামঙ্গলকাব্যবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিরশিদ চৌধুরীদক্ষিণ কোরিয়াইসলামে যৌনতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাবাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকপলল শাখাশাহ সিমেন্টবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)সার্বজনীন পেনশনদুরুদনাটোর জেলাজাতিপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াআডলফ হিটলারের ধর্মীয় বিশ্বাসবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীউপসর্গ (ব্যাকরণ)বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসমালদ্বীপশরীয়তপুর জেলানামাজের নিয়মাবলীহামাসবাংলাদেশের সংবিধানক্রিয়ার কালব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানসালোকসংশ্লেষণঅন্নদামঙ্গল২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (ডিসেম্বর ২০২২)গাণিতিক প্রতীকের তালিকাঢাকা কলেজযৌনাসনসাঁওতাল বিদ্রোহবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকাতারকাবান্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালজীবমণ্ডলহস্তমৈথুনের ইতিহাসবহুব্রীহি সমাসঢাকা জেলাযৌন প্রবেশক্রিয়াগঙ্গা নদীমৌলিক পদার্থের তালিকাযক্ষ্মারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধনিউটনের গতিসূত্রসমূহইসলামি বর্ষপঞ্জিধর্ষণইউরোপীয় ইউনিয়নইসলামের নবি ও রাসুলপ্রাকৃতিক দুর্যোগসিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহউদ্ভিদকোষজীমূতবাহনএ. পি. জে. আবদুল কালামডিপজলবীর্যবাংলা একাডেমিপদ্মা নদীগাজওয়াতুল হিন্দভিন্ন জগৎ পার্কপ্রথম ওরহানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মসৌরজগৎঅসহযোগ আন্দোলন (ব্রিটিশ ভারত)ওয়াসিকা আয়শা খানজাযাকাল্লাহ🡆 More