লিশটেনস্টাইন: ইউরোপের একটি ছোট্ট রাষ্ট্র

লিশটেনস্টাইন (/ˈlɪktənstaɪn/ LIK-tən-styne; জার্মান: (ⓘ)), আনুষ্ঠানিকভাবে লিশটেনস্টাইনের প্রিন্সিপালিটি (জার্মান: Fürstentum Liechtenstein, উচ্চারণ ⓘ) মধ্য ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একটি। দেশটির মোট আয়তন মাত্র ১৬০ বর্গকিলোমিটার। ফাডুৎস শহর লিশটেনস্টাইনের রাজধানী।

লিশটেনস্টাইন

Fürstentum Liechtenstein
ফ়্যুয়াস্টেন্টুম্‌ লিশ়্‌টেন্‌শটায়্‌ন্‌
লিশটেনস্টাইনের জাতীয় পতাকা
পতাকা
লিশটেনস্টাইনের জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "Für Gott, Fürst und Vaterland"
ফ্যুয়া গট্‌, ফ্যুয়াস্ট্‌ উন্ট্‌ ফ়াটালান্ট্‌
"ঈশ্বর, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভূমির জন্য"
জাতীয় সঙ্গীত: ওবেন আম ইয়ুঙেন রাইন
"তরুণ রাইনের উপরে"
 লিশটেনস্টাইন-এর অবস্থান (circled in inset) ইউরোপ মহাদেশে-এ (সাদা)  –  [ব্যাখ্যা]
 লিশটেনস্টাইন-এর অবস্থান (circled in inset)

ইউরোপ মহাদেশে-এ (সাদা)  –  [ব্যাখ্যা]

রাজধানীফাডুৎস
বৃহত্তম নগরীশান
সরকারি ভাষাজার্মান
সরকারসাংবিধানিক রাজতন্ত্র
• রাজপুত্র
হান্স-আডাম ২
• রিজেন্ট
আলইস
• সরকার প্রধান
অটোমার হাসলার
স্বাধীনতারাজতন্ত্র 
স্বাধীনতা
•  রোমান সম্রাজ্য থেকে বুরগুন্ডি রাজ্য স্বাধীনতা লাভ
৪১১সাল
১০ জুলাই ৭৭৪সাল
২৬ ডিসেম্বর ১৮০৫সাল
১৯১৪সাল-১৯১৮সাল
• উর্টেমবার্গ রাজ্য,হেসসে-দার্মিস্ট রাজ্য,বাডেন রাজ্য,বাভারিয়া রাজ্য,সেক্সনি রাজ্য,আল্টেনবার্গ রাজ্য,রুইস-গ্রিজ রাজ্য,রুইস-গেরা রাজ্য,অলদেনবার্গ রাজ্য,ঈশিনাচ রাজ্য,মেনিঞ্জেন রাজ্য,ওয়াল্ডেক রাজ্য,সর্বার্গ রাজ্য,লিপ্পি-ডেলমন্ট রাজ্য,লিপ্পি-চমবার্গ রাজ্য,কবার্গ গোথা রাজ্য,মেকলেম্বার্গ-ছেরিন রাজ্য,মেকলেম্বার্গ-স্ত্রিলজ রাজ্যপ্রুসিয়া রাজ্য একত্রিত হয় উইমার নাজি রিচ গঠন করে এবং রাজতন্ত্রের পতন করে প্রজাতন্ত্র ও পরে একনায়কতন্ত্র গঠন করে
১১ নভেম্বর ১৯১৮সাল
১৯৩৯সাল-১৯৪৫সাল
৮ মে ১৯৪৫সাল
• পানি (%)
অনুল্লেখ্য
জনসংখ্যা
• ২০০৫ আনুমানিক
৩৪,৫২১ (২১১তম)
• ২০০০ আদমশুমারি
৩৮.২৫৪(২০২১)
জিডিপি (মনোনীত)২০০৫ আনুমানিক
• মোট
$৩.৪৮২ বিলিয়ন
• মাথাপিছু
$১০০,৮৬০
মুদ্রাসুইস ফ্রাংক (CHF)
সময় অঞ্চলইউটিসি+১ (সিইটি)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+২ (সিইএসটি)
কলিং কোড৪২৩
ইন্টারনেট টিএলডি.li

মোটামুটি ত্রিভুজাকৃতির ছবির মত সুন্দর রাষ্ট্রটি আল্পস পর্বতমালার অভ্যন্তরে রাইন নদীর উপত্যকার একটি অংশে অবস্থিত। ছোট্ট এই স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরে ও পূর্বে অস্ট্রিয়া, এবং পশ্চিমে ও দক্ষিণে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের সাথে লিশটেনস্টাইনের পশ্চিম সীমান্তের পুরোটাই রাইন নদী দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। দক্ষিণের পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকাটি সরু হলেও উত্তরে এটি ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে উর্বর নিম্নভূমিতে পরিণত হয়েছে। লিশটেনস্টাইনের প্রায় ৪০% এলাকা রাইন উপত্যকা নিয়ে গঠিত, বাকিটা পর্বতময়। উত্তরের অংশ ওবারলান্ড এবং দক্ষিণের অংশ উন্টারলান্ড নামে পরিচিত।

লিশটেনস্টাইন একটি রাজপুত্র-রাজ্য (principality), অর্থাৎ একজন রাজপুত্র এলাকাটি শাসন করেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সুইজারল্যান্ডের মত লিশটেনস্টাইনও একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। রাজ্যটি ১৭১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮০৬ সালের ৬ই আগস্ট এটি স্বাধীনতা লাভ করে। উনিশ শতকে এর অর্থনীতি অস্ট্রো-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়। ১৯১৮ সালে অস্ট্রো-হাঙ্গেরির পতন ঘটলে লিশটেনস্টাইন সুইজারল্যান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ১৯২১ সালে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ও জাতীয় মুদ্রা হিসেবে সুইস ফ্রাংকে গ্রহণ করা হয়। ১৯২৪ সালে দেশটি সুইজারল্যান্ডের সাথে একটি শুল্ক, অর্থনৈতিক ও মুদ্রা ইউনিয়ন গঠন করে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উন্মুক্ত। সুইস কর্মকর্তারাই অস্ট্রিয়ার সাথে লিশটেনস্টাইনের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং বিদেশে লিশটেনস্টাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৮৬৮ সাল থেকে লিশটেনস্টাইনের কোন সামরিক বাহিনী নেই। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও লিশটেনস্টাইন ছিল মূলত কৃষকদের একটি জাতি। দেশের সর্বত্র ছোট ছোট গ্রাম ও কৃষি খামার ছড়িয়ে আছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজপুত্র ২য় ফ্রান্সিস জোজেফ-এর অধীনে লিশটেনস্টাইন অত্যন্ত কর্মচঞ্চল অর্থনৈতিক সেবা খাতবিশিষ্ট একটি শিল্পোন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়। করের হার নিম্ন বলে এবং কর্পোরেশনগুলির তদারকি আইন শিথিল বলে এখানে দেশ বিদেশের ৭৫ হাজারেরও বেশি কোম্পানি অফিস খুলেছে, যা লিশটেনস্টাইনের মোট জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের চেয়েও অনেক বেশি। লিশটেনস্টাইনের বহু ব্যাংক বিদেশী কোম্পানির জন্য বাণিজ্যিক সেবা প্রদান করে থাকে। দেশটি ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অংশীদার (সুইজারল্যান্ডের সাথে বৈসাদৃশ্য লক্ষ্যনীয়) এবং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র জার্মানভাষী রাষ্ট্র। ২য় হান্স-আডাম বর্তমানে দেশটির নেতা।

লিশটেনস্টাইনের কারুকার্যময় ডাকটিকেটগুলি বিশ্ববিখ্যাত। পর্যটকেরা এগুলি সংগ্রহ করতে ভালবাসেন এবং এগুলি লিশটেনস্টাইনের জাতীয় আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

ইতিহাস

রাজনীতি

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

ভূগোল

লিশ্‌টেনশ্‌টাইন বিশ্বের দ্বিতীয় দ্বি-স্থলবেষ্টিত দেশ। এর পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও পূর্বে অস্ট্রিয়া

অর্থনীতি

জনসংখ্যা

সংস্কৃতি

আরও দেখুন

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

Tags:

লিশটেনস্টাইন ইতিহাসলিশটেনস্টাইন রাজনীতিলিশটেনস্টাইন প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহলিশটেনস্টাইন ভূগোললিশটেনস্টাইন অর্থনীতিলিশটেনস্টাইন জনসংখ্যালিশটেনস্টাইন সংস্কৃতিলিশটেনস্টাইন আরও দেখুনলিশটেনস্টাইন পাদটীকালিশটেনস্টাইন বহিঃসংযোগলিশটেনস্টাইনচিত্র:De-Fürstentum Liechtenstein.oggচিত্র:De-Liechtenstein.oggফাডুৎসমধ্য ইউরোপসাহায্য:Pronunciation respelling keyসাহায্য:আধ্ববসাহায্য:আধ্বব/ইংরেজিসাহায্য:আধ্বব/মানক জার্মানস্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরোমান সাম্রাজ্যসাইপ্রাসবাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ইলেকট্রনজয়নুল আবেদিনদারাজঈদুল ফিতরক্ষুদিরাম বসুসেশেলস জাতীয় ফুটবল দলগরুঅনুসর্গমুহাম্মদ ইকবালইসলাম ও হস্তমৈথুনহনুমান (রামায়ণ)হিমালয় পর্বতমালাকোষ বিভাজনবাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকাবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকামুজিবনগরহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩অকাল বীর্যপাতঅকালবোধনকনমেবলদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাসাতই মার্চের ভাষণঅভিমান (চলচ্চিত্র)তায়াম্মুমমুহাম্মাদের মৃত্যুবিশ্বের ইতিহাসদক্ষিণ এশিয়াভারতের রাষ্ট্রপতিহস্তমৈথুনরক্তমাক্সিম গোর্কিসোডিয়াম ক্লোরাইডষাট গম্বুজ মসজিদবলফিফা বিশ্বকাপগ্রামীণ ব্যাংকবারো ভূঁইয়াসিলেটমৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)শশাঙ্কবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাফোর্ট উইলিয়াম কলেজবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সবীর্যমৃত্যু পরবর্তী জীবনমাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে ভাষাসমূহের তালিকানাটকবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমসুনামগঞ্জ জেলাযুক্তরাজ্যহস্তমৈথুনের ইতিহাসমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনমানুষডিজেল গাছমাদার টেরিজাআর্যপারাসালোকসংশ্লেষণবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকপর্যায় সারণী (লেখ্যরুপ)কুরআনের ইতিহাসরামকৃষ্ণভালোবাসাব্রহ্মপুত্র নদএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)প্রাণ-আরএফএল গ্রুপশ্রীকৃষ্ণকীর্তনরাগবি ইউনিয়নমহাবিস্ফোরণ তত্ত্বউদ্ভিদকোষনেপাল🡆 More