কুর্দিস্তান: মধ্যপ্রাচ্যের একটি অঞ্চল

কুর্দিস্তান (কুর্দি: کوردستان ,Kurdistanê ; ইংরেজি ভাষায়: Kurdistan; অর্থ “কুর্দিদের দেশ”) মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে একতাবদ্ধ একটি অঞ্চল। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ কুর্দি জাতির লোক, যারা কুর্দি ভাষায় কথা বলে ও কুর্দি সংস্কৃতি লালন করে।

কুর্দিস্তান
কুর্দিস্তান: মধ্যপ্রাচ্যের একটি অঞ্চল
কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকাসমূহ
ভাষা কুর্দি
অবস্থান ইরানীয় মালভূমির পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অংশ, ঊর্ধ্ব মেসোপটেমিয়া, জাগ্রোস পর্বতমালা, দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়া। রাষ্ট্রীয় বিচারে উত্তর-পশ্চিম ইরান, উত্তর ইরাক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক।
আয়তন (আনুমানিক) ১,৯০,০০০ –৩,৯০,০০০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা আড়াই থেকে ৩ কোটি কুর্দি জাতির লোক

সেলজুক তুর্কি সুলতান সাঞ্জার সম্ভবত সর্বপ্রথম ১২শ শতকে কুর্দিস্তান নামটি সরকারীভাবে ব্যবহার করেন। তিনি সেসময় কুর্দিদের আবাসভূমি বিজয় করেছিলেন এবং কুর্দিস্তান নামের একটি প্রদেশ গঠন করেছিলেন। এর রাজধানী ছিল বাহার শহর, যা বর্তমান ইরানি হামাদান শহরের কাছেই অবস্থিত।

আধুনিককালে কুর্দিস্তান বলতে তুরস্কের পূর্বের কিছু অংশ (তুর্কি কুর্দিস্তান), উত্তর ইরাক (ইরাকি কুর্দিস্তান), দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান (ইরানি কুর্দিস্তান) এবং উত্তর সিরিয়ার (সিরীয় কুর্দিস্তান) কুর্দি-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বোঝায়। ভৌগলিকভাবে কুর্দিস্তান অঞ্চলটি জগ্রোস পর্বতমালার উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং তোরোস পর্বতমালার পূর্বাংশ নিয়ে গঠিত। এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামান্য কিছু এলাকাকেও কুর্দিস্তানের অন্তর্গত গণ্য করা হয়।

ইরাকি কুর্দিস্তান ১৯৭০ সালে ইরাকি সরকারের সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। ২০০৫ সালে ইরাকের নতুন সংবিধানেও ইরাকি কুর্দিস্তানের এই স্বায়ত্তশাসন পুনরায় স্বীকৃতি পায়। ইরাকের প্রতিবেশী ইরানের কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকাটিকে কোর্দেস্তন নামের একটি প্রদেশের অন্তর্গত করা হয়েছে। কিন্তু ইরানের এই প্রদেশটি কোন স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নয়।

বিংশ শতাব্দীতে কুর্দি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। কিছু কুর্দি জাতীয়তাবাদী সংগঠন কুর্দিস্তান নামের একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে কুর্দি-অধ্যুষিত সমস্ত এলাকা বা এর অংশবিশেষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অন্যরা বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমানাগুলির মধ্যেই কুর্দি অঞ্চলগুলির স্বায়ত্বশাসনের পরিমাণ বাড়ানোর পক্ষপাতী।

মক্রান অঞ্চলে পীরশহর ও বিজরের দুটি শহর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তথ্যসূত্র

Tags:

ইংরেজি ভাষাকুর্দি ভাষামধ্যপ্রাচ্য

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পর্যায় সারণিজাপানচট্টগ্রাম জেলানারীখিলাফতপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলফরাসি বিপ্লবপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকাপথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)তাপমাত্রাসমকামিতাবাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়সুকুমার রায়১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলননগরায়নচিকিৎসকইসনা আশারিয়াটাইফয়েড জ্বরবাঁশবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকারাষ্ট্রবিজ্ঞানবাংলাদেশের বন্দরের তালিকাপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকানারায়ণগঞ্জ জেলামানব দেহআমতাপপ্রবাহশীর্ষে নারী (যৌনাসন)প্যারাচৌম্বক পদার্থইসলাম ও হস্তমৈথুনঅণুজীববাংলা বাগধারার তালিকাবর্তমান (দৈনিক পত্রিকা)মিঠুন চক্রবর্তীবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)মুঘল সাম্রাজ্যআরবি বর্ণমালাপাবনা জেলা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসূরা কাফিরুনরংপুরকলকাতাজ্ঞানবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহব্যাংকশিবলী সাদিকবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীআলাউদ্দিন খিলজিদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাশর্করান্যাটোসমাস০ (সংখ্যা)ত্রিভুজরামমোহন রায়কালেমাসৌদি আরবঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরভাইরাসহৃৎপিণ্ডমহাত্মা গান্ধীতৃণমূল কংগ্রেসবৃত্তবাংলাদেশের পৌরসভার তালিকাপানিপথের প্রথম যুদ্ধঊষা (পৌরাণিক চরিত্র)পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমমৃত্যু পরবর্তী জীবনফুটবলব্রিক্‌সউসমানীয় সাম্রাজ্যস্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাবপৃথিবীর বায়ুমণ্ডল🡆 More