সুনিধি চৌহান: ভারতীয় গায়িকা

সুনিধি চৌহান (জন্ম: নিধি চৌহান, ১৪ আগস্ট ১৯৮৩) একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্র এবং পাঞ্জাবি গানের জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়াও তিনি ভারতীয় অন্যান্য বিভিন্ন ভাষায় গান রেকর্ড করেছেন; যেমন: কন্নড়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, মালায়ালম, ওড়িয়া, বাংলা, অসমীয়া, নেপালি, উর্দু এবং ইংরেজি গানের মাধ্যমে ৩০০০ এর উপরে স্টুুডিও গান রেকর্ড করেছেন।

সুনিধি চৌহান
सुनिधि चौहान
সুনিধি চৌহান
২০১৫ সালে সুনিধি চৌহান
জন্ম
নিধি চৌহান

(1983-08-14) ১৪ আগস্ট ১৯৮৩ (বয়স ৪০)
পেশাসঙ্গীতশিল্পী
কর্মজীবন১৯৯৬–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী
  • ববি খান (বি. ২০০২; বিচ্ছেদ. ২০০৩)
  • হিতেশ সনিক (বি. ২০১২)
আত্মীয়আহমেদ খান (ভাসুর)
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
বাদ্যযন্ত্রকণ্ঠ
লেবেলইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ
সনি মিউজিক ভারত
ওয়েবসাইটsunidhichauhan.org.in
স্বাক্ষর
সুনিধি চৌহান: প্রারম্ভিক জীবন, কর্মজীবন, প্রভাব ও স্বীকৃতি

দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী সুনিধি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন এবং ১৩ বছর বয়সে শস্ত্র (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে গানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। একই সময়ে তিনি মেরি আওয়াজ সুনো গানের অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং মস্ত (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের "রুকি রুকি সি জিন্দগি" গান দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। এই গানের জন্য তিনি নতুন সঙ্গীত প্রতিভা বিভাগে ফিল্মফেয়ার আর. ডি. বর্মণ পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

তার দ্বিতীয় আলোচিত সাফল্য আসে ২০০০ সালের ফিজা চলচ্চিত্রের "মেহবুব মেরে" গান দিয়ে, যার জন্য তিনি আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। চৌহান ধুম (২০০৪) চলচ্চিত্রের "দুম মচালে" গানের জন্য তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পরের বছরের পরিণীতা চলচ্চিত্রের "ক্যায়সি পহেলি" ও দস চলচ্চিত্রের "দিদার দে" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৬ সালে ওমকারা চলচ্চিত্রের "বিড়ি" গানের জন্য তিনি তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং অক্সর চলচ্চিত্রের "সোনিয়ে" ও থার্টি সিক্স চায়না টাউন চলচ্চিত্রের "আশিকি মেঁ" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন।

পরের বছর চৌহানের আজা নাচলে-এর শিরোনাম গান ও হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড-এর "সাজনাজি বারি" গান দুটি সমাদৃত হয় এবং ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। চৌহান রব নে বনা দি জোড়ি (২০০৮) চলচ্চিত্রের "ডান্স পে চান্স" এবং লাভ আজ কাল (২০০৯) চলচ্চিত্রের "চোর বাজারি" গানের জন্য যথাক্রমে তার ১১তম ও ১২তম ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি তিস মার খাঁ চলচ্চিত্রের আইটেম গান "শিলা কি জওয়ানি"-এর জন্য তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং গুজারিশ চলচ্চিত্রের "উড়ি" গানের জন্য আরেকটি মনোনয়ন লাভ করেন। এই বছরে এনরিকে ইগলেসিয়াসের সাথে "হার্টবিট" গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীতাঙ্গনে অভিষেক ঘটে।

নেপথ্য সঙ্গীতের বাইরে চৌহানকে কয়েকটি টেলিভিশন আপাতবাস্তব অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে এবং মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে। সঙ্গীতজীবনের বাইরে তিনি বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক বিষয়াদিতে জড়িত রয়েছেন। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চারবার ফোর্বসের ভারতের ১০০ তারকা তালিকায় তার নাম এসেছে।

প্রারম্ভিক জীবন

সুনিধি চৌহান ১৯৮৩ সালের ১৪ আগস্ট ভারতের নতুন দিল্লিতে একটি রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দুশ্যন্ত কুমার চৌহান উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রে মঞ্চ নাটকের সাথে জড়িত। তার মাতা একজন গৃহিণী, যিনি সুনিধিকে সঙ্গীত জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা যোগান। তার এক ছোট বোন রয়েছে। চৌহান চার বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ও স্থানীয় অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন শুরু করেন। এই সময়ে তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতেন এবং জনপ্রিয় গানের ক্যাসেট ও সিডি শোনে নিয়মিত গানের তালিম করতেন।

তিনি গ্রিনওয়ে মডার্ন স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং দিল্লিতে দিলশাদ গার্ডেনে তার পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। সঙ্গীতে কর্মজীবন শুরুর জন্য তিনি বিদ্যালয় পার করার পরপরই পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, "আমি পড়াশোনা বাদ দিয়েছিলাম কারণ আমি পড়াশোনা পছন্দ করতাম না। আমি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আমার স্বপ্ন পূরণের সিদ্ধান্ত নেই এবং আমি এতে একটুও অনুশোচনা করি না।"

অভিনেত্রী তাবাসসুম তাকে গান পরিবেশন করতে দেখার পর তাকে তাবাসসুম হিট প্যারেড অনুষ্ঠানে তার গান প্রচার করেন এবং তার পরিবারকে মুম্বইয়ে যেতে বলেন। তিনি চৌহানকে কল্যাণজী বীরজী শাহআনন্দজী বীরজী শাহের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয়ের পর কল্যাণজী তার নাম নিধি থেকে পরিবর্তন করে সুনিধি রাখেন, কারণ তিনি মনে করেন এটি পয়মন্ত নাম। তার যখন ১১ বছর বয়স, তখন তার পিতা চাকরি ছেড়ে দেন এবং তাকে মুম্বইয়ে নিয়ে যান। শুরুতে বড় শহরে জীবিকা নির্বাহে তার পরিবার অর্থকষ্টে ভুগে। এরপর চৌহান কয়েক বছর কল্যাণজীর আকাদেমিতে কাজ করেন এবং তার "লিটল ওয়ান্ডার্স" দলের প্রধান সঙ্গীতশিল্পী হন। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার গান গাওয়ার প্রস্তাব আসে, কিন্তু তার পিতা চেয়েছিলেন তিনি যেন চলচ্চিত্রে গান করেন।

কর্মজীবন

১৯৯৫-২০০০: কর্মজীবনের সূত্রপাত, মস্তফিজা

সুনিধি চৌহান: প্রারম্ভিক জীবন, কর্মজীবন, প্রভাব ও স্বীকৃতি 
চৌহান ২০০৬ সালে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন

১৯৯৫ সালে চৌহান ৪০তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে "লিটল ওয়ান্ডার্স" দলের সাথে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ সময় সঙ্গীত পরিচালক আদেশ শ্রীবাস্তব তার পরিবেশনা শুনেন এবং শস্ত্র চলচ্চিত্রের জন্য তার গান রেকর্ড করেন। ১১ বছর বয়সে এই চলচ্চিত্রে উদিত নারায়ণের সাথে "লাড়কি দিওয়ানি দেখো" গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রের সঙ্গীতে অভিষেক ঘটে। একই বছর তিনি ডিডি ন্যাশনালের মেরি আওয়াজ সুনো শীর্ষক সঙ্গীত বিষয়ক আপাতবাস্তব অনুষ্ঠানে বিজয়ী হন এবং ভারতের শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে "লতা মঙ্গেশকর ট্রফি" অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তার প্রথম একক অ্যালবাম অ্যায়রা গ্যায়রা নাটু খ্যায়রা রেকর্ড করেন। শিশুতোষ অ্যালবাম হিসেবে এর প্রচারণা চালানো হয়। চৌহান এরপর তার সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারেন এবং গৌতম মুখার্জির নিকট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক তালিম নেন। পরবর্তী দুই বছর তিনি আবহ সঙ্গীতের ভোকালিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

চৌহান সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগমের সাথে পরিচিত হন, তিনি সন্দীপ চৌতার কাছে তার ব্যাপারে সুপারিশ করেন। এই সময়ে চৌতা রাম গোপাল বর্মার মস্ত (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে চৌহান এই চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং "রুকি রুকি সি জিন্দগি" ও "সুনা থা" গান রেকর্ড করেন। "রুকি রুকি সি" গানের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার আর. ডি. বর্মণ পুরস্কার|নতুন সঙ্গীত প্রতিভা বিভাগে ফিল্মফেয়ার আর. ডি. বর্মণ পুরস্কার]] অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। বছর শেষে তিনি আনন্দ-মিলিন্দের সুরে জানোয়ার (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে এবং শ্রীবাস্তবের সুরের দহকবড়ে দিলওয়ালা চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

চৌহানের দ্বিতীয় সাফল্য আসে ২০০০ সালে সুরকার আনু মালিকের সুরে ফিজা চলচ্চিত্রে সুস্মিতা সেনের উপর চিত্রায়িত "মেহবুব মেরে" গান দিয়ে। তিনি মনে করেন গানটি খুবই সহজাতভাবে গেয়েছেন। গানটির রেকর্ড সম্পন্ন হতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। চৌহান "মেহবুব মেরে" গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন। এরপর মিশন কাশ্মীর চলচ্চিত্রে শঙ্কর-এহসান-লায়ের সুরারোপিত লোকসঙ্গীত ধারার "বুমব্রো" গানে তার কণ্ঠ শোনা যায়। গানটির সৌন্দর্যের জন্য এটি আবহসঙ্গীত থেকে মূল গান হিসেবে প্রচার করা হয়। চলচ্চিত্রের পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া প্রীতি জিন্টার জন্য গান গাইতে চৌহানের কাছ থেকে নিষ্পাপ কণ্ঠ চেয়েছিলেন। চোপড়ার ভাষ্যমতে, "চৌহান খুব মেয়েলি সুরে গাইতে পারেন। তাই তিনি কিছুটা ভাঙ্গা কণ্ঠে গানটি গেয়েছেন।"

২০০১-০৫: অজনবি, চামেলিধুম

২০০১ সালে চৌহান অজনবি চলচ্চিত্রের চারটি গানে কণ্ঠ দেন। প্ল্যানেট বলিউড-এর মন্দীপ ভরা আদনান সামীর সাথে "মেহবুবা মেহবুবা" গানে তার পরিবেশনাকে অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে কুমার শানুর সাথে দ্বৈত গান "মেরি জিন্দগি মেঁ অজনবি" গানের ব্যাপারে তিনি বলেন "সুনিধি চৌহান জমকালো পরিবেশনার মধ্য দিয়ে গানটিতে বিশুদ্ধ উত্তাপ যোগ করেছেন যার ফলে কুমার শানুকে গানটিতে তার প্রভাব রাখতে বেগ পেতে হয়েছিল।" দুটি গানই সফল হয় এবং চৌহানের বহুমাত্রিকতাকে তুলে ধরে। "মেরি জিন্দগি মেঁ অজনবি" তার প্রথম সফল প্রণয়ধর্মী গান। তিনি এই বিবর্তনের জন্য আনু মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, কারণ মালিক তাকে এই গানটি দেওয়ার জন্য প্রযোজকদের সাথে তর্ক করেন। এই গানের ফলে তিনি প্রথাগত নায়িকাদের প্রণয়ধর্মী গানে সুযোগ পান। তিনি এরপর এহসাস: দ্য ফিলিং (২০০১) চলচ্চিত্রে আনন্দ রাজ আনন্দের সুরে "এক বার প্যায়ার" এবং মিলিন্দ সাগরের সুরে "ইয়ে ক্যায়সা এহসাস হ্যায়" গানে এবং সোনু নিগমের সাথে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেন। এছাড়া মালিকের সুরে ইয়াদেঁ চলচ্চিত্রের "আলাপ", "জব দিল মিলে" ও "ইয়াদেঁ ইয়াদ আতি হ্যায়" গানে তার কণ্ঠ শোনা যায়। গান তিনটি সমাদৃত হয়।

চৌহান ২০০২ সালে মালিকের সুরে চারটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আওয়ারা পাগল দিওয়ানা চলচ্চিত্রের শীর্ষ গান ছাড়াও "ম্যায়নে তো খাই কসম", "মোরে সাওয়ারিয়া", ও "ইয়া হাবিবি" গানে কণ্ঠ দেন। একই বছর তিনি ইসমাইল দরবারের সাথে প্রথমবার কাজ করেন এবং দিওয়াঙ্গি চলচ্চিত্রের "অ্যায় অজনবি" গানে কণ্ঠ দেন। তিনি এই গানটিকে তার সবচেয়ে কঠিন গান বলে বর্ণনা করেন। তিনি হিমেশ রেশামিয়ার সুরে হমরাজ চলচ্চিত্রে এবং এম. এম. কিরবাণির সুরে সুর - দ্য মেলডি অব লাইফ চলচ্চিত্রের "আ ভি যা" ও "দিল মেঁ জাগি ধড়কন অ্যায়সে" গানে কণ্ঠ দেন। গান দুটিকে তিনি গুন গুন করে গাওয়ার যোগ্য এবং তার স্বভাবসিদ্ধ ধারার থেকে আলাদা বলে বিবেচনা করেন। সমালোচক প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যের মতে "চৌহানের পরিণত পরিবেশনা "আ ভি যা" গানের দ্বিতীয়ার্ধ্বে চমক সৃষ্টি করে" এবং অন্য গানটিকেও সমানভাবে ভালো বলে উল্লেখ করেন।

২০০৩ সালে রাম গোপাল বর্মার ভূত চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চৌহানকে দ্বিতীয়বার পর্দায় দেখা যায়। এতে তাকে সেলিম-সুলেমান সুরারোপিত "ভূত হুঁ ম্যাঁয়" গানের প্রচারণামূলক মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়। আনু মালিক তাকে ম্যাঁয় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ চলচ্চিত্রে কারিনা কাপুরের নেপথ্য কণ্ঠ হিসেবে ব্যবহার করেন, এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "চৌহানের আবেগ রয়েছে এবং তিনি এই ধরনের গানে তাকে বুঝতে পারেন।" তিনি এরপর মালিকের সুরে মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস. চলচ্চিত্রের "দেখ লে" গানে কাজ করেন। ২০০৪ সালে তিনি সন্দেশ শাণ্ডিল্যের সুরে চামেলি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। চামেলি চৌহানের কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম কারণ তিনি এই অ্যালবামের সবকয়টি গানে কণ্ঠ দেন; তন্মধ্যে "ভাগে রে মন" ও "সাজনা বে সাজনা" গান দুটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। প্রথম গানটিতে তার উচ্চ স্বরগ্রাম-বিশিষ্ট ভাবনাহীন পরিবেশনা সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে, অন্যদিকে তিনি দ্বিতীয় গানটিকে তার সঙ্গীতজীবনের ব্যক্তিগত পছন্দের গান হিসেবে নির্বাচন করেন।

চৌহান ধুম (২০০৪) চলচ্চিত্রের "ধুম মচালে" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। গানটি সমালোচনামূলক ও ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। এছাড়া তিনি সাজিদ-ওয়াজিদের সুরে গর্ব: প্রাইড অ্যান্ড অনার চলচ্চিত্রের চারটি গানে কণ্ঠ দেন। সঙ্গীত সমালোচকেরা তাকে "একই ধাঁচের" বলে অভিহিত করেন এবং উল্লেখ করেন যে "তার সবকয়টি গান একই রকমের"। এমনকি গর্ব চলচ্চিত্রের "সাইয়াঁ" গানটির এ আর রহমানের সুরারোপিত নায়ক: দ্য রিয়েল হিরো (২০০১) চলচ্চিত্রের "সাইয়াঁ" গানের সাথে কোন পার্থক্য নেই। এই বছরে তার গাওয়া কয়েকটি নৃত্যের গান প্রকাশিত হয়, সেগুলো হল খাকি চলচ্চিত্রে রাম সম্পতের সুরে "অ্যায়সা জাদু" এবং মুসাফির চলচ্চিত্রে "ইশ্‌ক কভি করিও না" ও "সাকি সাকি"। জানা যায়, সম্পত "অ্যায়সা জাদু" গানের রেকর্ডিংয়ের সময় চৌহানকে মাইক থেকে দুই ফুট দূরত্বে দাঁড়াতে বলেছিলেন, কারণ এটি তার বিকট কণ্ঠ নিতে পারছিল না। মুসাফির চলচ্চিত্রের পর্যালোচনায় সুকন্যা বর্মা লিখেন: "চৌহানের বলিষ্ঠ কণ্ঠ সঠিক পরিমাণ চপলতা ও তেজ যোগ করে "ইশ্‌ক কভি করিও না" গানের প্রতি সুবিচার করেছে।"

২০০৫ সালে চৌহান প্রথমবারের মত সুরকার শান্তনু মৈত্রের সাথে কাজ করেন। তার সুরে তিনি + ফেরে চলচ্চিত্রের "আও নি কুড়িওঁ" এবং পরিণীতা চলচ্চিত্রের সম্মোহনী "ক্যায়সি পহেলি জিন্দগানি" গান রেকর্ড করেন। ইন্ডিয়া টুডের সহায়া রঞ্জিত তার কণ্ঠকে "পশ্চিমা ধাঁচের" এবং তার পরিবেশনাকে জ্যাজ গান দ্বারা অনুপ্রাণিত "ইন্দ্রিয়চেতনাপূর্ণ বয়নবিন্যাস" বলে আখ্যায়িত করেন। পহেলি চলচ্চিত্রে সুখবিন্দর সিংয়ের সাথে রাজস্থানি লোক সঙ্গীত প্রভাবিত "ফির রাত কাটি" গানের পাশাপাশি পদ্মশ্রী লালু প্রসাদ যাদব চলচ্চিত্রের ধীরলয়ের ক্লাব গান "জাদু"-তে তার কণ্ঠ শোনা যায়। এই বছর তিনি অভিষেক বচ্চনের সাথে বিশাল-শেখরের সুরে ব্লাফমাস্টার! চলচ্চিত্রের "রাইট হিয়ার রাইট নাউ" গানে কণ্ঠ দেন। এছাড়া তিনি বিশাল-শেখরের সুরে দস চলচ্চিত্রের আইটেম নাম্বার "দিদার দে" গানে কাজ করেন। শব্দ চলচ্চিত্রে কুমার শানুর সাথে "চাহাতোঁ কা সিলসিলা", সোনু নিগমের সাথে "খোয়া খোয়া সা" এবং বিশাল দাদলানির সাথে "শোলোঁ সি" গানে তার কণ্ঠ শোনা যায়। চৌহান দস চলচ্চিত্রের "দিদার দে" ও পরিণীতা চলচ্চিত্রের "ক্যায়সি পহেলি জিন্দগানি" গানের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। স্পষ্টত, এই গানগুলোতে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য সোনু নিগম ২০০৫ সালের সবচেয়ে অসাধারণ কণ্ঠ হিসেবে বাছাই করেন।

২০০৬-০৯: ওমকারা, আজা নাচলেরব নে বনা দি জোড়ি

সুনিধি চৌহান: প্রারম্ভিক জীবন, কর্মজীবন, প্রভাব ও স্বীকৃতি 
২০০৬ সালে একটি কনসার্টে অংশগ্রহণের পর চৌহান

চৌহান ওমকারা (২০০৬) চলচ্চিত্রের "বিড়ি জালাইলে" গানে কণ্ঠ দিয়ে তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। গানটি সমাদৃত হয় এবং ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। এই গানটি বিপাশা বসুর উপর চিত্রায়িত হয় এবং তিনি বলেন, "সুনিধি সাক্ষাৎ দেবী। তার গায়কী খুবই শক্তিশালী। তিনি আমার নৃত্যে অন্য মাত্রা যোগ করেছেন।" তিনি অক্সর চলচ্চিত্রের "সোনিয়ে" ও থার্টি সিক্স চায়না টাউন চলচ্চিত্রের "আশিকি মেঁ" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি হিমেশ রেশামিয়ার সুরে আরও দশটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। আপ কি খাতির চলচ্চিত্রের "কেহ দো না" ও "মিঠি মিঠি বাতেঁ" এবং অ্যান্থনি কন হ্যাঁয়? চলচ্চিত্রের "ইশ্‌ক কিয়া কিয়া" ও "লেট্‌স রক" গানসমূহ সমালোচকদের কাছ থেকে মাঝারিমানের প্রতিক্রিয়া লাভ করে। চৌহান কেকের সাথে তৃতীয়বারের মত বাস এক পল চলচ্চিত্রের প্রচারণামূলক "ধীমে ধীমে" গানে পর্দায় উপস্থিত হন। তিনি কেকের সাথে এই চলচ্চিত্রের আরও দুটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল "আশ্‌ক ভি" ও "হ্যায় ইশ্‌ক ক্যায়া এক খাতা"। এই সবকয়টি গানই সমাদৃত হয়। কোমল নাহতা লিখেন, "সুনিধি চৌহান ও কেকে এই অ্যালবামে চমৎকার গেয়েছেন। তারা প্রতিটি গানের ভাব ও আবেগ প্রকাশের জন্য তাদের শৈলীতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন।"

এই বছর প্রীতমের সুরে চৌহানের গাওয়া গানসমূহ সঙ্গীত সমালোচকদের কাছে সমাদৃত হয়। তার গাওয়া ডার্লিং চলচ্চিত্রের "আ খুশি সে খুদ খুশি করলে", ও ভাগম ভাগ চলচ্চিত্রের "তেরে বিন" ও অপেরা-ধর্মী "আফরিঁ" গানসমূহ সমাদৃত হয়। এছাড়া তাদের ধুম ২ চলচ্চিত্রের "ক্রেজি কিয়া রে" গানটি বিপুল প্রশংসিত হয়। অন্যদিকে, গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রের "লামহা লামহা" গানটিকে রেডিফ.কম "প্রণয়মূলক উত্তেজক" আখ্যা দেয়। একই বছর তিনি সেলিম-সুলেমানের সুরে ডোর চলচ্চিত্রের "ঈমান কা আসর" গানে কণ্ঠ দেন। এটি শ্রেয়া ঘোষালের সাথে তার একমাত্র দ্বৈত গান। এছাড়া তিনি ফনা চলচ্চিত্রে জতিন-ললিতের সুরে দুটি মৃদু সুরের গান করেন, সেগুলো হল "মেরে হাত মেঁ" ও "দেখো না"। চৌহান ডন চলচ্চিত্রে আশা ভোসলের গাওয়া "ইয়ে মেরা দিল" গানের পুনঃসংস্করণে কণ্ঠ দেন। রেডিফ.কম অনুসারে, "স্বাভাবিকভাবে আত্মবিশ্বাসী সুনিধি চৌহান আশা ভোসলের একই গানের সাথে অবশ্যম্ভাবী তুলনা নিয়ে সচেতন ছিলেন।" গানটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে; কেউ কেউ মনে করেন গানটিতে যেমন প্রয়োজন ছিলে তার থেকে সুনিধির কণ্ঠ বেশি কর্কশ; অন্যদিকে বাকিরা তার কণ্ঠের প্রশংসা করেন। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন যে "গানটি যদি আরও উচ্চ সুরে গাওয়া যেত তাহলে শুনতে আরও ভালো লাগত।" এছাড়া তিনি দোহায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইংরেজি ভাষার "রিচ আউট" গান পরিবেশনায় অংশ নেন।

২০০৭ সালে চৌহান মাধুরী দীক্ষিতের প্রত্যাবর্তনের চলচ্চিত্র আজা নাচলে-এর শিরোনাম গান-সহ সুখবিন্দর সিংয়ের সাথে "সোনিয়ে মিল যা" ও সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষালের সাথে "কোই পাত্থর সে না মারে" গানে কণ্ঠ দেন। এরপর তিনি শঙ্কর-এহসান-লায়ের সুরে ঝুম বরাবর ঝুম চলচ্চিত্রের শিরোনাম গানে এবং শান্তনু মৈত্রর সুরে লগা চুনরি মেঁ দাগ চলচ্চিত্রের "হাম তো অ্যায়সে হ্যাঁয়" গানে ঘোষালের সাথে কণ্ঠ দেন, যার সহশিল্পী ছিলেন স্বানন্দ কিরকিরে ও প্রণব বিশ্বাস। রেডিফ.কম-এর পর্যালোচনায় রাজা সেন লিখেন, "দুই বোনের গানটিতে নারী কণ্ঠশিল্পীরা আপবিট শব্দের প্রতি ন্যায় দেখিয়েছেন।" তবে লগা চুনরি মেঁ দাগ-এর "কচ্চি কালিয়াঁ" গানটির "বাজে পুনসংস্করণ আবহসঙ্গীত"-এর জন্য কম উদ্দীপনাদায়ক ছিল, তবে চৌহান, ঘোষাল, কেকে ও নিগম গানটির জন্য "প্রয়োজনীয় উদ্যম" প্রদান করেছেন। এছাড়া তিনি বিশাল-শেখরের সুরে তা রা রাম পাম-এর মৃদু লয়ের প্রণয়ধর্মী সুরের "হে সোনা" এবং "প্যায়ার কি ইয়ে কাহানি" গানে কণ্ঠ দেন। তাদের সুরে হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড-এর "সাজনাজি বারি বারি" গানটি সমাদৃত হয় এবং ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। তিনি এই বছর "আজা নাচলে" ও "সাজনাজি বারি বারি" গানের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

চৌহান রব নে বনা দি জোড়ি (২০০৮) চলচ্চিত্রের "ডান্স পে চান্স" এবং লাভ আজ কাল (২০০৯) চলচ্চিত্রের "চোর বাজারি" গানের জন্য যথাক্রমে তার ১১তম ও ১২তম ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি তিস মার খাঁ চলচ্চিত্রের আইটেম গান "শিলা কি জওয়ানি"-এর জন্য তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং গুজারিশ চলচ্চিত্রের "উড়ি" গানের জন্য আরেকটি মনোনয়ন লাভ করেন। এই বছরে এনরিকে ইগলেসিয়াসের সাথে "হার্টবিট" গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীতাঙ্গনে অভিষেক ঘটে।

প্রভাব ও স্বীকৃতি

অনেক শিল্পী চৌহানের কাজের প্রশংসা করেছেন। লতা মঙ্গেশকর তাকে এই প্রজন্মের "নুমেরো উনো" গায়িকা বলে উল্লেখ করে বলেন "সুনিধি যে কোন প্রকারের গান গাইতে পারে। এবং তার কণ্ঠ ও গায়কী সকল উপাদান রয়েছে যা বর্তমান প্রজন্ম পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে।" আশা ভোসলে, অলকা ইয়াগনিক, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, ও ঊষা উথুপ চৌহানকে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা গায়িকা হিসেবে নির্বাচন করেছেন। মান্না দে, আমজাদ আলি খান, বম্বে জয়শ্রী, কবিতা শেঠ, ও রাহাত ফাতেহ আলী খান চৌহানের সঙ্গীত গুণের প্রশংসা করেছেন। শ্রেয়া ঘোষাল, যাকে চৌহানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলে গণ্য করা হয়, তার পেশাদারিত্ব নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, "আমরা যখন স্টুডিওতে থাকি, আমরা একে অপরের সাথে কথা বলি। আমি তাকে একজন শিল্পী হিসেবে সম্মান করি এবং তিনিও আমাকে সম্মান করেন।" আলিশা চিনয় বলেন, "চৌহান তার কণ্ঠ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং তার ভালো কৌশল রয়েছে।"

ব্যক্তিগত জীবন

সুনিধি চৌহান: প্রারম্ভিক জীবন, কর্মজীবন, প্রভাব ও স্বীকৃতি 
চৌহান ও সোনিক তাদের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে।

২০০২ সালে পহেলা নাশা গানের মিউজিক ভিডিও করার পর ১৮ বছর বয়সে চৌহান পরিচালক ও নৃত্য পরিচালক ববি খানকে (নৃত্য পরিচালক ও পরিচালক আহমেদ খানের ভাই) বিয়ে করেন। প্রতিবেদনে আসে তারা গোপনে এক ব্যক্তিগত আয়োজনে অল্প সংখ্যক ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করে। এই বিয়ের ফলে সুনিধির সাথে তার পিতামাতার সম্পর্কে ফাটল ধরে, কারণ তারা মনে করেন এই সম্পর্ক উপযুক্ত নয় এবং তাকে তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তা স্বত্বেও এক বছর পর সুনিধি ও ববি আলাদা হয়ে যান এবং তার পিতামাতার সাথে তার পুনর্মিলন ঘটে। আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তিনি অভিনেতা অন্নু কাপুর ও তার স্ত্রী অরুনিতার সাথে বসবাস করতেন এবং একই বছর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। তিনি বলেন যে তিনি বুঝতে পেরেছেন তারা "জীবনে ভিন্ন কিছু চেয়েছিলেন।"

পরবর্তীকালে, সঙ্গীত পরিচালক হিতেশ সনিকের সাথে চৌহানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেরি আওয়াজ সুনো অনুষ্ঠান জয়ের সময় থেকে তাদের বন্ধুত্ব ছিল। দুই বছরের বেশি সময় প্রেম করার পর তারা ২০১২ সালের ২৪শে এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গোয়ায় সাদামাটা আয়োজনে বিয়ে করলেও মুম্বইয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান হয় এবং সেখানে বলিউডের অনেক খ্যাতনামা তারকারা অংশগ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারি এই দম্পতির এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তার নাম রাখা হয় তেগ।

ডিস্কোগ্রাফি

পুরস্কার ও সম্মাননা

বছর বিভাগ গান এবং চলচ্চিত্র ফলাফল
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
২০০০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "রুকি রুকি" (মাস্ত) মনোনীত
২০০১ সবচেয়ে আশাপ্রদ নবাগত আরডি বর্মণ পুরস্কার বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "মেহবুব মেরি" (ফিজা) মনোনীত
২০০৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "ধুম মাচালে" (ধুম) মনোনীত
২০০৬ শ্রেষ্ঠ নেপথ্য শিল্পী - মহিলা "কাইসে পেহেলী" (পরিণীতা) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "দীদার দে" (দাস) মনোনীত
২০০৭ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "বেদী জালাইলে" (ওমকারা) বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "সোনিয়ে" (আকসার) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "আশিকী ম্যায়" (৩৬ চায়না টাউন) মনোনীত
২০০৮ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "আজা নাচলে" (আজা নাচলে) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "সাজনাজি বারি বারি" (হানিমুন ট্রাভেলস প্রাঃ. লিমিটেড) মনোনীত
২০০৯ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "ড্যান্স পে চান্স" (রব নে বানা দে জোড়ি) মনোনীত
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "চো বাজারী" (লাভ আজকাল) মনোনীত
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "উড়ি" (গুজারিশ) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "শিলা কি জাওয়ানী" (তিস মার খান) বিজয়ী
স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড
২০০১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "ভূমরো" (মিশন কাশ্মীর) মনোনীত
২০০৮ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "মেরী জিন্দেগী ম্যায় আয়ি হো" (আরমান) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "সাজনা বি সাজনা" (চামেলী) বিজয়ী
২০০৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "ধুম মাচালে" (ধুম) মনোনীত
২০০৬ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "ক্যায়সে পেহলী" (পরিনীতা) মনোনীত
২০০৮ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Sajnaji Vaari" (Honeymoon Travels Pvt. Ltd.) মনোনীত
২০০৯ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Dance Pe Chance" (Rab Ne Bana Di Jodi) মনোনীত
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Chor Bazari" (Love Aaj Kal) মনোনীত
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Sheila Ki Jawani" (Tees Maar Khan) মনোনীত
Awards of the International Indian Film Academy
২০০১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Mehboob Mere for Fiza মনোনীত
২০০৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dhoom Machale for Dhoom বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sajna Ve for Chameli মনোনীত
2006 শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Kaisi Paheli for Parineeta মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Deedar De for Dus মনোনীত
২০০৭ Best Female Playback Singer Crazy Kiya Re for Dhoom 2 মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Beedi Jalaile for Omkara বিজয়ী
২০০৮ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Aaja Nachle for Aaja Nachle মনোনীত
২০০৯ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Desi Girl for Dostana মনোনীত
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Chor Baazari for Love Aaj Kal মনোনীত
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sheila Ki Jawani for Tees Maar Khan মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Ainvay Ainvay for Band Baaja Baaraat মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Udi for Guzaarish মনোনীত
২০১২ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Te Amo for Dum Maaro Dum মনোনীত
Zee Cine Awards
2005 শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dhoom Machale for Dhoom বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Kaise Paheli Zindagi for Parineeta মনোনীত
২০০৭ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Beedi Jalaile for Omkara মনোনীত
Apsara Awards
২০০৪ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Bhage Re Mann (Chameli) মনোনীত
২০০৬ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dhoom Machale (Dhoom) মনোনীত
২০০৮ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Aaja Nachle (Aaja Nachle) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলাr Sajna Vaari (Honeymoon Travels Pvt. Ltd.) মনোনীত
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Chor Bazari (Love Aaj Kal) মনোনীত
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Ainvayi Ainvayi (Band Baaja Baaraat) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sheila Ki Jawani (Tees Maar Khan) বিজয়ী
২০১২ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Te Amo (Dum Maaro Dum) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Aa Zara (Murder 2) মনোনীত
Global Indian Film Awards
২০০৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dhoom Machale (Dhoom) বিজয়ী
২০০৬ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Beedi Jalaile (Omkara) বিজয়ী
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sheila ki jawani (Tees Maar Khan) বিজয়ী
GIMA Awards
২০১০ Best Live Performer - Female বিজয়ী
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Sheila Ki Jawaani" (Tees Maar Khan) বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Udi" (Guzaarish) মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Ainvay Ainvay" (Band Baaja Baaraat) মনোনীত
২০১২ Best Playback Singer – Female "Gun Guna" (Agnipath) মনোনীত
২০১৩ Best Album Agneepath বিজয়ী
২০১৪ Best Playback Singer – Female "Kamli" (Dhoom 3) মনোনীত
২০১৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Tu Kuja" (Highway) মনোনীত
BIG Star Indian Music Awards
২০১১ Best Playback Singer – Female "Neeyat Kharaab Hai" for teen Patti বিজয়ী
Central European Bollywood Awards
২০০৬ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Mere Haat Mein" (Fanaa) বিজয়ী
২০০৭ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা "Sajnaji Vaari" (Honeymoon Travels Pvt. Ltd.) মনোনীত
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলাe "Udi" (Guzaarish) বিজয়ী
Mirchi Awards
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Udi for Guzaarish মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sheila Ki Jawaani for Tees Maar Khan মনোনীত
২০১২ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলাe Ishq Sufiyana for The Dirty Picture বিজয়ী
২০১৩ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Gun Gun Guna for Agneepath মনোনীত
Bollywood Movie Awards
২০০৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dhoom Machale for Dhoom বিজয়ী
Vijay Awards
২০১২ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Mudhal Murai for Neethaane En Ponvasantham মনোনীত
Big Star Entertainment Awards
২০১০ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Sheila Ki Jawaani for Tees Maar Khan বিজয়ী
Best Singer Female of the Decade বিজয়ী
২০১১ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Aa Zara for Murder 2 মনোনীত
২০১২ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Chokra Jawan for Ishaqzaade মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Halkat Jawaani for Heroine মনোনীত
২০১৩ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dilli wali Girlfriend for Yeh Jawaani Hai Deewani মনোনীত
২০১৪ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Daawat E Ishq for Daawat E Ishq মনোনীত
Tarang Housefull Awards
২০১৩ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Dil Dharke Main Tum Se for Anjuman বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Aap Dil Ki Anjuman Mein for Anjuman মনোনীত
Stardust Awards
২০১৪ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Kamli for Dhoom 3 মনোনীত
PTC Punjabi Film Awards
২০১৩ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Mera Dil Tera Hoya for Mirza - The Untold Story মনোনীত
Best Playback Singer – Female Patang Wali Dor Sirphire for Sirphire বিজয়ী
২০১৫ শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Ehsaas Da Rishta for Kirpaan: The Sword of Honour মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা Laatu for Disco Singh মনোনীত
শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী - মহিলা চান্দি দি ডাব্বি জ্যাট জেমস বন্ড বিজয়ী
আরএমআইএম পুরস্কার
২০০৬ বছরের শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিজয়ী
বছরের সেরা গান বেদি ওমকারা সুনিধি চৌহান, সুখিন্দর সিং ও বিশাল ভরদ্বাজের বিজয়ী
সেরা গান বেদি ওমকারা সুনিধি চৌহান ও সুখিন্দার সিং বিজয়ী
২০১০ বছরের শ্রেষ্ঠ মহিলা কণ্ঠশিল্পী বিজয়ী
২০১২ বছরের সেরা অ্যালবাম বরফি বিজয়ী
(Source: Bollywood Hungama)

Other awards and honours

  • 2004: MTV Immies for Best Singer Female (film) - Dekh Le (Munna Bhai MBBS)- Sunidhi Chauhan
  • 2009: Kelvinator GR8! FLO Women Award
  • 2009: Indian Television Academy–GR8! Women Achiever Awards – GR8! Women Achiever in Music – Sunidhi Chauhan
  • 2010: Big Star Indian Music Award for Best Visualized Song Track (Female) – Udi – Aishwarya Rai Bachchan & Sunidhi Chauhan
  • 2011: Massal Award for Best International Female Vocalist Award - Sunidhi Chauhan
  • 2014: Dadasaheb Phalke Award for best playback singer(female)

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Tags:

সুনিধি চৌহান প্রারম্ভিক জীবনসুনিধি চৌহান কর্মজীবনসুনিধি চৌহান প্রভাব ও স্বীকৃতিসুনিধি চৌহান ব্যক্তিগত জীবনসুনিধি চৌহান ডিস্কোগ্রাফিসুনিধি চৌহান পুরস্কার ও সম্মাননাসুনিধি চৌহান আরও দেখুনসুনিধি চৌহান তথ্যসূত্রসুনিধি চৌহান বহিঃসংযোগসুনিধি চৌহানঅসমীয়া ভাষাইংরেজি ভাষাউর্দু ভাষাওড়িয়া ভাষাকন্নড় ভাষাতেলুগু ভাষানেপালি ভাষাবলিউডবাংলা ভাষামারাঠি ভাষামালয়ালম ভাষা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

অপু বিশ্বাস২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (ডিসেম্বর ২০২২)দৈনিক যুগান্তরইতালিগাঁজা (মাদক)মেঘনাদবধ কাব্যময়মনসিংহপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)শাহ সিমেন্টআশারায়ে মুবাশশারাশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়অর্থ (টাকা)ঠাকুরমার ঝুলিইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিআকিজ গ্রুপঅলিউল হক রুমিশবনম বুবলিশেখ মুজিবুর রহমানকানাডাকলকাতাকৃষ্ণচূড়াইউটিউবমুহাম্মাদপরমাণুঅনাভেদী যৌনক্রিয়াতামান্না ভাটিয়াইন্দিরা গান্ধীপাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেমৌলিক পদার্থের তালিকাপহেলা বৈশাখশিলাআয়িশাসমকামিতাতাপমাত্রাগ্রামীণ ব্যাংকমাহরামইসরায়েল–হামাস যুদ্ধপৃথিবীশাবনূরআতিকুল ইসলাম (মেয়র)বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সাহাবিদের তালিকাআয়াতুল কুরসিসহজ পাঠ (বই)দ্বৈত শাসন ব্যবস্থাবাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকফুলভারতের স্বাধীনতা বিপ্লবীদের তালিকামাইটোসিসইসলামি সহযোগিতা সংস্থাবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধঢাকা কলেজদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধএইচআইভিভিটামিনবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সরকারি বাঙলা কলেজহজ্জদেশ অনুযায়ী ইসলামচাকমাদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাষাট গম্বুজ মসজিদবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রলিঙ্গ উত্থান ত্রুটিশারীরিক ব্যায়ামভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনধর্মহরমোনআবহাওয়াবিদ্যালয়ব্যবস্থাপনারাজনীতিভারত বিভাজনঅর্থনীতি🡆 More