ব্যাকরণ

ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ব্যাকরণ বলতে সাধারণত ভাষার কাঠামোর, বিশেষ করে শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর, গবেষণাকে বোঝায়। এ অর্থে ব্যাকরণ হল কোন ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনা। কখনও কখনও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে ব্যাকরণ পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার কাঠামোর সমস্ত নিয়মকানুনের বর্ণনাকে বোঝানো হয়, এবং এই ব্যাপকতর সংজ্ঞার ভেতরে ঐ ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও প্রয়োগতত্ত্বের আলোচনাও চলে আসে।

উপরে দেওয়া ব্যাকরণের সংজ্ঞাগুলি মূলত উচ্চতর ভাষাবিজ্ঞানী মহলে প্রচলিত এবং এ ধরনের ব্যাকরণকে বর্ণনামূলক ব্যাকরণও বলা হয়। অন্যদিকে স্কুল কলেজে পাঠ্য ব্যাকরণগুলিতে ভাষার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বৈজ্ঞানিক বর্ণনা থাকে না, বরং এগুলিতে সাধারণত মান ভাষার কাঠামোর কিছু বিবরণের পাশাপাশি আদর্শ বা মান ভাষাতে লেখার বিভিন্ন উপদেশমূলক নিয়ম বিধিবদ্ধ করে দেওয়া থাকে। এগুলিকে বলা হয় বিধানবাদী ব্যাকরণ

ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞা

ব্যাকরণ শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হলো "বিশেষরূপে বিশ্লেষণ " (বি + আ + কৃ + অন) বিশেষ এবং সম্যকরূপে বিশ্লেষণ। ভাষার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে নানান সাহিত্যিক নানান মতামত লক্ষ্য করা যায় তবে যে সমস্ত মতামতগুলি গ্রহণযোগ্য তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর মতে, যে শাস্ত্রে জানিলে বাঙ্গালা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে পাড়াযায় তাহার নাম বাঙ্গালা ব্যাকরণ। ব্যাকরণ ভাষার অনুগামী এবং ভাষাকে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করে।ব্যাকীণ ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে। ব্যাকরণকে ভাষার সংবিধান বলে।

ইতিহাস

ভারত উপমহাদেশের প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থটির নাম হচ্ছে অষ্টাদধয়ী। এ ব্যাকরণটি আর্য বা সংস্কৃত ভাষায় রচিত এটি লিখেছেন পাণিনি।

    ১. প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে পর্তুগিজ ভাষায়। এর লেখক ছিলেন মানোয়েল দা আসুম্পসাঁও। তাঁর বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকা অংশ হিসেবে তিনি এটি রচনা করেন।এটি রোমান হরফে লেখা হয়েছি। মূলত পর্তুগিজরা বাংলায় এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সেই জন্য এই ব্যাকরণ লেখা হয়েছে। এই ব্যাকরণ এর নাম পর্তুগিজ বাংলা ব্যাকর। যেহেতু টাইপ মেশিন রোমানরা তৈরি করেছে তাই এর মধ্যে রোমান হরফ ছাড়া আর হরফ না থাকাই রোমান হরফে ব্যাকরণটি প্রকাশ করতে হয়েছে।
    ২. এরপর ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয় মাদ্রাজ থেকে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত। যাকে ( N.B Halhed) নামেও বলা যায়।ইংরেজি ভাষায় রচিত পূর্ণাঙ্গ একটি বাংলা ব্যাকরণ। নাথালিয়েন ব্রাসি হেলহেড এটি লিখেছিলেন ১৭৭৬ সালে প্রকাশ হয় ১৭৭৮ সালে এ ব্যাকরণ এর নাম ছিল (A grammar of the Bengal language)
    ৩. এরপর সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় ব্যাকরণ হচ্ছে গৌড়ীয় ব্যাকরণ। এটি লিখেছেন রাজা রামমোহন রায় ১৮২৯ সালে। তবে রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পরে কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান (School book Society of Kolkata) প্রকাশ করেন এ প্রকাশকাল ১৮৩৩।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Tags:

ব্যাকরণ ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞাব্যাকরণ ইতিহাসব্যাকরণ আরও দেখুনব্যাকরণ বহিঃসংযোগব্যাকরণধ্বনিতত্ত্ববাক্যতত্ত্বভাষাভাষাবিজ্ঞানরূপমূলতত্ত্বশব্দ (ব্যাকরণ)

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমবাংলাদেশের জেলাভারতের জাতীয় পতাকাতাহসান রহমান খাননাটকবাঙালি হিন্দু বিবাহবাংলা স্বরবর্ণযামিনী রায়রামমোহন রায়দুধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবিতর নামাজজয় শ্রীরামময়ূরী (অভিনেত্রী)পানি দূষণমৌলিক সংখ্যাবঙ্গবন্ধু-২যিনামিয়া খলিফাবিশ্ব বই দিবসবিটিএসটাইফয়েড জ্বরশিবগণিতরাজনীতিবাউল সঙ্গীতআর্দ্রতাডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিপুঁজিবাদবাংলাদেশের উপজেলাস্বাধীনতা দিবস (ভারত)জনগণমন-অধিনায়ক জয় হেপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকাদৈনিক প্রথম আলোচট্টগ্রাম জেলাসাদিয়া জাহান প্রভালাইসিয়ামহাদিসবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাসাপচাঁদবাংলা ভাষা আন্দোলনলালবাগের কেল্লাঈদুল আযহাযক্ষ্মাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ঢাকা জেলাআদমরক্তশূন্যতাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহআল্লাহর ৯৯টি নামবইপিঁয়াজলোকসভাবাংলা লিপিব্যবস্থাপনাচিয়া বীজঋতুপথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)রবীন্দ্রসঙ্গীতমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলদিল্লি ক্যাপিটালসশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়নিউমোনিয়াজানাজার নামাজপ্রযুক্তিমাইকেল মধুসূদন দত্তঅন্ধকূপ হত্যাভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহকান্তনগর মন্দিরতৃণমূল কংগ্রেসহিন্দি ভাষামুহাম্মাদপশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদময়মনসিংহ🡆 More