সয়াবিন: উদ্ভিদের প্রজাতি

সয়াবিন (Glycine max) হলো এক প্রকারের শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ। এটির আদি নিবাস পূর্ব এশিয়াতে। এটি একটি বাৎসরিক উদ্ভিদ। অতিরিক্ত চর্বিবিহীন সয়াবিন দিয়ে তৈরি খাবার প্রাণী দেহের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের প্রাথমিক উৎস।

সয়াবিন
সয়াবিন: নাম, চিত্রশালা, তথ্যসূত্র
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
পর্ব: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
উপপরিবার: Faboideae
গণ: Glycine
প্রজাতি: G. max
দ্বিপদী নাম
Glycine max
(L.) Merr.

নাম

সয়াবিনের গাছ কে মাঝে মাঝে "গ্রেটার বিন" (greater bean)বলা হয়। সয়া শব্দটি এসেছে চীনা বা জাপানি 'সয়া সস্'থেকে(চীনা: 豉油; ফিনিন: chǐyóu; জিউটপিং: si6jau4; ক্যানটোনীয় ইয়েল: sihyàuh, (জাপানি: 醤油, shōyu)ভিয়েতনামে সয়াবিন গাছকে বলে đậu tương or đậu nành। সয়াবিন ও সয়াবিনে তৈরি খাবার দুটোকেই জাপানে "ইডামামি"(edamame) বলা হয়। কিন্তু ইংরেজিতে নির্দিষ্ট কিছু খাবারকেই শুধু মাত্র "ইডামামি" (edamame) বলা হয়। সয়াবিন বীজ হতে তেল নিষ্কাশনের পর বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাওয়া যায়। যেটি সয়া গোশত, সয়া খন্ড বা সয়া চাংক নামে পরিচিত।

সয়াবিনের গুণাগুন

শুকনো সয়াবিনে রয়েছে ২০%তৈল, ৪০% প্রোটিন, ৩৫% কার্বোহাইড্রেট । সয়াবিনের প্রোটিন মানের দিক থেকে প্রাণীজ প্রোটিনের সাথে তুলনাযোগ্য, যা সয়াবিনকে অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে আলাদা করে। প্রাণীজ প্রোটিনের পরিবর্তে বিকল্প প্রোটিন হিসাবে নিয়মিত সয়াবিন গ্রহণ করায় প্লাজমা কোলস্টেরলের পরিমাণ ২৩-২৫% কমে।

­সাবান, গ্লিসারিন, রং, মুদ্রণের কালি প্রভৃতি দ্রব্য বাণিজ্যিক উৎপাদনে সয়াবিন অপরিহার্য উপাদান হিসাবে ব্যবহার হয়। কাঁচা সয়াবিন গাছ গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে এবং জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়। ২৮.৬ গ্রাম প্রোটিনের উৎস মাত্র এক কাপ সয়াবিন যা প্রায় ১৫০ গ্রাম চিকেন ব্রেস্ট হতে প্রাপ্ত প্রোটিনের সমতুল্য অধিকন্তু এই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রচুর পরিমাণ ফাইবার সমৃদ্ধ।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

Tags:

সয়াবিন নামসয়াবিন চিত্রশালাসয়াবিন তথ্যসূত্রসয়াবিন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বিদ্রোহী (কবিতা)আনারসবাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের তালিকামঙ্গল গ্রহহানিফ সংকেতযতিচিহ্নবাঙালি হিন্দু বিবাহদর্শনভালোবাসামান্নাসহীহ বুখারীসূরা ইয়াসীনদীপু মনিছোটগল্পপশ্চিমবঙ্গের নদনদীর তালিকাআডলফ হিটলাররাজনীতিঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবাল্যবিবাহআয়িশাভারতচট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গজনভি রাজবংশমূল (উদ্ভিদবিদ্যা)মাহিয়া মাহিতৃণমূল কংগ্রেসহামহীরক রাজার দেশেপলাশীর যুদ্ধবৈশাখী মেলাবঙ্গবন্ধু-১পানিপথের যুদ্ধহোমিওপ্যাথিঅভিস্রবণযোনি পিচ্ছিলকারকবাংলাদেশ পুলিশআসিয়ানজিএসটি ভর্তি পরীক্ষাবীর শ্রেষ্ঠপ্রথম ওরহানসিন্ধু সভ্যতাহস্তমৈথুনদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাবাংলাদেশের মন্ত্রিসভাহামাসবাংলাদেশের উপজেলার তালিকারাজা মানসিংহপেশাবাংলাদেশি কবিদের তালিকাট্রাভিস হেডজ্বীন জাতিভাইরাসদৈনিক ইত্তেফাকমেষ রাশি (জ্যোতিষ শাস্ত্র)শবনম বুবলিদুরুদগোত্র (হিন্দুধর্ম)সাহারা মরুভূমিদ্বৈত শাসন ব্যবস্থাবিন্দুকোকা-কোলাইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগছাগলজগদীশ চন্দ্র বসুকারামান বেয়লিকপাগলা মসজিদশ্রীলঙ্কাযোহরের নামাজফারাক্কা বাঁধদুর্নীতি দমন কমিশন (বাংলাদেশ)ভিটামিনআল মনসুরশিয়া ইসলামের ইতিহাসমুস্তাফিজুর রহমানআদমচিরস্থায়ী বন্দোবস্তমুঘল সাম্রাজ্য🡆 More