বিহার (হিন্দি: बिहार, উর্দু: بہار; /bɪˈhɑːr/; হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: (ⓘ)) পূর্ব ভারতের একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ৯৪,১৬৩ বর্গকিলোমিটার (৩৬,৩৫৭ বর্গমাইল)। আয়তনের বিচারে এটি দেশের দ্বাদশ বৃহত্তম রাজ্য। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে বিহার ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য। এই রাজ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। বিহারিদের ৫৮ শতাংশের বয়স পঁচিশের কম। এই হার ভারতের ক্ষেত্রে সর্বাধিক। বিহার পূর্বদিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চল এবং পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশের প্রায়-আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর ফলে বিহারের জলবায়ু, অর্থনীতি এমনকি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উক্ত রাজ্যদ্বয়ের মাঝামাঝি স্তরের। এই রাজ্যের উত্তরে নেপাল রাষ্ট্র এবং দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। বিহারের সমভূমি অঞ্চল এই রাজ্যের পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত গঙ্গা নদী কর্তৃক দ্বিধাবিভক্ত। বিহারের প্রজ্ঞাপিত বনাঞ্চলের পরিমাণ ৬,৭৬৪.১৪ বর্গকিলোমিটার যা এই রাজ্যের ভৌগোলিক আয়তনের ৬.৮ শতাংশ। রাজ্যের সরকারি ভাষা হিন্দি ও উর্দু। কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা অঙ্গিকা, ভোজপুরি, মাগধী, মৈথিলী ও বজ্জিকার মধ্যে যে কোনো একটি বিহারি ভাষা।
বিহার बिहार بہار | |
---|---|
রাজ্য | |
ঘড়ির কাঁটার মতো উপরে ডান দিক থেকে: মহাবোধি মন্দির; প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়; পাটনা জাদুঘর, তখত শ্রী পাটনা সাহেব, দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মস্থান; কুম্ভরার প্রাচীন শহরের পাটলীপুত্র ধ্বংসাবশেষের অবস্থান; রাজেন্দ্র সেতু গঙ্গা নদীর উপর; মিথিলা অঞ্চলের মধুবনী চিত্রকলা; খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দী Maa মুন্ডেশ্বরী মন্দির; এবং ঘোরা কাতোরা হ্রদে রাজগির | |
সঙ্গীত: Mere Bharat Ke Kanth Haar (The Garland of My India) | |
বিহার, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (পাটনা): ২৫°২৪′ উত্তর ৮৫°০৬′ পূর্ব / ২৫.৪° উত্তর ৮৫.১° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
স্থাপিত | ২২ মার্চ ১৯১২ |
রাজ্যর মর্যাদা | ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ |
রাজধানী | পাটনা |
সব থেকে বড় শহর | পাটনা |
জেলা | ৩৮ |
সরকার | |
• শাসক | বিহার সরকার |
• গভর্নর | টেমপ্লেট:Bihar governor |
• মুখ্যমন্ত্রী | নিতিশ কুমার |
• উপ মুখ্যমন্ত্রী |
|
• Legislature |
|
• লোকসভা কেন্দ্র | রাজ্যসভা (১৬ সীট) লোকসভা (৪০ সীট) |
Languages | |
• Official | Hindi |
• Additional official | Urdu |
UN/LOCODE | INBR |
যানবাহন নিবন্ধন | BR |
ওয়েবসাইট | Official Website |
প্রতীকসমূহ of Bihar | |
Emblem | Emblem of Bihar |
Song | Mere Bharat Ke Kanth Haar (The Garland of My India) |
Mammal | Gaur (Mithun) |
Bird | House Sparrow (Passer domesticus) |
Flower | Kachnar (Phanera variegata) |
Fruit | Mango (Mangifera indica) |
Tree | Peepal tree (Ficus religiosa) |
|
বর্তমানে বিহার অবশ্য মানবীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে একটি পিছিয়ে পড়া ভারতীয় রাজ্য। অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মীরা দাবি করেন এই পিছিয়ে পড়ার কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের জটিল পণ্য সমতা নীতি, ও বিহারে এই নীতির বিরূপ প্রভাব এবং বিহারী উপ-জাতীয়তাবাদের অভাব, এছাড়াও ১৭৯৩ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তও এই অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী।
২০২০-২১ অর্থবছরে বিহারের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হয়েছে ৬.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা কিউবা-এর সমতুল্য ।
রাজ্যের প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি হচ্ছে কৃষিকাজ। শিল্পক্ষেত্রে এখনও অনগ্রসর।
বেকারত্ব হার-এ এই রাজ্য ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। ১৫-২৯ বর্ষীয়দের ৩০.৯% এবং সামগ্রিকভাবে ৯.৮% অংশগ্রহণ রয়েছে । শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার-এ এই রাজ্য ভারতের সর্বনিম্ম স্থানে রয়েছে। ১৫-২৯ বর্ষীয়দের ২৭.৬% এবং সামগ্রিকভাবে ৪০.৪% অংশগ্রহণ রয়েছে মাত্র। বিহার ভারতের অন্যতম জনশক্তি সরবরাহকারী রাজ্য। এখানের সুলভ শ্রমিক ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি জমায়।
হিন্দি রাজ্যের সরকারী ভাষা । মোট জনসংখ্যার ৩৯.৮৩% এ ভাষায় কথা বলে । উর্দু রাজ্যের ১৫ টি জেলায় দ্বিতীয় সরকারী ভাষা ও উর্দুতে ০৮.৪২% মানুষ কথা বলে। বাংলায় ০২.৫৭% মানুষ কথা বলে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কোনো একটি আঞ্চলিক বিহারী ভাষায় কথা বলে। যেগুলোকে আদমশুমারির সময় হিন্দির উপভাষা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এগুলির মধ্যে প্রধান হল ভোজপুরি (২৮ .৮৬% ), মৈথিলী (১২.৬৮%) এবং মাগধী ভাষা (১০.৮৭%)। এছাড়া অঙ্গিকা এবং বাজজিকা ভাষায় কিছু মানুষ কথা বলে।
ঐতিহাসিকভাবে বিহারে শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র ছিল নালন্দা (আনুমানিক ৪৫০ খ্রিস্টাব্দ ), ওদন্তপুরী (আনুমানিক ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) এবং বিক্রমশিলা (আনুমানিক ৭৮৩ খ্রিস্টাব্দ) এর প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আবাসস্থল। ব্রিটিশ শাসনের পরবর্তী সময়ে বিহারের শিক্ষাব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন হয় ১৯১৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের সপ্তম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।রাজ্যের পাটনাতে ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান।
বিহার সম্পূর্ণভাবে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উপ -ক্রান্তীয় অংশে অবস্থিত। এর জলবায়ুর ধরন আর্দ্র উপ -ক্রান্তীয়। উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং ঠাণ্ডা শীতকালে এর তাপমাত্রা সাধারণত উপ -ক্রান্তীয় হয়। বিহারের গড় দৈনিক উচ্চ তাপমাত্রা মাত্র ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বার্ষিক গড় ২৬ ডিগ্রি জলবায়ু খুব উষ্ণ। কিন্তু খুব কম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং আর্দ্র মাসও হয়। বছরের বেশ কয়েক মাস তাপমাত্রা ক্রমাগত ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে, কখনও কখনও ২৯ ডিগ্রী পর্যন্ত উষ্ণ হয়। কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভ্রমণের জন্য সর্বোত্তম সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল। সর্বাধিক বৃষ্টি মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়।
Climate | |
---|---|
Classification | Cwa |
Avg. temperature | ২৭ °সে (৮১ °ফা) |
• Summer | ৩৪ °সে (৯৩ °ফা) |
• Winter | ১০ °সে (৫০ °ফা) |
Precipitation | ১,২০০ মিমি (৪৭ ইঞ্চি) |
}} বিহার সরকারের সাংবিধানিক প্রধান হলেন রাজ্যপাল। যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন। নির্বাহী ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রী এবং তাদের মন্ত্রিসভার উপর নির্ভর করে। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে।
রাজ্যের আমলাতন্ত্রের প্রধান হলেন মুখ্য সচিব। যার অধীনে ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা, ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা, ভারতীয় বন পরিষেবা এবং রাজ্য সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন শাখা থেকে কর্মকর্তাদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপতি। বিহারে একটি হাইকোর্ট রয়েছে যা ১৯১৬ সাল থেকে কাজ করছে। সরকারের সকল দফতর রাজ্যের রাজধানী পাটনায় অবস্থিত।
রাজ্যটি প্রশাসনিকভাবে ৯টি বিভাগ এবং ৩৮টি জেলায় বিভক্ত। শহরাঞ্চলের প্রশাসনের জন্য বিহারে ১২টি পৌরসভা, ৪৯ টি নগর পরিষদ, এবং ৮০টি নগর পঞ্চায়েত রয়েছে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বিহার, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.