রামনাথ কোবিন্দ (জন্ম: ১ অক্টোবর, ১৯৪৫) ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কোবিন্দ ২০১৫-২০১৭ সালে বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন।
রামনাথ কোবিন্দ | |
---|---|
১৪তম ভারতের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৫ জুলাই ২০১৭ – ২৫ জুলাই ২০২২ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদী |
উপরাষ্ট্রপতি | মহম্মদ হামিদ আনসারি ভেঙ্কাইয়া নাইডু |
পূর্বসূরী | প্রণব মুখোপাধ্যায় |
উত্তরসূরী | দ্রৌপদী মুর্মু |
বিহারের ৩৫তম রাজ্যপাল | |
কাজের মেয়াদ ১৬ আগস্ট ২০১৫ – ২০ জুন ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | কেশরী নাথ ত্রিপাঠী |
উত্তরসূরী | কেশরী নাথ ত্রিপাঠী |
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩ এপ্রিল ১৯৯৪ – ২ এপ্রিল ২০১৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পরাউঙ্খ গ্রাম, দেরাপুর, যুক্ত প্রদেশসমূহ, ব্রিটিশ ভারত (এখন উত্তরপ্রদেশ, ভারত) | ১ অক্টোবর ১৯৪৫
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সবিতা কোবিন্দ (বি. ১৯৭৪) |
সন্তান | প্রশান্ত কুমার (পুত্র) স্বাতি (কন্যা) |
পিতামাতা | মাইকু লাল (পিতা) কালাওয়াতি(মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | |
ধর্ম | হিন্দু |
১লা অক্টোবর ১৯৪৫ সালে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার পারাউখ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাইকুলাল ছিলেন একজন ভূমিহীন চাষি। ছোট্ট দোকানের উপর নির্ভর ছিল মাইকুলাল কোবিন্দের সংসার। রাম নাথ কোবিন্দ জন্মেছিলেন যে মাটির কুঁড়ে ঘরে যেটি এখন আর নেই। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট রামনাথ ৫ বছর বয়সে তার মা'কে হারান। গ্রামের পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পর রামনাথ প্রতিদিন ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানপুর গ্রামে জুনিয়ার স্কুলে পড়তে যেতেন। অদম্য প্রচেষ্টা ও মনোবলকে পাথেয় করে উনি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডক্টর অমিত কুমার শ্রীবাস্তব কলেজ থেকে কমার্স নিয়ে বিএ ও আইন পাশ করেন।
শ্রী রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এর স্বয়ংসেবক ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হন। ১৯৯৮-২০০২ সময়কালে তিনি বিজেপি দলিত মোর্চার ও সর্বভারতীয় কোলি সমাজের সভাপতি পদে নিযুক্ত থাকেন। তিনি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্রও ছিলেন। দেরাপুরে তার পৈত্রিক ভিটেবাড়ি তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ দলকে দান করেন। ১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে রামনাথ কোবিন্দ রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হন। মার্চ ২০০৬ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জন্য উন্নতিমূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, সামাজিক ন্যায় বিচার - প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করেছেন। তিনি লখনউর ড. বি আর আম্বেদকার ইউনিভার্সিটির ও আইআইএম কোলকাতারপরিচালন বোর্ডের সদস্য ছিলেন অক্টোবর ২০০২ পর্যন্ত। ৮ই আগস্ট ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি রামনাথ কোবিন্দকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন। ১৬ই আগস্ট ২০১৫ তে পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইকবাল আহমেদ আনসারী তাকে রাজ্যপালের শপথ বাক্য পাঠ করান।
২০শে জুলাই ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিহারের রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তার এই পদত্যাগ স্বীকার করেন। ২৫শে জুলাই ২০১৭ তারিখে উনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন।
আইন পাশ করার পর রামনাথ দিল্লী চলে আসেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। পরপর দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় চেষ্টায় উনি সফল হন কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় চাকরি না করে তিনি ওকালতি করা শুরু করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ - দীর্ঘ ১৩ বছর উনি দিল্লী কোর্টে ওকালতি করেন। ওকালতির সাথে সাথে রামনাথ তার সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৭৪ সালের ৩০শে মে উনি সভিতা কোবিন্দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান, পুত্র প্রশান্ত কুমার ও কন্যা স্বাতী।
সরকারি দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী কেশরী নাথ ত্রিপাঠী | বিহারের রাজ্যপাল ২০১৫–২০১৭ | উত্তরসূরী কেশরী নাথ ত্রিপাঠী |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী প্রণব মুখার্জি | ভারতের রাষ্ট্রপতি ২০১৭–২০২২ | উত্তরসূরী দ্রৌপদী মুর্মু |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article রামনাথ কোবিন্দ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.