রক সঙ্গীত জনপ্রিয় সঙ্গীতের একটি বিস্তৃত ধারা যা ১৯৫০-এর দশকের মূলধারাতে প্রবেশ করে। ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকের রিদম এ্যান্ড ব্লুজ, রক অ্যান্ড রোল, কান্ট্রি সংগীত-এর শিকড় জড়িয়ে আছে এবং উৎসারিত হয়েছে ফোক সংগীত, ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত এবং জ্যাজ সঙ্গীত থেকে। রক সঙ্গীতের শব্দ তৈরি হচ্ছে ইলেকট্রিক গিটার, ইলেকট্রিক বেজ গিটারের ও ড্রামসের রিদম অংশের ব্যাক বিটের মাধ্যমে এবং কি-বোর্ড বাদ্যযন্ত্র যেমন হ্যামন্ড অরগান, পিয়ানো বা ১৯৭০ -এর দশক থেকে ব্যবহৃত সিন্থেসাইজার। গিটার ও কি-বোর্ডের সাথে সাথে সাক্সোফোন ও ব্লজ স্টাইলের হারমোনিকাও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এর সবচেয়ে শুদ্ধ রূপে থাকে তিনটি কর্ড, একটি শক্ত, গভীর ব্যাক বিট ও স্পর্শকরার মতো মেলোডি।
রক সঙ্গীত | |
---|---|
শৈলীগত বূৎপত্তি |
|
সাংস্কৃতিক বূৎপত্তি | ১৯৪০-এর দশক , ১৯৫০-এর দশকে ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় |
প্রথাগত বাদ্যযন্ত্র |
|
অমৌলিক গঠন | নিউ এইজ সঙ্গীত– সাইন্থপপ |
উপধারা | |
অল্টারনেটিভ রক – আর্ট রক– বিট সংগীত– ব্রিট পপ– ডেজার্ট রক–ডেট্রইট রক– ইমো– এক্সপেরিমেন্টাল রক– গ্যারেজ রক– গ্লাম রক– গ্রুপ সাউন্ড– গ্রুঞ্জ– হার্ডরক– হার্টল্যান্ড রক– হেভি মেটাল– ইন্সট্রুমেন্টাল রক– ইন্ডি রক– জাংগল পপ– ক্রাউটরক– ম্যাডচেস্টার– পোস্ট-ব্রিট পপ– পাওয়ার পপ– প্রোগ্রেসিভ রক – প্রোটো পাঙ্ক– সাইকেডেলিক রক – পাঙ্ক রক – রক নইর– সফট রক– সাউদার্ন রক– সার্ফ সঙ্গীত– সিম্ফোনিক রক | |
সম্মিলিত ধারা | |
অ্যাব্রোজিন্যাল রক– আফ্রো রক–আন্টোলিয়ান রক– ভাংরা রক– ব্লুজ রক – কান্ট্রি রক– ফ্লামেঙ্কো রক– ফোক রক– গ্লাম পাঙ্ক– ইন্ডো রক–ইন্ডাস্ট্রিয়াল রক– পাঙ্ক রক– জ্যাজ ফিউশন– পুন্টা রক– রাগা রক– রাই রক– র্যাপ রক– রকাবিলি– রকোসন – সাম্বা রক – স্পেস রক –স্টোনার রক – সূফী রক | |
অন্যান্য বিষয় | |
ব্যাকবিট –রক অপেরা – রক ব্যান্ড |
১৯৬০ এবং ১৯৭০ -এর দশকের রক সঙ্গীতের অনেক উপধারার উদ্ভব ঘটেছে।যখন এটা ফোক সঙ্গীতের সাথে মিশেছে তা হয়েছে ফোক রক, যখন তা মিশিয়ে ব্লুজের সাথে তা পরিণত হয়েছে ব্লুজ রক-এ এবং জ্যাজের সাথে জ্যাজ রক ফিউশন। ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীত অনুপ্রাণিত হয়েছে সোল, ফাঙ্ক এবং ল্যাটিন সঙ্গীত থেকে। ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীতের অনেকগুলো উপধারা যেমন গ্লাম রক, সফট রক, হেভি মেটাল,হার্ডরক, প্রোগ্রেসিভ রক এবং পাঙ্ক রক সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে রক সঙ্গীতের উপধারাগুলো হলো নিউ ওয়েভ, হার্ডকোর পাঙ্ক এবং অল্টারনেটিভ রক। ১৯৯০-এর দশকে রক সঙ্গীতের উদ্ভব হওয়া উপধারাগুলো হলো গ্রুঞ্জ, বিটপপ , ইন্ডি রক এবং ন্যু মেটাল। একটা সঙ্গীত দল যারা রক সঙ্গীত করে তাদের রক ব্যান্ড বা রক গ্রুপ বলে। একটা রক গ্রুপে সাধারণত একজন লিড গিটারিস্ট, একজন ড্রামার, একজন মূল ভোকাল এবং একজন বেজ গিটারিস্ট থাকে যা একটি চার মাত্রা তৈরি করে।মাঝে মাঝে একজনকে বাদ দিয়ে ভোকাল নিজেই কোন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে একটা তিন মাত্রার ব্যান্ড তৈরি করতে পারে বা একজন বা দু’জন রিদম গিটারিস্টকে দলে নিয়ে এবং কি-বোডিস্টকে সাথে নিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়াতেও পারে।কিছু ধারার রক ব্যান্ড যারা একদম মূল রক অ্যান্ড রোলের অনুসারী তারা স্যাক্সোফোনও বাজাতে পারে।সচরাচর দেখা যায় না এমন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে পারে তারা যেমন ভায়োলিন বা সেলো অথবা ট্রাম্পেট বা ট্রম্বোন্স।
বর্তমানে অবশ্য রক শব্দটাকে ব্যবহার করা হয় একটা কম্বলের মতো ব্যবহার হিসেবে যা আচ্ছাদিত করে পপ সঙ্গীত, রেগে এবং মাঝে মাঝে এমনকি হিপহপকেও যা তার ইতিহাসের সাথে মানায় না।
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৫০-এর দশকে আমেরিকাতে উদ্ভব হওয়া রক অ্যান্ড রোল সঙ্গীতে মাঝেই রক সঙ্গীতের ভিত্তি লুকিয়ে আছে যা খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।কালোদের সঙ্গীত যেমন কান্ট্রি সংগীত, রিদম এ্যান্ড ব্লুজ ও গসপেল সঙ্গীতের মাঝে এর শিকড় খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯৫১ সালে একজন ডিস্ক জকি অ্যালেন ফ্রেড রিদম এ্যান্ড ব্লুজ সঙ্গীত করা শুরু করেন বর্ণ নির্বিশেষে এবং তিনি প্রথম রক অ্যান্ড রোল শব্দটা ব্যবহার করেন। এটা নিয়ে বিতর্ক আছে যে কোনটাকে আমরা প্রথম রক অ্যান্ড রোল রোল গানের রেকর্ড বলব।জ্যাকি ব্রেন্সটনের রকেট৮৮ এবং তার ডেল্টা ক্যাট যা ১৯৫১ সালে সান রেকর্ডসের স্যাম ফিলিপ রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে বিল হ্যালির রক অ্যা্রাউন্ড দ্যা ক্লক গানটি প্রথম বিলবোর্ড ম্যাগাজিনে তালিকায় জায়গা পেয়েছিল এবং তখন সারা বিশ্বের জনপ্রিয় ধারায় প্রবেশে দরজাটা যেন উন্মুক্ত হয়েছিল। ২০০৪ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন অবশ্য বলে যে ১৯৫৪ সালে সান রেকর্ডসে এলভিস প্রেসলির প্রথম গাওয়া একক দ্যাটস অল রাইট (মামা)ই রক অ্যান্ড রোলের প্রথম রেকর্ড। কিন্তু প্রায় সে সময়ে বিগ জো টার্নারের শেক, র্যাটল অ্যান্ড রোল, পরে যা হ্যালি কাভার করেছিলেন যা ছিল ইতোমধ্যে বিলবোর্ডের তালিকাতে।প্রাথমিক রক অ্যান্ড রোলের অন্যান্য শিল্পীরাও এসব গান গাইত যেমন চাক বেরি, বো ডিড্ডলেই, ফ্যাটস ডোমিনো, লিটল রিচার্ড, জেরি লি লুইস এবং জেনে ভিন্সেন্ট। শীঘ্রই রক অ্যান্ড রোল আমেরিকার রেকর্ড বিক্রির মূল শক্তিতে পরিণত হয় এবং এডি ফিশার, পেরি কোমো এবং প্যাটি পেইজ যারা গত দশকের জনপ্রিয় সঙ্গীতে দাপট দেখিয়েছেন তাদের পপ তালিকায় চলে আসা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে আসে। রক অ্যান্ড রোলের অন্যান্য উপধারাকে নেতৃত্ব দিতে থাকে যেমন রকাবিলিটি যা রক অ্যান্ড রোলের সাথে হিলিবিল্লি ধরনের কান্ট্রি সঙ্গীতকে মিশিয়ে তৈরি হয়েছে এবং যা গাইতেন ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝিতে সাদা চামড়াএ গায়ক যেমন কার্ল পারকিন্স,জেরি লি লুইস, বাডি হলি এবং বড় ধরনের বাণিজ্যিক সাফল্যের সাথে একভিস প্রিসলি। দ্যা ক্রোস, দ্যা পেঙ্গুইন্স, দ্যা টারবান্স তারা সবাই হিট গান উপহার দেন এবং গানের দল যেমন দ্যা প্লেটারস তাদের ১৯৫৫ সালের গান দ্যা গ্রেট প্রিটেন্ডার এবং দ্যা কোস্টারসের অনেক জনপ্রিয় গান যেমন ইয়্যাক্টি ইয়াক (১৯৫৮) ওই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় রক অ্যান্ড রোল সঙ্গীতের অংশে পরিণত হয়। ঐ সময় আরো দেখে [ইলেকট্রিক গিটারের বাজানো জনপ্রিয়তা এবং নির্দিষ্ট রক অ্যান্ড রোল স্টাইলের উন্নতি যেমন চাক বেরি, লিক্ক ওরেই এবং স্কট মুর। ইংল্যান্ডে ট্রাড জ্যাজ় এবং ফোক আন্দোলনের কারণে ভ্রাম্যমাণ ব্লুজ গানের শিল্পীরা ইংল্যান্ডে চলে আসতে থাকে। সারা দেশে ১৯৫৫ সালে লনি ডোনেগানের সফল গান রক আইল্যান্ড লাইন স্কিফল সঙ্গীত দলের ধারার উন্নতিতে এবং বড় প্রভাব রাখতে সাহায্য করে যেমন জন লেননের দ্যা কোয়ারিম্যান।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article রক সঙ্গীত, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.