ইফতেখার দাদেহবলো (ফার্সি: افتخار ددهبالا), ম্যাহেস্তি (ফার্সি: مهستی) হিসেবে অধিক পরিচিত, ১৬ নভেম্বর ১৯৪৬ – ২৫ জুন ২০০৭) ছিলেন ফার্সি শাস্ত্রীয়, লোক এবং পপ সঙ্গীতধারার ইরানি সঙ্গীতশিল্পী। তিনি চার দশকেরও অধিক সময় ধরে সঙ্গীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন এবং বিংশ শতাব্দীর ইরানের জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি কিংবদন্তি ইরানি কণ্ঠশিল্পী হায়েদেহর কনিষ্ঠ বোন।
ম্যাহেস্তি | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ইফতেখার দাদেহবলো |
উপনাম | ম্যাহেস্তি |
জন্ম | তেহরান, ইরান | ১৬ নভেম্বর ১৯৪৬
উদ্ভব | ইরান |
মৃত্যু | ২৫ জুন ২০০৭ সান্তা রোসা, সোনামা কাউন্টি, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬০)
ধরন | ফার্সি শাস্ত্রীয় লোক পপ সঙ্গীত |
পেশা | গায়ক |
কার্যকাল | ১৯৬৩–২০০৭ |
ইফতেখার দাদেহবলো ১৬ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে ইরানের তেহরানে জন্ম নেন। তিনি ইরানি সঙ্গীতশিল্পী হায়েদেহর কনিষ্ঠ বোন।
১৯৬৩ সালে বেতার তেহরানের ফার্সি ঐতিহ্যগত সঙ্গীত অনুষ্ঠানে ডাউউড পিরনিয়া পরিচালিত "গোলাহা ইয়ে রাঙ্গারংয়ে" (রঙিন ফুল) (ফার্সি: گلهای رنگارنگ) গান পরিবেশনের মাধ্যমে তার সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু হয়। সেখানে ম্যাহেস্তি বিজান তরঘির লেখা এবং সঙ্গীতজ্ঞ পারভেজ ইয়াহাগীর সুর-আয়োজিত "আন কে দেলাম রা বোর্দে যোদায়া" (ফার্সি: آنكه دلم را برده خدایا) গান পরিবেশন করেন।
শুরুতে, ম্যাহেস্তির পরিবার তাকে বিনোদন পেশায় কর্মজীবন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে অনিচ্ছুক ছিল, কারণ সে সময় ইরানে নারীদের জন্যে এটি প্রশংসিত কর্মজীবন ছিল না। তবে, ম্যাহেস্তি বিনোদন শিল্পে নারীদের জন্য একটি নতুন চিত্র তুলে ধরে ইরানের এই কুসংস্কার দূর করে।
ম্যাহেস্তি একজন মহান বিনয়ী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। সঙ্গীতে তার অসাধারণ সাফল্য অন্যান্য মহিলাদের জন্য পথ খুলে দয়ে, যার উদাহরণ তার বড় বোন হায়েদেহ, যিনি ম্যাহেস্তির ৫ বছর পর সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তারা দুই বোন ইরানে নারী গায়কদের পরিদৃশ্য উন্নত করতে এবং ইরানি সঙ্গীত বর্তমান অবস্থায় আনার পেছনে অসাধারণ অবদান রেখেছিল।
ম্যাহেস্তির পিতামাতা তালাকপ্রাপ্ত এবং তারা আলাদাভাবে অন্যান্য স্থানে পুনরায় বিয়ে করে। ম্যাহেস্তি সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু করার প্রস্তাব করতে চাইলে তৎকালীণ সমাজদৃশ্যের কারণে তার পিতামাতা তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। ম্যাহেস্তি কৌরস নাজিমিয়ানকে বিয়ে করেন এবং তার একমাত্র সন্তানের সাহার-এর জন্ম দেন। ম্যাহেস্তি তার পরিবার নিয়ে বহু বছর [আবাদানে] বাস করেন এবং অবশেষে তেহরানে ফিরে আসেন।
নাজিমিয়ানের সঙ্গে তার বিয়ে শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ রূপ নেয়। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পরে শীঘ্রই নতুন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবী আদালত কর্তৃক নাজিমিয়ানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। কয়েক বছর পর, ম্যাহেস্তি একটি জুতা কারখানার মালিক বাহরাম সানন্দাজিকে পুনরায় বিয়ে করেন, তবে তাদের এই বিয়েও বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৭৮ সালে, বিপ্লবের আগে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান, তারপর ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং সেখানে বসবাস করেন।
২০০৭ সালের মার্চে, ম্যাহেস্তি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি চার বছর ধরে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি আশা করেছিলেন যে তার অভিজ্ঞতা ইরানি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্যান্সার এবং ক্রমাগত শারীরিক পরীক্ষা করানোর গুরুত্বের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। তারপরে তিনি তার কন্যা সাহার ও তার স্বামী নাসের এবং তাদের দুই সন্তান, নাতাশা এবং নাটালির সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা রোজায় বসবাস করতেন। ২০০৯ সালের ২৫ জুন, সান্টা রোজায় ৬০ বছর বয়সে ম্যাহেস্তি মারা যান।
২০০৭ সালের ২৯ জুন ওয়েস্টউড, ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্টউড ভিলেজ মেমোরিয়াল পার্ক সমাধি স্থানে ম্যাহেস্তিকে সমাধিস্থ করা হয়, একই সমাধিস্তানে যেখানে তার বোন হায়েদেহ-কে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ফার্সি ব্রডকাস্টিং কোম্পানি তাপেশে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। বেভারলি হিলসের মেয়র জিমি দেলশাদ এবং ডিজাইনার বিজন পাকজাদসহ অনেক ফার্সি তারকা এবং অন্যান্য শিল্পী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ম্যাহেস্তি, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.