ইরানি পপ সঙ্গীত

ইরানি পপ সঙ্গীত মূলত ইরান থেকে উদ্ভূত পপ সঙ্গীতকে বোঝায়, যেখানে প্রধানত ফার্সি এবং দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার গান অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিমা বিশ্বে এটি ফার্সি পপ সঙ্গীত হিসাবে ব্যাপকভাবে উল্লেখিত।

ইরানের সঙ্গীত
সাধারণ প্রকার
  • প্রকারীয় পদ্ধতি
  • মেলোডি ধরন
  • বাদ্যযন্ত্র
ধারা
  • ধ্রুপদী
  • লোক
  • পপ
  • জ্যাজ
  • রক
  • হিপ হপ
নির্দিষ্ট ফর্ম
জাতিগত সঙ্গীত
  • আর্মেনিয়
  • অ্যাসিরিয়
  • আজারবাইজানিয়
  • কুর্দি
  • লুরিশ
অন্য রূপ
  • বকশী
  • কাতুলি
  • মাকাম
  • ধর্মীয়
  • দক্ষিণী
  • সিম্ফোনিক
  • তাসনিফ
গণমাধ্যম ও অনুষ্ঠান
সঙ্গীত উৎসব
  • ফজর সঙ্গীত উৎসব
  • যুব সঙ্গীত উৎসব
  • মুসিসিমা পুরস্কার
  • তেহরান সমসাময়িক সঙ্গীত উৎসব
সঙ্গীত মাধ্যম
  • ক্যলটেক্স রেকর্ডস
  • জিইএম টিভি
  • হার্মেস রেকর্ডস
  • পিএমসি
  • বেতার জাওয়ান
জাতীয়তাবাদী ও দেশাত্মবোধক গান
জাতীয় সঙ্গীত
  • বর্তমান:
    পূর্বের সূর্য (১৯৯০ থেকে)
    সাবেক:
    দ্য রয়াল স্যালুট (১৮৭৩–১৯০৯)
    ইম্পেরিয়াল গীত (১৯৩৩–১৯৭৯)
    জিন্দাবাদ ইরান (১৯৮০–১৯৯০)
অন্যান্য
  • আই ইরান
  • ইয়াং ইরান

ইতিহাস

প্রাথমিক ইরানি জনপ্রিয় সঙ্গীত

ইরানি পপ সঙ্গীতের উৎপত্তি ১৯ শতকের কাজার রাজবংশের সময়কালে। সে সময়ে মুত্রেব শৈলীর অধিকাংশ পরিবেশনকারী ছিলেন ইহুদি। ১৯৩০ সালে বেতার আবিষ্কারের এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইরানে জনপ্রিয় সঙ্গীতের একটি ধারা আবির্ভূত হয় এবং বিকাশ লাভ করে।

১৯৫০-১৯৭০-এর দশকে

১৯৫০-এর দশকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী পপ সঙ্গীত আবির্ভূত হয়। ১৯৫০-এর দশকের পুর্বে, ইরানের সঙ্গীত শিল্প প্রথাগত গায়কদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ভিগুয়েন, ইরানি পপ ও জ্যাজ সঙ্গীত "সুলতান" নামে পরিচিত, যিনি এই বিপ্লবের অগ্রগামী ছিলেন। তিনি গিটার সঞ্চালনকারী প্রথম ইরানি সঙ্গীতশিল্পীদের একজন।

ইরানের শাস্ত্রীয় পপ শিল্পীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, অ্যান্ডি, আরেফ, বিজন মুর্তজাভি, ডারিয়ুষ, ইবি, ফারমার্স আসলানি, ফারহদ, ফরেদুন ফাররোখজাদ, গিতি পশেই, গুগুশ, হাসান শামীমাজাদ, হায়েদেহ, হোমেয়রা, লেইলা ফোরৌহার, ম্যাহেস্তি, নূশাফারিন, পারভেজ মগসদী, রমেশ, শাহরাম শাবপারেহ, এবং ভারুযান।

১৯৭৯-এর ইসলামি বিপ্লবের পরবর্তী

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর, ইরানের পটভূমি থেকে পপ সঙ্গীত নিষিদ্ধ করা হয় এবং ফলে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়। অনেক ইরানি শিল্পী বিদেশে অভিবাসিত হয়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, কেউ কেউ যুক্তরাজ্যে এবং এদের অনেক নির্বাসিত আবস্থায় গান গাওয়া অব্যাহত রাখে। এরপর থেকে, বেশকয়েকটি জনপ্রিয় ইরানি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতার স্টেশন দেশের বাইরে কার্যসম্পাদন করে যা বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই ব্রডকাস্ট কোম্পানি ইরানি পপ শিল্পীদের প্রচার এবং বিশ্বের সমস্ত দেশে বসবাসরত ইরানিদের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১৯৯০-এর দশকে, নতুন সরকার কর্মকর্তারা ইরানি সঙ্গীতের বিদেশী ও বেসরকারি উৎসগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি "শালীন" পপ সঙ্গীত উৎপাদন এবং প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলী মোলেম (কবি) এবং ফেয়ারদুন শাহবাজিয়ান (সংগীতশিল্পী) আইআরআইবি-তে একটি পরিষদের নেতৃত্ব দেন, যা দেশীয় পপ সঙ্গীত পুনরুজ্জীবনের তত্ত্বাবধান করে।

ইরানি পপ সঙ্গীত 
কনসার্টে সাদ্দহর

সাদ্দহর আঘিলি ছিলেন বিপ্লব পরবর্তী প্রথম ইরানি গায়কদের মধ্যে আন্যতম, যিনি ইরানের অভ্যন্তরে নতুন ফার্সি পপ গান তৈরির জন্য জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারণা এবং উল্লেখযোগ্য সমর্থক পেয়েছিলেন। তিনি ভায়োলিনগিটার বাজানোয় অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিভাবান গায়ক ছিলেন। তিনি ইরানে সফল ও জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ এবং গায়ক হয়ে ওঠেন, যদিও অবশেষে কানাডায় অভিবাসিত হয় এবং তারপর তার কর্মজীবন চালিয়ে যেতে ইরানের বাইরে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান।

রাষ্ট্রপতি খাতামির অধীনে ইরানের অভ্যন্তরে সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে দেশের বেশ কয়েকজন নতুন পপ গায়ক আবির্ভূত হয়েছিল। নতুন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এরশাদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে, বিশেষত শিল্পকে সহজে নিরীক্ষণ করার লক্ষ্য। নতুন গৃহীত নীতিতে অল্প সংখ্যক শিল্পীর জন্য সীমাবদ্ধতা হ্রাস করা হয়, অন্যদিকে বাকিদের জন্য এটি কঠোর করা হয়। তবে, অ্যালবাম মুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

আরিয়ান, বিপ্লব পরবর্তী ইরানের মহিলা গায়কদের প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত পপ সঙ্গীত ব্যান্ড, যারা ইরানের পপ সঙ্গীতে নতুন অধ্যায় শুরু করে। তারা সুপরিচিত ব্রিটিশ-আইরিশ গায়ক ক্রিস ডি বুরগের সাথে তাদের চতুর্থ অ্যালবাম বি টু, বা টু-এ কাজ করেছিল এবং প্রথম ইরানি ব্যান্ড যা ইংরেজি জীবনী অভিধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হু'স হু ইন মিউজিক ডাইরেক্টরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

২০০৯ সালের শেষদিকে, সের্ভান খসরাভি ইউরোপিয় বেতার স্টেশনে উচ্চ ঘূর্ণন এয়ারপ্লে অর্জনকারী প্রথম গার্হস্থ্য ইরানি শিল্পী। তিনি "সাত-ই-নাইন" ("৯ ঘটিকা") গানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যা ইরানি অনলাইন মিডিয়াতে শিরোনাম তৈরি করেছিল। আগস্ট ২০১০ সালে, ফারজাদ ফারজিন তার তৃতীয় বৈধ অ্যালবাম শানস ("সুযোগ") থেকে "চিক চিক" ("ট্রিকেল ট্রিকেল") গানের সাথে তার প্রথম ইউরোপীয় চার্ট তৈরি করেছেন।

পুরস্কার

উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার

  • ১৯৭১: গুগুশ, কান মিডেম-এ প্রথম পুরস্কার ও গোল্ডেন রেকর্ড, তার ৭ম রেকর্ডের জন্য।
  • ১৯৭২: গুগুশ, কার্থেজ সঙ্গীত উৎসবে প্রথম পুরস্কার।
  • ১৯৭২: গুগুশ, তিউনিশিয়ায় শিল্পের প্রথম পদক।
  • ১৯৭৩: গুগুশ, সানরেমো সঙ্গীত উৎসবে অংশগ্রহণ।
  • ২০০২: ডীপ দিশ, সেরা রিমিক্স রেকর্ডিং-এর জন্য গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী
  • ২০০৬: অ্যান্ডি মাদাদিয়ান, সেরা মধ্য প্রাচ্যের গানসেরা মধ্য প্রাচ্যের অ্যালবাম; জেপিএফ পুরস্কার।
  • ২০১৩: ফারজাদ ফারজিন, সেরা গান এবং পারফরম্যান্স; আর্ট-ফুটবল উৎসব।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

ইরানি পপ সঙ্গীত ইতিহাসইরানি পপ সঙ্গীত পুরস্কারইরানি পপ সঙ্গীত আরও দেখুনইরানি পপ সঙ্গীত তথ্যসূত্রইরানি পপ সঙ্গীত বহিঃসংযোগইরানি পপ সঙ্গীতইরানপপ সঙ্গীতফার্সি ভাষা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

অরিজিৎ সিংঅর্থনীতিনামাজকুরআনরাষ্ট্রবিজ্ঞানইসলামশাহ জাহানওপেকমানুষবাংলাদেশ সরকাররঙের তালিকারশিদ চৌধুরীহিন্দুধর্মের ইতিহাসসম্প্রদায়বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলইস্তেখারার নামাজটিকটকঅপারেশন সার্চলাইটবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলফুটবলআল মনসুরকৃষ্ণচূড়াইশার নামাজঅভিস্রবণঅস্ট্রেলিয়াসাহারা মরুভূমিইরানবাউল সঙ্গীতআগলাবি রাজবংশমুসাআরবি ভাষাভারতের সংবিধানলোকসভাভাইরাসবাগদাদ অবরোধ (১২৫৮)বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীপানিপথের প্রথম যুদ্ধধর্মহিরণ চট্টোপাধ্যায়ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনথাইল্যান্ডমাহরামরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়মহাদেশপ্রথম মালিক শাহবাংলা একাডেমিআবুল কাশেম ফজলুল হকদ্বৈত শাসন ব্যবস্থাপান (পাতা)রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুবাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসাজেক উপত্যকাজন্ডিসদুরুদদ্বিতীয় মুরাদপর্তুগিজ ভারতছাগলজার্মানিঅষ্টাঙ্গিক মার্গগ্রামীণ ব্যাংকআরব লিগঅকাল বীর্যপাতস্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাবচৈতন্য মহাপ্রভুঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাছোটগল্প২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগজিয়াউর রহমানদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহলিওনেল মেসিএশিয়াশাবনূরকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সলোহিত রক্তকণিকা🡆 More