ইরানি পপ সঙ্গীত মূলত ইরান থেকে উদ্ভূত পপ সঙ্গীতকে বোঝায়, যেখানে প্রধানত ফার্সি এবং দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার গান অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিমা বিশ্বে এটি ফার্সি পপ সঙ্গীত হিসাবে ব্যাপকভাবে উল্লেখিত।
ইরানের সঙ্গীত | |
---|---|
সাধারণ প্রকার | |
| |
ধারা | |
নির্দিষ্ট ফর্ম | |
জাতিগত সঙ্গীত |
|
অন্য রূপ |
|
গণমাধ্যম ও অনুষ্ঠান | |
সঙ্গীত উৎসব |
|
সঙ্গীত মাধ্যম |
|
জাতীয়তাবাদী ও দেশাত্মবোধক গান | |
জাতীয় সঙ্গীত |
|
অন্যান্য |
|
ইরানি পপ সঙ্গীতের উৎপত্তি ১৯ শতকের কাজার রাজবংশের সময়কালে। সে সময়ে মুত্রেব শৈলীর অধিকাংশ পরিবেশনকারী ছিলেন ইহুদি। ১৯৩০ সালে বেতার আবিষ্কারের এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইরানে জনপ্রিয় সঙ্গীতের একটি ধারা আবির্ভূত হয় এবং বিকাশ লাভ করে।
১৯৫০-এর দশকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী পপ সঙ্গীত আবির্ভূত হয়। ১৯৫০-এর দশকের পুর্বে, ইরানের সঙ্গীত শিল্প প্রথাগত গায়কদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ভিগুয়েন, ইরানি পপ ও জ্যাজ সঙ্গীত "সুলতান" নামে পরিচিত, যিনি এই বিপ্লবের অগ্রগামী ছিলেন। তিনি গিটার সঞ্চালনকারী প্রথম ইরানি সঙ্গীতশিল্পীদের একজন।
ইরানের শাস্ত্রীয় পপ শিল্পীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, অ্যান্ডি, আরেফ, বিজন মুর্তজাভি, ডারিয়ুষ, ইবি, ফারমার্স আসলানি, ফারহদ, ফরেদুন ফাররোখজাদ, গিতি পশেই, গুগুশ, হাসান শামীমাজাদ, হায়েদেহ, হোমেয়রা, লেইলা ফোরৌহার, ম্যাহেস্তি, নূশাফারিন, পারভেজ মগসদী, রমেশ, শাহরাম শাবপারেহ, এবং ভারুযান।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর, ইরানের পটভূমি থেকে পপ সঙ্গীত নিষিদ্ধ করা হয় এবং ফলে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়। অনেক ইরানি শিল্পী বিদেশে অভিবাসিত হয়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, কেউ কেউ যুক্তরাজ্যে এবং এদের অনেক নির্বাসিত আবস্থায় গান গাওয়া অব্যাহত রাখে। এরপর থেকে, বেশকয়েকটি জনপ্রিয় ইরানি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতার স্টেশন দেশের বাইরে কার্যসম্পাদন করে যা বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই ব্রডকাস্ট কোম্পানি ইরানি পপ শিল্পীদের প্রচার এবং বিশ্বের সমস্ত দেশে বসবাসরত ইরানিদের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১৯৯০-এর দশকে, নতুন সরকার কর্মকর্তারা ইরানি সঙ্গীতের বিদেশী ও বেসরকারি উৎসগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি "শালীন" পপ সঙ্গীত উৎপাদন এবং প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলী মোলেম (কবি) এবং ফেয়ারদুন শাহবাজিয়ান (সংগীতশিল্পী) আইআরআইবি-তে একটি পরিষদের নেতৃত্ব দেন, যা দেশীয় পপ সঙ্গীত পুনরুজ্জীবনের তত্ত্বাবধান করে।
সাদ্দহর আঘিলি ছিলেন বিপ্লব পরবর্তী প্রথম ইরানি গায়কদের মধ্যে আন্যতম, যিনি ইরানের অভ্যন্তরে নতুন ফার্সি পপ গান তৈরির জন্য জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারণা এবং উল্লেখযোগ্য সমর্থক পেয়েছিলেন। তিনি ভায়োলিন ও গিটার বাজানোয় অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিভাবান গায়ক ছিলেন। তিনি ইরানে সফল ও জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ এবং গায়ক হয়ে ওঠেন, যদিও অবশেষে কানাডায় অভিবাসিত হয় এবং তারপর তার কর্মজীবন চালিয়ে যেতে ইরানের বাইরে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান।
রাষ্ট্রপতি খাতামির অধীনে ইরানের অভ্যন্তরে সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে দেশের বেশ কয়েকজন নতুন পপ গায়ক আবির্ভূত হয়েছিল। নতুন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এরশাদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে, বিশেষত শিল্পকে সহজে নিরীক্ষণ করার লক্ষ্য। নতুন গৃহীত নীতিতে অল্প সংখ্যক শিল্পীর জন্য সীমাবদ্ধতা হ্রাস করা হয়, অন্যদিকে বাকিদের জন্য এটি কঠোর করা হয়। তবে, অ্যালবাম মুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
আরিয়ান, বিপ্লব পরবর্তী ইরানের মহিলা গায়কদের প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত পপ সঙ্গীত ব্যান্ড, যারা ইরানের পপ সঙ্গীতে নতুন অধ্যায় শুরু করে। তারা সুপরিচিত ব্রিটিশ-আইরিশ গায়ক ক্রিস ডি বুরগের সাথে তাদের চতুর্থ অ্যালবাম বি টু, বা টু-এ কাজ করেছিল এবং প্রথম ইরানি ব্যান্ড যা ইংরেজি জীবনী অভিধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হু'স হু ইন মিউজিক ডাইরেক্টরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২০০৯ সালের শেষদিকে, সের্ভান খসরাভি ইউরোপিয় বেতার স্টেশনে উচ্চ ঘূর্ণন এয়ারপ্লে অর্জনকারী প্রথম গার্হস্থ্য ইরানি শিল্পী। তিনি "সাত-ই-নাইন" ("৯ ঘটিকা") গানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যা ইরানি অনলাইন মিডিয়াতে শিরোনাম তৈরি করেছিল। আগস্ট ২০১০ সালে, ফারজাদ ফারজিন তার তৃতীয় বৈধ অ্যালবাম শানস ("সুযোগ") থেকে "চিক চিক" ("ট্রিকেল ট্রিকেল") গানের সাথে তার প্রথম ইউরোপীয় চার্ট তৈরি করেছেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ইরানি পপ সঙ্গীত, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.