মোম্বাসা ভারত মহাসাগর উপকূলে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব কেনিয়ার একটি উপকূলীয় শহর। শহরটি কেনিয়ার সাদা ও নীল শহর হিসেবে পরিচিত। এটি দেশের প্রাচীনতম (প্রায় ৯০০ খ্রিস্টাব্দ) ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (রাজধানী নাইরোবির পরে), ২০১৯ সালের আদমশুমারি অনুসারে শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১২,০৮,৩৩৩ জন। শহরটির মহানগর অঞ্চল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল, এবং এর জনসংখ্যা ৩৫,২৮,৯৪০ জন।
মোম্বাসা | |
---|---|
শহর-কাউন্টি | |
সিটি অ্যান্ড কাউন্টি অব মোম্বাসা | |
নীতিবাক্য: Utangamano kwa Maendeleo (উন্নয়নের জন্য একতা) | |
মোম্বাসার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪°০৩′ দক্ষিণ ৩৯°৪০′ পূর্ব / ৪.০৫০° দক্ষিণ ৩৯.৬৬৭° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | কেনিয়া |
কাউন্টি | মোম্বাসা কাউন্টি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৯০০ |
আয়তন | |
• স্থলভাগ | ২১৯.৯ বর্গকিমি (৮৪.৯ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৯) | |
• পৌর এলাকা | ১২,০৮,৩৩৩ |
• মহানগর | ৩৫,২৮,৯৪০ |
বিশেষণ | মোম্বাসানিজ/ম্পিয়ানই |
সময় অঞ্চল | ইএটি (ইউটিসি+৩) |
এলাকা কোড | ০২০ |
জিডিপি (২০১৮) | মার্কিন$৭.২ বিলিয়ন (মোম্বাসা মেট্রো জিডিপি) |
ওয়েবসাইট | mombasa.go.ke |
ভারত মহাসাগরে উপকূলে শহরটি অবস্থান শহরটিকে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করেছে, এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণে, এটি অনেক দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। কেনিয়ার বিদ্যালয়ের ইতিহাসের বইগুলি মোম্বাসার প্রতিষ্ঠাকাল ৯০০ খ্রিস্টাব্দ হিসাবে উল্লেখ করে। এটি সম্ভবত ১২ম শতাব্দীতে একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায়ী শহর, যেমনটি আরব ভূগোলবিদ আল-ইদ্রিসি ১১৫১ সালে উল্লেখ করেছেন। মোম্বাসার সবচেয়ে প্রাচীন পাথরের মসজিদ "মনারা" ১৩০০ সালে নির্মিত হয়েছিল। মান্ধ্রী মসজিদ ১৫৭০ সালে নির্মিত হয়, এটির একটি মিনার আছে, যার মধ্যে একটি আঞ্চলিকভাবে নির্দিষ্ট ওজি খিলান রয়েছে।
প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগের শেষের দিকে, এটি একটি বৃক্ষরোপণ সমাজের মহানগরী ছিল, যা হাতির দাঁতের ব্যবসার উপর ভিত্তি করে দাস শ্রমের উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। গোড়ার দিকের আধুনিক সময়ের মধ্যে, মোম্বাসা জটিল ও সুদূরপ্রসারী ভারত মহাসাগর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কগুলির একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল, তখন শহরটির মূল রপ্তানি দ্রব্য ছিল হাতির দাঁত, বাজরা, তিল ও নারকেল।
আজ, মোম্বাসা একটি পর্যটন-ভিত্তিক শহর, যেখানে একটি বড় বন্দর ও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। পর্যটন বৃদ্ধির প্রচেষ্টায়, মোম্বাসা কাউন্টি গভর্নর হাসান জোহো একটি নির্দেশনা জারি করেছিলেন, যাতে ওল্ড টাউন পুরাতন শহর ও কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার সমস্ত ভবনকে মিশরীয় নীল ছাঁটের সাথে সাদা রং করা হয় এবং তাদের দেয়াল বা ছাউনি থেকে সমস্ত চিহ্ন নিষিদ্ধ করা হয়।
শহরটি মোম্বাসা দ্বীপে অবস্থিত এবং আশেপাশের প্রধানভূমিতে বিস্তৃত। দ্বীপটি দুটি খাঁড়ি দ্বারা প্রধানভূমি থেকে পৃথক রয়েছে। খাঁড়ি দুটি হল টিডর খাঁড়ি ও কিলিনদিন হারবার। এটি মূলভূমির সঙ্গে উত্তর দিকে নীলালি সেতু, দক্ষিণে লিকোনি ফেরি এবং পশ্চিমে মকুপা কোজওয়ে দ্বারা সংযুক্ত, পাশাপাশি শহরটিতে কেনিয়া-উগান্ডা রেলপথ চালু রয়েছে। শহরের বন্দরটি কেনিয়া ও অভ্যন্তর স্থলবেষ্ঠীত দেশসমূহের সমুদ্র যোগাযোগ গড়ে তোলে। শহরটির বিমান পরিষেবা মূলভূমির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলি চানিতে অবস্থিত মোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা পরিবেশিত হয়।
২০১৯ সালের আদমশুমারি অনুসারে মোম্বাসা শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১২,০৮,৩৩৩ জন।
মোম্বাসায় একটি বিশ্বজনীন জনসংখ্যা আছে, যার মধ্যে সোয়াহিলি ও মিজিকেন্দা জাতির মানুষের আধিক্য রয়েছে। শহরটিতে অন্যান্য জাতির মধ্যে কাম্বা, তাইতা ও বান্তুর পাশাপাশি পশ্চিম কেনিয়া থেকে লুও ও লুহিয়া জাতির মানুষের উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে। শহরে প্রধান ধর্ম হিসাবে ইসলাম, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্ম প্রচলিত হয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে অনেক অভিবাসী ও ব্যবসায়ী মোম্বাসায় বসতি স্থাপন করেছেন, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য, সোমালিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে, যারা প্রধানত ব্যবসায়ী ও দক্ষ কারিগর হিসেবে এসেছিলেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মোম্বাসা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.