মনোহর গোপালকৃষ্ণা প্রভু পার্রীকর (জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ - মৃত্যু: ১৭ মার্চ ২০১৯) হলেন ভারতের একজন রজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে রাজ্যসভার সদস্য এবং তিনি গোয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মুম্বাইয়ের ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন; তিনিই ভারতের প্রথম আই.আই.টি.
মনোহর পার্রীকর | |
---|---|
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২ | |
পূর্বসূরী | দিগম্বর কামাত |
উত্তরসূরী | প্রতাপ সিংহ রাণে |
সংসদীয় এলাকা | পানাজি |
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৯ মার্চ ২০১২ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদী |
পূর্বসূরী | অরুণ জেটলি |
সংসদীয় এলাকা | উত্তর প্রদেশ, (রাজ্যসভা) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মনোহর গোপালকৃষ্ণা প্রভু পার্রীকর ১৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ মাপুসা, গোয়া |
মৃত্যু | ১৭ মার্চ ২০১৯ | (বয়স ৬৩)
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
সন্তান | ২ জন |
ধর্ম | হিন্দু |
পার্রীকর গোয়ার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয় ব্যবস্থাপক নির্বাচিত করা হয়। জুন, ১৯৯৯ থেকে নভেম্বর, ১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি বিরোধীদলের নেতা হিসেবে কাজ করেন এবং ২০০০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি গোয়ার সত্তা দখল করে ও মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু তার সরকার ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকেছিল। পরে ২০০২ সালের ৪ জুন তিনি আবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
জানুয়ারি ২৯, ২০০৪ সালে বিজেপির ৪ জন নেতা ইস্তফা দিলে তার সরকার সংখ্যাগোষ্ঠতা হারায়। পার্রীকর দাবি করেন তিনি তার সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনঃ প্রমাণন করবেন; এবং ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে তিনি এমনটি করেওছিলেন। কিন্তু পরে কোনোকারণে তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়। পরপর বিভিন্ন বিবাদের কারণে মার্চ ২০০৫ সালে গোয়াতে রাষ্ট্রপতি শাসন জরী করা হয়। কিছুদিন পরে জুন ২০০৫ সালে বিরোধী নেতা প্রতাপ সিংহ রাণে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন।
২০০৭ সালে, পার্রীকর নেতৃত্বাধীন বিজেপি, দিগম্বর কামাটের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নিকট গোয়া রাজ্য নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল। বিজেপি এবং তার দল-জোটের পর দলটি জয়ী হয়ে ওঠে এবং ২০১২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নয়টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি গোয়ার দুটি লোকসভা আসনই জিতেছিল। নভেম্বর ২০১৪ সালে তার নিজের কথা অনুসারে পার্রীকর গোয়া ছেড়ে আসতে অনিচ্ছুক ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে কেন্দ্রীয় সরকারে যোগ দিতে রাজি করান। পরবর্তীতে লক্ষ্মীকান্ত পারসকার গোয়া মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাকালীন, গোয়ার বিধানসভা পরিষদের পান্জী নির্বাচনী এলাকা প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
২০০১ সালে তার স্ত্রী মেধা মারা যান। তাদের দুই ছেলে - উৎপল, যিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৈদ্যুতিক প্রকৌশল স্নাতক এবং অভিজাত, যিনি একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী।
২০১৮ সালের মার্চ-জুন অবধি, পার্রিকর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি হাসপাতালে অগ্ন্যাশয়সংক্রান্ত অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্য এআইআইএমএস, দিল্লীতে ভর্তি হন। ২৭অক্টোবর, ২০১৮-এ, গোয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিশ্বজিৎ রাণ, নিশ্চিত করেছেন যে পার্রিকর অগ্ন্যাশয়সংক্রান্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৭অক্টোবর গোয়া সরকারও ঘোষণা করে যে সিএম মনোহর পার্রিককের অগ্ন্যাশয়সংক্রান্ত ক্যান্সার রয়েছে।
অগ্ন্যাশয়সংক্রান্ত ক্যান্সারের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে ১৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে তার পানাজীর বাসভবনে মৃত্যু হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তার মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মনোহর পার্রীকর, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.