বারট্রান্ড রাসেল: দার্শনিক

বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল, ৩য় আর্ল রাসেল, ও এম, এফ আর এস (১৮ মে ১৮৭২ – ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক.

যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

বারট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল, ৩য় আর্ল রাসেল
বারট্রান্ড রাসেল: জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন
জন্ম(১৮৭২-০৫-১৮)১৮ মে ১৮৭২
ট্রেলেখ, মনমাউথশায়ার, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০(1970-02-02) (বয়স ৯৭)
পেনরাইনডিউড্রায়েথ, ওয়েলস, যুক্তরাজ্য
মাতৃশিক্ষায়তনট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ
পুরস্কার
যুগ২০ শতকের দার্শনিক
অঞ্চলপাশ্চাত্য দর্শন
ধারাবিশ্লেষণী দার্শনিক
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
(১৯৫০)
প্রতিষ্ঠানট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স
প্রধান আগ্রহ
এথিকস, এপিস্টেমোলজি, যুক্তি, গণিত, ভাষার দর্শন, বিজ্ঞানের দর্শন, ধর্ম
উল্লেখযোগ্য অবদান
বিশ্লেষণী দর্শন, যৌক্তিক পরমাণুবাদ, বর্ণনার তত্ত্ব, নলেজ বাই একুইন্টেন্স এবং নলেজ বাই ডেস্ক্রিপশান, রাসেলের হেঁয়ালি, রাসেলের চায়ের পট
ভাবগুরু
ভাবশিষ্য
স্বাক্ষর
বারট্রান্ড রাসেল: জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন
বারট্রান্ড রাসেল: জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন
৪ বছর বয়সী রাসেল

রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" দর্শনশাস্ত্রে মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজম এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার।

রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন।" বারট্রান্ড রাসেলের বই সমূহ বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ করা হয়। মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার " Conquest of Happiness" বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন ৷

জন্ম

১৮৭২ সালে মনমাউথশায়ার, ওয়েল্‌স, যুক্তরাজ্য

শিক্ষা

কর্মজীবন

যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাকে আবার কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

দর্শন

বিজ্ঞান

জীবনপঞ্জি

  • ১৮৭২- মে ১৮ তে জন্ম।
  • ১৮৭৪- মাতা এবং বোনের মৃত্যু।
  • ১৮৭৬- পিতার মৃত্যু; পিতামহ লর্ড জন রাসেল (যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) তার দেখাশোনার ভার নেন।
  • ১৮৯০- কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি।
  • ১৮৯৩- গণিতে প্রথম শ্রেণী অর্জন করে বিএ পাস।
  • ১৮৯৪- অ্যালিস পিয়ার্সাল স্মিথ কে বিয়ে করলেন।
  • ১৯০১- russel's paradox আবিষ্কার করলেন।
  • ১৯০৮- রয়াল সোসাইটি এর সদস্য নির্বাচিত হলেন।
  • ১৯১৬- যুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার জন্য ট্রিনিটি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত এবং ১১০ পাউন্ডের জরিমানার শিকার।
  • ১৯১৮-যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে অংশ নেয়ার অপরাধে ৫ মাসের কারাদন্ড ভোগ।
  • ১৯২১- প্রথমা স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ। ডোরা ব্ল্যাক কে বিবাহ।
  • ১৯৩১-ভাই এর মৃত্যুর পর তৃতীয় আর্ল রাসেল এর পদে অধীষ্ঠ হলেন।
  • ১৯৩৫- ডোরা ব্ল্যাক এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ।
  • ১৯৩৬- এবার বিয়ে করলেন প্যাট্রিসিয়া হেলেন স্পেন্স কে ।
  • ১৯৪০- নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ এ নিয়োগ প্রাপ্তি।
  • ১৯৪৩-পেনিসিল্ভানিয়ার বার্ন্স ফাউন্ডেশান থেকে বহিষ্কৃত।
  • ১৯৪৯- অর্ডার অফ মেরিট উপাধি লাভ।
  • ১৯৫০- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন।
  • ১৯৫২-হেলেন এর সাথে বিচ্ছেদ। বিয়ে করলেন এডিথ ফিঞ্চ কে।
  • ১৯৫৫- রাসেল-আইন্সটাইন মেনিফেস্টো প্রকাশ।
  • ১৯৫৮- পরমাণু অস্ত্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন।
  • ১৯৬১-এক সপ্তাহের কারাবাস। কারণ- পরমাণু বিরোধী বিক্ষোভে ভূমিকা।
  • ১৯৭০-ফেব্রুয়ারি ২, ওয়েল্‌স এর পেনরিন্ডিউড্রথ এ মারা যান।

গ্রন্থতালিকা

পুরস্কার

১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।

মৃত্যু

১৯৭০ সালে বারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

Tags:

বারট্রান্ড রাসেল জন্মবারট্রান্ড রাসেল শিক্ষাবারট্রান্ড রাসেল কর্মজীবনবারট্রান্ড রাসেল যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনবারট্রান্ড রাসেল দর্শনবারট্রান্ড রাসেল বিজ্ঞানবারট্রান্ড রাসেল গ্রন্থতালিকাবারট্রান্ড রাসেল পুরস্কারবারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবারট্রান্ড রাসেল তথ্যসূত্রবারট্রান্ড রাসেল বহিঃসংযোগবারট্রান্ড রাসেলFellow of the Royal SocietyMathematical logicইংল্যান্ডইতিহাসবেত্তাওয়েলসগণিতবিদদার্শনিক

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

এইডেন মার্করামমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনজাতিসংঘহরমোনসূরা কাহফভারতহাদিসপলাশীর যুদ্ধশামসুর রাহমানকোপা আমেরিকা২৭ মার্চময়মনসিংহ বিভাগবঙ্গবন্ধু সেতুদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীনওগাঁ জেলামনোবিজ্ঞানপ্রযুক্তিকৃষ্ণচন্দ্র রায়২৮ মার্চইশার নামাজবিটিএসওয়ালাইকুমুস-সালামগারোমুম্বই ইন্ডিয়ান্সটেলিটকফিলিস্তিনের ইতিহাসপেশাবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)প্রথম বিশ্বযুদ্ধসূরা ফালাকগঙ্গা নদীসূরা নাসপায়ুসঙ্গমআবুল কাশেম ফজলুল হকপদার্থবিজ্ঞানসেনেগালসালোকসংশ্লেষণপর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলবাংলা উইকিপিডিয়াবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলচট্টগ্রামরশিদ চৌধুরীস্ক্যাবিসআসমানী কিতাবতুতানখামেনআহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)কলমবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমজসীম উদ্‌দীনর‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নচীনআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাজেলা প্রশাসকসূরা বাকারামহাসাগরআসিফ নজরুলবুধ গ্রহঅর্থ (টাকা)২০২৩অমর্ত্য সেনবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীফেসবুকগজলসোমালিয়াচেন্নাই সুপার কিংসবাঙালি সংস্কৃতিসিন্ধু সভ্যতাযোনি পিচ্ছিলকারকধানদারুল উলুম দেওবন্দসিফিলিসচাঁদবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকামৌলিক পদার্থআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাযোগাযোগআরবি ভাষা🡆 More