ফুটবল খেলার নিয়মাবলী

ফুটবল খেলার নিয়মাবলী হলো ফুটবলের বিধিবদ্ধ নিয়ম। নিয়মাবলীতে একটি দলে কতজন খেলোয়াড় থাকবে, খেলার সময়সীমা, মাঠ এবং বলের আকার, ফাউলের ধরন ও প্রকৃতি যাতে রেফারিরা শাস্তি দিতে পারে তার ধরন, বারংবার ভুল ব্যাখ্যা করা অফসাইড আইন এবং অন্যান্য অনেক আইন উল্লেখ করা হয়েছে যা এই খেলাটিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। একটি ম্যাচ চলাকালে খেলার আইনগুলি ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করা রেফারির কাজ।

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ফুটবলের নিয়মকে বিধিবদ্ধ করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। প্রচলিত আইনগুলি ১৮৩৮ সালের, যেখানে নতুনভাবে গঠিত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক একটি নিয়মাবলী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।

ফিফা ফুটবল খেলার নিয়মাবলী কেবলমাত্র তার সদস্যদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়। নিয়মগুলি জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে কিছু ছোট ছোট ঐচ্ছিক পরিবর্তনের অনুমতি দেয়, যার মধ্যে কয়েকটি নিম্ন স্তরে খেলার জন্য প্রযোজ্য, তবে এছাড়া বিশ্বব্যাপী সকল সংগঠিত ফুটবল একই নিয়মের অধীনে খেলা হয়।

খেলার বর্তমান নিয়মাবলী

বর্তমান খেলার নিয়মাবলীতে (এলওটিজি) সতেরোটি পৃথক আইন রয়েছে, প্রতিটি আইন বিভিন্ন নিয়ম এবং নির্দেশাবলী নিয়ে গঠিত:

অনুমোদিত পরিবর্তন

উপরের স্তরের সব ফুটবল একই নিয়ম অনুসারে খেলা হয়। নিয়মসমূহ যুব, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী এবং তৃণমূল ফুটবলের জন্য কিছু পরিবর্তনের অনুমতি দেয় যেমন খেলার দৈর্ঘ্য হ্রাস করা এবং সাময়িক বহিষ্কার।

বর্ণনা এবং ব্যাখ্যা

১৯৯৭ সালে একটি বড় সংশোধনী পুরো অনুচ্ছেদগুলি বদলে ফেলে এবং নীতিগুলি সরল ও শক্তিশালী করার জন্য অনেকগুলি বিভাগকে স্পষ্ট করে দেয়। এই আইনগুলি ইংরেজদের প্রচলিত আইন শৈলীতে রচিত এবং এর অর্থ হল নীতিমালার নির্দেশিকা এবং লক্ষ্যগুলি যা অনুশীলন, ঐতিহ্য এবং রেফারি কর্তৃক প্রয়োগের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়।

প্রকৃত আইন বইতে দীর্ঘ ৫০ পৃষ্ঠারও বেশি বিষয় রয়েছে যা বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত, এতে অনেকগুলি চিত্র রয়েছে তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল ১৭ আইনের অংশ নয়। ২০০৭ সালে ফিফা প্রশ্ন ও উত্তর (প্রশ্নোত্তর) থেকে প্রাপ্ত বিষয়ের অনেকগুলি এই অতিরিক্ত বিভাগকে পুনর্গঠন করা হয় এবং একটি নতুন "রেফারির জন্য অতিরিক্ত নির্দেশনা এবং নির্দেশিকা" বিভাগ রাখা হয়। আইনসমূহের ২০১৬/২০১৭ সংস্করণে এই বিভাগের বিষয়সমূহ আইনসমূহে তাদের আঁটা হয়।

রেফারিগণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের রায় এবং সাধারণ বিবেচনা ব্যবহার করবে বলে আশা করা হয়; এটি অনানুষ্ঠানিক ভাবে "আইন ১৮" নামে পরিচিত।

এক্তিয়ার এবং পরিবর্তন পরিচালনা

আইনসমূহ আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা আলোচনার জন্য বছরে একবার মিলিত হয় এবং যে বিদ্যমান আইনের কোন পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে। আইনসমূহ হাল নাগাদ করার জন্য সভা সাধারণত শীতকালে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। আইনসমূহ দ্বারা সকল আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং সদস্য সংস্থার জাতীয় ম্যাচ পরিচালনা করা হয়। ইফাব (IFAB) বোর্ডের আটজন সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম ছয়জন একটি নিয়ম পরিবর্তন করার পক্ষে ভোট দিলে সেটি গৃহীত হয়। ৮টি আসনের মধ্যে চারটি আসন ফিফার ২০০+ সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে, অপর চারটি আসন ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেকটি থেকে একজন করে (এফএ ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে, এসএফএ স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে, এফএডব্লিউ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আইএফএ উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে), যার অর্থ ফিফার অনুমোদন ব্যতীত কোনও পরিবর্তন করা যাবে না, তবে ফিফা ব্রিটিশ পরিচালনা পর্ষদের কমপক্ষে দু'জনের অনুমোদন ছাড়া আইন পরিবর্তন করতে পারে না।

ইতিহাস

১৮৬৩ সালের আগে

ফুটবল খেলার নিয়মাবলী 
১৮৬৩ সালে খেলার নিয়মের মূল বই

উনিশ শতকে "ফুটবল" শব্দটি বিভিন্ন ধরনের খেলাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হতো যেখানে খেলোয়াড়রা একটি বলকে প্রতিপক্ষের গোলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো। "ফুটবল" এর প্রথম প্রকাশিত নিয়মসমূহ রাগবি স্কুলের (১৮৪৫) যেখানে ব্যাপকভাবে বল হাত দিয়ে ধরার অনুমতি ছিল, ইটন ফিল্ড গেম (১৮৪৭) এটিকে দ্রুত অনুসরণ করে যেখানে বল হাত দিয়ে ধরার ক্ষেত্রে অনেক বেশি বাধা ছিল। ১৮৩০ এবং ১৮৫০-এর দশকের মধ্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকটি বিধি-বিধান তৈরি করা হয়েছিল - তবে সেগুলি সাধারণত তখন প্রকাশিত হয়নি এবং পরবর্তীকালে এর অনেকগুলি হারিয়ে যায়। ফুটবল ক্লাবগুলি (স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আগে) প্রথম বিস্তৃত নিয়মাবলী প্রকাশ করে, এদের মধ্যে ছিল শেফিল্ড এফসি (১৮৫৮ সালে লিখিত ও ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত) যা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিধি দ্বারা বন্ধ না হওয়া অবধি ২০ বছর ধরে খেলাটি বিধিবদ্ধ করেছিল এবং মেলবোর্ন এফসি (১৮৫৯) যা অস্ট্রেলীয় নিয়মের ফুটবলের উৎস। ১৮৬৩ সালের শেষদিকে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্ভব হওয়ার পর বিভিন্ন বিধিবিধানের বিভিন্ন সংকলন প্রকাশিত হয়, যেমন কতটা বল পরিচালনা করা যায়, অফসাইডের বর্ণনা, প্রতিপক্ষের সাথে অনুমোদিত শারীরিক সংস্পর্শের পরিমাণ এবং যে উচ্চতায় একটি গোল করা যায়।

১৮৬৩ সালের নিয়মাবলী

১৮৬৩ সালে কিছু ফুটবল ক্লাব রাগবি স্কুলের উদাহরণ অনুসরণ করে বল হাতে ধরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, খেলোয়াড়দের বল বহনকারী প্রতিপক্ষকে "হ্যাক" (পায়ে লাথি দেওয়ার) করার অনুমতি দিয়েছিল। নিয়মাবলীর প্রথম সংস্করণ তৈরির জন্য এফএ’র সভার সময় "হ্যাকিং" এবং "নন-হ্যাকিং" এর সমর্থক ক্লাবগুলির মধ্যে একটি মারাত্মক বিভাজন তৈরি হয়। ১৮৬৩ সালের ১৭ নভেম্বর এফএ-এর একটি বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় যাতে "হ্যাকিং" এর পক্ষের ক্লাবগুলি প্রাধান্য পায়। এফএর সচিব এবেনেজার কোব মোরলির তৈরিকৃত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নিয়মাবলীর প্রথম খসড়ায় এর পক্ষপাত প্রতিফলিত হয়, এতে এমন অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বর্তমানের ফুটবলের চেয়ে রাগবির সাথে বেশি মিল পাওয়া যায়।

আইনগুলি চূড়ান্ত ("নিষ্পত্তি") করার জন্য আরো একটি বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়।. ২৪ নভেম্বর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে "হ্যাকার" পক্ষ আবারো সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে বৈঠক চলাকালে মরলি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ফুটবল আইনসমূহের দিকে প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেখানে বল বহন করা এবং হ্যাকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেমব্রিজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং এই বিষয়ে কেমব্রিজের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়, নিয়মাবলী চূড়ান্ত "নিষ্পত্তি" করতে ডিসেম্বরের ১ তারিখে আরো একটি বৈঠকের বসার সিদ্ধান্ত হয়। রাগবি পদ্ধতির ফুটবলকে সমর্থনকারী বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি এই অতিরিক্ত সভায় অংশ নেননি, ফলে হ্যাকিং এবং বল বহন নিষিদ্ধ করা হয়।

"হ্যাকিং" পন্থী আইন গৃহীত হওয়া রোধ করার জন্য ব্ল্যাকহ্যাথের সর্বাধিক বিশিষ্ট "হ্যাকিং" ক্লাব ফ্রান্সিস ক্যাম্পবেল এফএ সভাপতি আর্থার পেম্বার, মুরলি এবং তাদের সহযোগীদেরকে ২৪ নভেম্বরের বৈঠকে "হ্যাকিংপন্থী" আইন রোধ করতে ভুলভাবে পরিচালনা করার জন্য অভিযুক্ত করেন। পেম্বার দৃঢ়ভাবে এই ধরনের "অযৌক্তিক আচরণের অভিযোগ" অস্বীকার করেন। পরবর্তী ইতিহাসবিদদের রায় বিভিন্ন ধরনের হয়েছে: তরুণরা ক্যাম্পবেলকে "দাম্ভিকতা" করার অভিযোগ করেছেন, অন্যদিকে হার্ভে ক্যাম্পবেলের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন এবং হ্যাকিংপন্থী ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে "অভ্যুত্থান" করার জন্য হ্যাকিং-বিরোধীদের অভিযুক্ত করেছেন। while Harvey supports Campbell's allegations, accusing the non-hackers of a "coup" against the pro-hacking clubs. এই বিরোধের ফলে অন্যান্য "হ্যাকিং" ক্লাবগুলির সাথে ব্ল্যাকহ্যাথ এফএ ছেড়ে চলে যায়।

এফএ এর নিয়মাবলীর চূড়ান্ত সংস্করণটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় এবং ১৮৬৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তা প্রকাশিত হয়। বর্তমান সময়ের থেকে কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:

  • কোন ক্রসবার ছিল না। গোল যে কোনও উচ্চতায় করা যেতে পারে (বর্তমান সময়ের অস্ট্রেলীয় নিয়মের ফুটবলের মতো)।
  • হাতে ধরার বেশিরভাগ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা হলেও খেলোয়াড়দের বল ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল (তবে তারা বল হাতে নিয়ে অগ্রসর হওয়া বা তা ছুঁড়ে দিতে পারতো না)। একটি ফ্রি কিক দিয়ে একটি ন্যায্য ক্যাচকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল (এই বৈশিষ্ট্য আজও অস্ট্রেলীয় নিয়মের ফুটবল, রাগবি ইউনিয়ন এবং আমেরিকান ফুটবলে বিভিন্ন রূপে টিকে আছে)।
  • কঠোর অফসাইড নিয়ম ছিল, যার ফলে যে কোন খেলোয়াড় কিকারের আগে থাকলে অফসাইড হতো (রাগবি ইউনিয়নে আজকের অফসাইড নিয়মের মতো)। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল যখন বল গোল লাইনের পিছনে থেকে কিক করা হতো।
  • বল খেলার বাইরে চলে যাওয়ার পরে বল স্পর্শকারী প্রথম খেলোয়াড়কে (উভয় দলেরই) থ্রো-ইন পুরস্কার দেওয়া হয়। বলটি ডান-কোণে টাচলাইনে নিক্ষেপ করা হতো (যেমনটি বর্তমানে রাগবি ইউনিয়নে করা হয়)।
  • কোন কর্নার-কিক ছিল না। বল গোল-লাইনের পিছনে গেলে কিছুটা রাগবির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো: বল খেলার বাইরে যাওয়ার পরে যদি কোন আক্রমণকারী খেলোয়াড় প্রথমে বলটি স্পর্শ করে, তবে আক্রমণকারী দল বলের স্পর্শ বিন্দুর পিছনে পনের গজের বিন্দু থেকে গোল করার জন্য ফ্রি কিক নেওয়ার সুযোগ পেত (কিছুটা রাগবির ট্রাই এর অনুরূপ)। যদি রক্ষণভাগের কোন খেলোয়াড় প্রথমে বলটি স্পর্শ করে তবে রক্ষণ দল গোল লাইন থেকে বা এর পিছন থেকে বলে কিক নেয় (গোল-কিকের সমতুল্য)।
  • প্রতিবার গোল করার পর দলগুলি পার্শ্ব পরিবর্তন করে।
  • নিয়মাবলীতে গোলরক্ষক, ম্যাচ কর্মকর্তা, বিধি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি, ম্যাচের সময়কাল, অর্ধ-সময়, খেলোয়াড়ের সংখ্যা বা মাঠের রেখা (খেলার মাঠের সীমানা চিহ্নিত করার জন্য পতাকা ব্যতীত) বিষয়ে কোন বিধি ছিল না।

১৮৬৩ সালের ৮ ডিসেম্বর এর সভায় এফএ সম্মতি জানায় যে জন লিলিহোয়াইট লন্ডনের বেল’স লাইফ-এ নিয়মাবলী প্রকাশ করবেন। নতুন নিয়মে প্রথম খেলাটি বার্নস এবং রিচমন্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, খেলাটি ০-০ গোলে ড্র হয়েছিল। ইংরেজ ফুটবল ক্লাবগুলি নিয়মাবলীটি সার্বজনীন ভাবে গ্রহণ করেনি। শেফিল্ড নিয়মাবলীর ব্যবহার অনেকেই অব্যাহত রাখে। অধিকতর বল হাত দিয়ে ধরার উপর আরো বেশি জোর দিয়ে অধিকতর শারীরিক খেলাকে প্রাধান্য দেয়, বেশিরভাগ তার প্রথম দিকে এফএর সদস্য হওয়ার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং পরে ১৮৭১ সালে রাগবি ফুটবল ইউনিয়ন গঠন করে।

আইএফএবি গঠন

ইংল্যান্ডে ব্যবহৃত নিয়ম (ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এখতিয়ার) এবং যুক্তরাজ্যের অন্যান্য হোম নেশনস স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সামান্যতম পার্থক্যের ফলে সমস্ত হোম নেশনস এর নিয়মসমূহ তদারকি করার জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। ১৮৮৬ সালে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের দলকে খেলতে যাওয়ার আগে কোন দেশের নিয়ম ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে একমত হতে হতো।

ফিফা স্বীকৃতি

১৯০৪ সালে প্যারিসে মহাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা প্রতিষ্ঠিত হলে এটি তাত্ক্ষণিকভাবে ঘোষণা করে যে ফিফা আইএফএবি এর নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলবে। আন্তর্জাতিক খেলার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ১৯১৩ সালে ফিফার প্রতিনিধিদের আইএফএবি-তে যেতে হয়েছিল। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফিফার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবর্তন চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে একত্রে ভোট দেওয়া সম্ভব ছিল। এই অবস্থা বর্তমানের ভোটদান ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে যার ফলে কোন সংশোধনী পাস করার জন্য ফিফার সমর্থন প্রয়োজনীয়, তবে পর্যাপ্ত নয়।

নিয়মাবলীর শিরোনাম

১৯৩৮ সালের নিয়মাবলী পুনর্লিখনের মাধ্যমে ১৭ টি শিরোনামে আইনের পদ্ধতি চালু হয় যা কেবলমাত্র সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আজ অবধি চালু আছে। ১৯৩৮ সাল থেকে আইন নম্বর ও শিরোনামের ইতিহাস নীচে ছকে দেখানো হয়েছে:

আইন ১৯৩৮ ১৯৯৬ ১৯৯৭ ২০১৬
খেলার মাঠ
বল
খেলোয়াড়দের সংখ্যা খেলোয়াড় সংখ্যা খেলোয়াড়
খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম খেলোয়াড়ের সরঞ্জাম
রেফারি রেফারি
লাইনসম্যান সহকারী রেফারি সহকারী রেফারি অন্যান্য ম্যাচ কর্মকর্তাগণ
খেলার সময়কাল খেলার সময়কাল
খেলার শুরু খেলা শুরু এবং পুনঃ শুরু
বল খেলার ভিতরে এবং বাইরে বল খেলার ভিতরে এবং বাইরে
১০ স্কোর গণনার পদ্ধতি স্কোর গণনার পদ্ধতি ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ
১১ অফ-সাইড অফসাইড
১২ ফাউল ও অসদাচরণ
১৩ ফ্রি-কিক ফ্রি কিক
১৪ পেনাল্টি-কিক পেনাল্টি কিক
১৫ নিক্ষেপ নিক্ষেপ
১৬ গোল-কিক গোল কিক
১৭ কর্নার-কিক কর্নার কিক

তথ্যসূত্র

  • ফুটবলের নিয়মাবলী, ১৮৬৩: প্রথম এফএ নিয়ম বহিঃ বোডলিয়ান গ্রন্থাগার (২০০৬)

বহিঃসংযোগ

Tags:

ফুটবল খেলার নিয়মাবলী খেলার বর্তমান নিয়মাবলীফুটবল খেলার নিয়মাবলী ইতিহাসফুটবল খেলার নিয়মাবলী তথ্যসূত্রফুটবল খেলার নিয়মাবলী বহিঃসংযোগফুটবল খেলার নিয়মাবলীফুটবলরেফারি (ফুটবল)

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

স্বাধীনতা১ (সংখ্যা)বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রফুসফুসতাজমহলচাকমাবর্তমান (দৈনিক পত্রিকা)বিরাট কোহলিবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলজাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসানি লিওনকলকাতাবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সদ্বিতীয় মুরাদবাংলার ইতিহাসঅকাল বীর্যপাততাওরাতসংস্কৃতি২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বদোয়াকাফিরবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরমজান (মাস)বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাপানিবাস্তুতন্ত্রসূরা বাকারামুম্বই ইন্ডিয়ান্সপরমাণুমক্কাজয়নগর লোকসভা কেন্দ্রহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)মারমাগৌতম বুদ্ধবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীপ্রাকৃতিক সম্পদহুমায়ূন আহমেদসার্বজনীন পেনশনশব্দ (ব্যাকরণ)স্বামী স্মরণানন্দকানাডামুসাশাহরুখ খানসুফিয়া কামালসালোকসংশ্লেষণসূরা ফাতিহাএম এ ওয়াজেদ মিয়াআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাযতিচিহ্নবৌদ্ধধর্মের ইতিহাসহজ্জসৌদি আরবের ইতিহাসকম্পিউটারইন্সটাগ্রামবাংলাদেশী টাকাবেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশবাউল সঙ্গীতমিয়া খলিফাভারত বিভাজনআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলসবচেয়ে বেশি গোলকারী ফুটবলারের তালিকাভুটানফরাসি বিপ্লববাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাপিঁয়াজতারাবীহজাতীয় গণহত্যা স্মরণ দিবসবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়বঙ্গবন্ধু সেতুঐশ্বর্যা রাইদিনাজপুর জেলাত্বরণআসরের নামাজডিএনএমধুমতি এক্সপ্রেসইস্তেখারার নামাজঋতু🡆 More