মেঘনা সেতু বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু। জাপানের সহায়তায় নির্মিত এই সেতুর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১, তবে এটি মেঘনা সেতু নামেই পরিচিত। বাংলাদেশে জাপান দূতাবাস কর্তৃক ২০০৪ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায় মেঘনা সেতুর আশেপাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের এই সেতু নির্মাণে বিভিন্ন ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
মেঘনা সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৩°৩৬′২৯″ উত্তর ৯০°৩৬′৪৭″ পূর্ব / ২৩.৬০৮০৬° উত্তর ৯০.৬১২৯৩° পূর্ব |
বহন করে | মটোর যান এবং পথচারী |
অতিক্রম করে | মেঘনা নদী |
স্থান | মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক নাম | বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১ |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | খিলান সেতু |
উপাদান | পূর্বপ্রতিবলিত কংক্রিট |
মোট দৈর্ঘ্য | ৯০০ মিটার (২,৯৫২ ফু ৯ ইঞ্চি) |
প্রস্থ | ৯.২ মিটার (৩০ ফু ২ ইঞ্চি) |
দীর্ঘতম স্প্যান | ৮৭ মিটার (২৮৫ ফু ৫ ইঞ্চি) |
ইতিহাস | |
নির্মাণকারী | নিপ্পন কোই কো. লিমিটেড |
চালু | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ |
অবস্থান | |
মেঘনা সেতু দক্ষিণ ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে দেশের প্রধান নদী মেঘনা নদীতে অবস্থিত। সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশাপাশি অবস্থিত। সেতুর ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ২৩°৩৬.১৬২′ উত্তর ৯০°৩৬.৯৯১′ পূর্ব / ২৩.৬০২৭০০° উত্তর ৯০.৬১৬৫১৭° পূর্ব।
জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় মেঘনাসেতু নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মানে কাজ করে জাপানের নিপ্পন কোয়েই কো. লি. যারা বিশ্বের আশিটিরও বেশি দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেছে। ১৯৯১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। মেঘনা সেতু জাপানের সহায়তায় নির্মিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রকল্প। ২০০৫ সালে সেতুটিতে বড় ধরনের মেরামত কাজ পরিচালনা করা হয় কারণ যথাযথ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এবং অধিক ওজনের যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটির বেশকিছু অংশে সম্প্রসারণ সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো।
সেতুটি ক্যাণ্টিলিভার এবং গার্ডারে নির্মিত যার উভয় দিক থেকে যান চলাচল করতে পারে। সেতুটির ১৩টি স্প্যানের মধ্যে দুটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ২৪.২৫ মিটার (৭৯ ফুট ৭ ইঞ্চি), একটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৪৮.৩ মিটার (১৫৮ ফুট ৬ ইঞ্চি), নয়টি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৮৭ মিটার (২৮৫ ফুট ৫ ইঞ্চি) এবং বাকি একটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৮.২ মিটার (৫৯ ফুট ৯ ইঞ্চি)। সেতুর মূল সড়কপথের দৈর্ঘ্য ৭.২ মিটার (২৩ ফুট ৭ ইঞ্চি)। সেতুটির স্থাপনা নদীতলে গেঁথে দেওয়া আরসিসি প্রকোষ্ঠ এবং পাইলের উপর করা হয়েছে। সেতুটির পিলার এবং ভারবাহী স্তম্ভগুলো নির্মিত হয়েছে আরসিসি দিয়ে। ষড়ভুজ আকৃতির সেতুটির একেকটি ভারবাহী স্তম্বের দৈর্ঘ্য ১১ মিটার (৩৬ ফুট ১ ইঞ্চি) এবং প্রস্থ ৩.২ মিটার (১০ ফুট ৬ ইঞ্চি)। পিলারের সাথে যুক্ত সেতুটির পার্শ্ব দেয়াল আরসিসি দিয়ে তৈরি। আরসিসি পোস্ট প্রকৃতির মেঘনা সেতুর রেলিং স্টিলের তৈরি। সেতুটির উভয়দিকে হাঁটার জন্য ০.৮০ মিটার (২ ফুট ৭ ইঞ্চি) প্রস্থ পায়ের চলার পথ (ফুটপাথ) রয়েছে। সেতুটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সেতুটি উদ্বোধনের পর এই সেতুতে এবং ১ নং জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল উল্ল্যেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি পায়। তবে ২০০২ সালে সেতুটিতে চলার জন্য টোলের পরিমান বৃদ্ধির পেলে যান চলাচল কমে আসে। ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে ২৪ ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ১০,১৪৯ টি সব ধরনের যানবাহন সেতুটি অতিক্রম করে। ২০০৪ সালের মার্চে ৯৭০৪ টি যানবাহন গড়ে প্রতিদিন এই সেতুটি অতিক্রম করে।
যানবাহন | ট্রাক | বাস | হালকা যান | মোটরসাইকেল | মোট |
---|---|---|---|---|---|
এপ্রিল ১৯৯৭ | ৪,৬৭৪ | ৩,৩৯৬ | ১,৭৯৬ | ২৮৩ | ১০,১৪৯ |
মার্চ ২০০৪ | ৪,৩১০ | ৩,৮৮৭ | ১,০৩০ | ৪৭৭ | ৯,৭০৪ |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মেঘনা সেতু, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.