সত্যেন্দ্রনাথ বসু

সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১লা জানুয়ারি ১৮৯৪ – ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) ছিলেন একজন বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান। সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সংযুক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মারি ক্যুরি প্রমুখ মনীষীর। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী সত্যেন্দ্রনাথ। কলকাতায় জাত সত্যেন্দ্রনাথ শুধুমাত্র বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই ছিলেন না, সারা জীবন ধরে তিনি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকেও পুষ্ট করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে তার অমর উক্তি,

সত্যেন্দ্রনাথ বসু

সত্যেন্দ্রনাথ বসু
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
জন্ম(১৮৯৪-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৮৯৪
মৃত্যু৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪(1974-02-04) (বয়স ৮০)
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাহিন্দু স্কুল
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণবোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন
বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান
বসু-আইনস্টাইন বণ্টন
বসু-আইনস্টাইন অনুবন্ধ
বোসন গ্যাস
বোসন
আদর্শ বসু সমীকরণ
ফোটন গ্যাস
দাম্পত্য সঙ্গীউষাবতী বসু (বিবাহপূর্ব ঘোষ)
পুরস্কারপদ্মবিভূষণ
ফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(বাংলাদেশ)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বভারতী
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাজগদীশচন্দ্র বসু
প্রফুল্লচন্দ্র রায়
ডক্টরেট শিক্ষার্থীপূর্ণিমা সিংহ
পার্থ ঘোষ
শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীমণিলাল ভৌমিক
লীলাবতী ভট্টাচার্য
অসীমা চট্টোপাধ্যায়
রতনলাল ব্রহ্মচারী
মোহাম্মদ ফেরদাউস খান
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনআলবার্ট আইনস্টাইন
সংসদ সদস্য, রাজ্যসভা
কাজের মেয়াদ
৩ এপ্রিল, ১৯৫২ – ২ এপ্রিল, ১৯৬০
স্বাক্ষরসত্যেন্দ্রনাথ বসু

বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান পরিচয় নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মনীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তার আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। রবীন্দ্রনাথ তাকে নিজের বিশ্বপরিচয় বিজ্ঞানগ্রন্থ, অন্নদাশঙ্কর রায় তার জাপানে ভ্রমণরচনাসুধীন্দ্রনাথ দত্ত তার অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু
বয়সকালে সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১৯৪৯)
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর উপর ভারতীয় ডাকটিকিট
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
বিটিএম-তে সত্যেন্দ্র নাথ বোসের আবক্ষ মূর্তি

জন্ম ও পরিবার

১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ১ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার গোয়া বাগান অঞ্চলে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের পাশে ২২ নম্বর ঈশ্বর মিত্র লেনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম। তার পরিবারের আদি নিবাস ২৪ পরগণার কাঁড়োপাড়ার সন্নিকটে বড়োজাগুলিয়া গ্রামে। তার পিতা সুরেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন পূর্ব ভারতীয় রেলওয়ের হিসাবরক্ষক এবং মাতা আমোদিনী দেবী ছিলেন আলিপুরের খ্যাতনামা ব্যবহারজীবী মতিলাল রায়চৌধুরীর কন্যা। সত্যেন্দ্রনাথ বসু সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়।

শিক্ষা

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নর্মাল স্কুলে। পরে বাড়ির সন্নিকটে নিউ ইন্ডিয়ান স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি হিন্দু স্কুলে এন্ট্রান্স ক্লাশে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। তারপর ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে আই.এস.সি পাশ করেন প্রথম হয়ে। এই কলেজে তিনি সান্নিধ্যে আসেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতন যশস্বী অধ্যাপকদের। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক এবং ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে একই ফলাফলে মিশ্র গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

এই সময়কালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা করলে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সেখানে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। সেখানে তিনি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার সঙ্গে মিশ্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেখানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রিডার হিসাবে যোগ দেন। তিনি ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এর প্রথম অধ্যক্ষ যিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন সময়ে বসু প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তেজস্ক্রিয়তা নীতি ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়াই প্রতিপাদন করে একটি গবেষণা প্রবন্ধ রচনা করেন এবং সদৃশ কনার সাহায্যে দশার সংখ্যা গণনার একটি চমৎকার উপায় উদ্ভাবন করেন। এই নিবন্ধটি ছিল মৌলিক এবং কোয়ান্টাম পরিসংখ্যানের ভিত্তি রচনাকারী। প্রবন্ধটি প্রকাশ করবার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বসু তা সরাসরি আলবার্ট আইনস্টাইনের নিকট প্রেরণ করেন, যিনি প্রবন্ধটির গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই তা জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন এবং বসুর পক্ষে তা Zeitschrift für Physik সাময়িকীতে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বসু ভারতের বাইরে গবেষণার সুযোগ লাভ করেন এবং দু' বছর ইউরোপে অবস্থান করে লুই ডি ব্রগলি, মারি ক্যুরি, এবং আইনস্টাইনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।

১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ইউরোপ সফর শেষে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। বসু ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করেন এবং দেশবিভাগ আসন্ন হলে তিনি কলকাতায় ফিরে যান এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সেখান থেকে অবসর গ্রহণের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করে। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তিনি বিশ্বভারতীতে উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন এবং ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ভারত সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত করেন ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে।

বোস- আইনস্টাইন সংখ্যাতত্ত্ব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসু তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর কাজ শুরু করেন। এছাড়া তিনি শ্রেণিকক্ষে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পড়াতেন। ক্লাসে একদিন আলোকতড়িৎ ক্রিয়া ও অতিবেগুনি বিপর্যয় পড়ানোর সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বর্তমান তত্ত্বের দুর্বলতা বোঝাতে এই তত্ত্বের সঙ্গে পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের ব্যত্যয় তুলে ধরেন। সে সময় তিনি ঐ তত্ত্ব প্রয়োগ করতে গিয়ে একটি ভুল করেন। পরে দেখা যায় তার ঐ ভুলের ফলে পরীক্ষার সঙ্গে তত্ত্বের অনুমান মিলে যাচ্ছে! (বসু পরে তার ঐদিনের লেকচারটি একটি ছোট নিবন্ধ আকারে Planck's Law and the Hypothesis of Light Quanta নামে প্রকাশ করেন।)

তার এই ভুলটিকে পরিসংখ্যানের একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে। দুইটি ভাল মুদ্রাকে যদি নির্বিচারে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে এক- তৃতীয়াংশ বার দুই হেড পড়বে - এমন অনুমান স্বভাবতই ভুল। ঠিক এমন একটি ভুল তিনি করেছিলেন। কিন্তু ফলাফলটা এমন হলো যে তা মিল খেয়ে গেল পরীক্ষার সঙ্গে। তাতে তিনি ভাবলেন- এই ভুল ভুল নয়। প্রথমবারের মতো তার মনে হল ম্যাক্সওয়েল বোলৎজম্যানের সংখ্যাতত্ত্ব আণুবীক্ষণিক কণার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ সেখানে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব-এর কারণে কণার যে আন্দোলন তা গ্রাহ্য সীমার মধ্যে। কাজেই তিনি কণার ভরবেগ ও অবস্থানের ব্যাপারটি বাদ দিয়ে দশা-কালে কণার প্রাপ্যতা নির্দেশ করলে। এটি দাঁড়ায় প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবকের ঘনমান (h³)।

পদার্থবিজ্ঞানের বিশ্বখ্যাত জার্নাল Physics journals বসুর ঐ প্রবন্ধ প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায়। তারা ধরে নেয় যে, ঐ ভুল ভুলই; নতুন কোন কিছু নয়। হতাশ হয়ে বসু বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কাছে তা লিখে পাঠান। আইনস্টাইন ব্যাপারটা বুঝতে পারেন এবং নিজেই একটি প্রবন্ধ লিখে ফেলেন এবং বসুর নিবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। এরপর তার ও বসুর নিবন্ধ দুইটি জার্মানির Zeitschrift für Physik সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি ঘটে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে।

বসুর “ভুল” সঠিক ফলাফল দেওয়ার কারণ হলো একটি ফোটনকে আর একটি ফোটন থেকে আলাদা করা মুশকিল। তাই দুইটি ফোটনের একদম একই শক্তি ভাবাটা ঠিক নয়। কাজেই দুইটি মুদ্রান একটি ফোটন আর একটি বোসন হয় তবে দুইটি হেড হওয়ার সম্ভাবনা তিনের-এক হবে। বসুর ভুল এখন বোস- আইনস্টাইন সংখ্যাতত্ত্ব নামে পরিচিত।

আইনস্টাইন এই ধারণাটি গ্রহণ করে তা প্রয়োগ করলেন পরমাণুতে। এই থেকে পাওয়া গেল নতুন প্রপঞ্চ যা এখন বোস- আইনস্টাইন কনডেনসেট নামে পরিচিত এই ভাবে। এটি আসলে বোসন কণার একটি ঘনীভূত স্যুপ। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে এক পরীক্ষায় এটির প্রমাণ পাওয়া যায়। আর বিশ্বজগতের যে কণাগুলোর স্পিন পূর্ণসংখ্যা বসুর নামে পল ডিরাক তার নামকরণ করা করেন বোসন কণা।

বোস ও নোবেল পুরস্কার

বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, বোসনের উপর গবেষণা করে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন Carlo Rubbia এবং Simon van der Meer, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে David M. Lee, Douglas D. Osheroff, Robert C. Richardson, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে Martinus J. G. Veltman ও Gerardus 't Hooft, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে Eric Allin Cornell, Carl Edwin Wieman এবং Wolfgang Ketterle নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোসকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, for the achievement of Bose-Einstein condensation in dilute gases of alkali atoms, and for early fundamental studies of the properties of the condensates

"S. N. Bose’s work on particle statistics (c. 1922), which clarified the behaviour of photons (the particles of light in an enclosure) and opened the door to new ideas on statistics of Microsystems that obey the rules of quantum theory, was one of the top ten achievements of 20th century Indian science and could be considered in the Nobel Prize class.""
 

সম্মাননা

১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে সত্যেন বসু ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থ বিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো হন। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক পদে মনোনীত করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দেশিকোত্তম এবং ভারত সরকার পদ্মবিভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে সত্যেন বসু অধ্যাপক (Bose Professor) পদ রয়েছে। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা শহরে তার নামে সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র নামক গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হয়।

মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে তার অমূল্য অবদান রয়েছে। তার নেতৃত্বে কলকাতায় ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদের মুখপাত্র হিসাবে বাংলা ভাষার বিজ্ঞান পত্রিকা জ্ঞান ও বিজ্ঞান প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে জ্ঞান ও বিজ্ঞান-এ কেবলমাত্র মৌলিক গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে " রাজশেখর বসু সংখ্যা" প্রকাশ করে তিনি দেখান, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের মৌল নিবন্ধ রচনা সম্ভব।

" যাঁরা বলেন বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয় তারা হয় বাংলা জানেন না অথবা বিজ্ঞান বোঝেন না."
 
সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

মৃত্যু

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

  • Bose, Satyendra Nath (১৯২৪), "Plancks Gesetz und Lichtquantenhypothese", Zeitschrift für Physik (German ভাষায়), 26: 178–81, ডিওআই:10.1007/BF01327326, বিবকোড:1924ZPhy...26..178B  on Planck's law.
  • Pais, Abraham (১৯৮২), Subtle is the Lord...: The Science and Life of Albert Einstein, Oxford and New York: Oxford University Press, পৃষ্ঠা 423–34, আইএসবিএন 0-19-853907-X .
  • Saha; Srivasthava, Heat and thermodynamics .
  • Pitaevskii, Lev; Stringari, Sandro (২০০৩), Bose–Einstein Condensation, Oxford: Clarendon Press .
  • Wali, Kameshwar C (২০০৯), Satyendra Nath Bose: his life and times (selected works with commentary), Singapore: World Scientific, আইএসবিএন 981-279-070-5 
  • ও'কনর, জন জে.; রবার্টসন, এডমুন্ড এফ., "Satyendra Nath Bose", ম্যাকটিউটর গণিতের ইতিহাস আর্কাইভ, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় 
  • "Bosons – The Birds That Flock and Sing Together", Vigyan prasar, IN: The government, ২০০২, ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৪  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) (biography of Bose and Bose–Einstein Condensation).
  • S.N. Bose Scholars Program, Wisc, ১৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৪ .
  • The Quantum Indians: film on Bose, Raman and Saha by Raja Choudhury and produced by PSBT and Indian Public Diplomacy.

কোয়ান্টাম সংখ্যাতত্ত্বের সূত্র নির্ধারণ

Tags:

সত্যেন্দ্রনাথ বসু জন্ম ও পরিবারসত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষাসত্যেন্দ্রনাথ বসু কর্মজীবনসত্যেন্দ্রনাথ বসু বোস- আইনস্টাইন সংখ্যাতত্ত্বসত্যেন্দ্রনাথ বসু বোস ও নোবেল পুরস্কারসত্যেন্দ্রনাথ বসু সম্মাননাসত্যেন্দ্রনাথ বসু মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চাসত্যেন্দ্রনাথ বসু মৃত্যুসত্যেন্দ্রনাথ বসু তথ্যসূত্রসত্যেন্দ্রনাথ বসু বহিঃসংযোগসত্যেন্দ্রনাথ বসুআলবার্ট আইনস্টাইনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজগাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়পদার্থবিজ্ঞানপ্রফুল্লচন্দ্র রায়বাংলা ভাষাবাঙালিবিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানমারি ক্যুরিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

তাসনিয়া ফারিণঐশ্বর্যা রাইঋগ্বেদঊষা (পৌরাণিক চরিত্র)বাংলাদেশী অভিনেত্রীদের তালিকাঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরশাহবাজ আহমেদ (ক্রিকেটার)দুবাইনামাজদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানবিদায় হজ্জের ভাষণমানবজমিন (পত্রিকা)ফারাক্কা বাঁধছোটগল্পবাল্যবিবাহমুতাজিলাজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেট্রাভিস হেডফুটবলভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাআবদুল মোনেমজিয়াউর রহমানইশার নামাজবক্সারের যুদ্ধজোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনপথের পাঁচালীবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশের ইউনিয়নমিজানুর রহমান আজহারীহারুনুর রশিদলক্ষ্মীপুর জেলাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআনন্দবাজার পত্রিকানিমটাঙ্গাইল জেলাগায়ত্রী মন্ত্রখুলনা জেলাকালেমাদেব (অভিনেতা)হুমায়ূন আহমেদ২০২৪ কোপা আমেরিকাআবহাওয়ামঙ্গল গ্রহসূরা কাফিরুনঅণুজীবচট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসপর্নোগ্রাফিসজনেমুসামাইকেল মধুসূদন দত্তঅক্ষয় তৃতীয়াচন্দ্রযান-৩এইচআইভি/এইডসজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়লোকনাথ ব্রহ্মচারীদারাজমহাস্থানগড়বেলি ফুলর‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নবিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসকামরুল হাসানশিয়া ইসলামযৌনসঙ্গমগীতাঞ্জলিবাংলাদেশ রেলওয়েচীনখলিফাদের তালিকাশুক্রাণুডিএনএএশিয়াইসরায়েল–হামাস যুদ্ধআইজাক নিউটনভাষাদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনব্যক্তিনিষ্ঠতাচুয়াডাঙ্গা জেলা🡆 More