মার্কো আসেন্সিও উইলেমসেন (স্পেনীয়: Marco Asensio, স্পেনীয় উচ্চারণ: ; জন্ম: ২১ জানুয়ারি ১৯৯৬; মার্কো আসেন্সিও নামে সুপরিচিত) হলেন একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্কো আসেন্সিও উইলেমসেন | ||
জন্ম | ২১ জানুয়ারি ১৯৯৬ | ||
জন্ম স্থান | পালমা, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৮২ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জার্সি নম্বর | ১১ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৩–২০০৬ | পাতজেস কালভিয়া | ||
২০০৬–২০১৩ | মায়োর্কা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৩–২০১৪ | মায়োর্কা বি | ১৪ | (৩) |
২০১৩–২০১৪ | মায়োর্কা | ৫৬ | (৭) |
২০১৪– | রিয়াল মাদ্রিদ | ১৩৪ | (২১) |
২০১৪–২০১৫ | → মায়োর্কা (ধার) | ১৯ | (৩) |
২০১৫–২০১৬ | → এস্পানিওল (ধার) | ৩৪ | (৪) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ | ২ | (০) |
২০১৪–২০১৫ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ | ১২ | (৮) |
২০১৫–২০১৭ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ১৮ | (৭) |
২০২১ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ | ৭ | (১) |
২০১৬– | স্পেন | ২৫ | (১) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১:৫৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৮:৪২, ৭ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
২০০৩–০৪ মৌসুমে, স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব পাতজেস কালভিয়ার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে আসেন্সিও ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে মায়োর্কার যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৩–১৪ মৌসুমে, প্রথমে মায়োর্কা বি এবং পরবর্তীতে মায়োর্কার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; মায়োর্কার হয়ে তিনি ৫৬ ম্যাচে ৭টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০১৪–১৫ মৌসুমে তিনি প্রায় ৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করেছেন। মাঝে তিনি মায়োর্কা এবং এস্পানিওলে এক মৌসুম করে অতিবাহিত করেছেন।
২০১২ সালে, আসেন্সিও স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে স্পেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৩ বছর যাবত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৬ সালে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; স্পেনের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ২৫ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। তিনি স্পেনের হয়ে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, আসেন্সিও বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৫ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের গোল্ডেন খেলোয়াড়ের পুরস্কার অন্যতম। দলগতভাবে, আসেন্সিও এপর্যন্ত ১০টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৯টি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এবং ১টি স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
মার্কো আসেন্সিও উইলেমসেন ১৯৯৬ সালের ২১শে জানুয়ারি তারিখে স্পেনের পালমায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবা স্পেনীয় বংশোদ্ভূত হলেও তার মা ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত ছিলেন। তার মা মারিয়া উইলেমসেন ১৫ বছর বয়সে ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছেন। আসেন্সিও তার শৈশবে হাঁটুতে বৃদ্ধি ঘাটতির সাথে লড়াই করেছিলেন, যা তার কিশোর বয়সে কমে গিয়েছিল।
আসেন্সিও স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬, স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯, স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ এবং স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২০১৫ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মাধ্যমে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দশমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। ২০১৭ স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে তিনি ২০১৭ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন, উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে পূর্ণ সময় শেষে তার দল জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় স্পেনের প্রথমে তিনি হ্যাট্রিক করেছিলেন। আসেন্সিও জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে স্থান পেয়েছিলেন; যেখানে তিনি ৬ ম্যাচে ১টি গোল করার পাশাপাশি রৌপ্য পদক জয়লাভ করেছেন। স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ৫ বছরে ৩৯ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ১৬টি গোল এবং ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৩ই নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রথমবারের মতো গোল করেছেন।
২০১৬ সালের ২৯শে মে তারিখে, মাত্র ২০ বছর ৪ মাস ৮ দিন বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী আসেন্সিও বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তবে উক্ত ম্যাচের ৬০তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইনিয়াকি উইলিয়ামসের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন; ম্যাচে তিনি ০০ নম্বর জার্সি পরিধান করে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। ম্যাচটি স্পেন ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। স্পেনের হয়ে অভিষেকের বছরে আসেন্সিও সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ২ বছর ৩ মাস ১৩ দিন পর, স্পেনের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০১৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ক্রোয়েশিয়া বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।
আসেন্সিও রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ফের্নান্দো ইয়েরোর অধীনে ঘোষিত স্পেন দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। ২০১৮ সালের ২০শে জুন তারিখে, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন। উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
আসেন্সিওর বাবা গিলবের্তো (একজন বাস্ক বংশোদ্ভূত, যিনি জার্মানির এসেনে তার শৈশব কাটিয়েছিলেন) একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে বারাকালদো যুব দলে খেলেছিলেন; আসেন্সিওর বড় ভাই ইগর পাতজেস কালভিয়ার হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
২০১৭ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আসেন্সিও তার গোল উদযাপনে তার পরিবারকে উৎসর্গ করে বলেছিলেন, "আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি যদি গোল করি, তবে তারা যেখানে আছে আমি সেখানে দৌড়ে যাব। আমি জানতাম তারা কোথায় ছিল এবং আমি সেটাই করেছি।"
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
স্পেন | ২০১৬ | ২ | ০ |
২০১৭ | ৬ | ০ | |
২০১৮ | ১২ | ১ | |
২০১৯ | ৪ | ০ | |
২০২০ | ১ | ০ | |
সর্বমোট | ২৫ | ১ |
গোল | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | মানুয়েল মার্তিনেস ভালেরো স্টেডিয়াম, এলচে, স্পেন | ক্রোয়েশিয়া | ২–০ | ৬–০ | ২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগ |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মার্কো আসেন্সিও, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.