স্পেন জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección Española de Fútbol, ইংরেজি: Spain national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম স্পেনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২০ সালের ২৮শে আগস্ট তারিখে, স্পেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বেলজিয়ামের ব্রাসেল্সে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে স্পেন বেলজিয়ামকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
ডাকনাম | লা রোহা (লাল) লা ফুরিয়া রোহা (লাল ক্রোধ) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | লুইস এনরিকে | ||
অধিনায়ক | সার্জিও রামোস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | সার্জিও রামোস (১৭৫) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ডেভিড ভিয়া (৫৯) | ||
মাঠ | বিভিন্ন | ||
ফিফা কোড | ESP | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৮ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩) | ||
সর্বোচ্চ | ১ (জুলাই ২০০৮ – জুন ২০০৯, অক্টোবর ২০০৯ – মার্চ ২০১০, জুলাই ২০১০ – জুলাই ২০১১, অক্টোবর ২০১১ – জুলাই ২০১৪) | ||
সর্বনিম্ন | ২৫ (মার্চ ১৯৯৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩ ৩ (১২ জানুয়ারি ২০২৪) | ||
সর্বোচ্চ | ১ (সেপ্টেম্বর ১৯২০ – মে ১৯২৪, সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর ১৯২৫, জুন ২০০৮ – জুন ২০০৯, জুলাই ২০১০ – জুন ২০১৩) | ||
সর্বনিম্ন | ১৯ (জুন–অক্টোবর ১৯৬৯, নভেম্বর ১৯৯১) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
স্পেন ১–০ ডেনমার্ক (ব্রাসেল্স, বেলজিয়াম; ২৮ আগস্ট ১৯২০) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
স্পেন ১৩–০ বুলগেরিয়া (মাদ্রিদ, স্পেন; ২২ আগস্ট ১৯৩৩) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
স্পেন ১–৭ ইতালি (আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস; ৪ জুন ১৯২৮) ইংল্যান্ড ৭–১ স্পেন (লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৯ ডিসেম্বর ১৯৩১) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১৫ (১৯৩৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০১০) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ১১ (১৯৬৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯৬৪, ২০০৮, ২০১২) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ২ (২০০৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | রানার-আপ (২০১৩) |
লা রোহা নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন লুইস এনরিকে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সার্জিও রামোস।
স্পেন ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ১ বার (২০১০) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও স্পেন অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৩টি (১৯৬৪, ২০০৮, ২০১২) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্পেনের সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৯২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয়লাভ করা।
ডেভিড ভিয়া, রাউল গোনসালেস, ইকার ক্যাসিয়াস, জাভি হার্নান্দেজ এবং আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার মতো খেলোয়াড়গণ স্পেনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
২০০৮ সালের ১৫ই জুলাই তারিখে ভিসেন্তে দেল বস্ক লুইস আরাগোনেজের স্থলাভিষিক্ত হয়ে স্পেনের কোচের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে স্পেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই-পর্বে উয়েফা অঞ্চলের গ্রুপ-৫ থেকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয় এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। এ পর্যায়ে তারা বসনিয়া ও হারজেগোভিনা, আর্মেনিয়া, সার্বিয়া এই তিনটি দলের বিপক্ষে জয়লাভ করেছিল। এর মধ্যে সার্বিয়া দলের বিপক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে বোজান ক্রিকের অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তী পর্বে এস্তোনিয়া এবং বেলজিয়ামকে হারিয়ে শতভাগ জয় নিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ঠাঁয় পায় দলটি।
১৬ই জুন বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড ১–০ গোলে জয় পায়। এরপর স্পেন গ্রুপ-এইচ থেকে পরের দুই খেলায় জয়ী হয়ে ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হয়। পর্তুগালকে ১–০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে। ৭ জুলাইয়ের সেমি-ফাইনালে জার্মানিকে ১–০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে। টোটাল ফুটবলের দেশ নেদারল্যান্ডকে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা'র জয়সূচক গোলে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে স্পেন তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে স্পেনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৯। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৬ | নেদারল্যান্ডস | ১৭৪৫.৪৮ | |
৭ | পর্তুগাল | ১৭৪৫.০৬ | |
৮ | স্পেন | ১৭৩২.৬৪ | |
৯ | ইতালি | ১৭১৮.৮২ | |
১০ | ক্রোয়েশিয়া | ১৭১৭.৫৭ |
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১ | আর্জেন্টিনা | ২১৩৮ | |
২ | ১ | ফ্রান্স | ২১১০ |
৩ | ৩ | স্পেন | ২০৩৩ |
৩ | ২ | পর্তুগাল | ২০৩৩ |
৫ | ৩ | ইংল্যান্ড | ২০১৫ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৫ম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | ২ | ২ | ০ | ০ | ১১ | ১ | |
১৯৩৮ | প্রত্যাখ্যান | প্রত্যাখ্যান | |||||||||||||
১৯৫০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ১০ | ১২ | ২ | ১ | ১ | ০ | ৭ | ৩ | |
১৯৫৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৬ | ৩ | ||||||||
১৯৫৮ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১২ | ৮ | |||||||||
১৯৬২ | গ্রুপ পর্ব | ১৩তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৩ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ৭ | ৪ | |
১৯৬৬ | গ্রুপ পর্ব | ১০ম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ২ | |
১৯৭০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ২ | ২ | ২ | ১০ | ৬ | ||||||||
১৯৭৪ | ৫ | ২ | ২ | ১ | ৮ | ৫ | |||||||||
১৯৭৮ | গ্রুপ পর্ব | ১০ম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ২ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৪ | ১ | |
১৯৮২ | দ্বিতীয় পর্ব | ১২তম | ৫ | ১ | ২ | ২ | ৪ | ৫ | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | ||||||
১৯৮৬ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৭ম | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১১ | ৪ | ৬ | ৪ | ০ | ২ | ৯ | ৮ | |
১৯৯০ | ১৬ দলের পর্ব | ১০ম | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ৪ | ৮ | ৬ | ১ | ১ | ২০ | ৩ | |
১৯৯৪ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৮ম | ৫ | ২ | ২ | ১ | ১০ | ৬ | ১২ | ৮ | ৩ | ১ | ২৭ | ৪ | |
১৯৯৮ | গ্রুপ পর্ব | ১৭তম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৮ | ৪ | ১০ | ৮ | ২ | ০ | ২৬ | ৬ | |
২০০২ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৫ম | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ১০ | ৫ | ৮ | ৬ | ২ | ০ | ২১ | ৪ | |
২০০৬ | ১৬ দলের পর্ব | ৯ম | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৯ | ৪ | ১২ | ৬ | ৬ | ০ | ২৫ | ৫ | |
২০১০ | ফাইনাল | ১ম | ৭ | ৬ | ০ | ১ | ৮ | ২ | ১০ | ১০ | ০ | ০ | ২৮ | ৫ | |
২০১৪ | গ্রুপ পর্ব | ২৩তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৭ | ৮ | ৬ | ২ | ০ | ১৪ | ৩ | |
২০১৮ | ১৬ দলের পর্ব | ১০ম | ৪ | ১ | ৩ | ০ | ৭ | ৬ | ১০ | ৯ | ১ | ০ | ৩৬ | ৩ | |
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ১টি শিরোপা | ১৫/২১ | ৬৩ | ৩০ | ১৫ | ১৮ | ৯৯ | ৭২ | ১১৭ | ৮১ | ২৫ | ১১ | ২৭৬ | ৭৪ |
শিরোপা
| পুরস্কার
|
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article স্পেন জাতীয় ফুটবল দল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.