বাংলা খেঁকশিয়াল

বাংলা খেঁকশিয়াল (বৈজ্ঞানিক নাম: Vulpes bengalensis) একপ্রজাতির খেঁকশিয়াল।একে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। বাংলায় একে হেড়ল নামে ডাকা হয়।কয়েক বছরে এদের সংখ্যা কমছে, তবে আশঙ্কাজনক হারে গিয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই.

ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

বাংলা খেঁকশিয়াল
বাংলা খেঁকশিয়াল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: মাংশাশী
পরিবার: Canidae
গণ: Vulpes
প্রজাতি: V. bengalensis
দ্বিপদী নাম
Vulpes bengalensis
(Shaw, 1800)
বাংলা খেঁকশিয়াল
বিস্তৃতি
প্রতিশব্দ

Canis kokree
Canis rufescens
Canis indicus
Vulpes xanthura

দৈহিক গঠন

বাংলা খেঁকশিয়াল 
বাংলা খেঁকশিয়ালের করোটি

বাংলা খেঁকশিয়াল একটি মাঝারি আকৃতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৪৫-৬০ সেমি এবং লেজ ২৫-৩৫ সেমি। ওজন ১.৮-৩.২ কেজি। মাজল সরু এবং মাজলের উপরের অংশে লোমের ছোট পট্টি চোখে পড়ে। কান দেহের তুলনায় বড়। মাথা সরু। লেজ দেহের অর্ধেকেরও বেশি লম্বা। আঙুলের উপর ভর করে চলাফেরা করে। সামনের পায়ে আঙুল পাঁচটি ও পিছনে চারটি। ছেদন দন্ত তীক্ষ্নসূঁচালো ও পেষন দন্ত সুগঠিত। দন্ত সংকেত: কর্তন ৩/৩; ছেদন ১/১; অগ্রপেষন ৪/৪; পেষন ২/৩।

বর্ণ

মৌসুম ও বয়সভেদে বাংলা খেঁকশিয়ালের বর্ণের তারতম্য হয়ে থাকে। পিঠ সাদা ডোরাসহ লালচে-ধূসর। দেহের পাশ পিঠের তুলনায় বেশি ধূসর। দেহতল সাদাটে। বুকের নিচের অংশ ও তলপেট ফ্যাকাশে লালচে-হলুদ কিংবা হালকা পীত-সাদা। অবসারণীর দিকে লালচে ভাব বেশি। এর কাঁধে কোন আড়াআড়ি ফিতার মত দাগ থাকে না। পায়ের বাইরের অংশ উজ্জ্বল লালচে। চোখের সামনে মাজলের পাশে একটি করে কালো চিতি থাকে। কানের বাইরের অংশ ধূসর ও ভিতরের অংশ সাদাটে। ঋতু ও উপপ্রজাতি ভেদে পিঠের পিলেজের রঙে তারতম্য হতে পারে। তবে সাধারণত পিলেজ তামাটে-ধূসর। কানের কালচে-বাদামি পিলেজের প্রান্তদেশ কালো। বাংলা খেঁকশিয়ালের সবচেয়ে চোখে পড়ার মত অঙ্গটি হল এর বড় ঝাঁকড়া লেজ। লেজ ধূসর ও লেজের উপরিভাগ লালচে। লেজের আগা কালো।

বিস্তৃতি

বাংলা খেঁকশিয়াল 
বাংলা খেঁকশিয়াল, মরুভূমি জাতীয় উদ্যানের, জয়শালমের ভারত, একটি সাধারণ বাসিন্দা

কেবল আর্দ্র বনাঞ্চল ও চরম শুষ্ক এলাকা ছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে এদের দেখা যায়। উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের তেরাই অঞ্চল থেকে ভারতের একেবারে দক্ষিণ পর্যন্ত এবং পশ্চিমে পাকিস্তানের সিন্ধু উপত্যকা থেকে পূর্বে বাংলাদেশ পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি সীমাবদ্ধ।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Carnivora

Tags:

বাংলা খেঁকশিয়াল দৈহিক গঠনবাংলা খেঁকশিয়াল বিস্তৃতিবাংলা খেঁকশিয়াল তথ্যসূত্রবাংলা খেঁকশিয়াল বহিঃসংযোগবাংলা খেঁকশিয়াল

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

গোত্র (হিন্দুধর্ম)সাকিব আল হাসানহজ্জলিওনেল মেসিমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ভারতশিয়া ইসলামঢাকা জেলাণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানরক্তশূন্যতাগাঁজাতামান্না ভাটিয়াকক্সবাজারপাকিস্তান১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকামানব দেহপুরুষে পুরুষে যৌনতাকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকুমিল্লা জেলাক্রিস্তিয়ানো রোনালদোবাউল সঙ্গীতবিশ্ব ব্যাংকজানাজার নামাজঅর্থনীতিইউক্রেনইবনে সিনান্যাটোবাংলাদেশের নদীর তালিকাচিকিৎসকবাণাসুরএইচআইভি/এইডসরামআর্কিমিডিসের নীতিকাতারসংস্কৃতিপশ্চিমবঙ্গে ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪চাকমাচ্যাটজিপিটিএম. জাহিদ হাসানবিশ্ব দিবস তালিকাঅসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাববিশেষ শাখা (বাংলাদেশ পুলিশ)এল নিনোবাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককাজলরেখাঅলিউল হক রুমিআলিআফগানিস্তানফজরের নামাজআনারসবাংলাদেশের জেলাবাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের তালিকাপর্যায় সারণিফুসফুসদি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশপ্রোফেসর শঙ্কুবগুড়া জেলাকাবাঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রশিবা শানুরাশিয়াগণতন্ত্রকোকা-কোলামহাত্মা গান্ধীরক্তনেতৃত্বরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসুদীপ মুখোপাধ্যায়ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবায়ুদূষণইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকাআসসালামু আলাইকুমবাংলাদেশের উপজেলাকৃষ্ণচূড়াবৌদ্ধধর্ম🡆 More