ক্র্যাব নেবুলা: বৃহৎ নবতারার অবশেষ

ক্র্যাব নেবুলা বা কাঁকড়া নীহারিকা (ক্যাটালগভুক্ত নাম এম১, এনজিসি১৯৫২, টরাস এ) হল বৃষ তারকামণ্ডলে অবস্থিত একটি সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ। উইলিয়াম পারসনস, রস-এর ৩য় আর্ল, ১৮৪০ সালে একটি ৩৬-ইঞ্চি টেলিস্কোপে মহাজাগতিক বস্তুটি পর্যবেক্ষণ করে একটি চিত্র এঁকেছিলেন, যা একটি কাঁকড়ার মত আকৃতিসম্পন্ন; এভাবেই এটি বর্তমান নাম পেয়েছে। নীহারিকাটি ১০৫৪ সালে চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণকৃত একটি উজ্জ্বল সুপারনোভার উৎসস্থল। এটিই ছিল প্রথম আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তু যার সঙ্গে ঐতিহাসিক কোন পর্যবেক্ষণের সম্পর্ক রয়েছে।

ক্র্যাব নেবুলা (কাঁকড়া নীহারিকা)
নীহারিকা
ক্র্যাব নেবুলা: বৃহৎ নবতারার অবশেষ
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ক্যামেরা ২ এর তোলা ২৪টি চিত্রের সমন্বিত মোজাইক চিত্র (অক্টোবর ১৯৯৯, জানুয়ারি ২০০০, এবং ডিসেম্বর ২০০০ এ ধারণকৃত)
পর্যবেক্ষণ তথ্য: জে২০০০.০ পিপোচ
বিষুবাংশ ০৫ ৩৪মি ৩১.৯৪সে
বিষুবলম্ব+২২° ০০′ ৫২.২″
দূরত্ব৬৫০০±১৬০০ আলোকবর্ষ   (২০০০±৫০০ pc)
আপাত ব্যাস (ভি)+৮.৪
আপাত মাত্রা (ভি)৪২০″ × ২৯০″[b]
নক্ষত্রমণ্ডলবৃষ
শারীরিক বৈশিষ্ট্যাবলী
ব্যাসার্ধ~৫.৫ ly   (~১.৭ pc)
পরম মান (ভি)−৩.১±০.৫[c]
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যদৃশ্যমান পালসার
উপাধিমেসিয়ে ১, এনজিসি ১৯৫২, টরাস এ (বৃষ এ), এসএইচ২-২৪৪
আরও দেখুন: নীহারিকার তালিকা

নীহারিকাটির আপাত ব্যাস ৮.৪, (শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানের সমতুল্য) যা খালি চোখে দেখা যায় না, তবে উপযুক্ত পরিবেশে দূরবীক্ষণে দেখা যেতে পারে। নীহারিকাটি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের পার্সিয়াস বাহুতে অবস্থিত, এবং পৃথিবী থেকে দূরত্ব প্রায় ২.০ kiloparsec (৬,৫০০ ly)। এর ব্যাস প্রায় ৩.৪ parsec (১১ ly), এবং আদি সুপারনোবার বর্জিত শক্তির ফলে বর্তমানে ~১,৫০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড (৯৩০ mi/s) বেগে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।

নেবুলারটির কেন্দ্রে ক্র্যাব পালসার অবস্থিত, যার ব্যাস ২৮–৩০ কিলোমিটার (১৭–১৯ মা) এবং ৩০.২ বার প্রতি সেকেন্ড হারে ঘুর্ণায়মান। নিউট্রন তারাটি নিয়মিত গামা রশ্মি থেকে শুরু করে বেতার পর্যন্ত বিকিরণ প্রদান করে। ৩০ keV এর অধিক এক্স-রশ্মি এবং গামা রশ্মি শক্তির পর্যবেক্ষণে সাধারণত ক্র্যাব নেবুলাই আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল উৎস, এবং ১০ TeV এরও বেশি ফ্লাক্স পরিমাপ করা হয়েছে। নেবুলাটির বিকিরণের মাধ্যমে এর আলোকে বাধাদানকারী মহাজাগতিক বস্তুসমূহের পর্যবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়েছে। ১৯৫০ এবং ১৯৬০ দশকে সুর্যের করোনা (সৌরমুকুট) পর্যবেক্ষণে ওই স্থান দিয়ে আগত ক্র্যাব নেবুলার বেতার বিকিরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে শনির টাইটান উপগ্রহের বায়ুমণ্ডলের পুরুত্ব পরিমাপ করা হয়েছিল ক্র্যাব নেবুলার এক্স-রশ্মিকে এর বাধাদানের পরিমাণ থেকে।

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

Tags:

কাঁকড়াবৃষ (তারকামণ্ডল)

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ফরাসি বিপ্লবশবনম বুবলিনোবেল পুরস্কারদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাবাংলাদেশের নদীর তালিকাউদ্ভিদকোষপথের পাঁচালীবহিপীরজাহানারা ইমামইসলামের নবি ও রাসুলব্রুনাইমহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকালবৈশাখীরাগ (সংগীত)ব্যাকটেরিয়াজাতীয় স্মৃতিসৌধপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাজ্বীন (চলচ্চিত্র)পলাশীর যুদ্ধযৌনসঙ্গমগঙ্গা নদীরোমানিয়াভরিঅভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কালো জাদুমাহিয়া মাহিসূরা ফালাকমুঘল সাম্রাজ্যরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবনরসিংদী জেলাহস্তমৈথুনের ইতিহাসবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানযতিচিহ্নহিরো আলমসমাসকবিতাশেখ মুজিবুর রহমানআর্কিমিডিসের নীতিআলীজয়নুল আবেদিনশান্তিনিকেতনবাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাশিববাংলা একাডেমিহিন্দি ভাষাঅসহযোগ আন্দোলন (ব্রিটিশ ভারত)বিশ্বের ইতিহাসঘূর্ণিঝড়মাতৃস্বাস্থ্যজীবনানন্দ দাশরশ্মিকা মন্দানাভূমিকম্পত্রিভুজধর্ষণমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিবাংলাদেশী পাসপোর্টপথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)হোমিওপ্যাথিইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকাতিন নেতার মাজারময়মনসিংহমাটিনগরায়নসৈয়দ মুজতবা আলীবাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষভারতের স্বাধীনতা বিপ্লবীদের তালিকাআন্দ্রে রাসেলবঙ্গবন্ধু সেতুমোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীশ্রাদ্ধহার্নিয়াহাসান ফয়েজ সিদ্দিকীবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাকালিদাসএকাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকামুহাম্মদ ইউনূস🡆 More