আকসাই চীন: ভারত ও চীনের মাঝখানের একটি অঞ্চল

আকসাই চীন (চীনা: 阿克赛钦; ফিনিন: Ākèsài Qīn; উইগুর ভাষায়: ﺋﺎﻗﺴﺎﻱ ﭼﯩﻦ‎;) হল ভারত ও চীন এর মধ্যকার এক বিতর্কিত অঞ্চল।ভারতের মতে এটি ভারতের জম্বু এবং কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখের অংশ। অপর পক্ষ চীন এর মতে, আকসাই চীন তাদের জিংজিয়াং প্রদেশের অংশ। এই অঞ্চলটির আয়তন ৩৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের আগে আকসাই চীন কাশ্মীর অঞ্চলের অংশ ছিল। যুদ্ধের পর অঞ্চলটি চীন এর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।এই অঞ্চল নিয়ে এখনও ভারত ও চীনের মধ্য বিবাদ রয়েছে।মূলত এ অঞ্চল দিয়ে খুব সহজেই মধ্য এশিয়াতে প্রবেশ করা যায়। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় এটি বরফাচ্ছাদিত থাকে। তাছাড়া সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এ অঞ্চলের উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ফিট উপরে অবস্থিত।এটি প্রধানত বৌদ্ধ প্রধান এলাকা।

আকসাই চীন
চীন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল
তিয়ানসিয়ান চীনা সেনাবাহিনীর স্টেশন, আকসাই চীন
তিয়ানসিয়ান চীনা সেনাবাহিনীর স্টেশন, আকসাই চীন
Aksai Chin
বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলকে আকসাই চীনের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে।
স্থানাঙ্ক: ৩৫°৭′ উত্তর ৭৯°৮′ পূর্ব / ৩৫.১১৭° উত্তর ৭৯.১৩৩° পূর্ব / 35.117; 79.133
সংস্কৃতি
 • ভাষাউইঘুর; ম্যান্ডারিন

নাম

আকসাই চিন- এর "চিন" শব্দটির অর্থের ব্যাপারে সঠিক কোন ধারণা পাওয়া যায়না। তুর্কি ভাষা বংশের একটি শব্দ হিসাবে, আক্ষরিকভাবে "সাদা শ্বেতপাথর" বলে বোঝায় যার পক্ষে মত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আধুনিক পশ্চিমা, চীনা, এবং ভারতীয় উৎসের। আধুনিক মতে এর অর্থ "সাদা ছোট নদী"। শুধু একটি উৎস মতে এর অর্থ উইঘুর উপভাষায় "পূর্ব". কিন্তু চিন শব্দটির অর্থ চীনের ক্ষেত্রে বিতর্কিত। এই অঞ্চলের চীনা নাম হল 阿克赛钦। এটি চিনের জনগণের জন্য নির্বাচিত চীনা অক্ষরগুলির দ্বারা গঠিত, , যা চীনা ভাষায় শব্দটির অর্থ ব্যতিরেখে।

ইতিহাস

৫০০০ মিটার (১৬,০০০ ফুট) উচ্চতার কারণে, আকসাই চিনের ধ্বংসস্থান গুলি দেখে বোঝা যায় যে এটি প্রাচীন বাণিজ্য পথ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে মানুষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, যা গ্রীষ্মকালে জিনজিয়াং ও তিব্বতের কার্নিভালের জন্য একটি অস্থায়ী পাস বা গিরিপথ ছিল। সামরিক অভিযানের জন্য, এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল, কারণ তারিম উপত্যকার থেকে তিব্বত পর্যন্ত একমাত্র পথ ছিল যা সারাবছর ধরে কার্যকর ছিল। দিজুঙ্গার খানকে ১৭১৭ সালে তিব্বতে প্রবেশের জন্য এই রুটটি ব্যবহার করেছিলেন।

জনজাতি

চীনের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি, আকসাই চিনের বাসিন্দাদের অধিকাংশ অংশই বকরওয়ালের মতো ভ্রাম্যমাণ গোষ্ঠীর সদস্য যারা নিয়মিতভাবে এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। পরিচিত বসতিগুলি হল টিয়ানশুইহাই শহর এবং তিলংঘন গ্রাম।

তথ্যসমূহ

Tags:

আকসাই চীন নামআকসাই চীন ইতিহাসআকসাই চীন জনজাতিআকসাই চীন তথ্যসমূহআকসাই চীনwikt:阿克赛钦উইগুর ভাষাচীনফিনিনভারতসরলীকৃত চীনা অক্ষর

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের তালিকালোকনাথ ব্রহ্মচারীঅষ্টাঙ্গিক মার্গজয়নুল আবেদিনসমাজবিজ্ঞানঅকাল বীর্যপাতফিলিস্তিনের ইতিহাসবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকাকাঠগোলাপনিউমোনিয়াচুম্বকমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনবাংলাদেশ নৌবাহিনীভূমি পরিমাপঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকানারায়ণগঞ্জ জেলাঅপু বিশ্বাসইংরেজি ভাষাজসীম উদ্‌দীনআল-আকসা মসজিদবাংলাদেশের ইতিহাসভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাসাতই মার্চের ভাষণঅর্থনীতিকবিতাযোনি পিচ্ছিলকারকসৌরজগৎসিলেট বিভাগদুর্গাপূজাশাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিখাদ্যসাপবাস্তুতন্ত্রতাপমাত্রাসুমন কাঞ্জিলালবঙ্গবন্ধু সেতুযুক্তরাজ্যকুরআনের সূরাসমূহের তালিকামুহাম্মাদজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাবিবর্তনদুরুদআমাশয়অ্যান্টিবায়োটিক তালিকাবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহলালনজয় চৌধুরীসূর্যশেখ মুজিবুর রহমানআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকারকশিল্প বিপ্লবরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কালো জাদুসংস্কৃতিসংস্কৃত ভাষাঅজিত কুমার পাঁজানিমব্রিটিশ ভারতলিভারপুল ফুটবল ক্লাবমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বিড়ালবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলবাংলাদেশের জেলাকৃষ্ণআসিয়ানগাজীপুর জেলাভৌগোলিক নির্দেশকনাটকবাংলাদেশের বন্দরের তালিকাউজবেকিস্তানবিশেষ্যঅরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামবাংলাদেশের ইউনিয়নআমার সোনার বাংলা২০২২ ফিফা বিশ্বকাপশ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি🡆 More