অনিতা দেসাই (জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৩৭ সাল) একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র একজন মানবিক বা হিউম্যানেটি বিষয়ে এমারিতা জন.ই বর্হার্ড অধ্যাপক। একজন লেখিকা হিসেবে তিনি বুকার পুরস্কারের জন্য বারবার নির্বাচিত হয়েছেন; তিনি ১৯৭৮ সালে, তার উপন্যাস ফায়ার অন দি মাউন্টেন-এর জন্য, সাহিত্য একাডেমী, ভারতের সাহিত্যানুশীলনের জাতীয় একাডেমী থেকে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন; তিনি দ্যা ভিলেজ বাই দ্যা সি উপন্যাসের জন্য ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পুরস্কার জিতেছিলেন।
অনিতা দেসাই | |
---|---|
জন্ম | অনিতা মজুমদার ২৪ জুন ১৯৩৭ মসুরী, গাড়য়াল রাজ্য (বর্তমানে-উত্তরাখন্ড, ভারত) |
পেশা | লেখিকা, অধ্যাপিকা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
সময়কাল | ১৯৬৩–বর্তমান |
ধরন | কথাসাহিত্য |
সন্তান | কিরণ দেসাই |
একজন জার্মান মা, টনি নাইম এবং একজন বাঙালি ব্যবসায়ী ড.এন মজুমদার কন্যা অনিতা মজুমদার ভারতের মুসৌরীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বাড়িতে জার্মান ভাষা এবং বাড়ির বাইরে বাংলা, উর্দু, হিন্দি এবং ইংরেজি শিখে বড়ো হয়েছেন। যাইহোক, তিনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে জীবনে কখনও জার্মানি ভ্রমণ করেন নি। তিনি প্রথমে স্কুলে ইংরেজিতে পড়তে এবং লিখতে শিখেছিলেন এবং এর ফলে ইংরেজি তার "সাহিত্য ভাষা" হয়ে উঠেছিল। তিনি সাত বছরের বয়সে ইংরেজিতে লিখতে শুরু করেন এবং নয় বছর বয়সে তার প্রথম গল্পটি প্রকাশ করেন।
তিনি দিল্লির কুইন মেরি এর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী ছিলেন এবং ১৯৫৭ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউস থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ ডিগ্রি পেয়েছিলেনস। পরের বছর তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানীর পরিচালক এবং ইনারেসিটিস: লাইফ অ্যান্ড দ্য কসমস এ আইডিয়াস বইটির লেখক আশভিন দেসাইকে বিবাহ করেন।
তাদের চার সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে বুকার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাসিক কিরণ দেসাই। তার সন্তানদের সপ্তাহান্তে থুল (আলীবাগের কাছাকাছি) নিয়ে যাওয়া হত, যেখানের উপর ভিত্তি করে অনিতা দেসাই 'দি ভিলেজ বাই দ্য সি' উপন্যাসটি লিখেছিলেন। যে কাজের জন্য তিনি ১৯৮৩ সালে গার্ডিয়ান চিলড্রেন'স কথাসাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন, ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিকদের একটি প্যানেল দ্বারা বিচারপ্রাপ্ত একটি-জীবনের একবার মাত্র বই হিসাবে।
১৯৬৩ সালে আনিতা দেসাই তার প্রথম উপন্যাস ক্রাই দ্য পিকক প্রকাশ করেন। তিনি ক্লিয়ার লাইট অব দি ডে (১৯৮০) তার সবচেয়ে আত্মজীবনীমূলক কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন কারণ এটি তার বয়সের বৃদ্ধি এবং সেই একই এলাকা যেখানে তিনি বড়ো হয়েছেন সেখানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়।
১৯৮৪ সালে, তিনি ইন কাস্টডি প্রকাশিত করেন - তার পড়ন্ত দিনগুলিতে লেখা একটি উর্দু কবির সম্পর্কে একটি উপন্যাস- যা বুকার পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছিল।
১৯৯৯ সালে বুকার পুরস্কারে তার লেখা উপন্যাস ফাস্টিং, ফেস্টিং তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে। তার উপন্যাস, দি জিগজ্যাগ ওয়ে, ২০ শতকের মেক্সিকোর বিষয়ে লিখা হয়েছে যা ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং তার সর্বশেষ সংকলনের গল্প, দ্য আর্টিস্ট অব ডিসএপিয়ারেন্স ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়।
আনিতা দেসাই মাউন্ট হোলুক কলেজ, বারুক কলেজ এবং স্মিথ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচারের, আর্টস অ্যান্ড লেটার্সের আমেরিকান একাডেমী এবং গ্রেটন কলেজ, কেমব্রিজের ফেলো (যাকে তিনি বৌমগার্টনারের বোম্বা উত্সর্গ করেছিলেন)।
১৯৯৩ সালে, তার উপন্যাস ইন কাস্টডি মার্কেটের আইভরি প্রোডাকসন্স দ্বারা একই নামের একটি ইংরেজি চলচ্চিত্রে নির্মিত হয়, যার পরিচালক ইসমাইল মার্চেন্ট এবং শাহরুখ হুসেন চিত্রনাট্যকার । এটি শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য ১৯৯৪ সালে ভারতে স্বর্ণপদক লাভ করে এবং এতে শশী কাপুর, শাবানা আজমী এবং ওম পুরি অভিনয় করেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article অনিতা দেসাই, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.