শঙ্খিনী

শঙ্খিনী বা ভোতালেজ কেউটে বা ডোরা কাল কেউটে বা ডোরা শঙ্খিনী বা শাঁখামুটি (ইংরেজি: Banded Krait) বৈজ্ঞানিক নাম: Bungarus fasciatus) হচ্ছে এলাপিডি পরিবারভুক্ত এক প্রকার বিষধর সাপ। এটি Bungarus গণের আওতাভুক্ত। এই সাপের বিস্তৃতি দেখা যায় ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। এটি কেউটে সাপের ভেতরে সবচেয়ে দীর্ঘ এবং এটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারে ২.১ মি (৬ ফু ১১ ইঞ্চি)।

শঙ্খিনী বা শঙ্খনী বা শাঁখামুটি
Banded krait
শঙ্খিনী
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: Vertebrata
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Elapidae
গণ: Bungarus
প্রজাতি: B. fasciatus
দ্বিপদী নাম
Bungarus fasciatus
(স্নাইডার, ১৮০১)
প্রতিশব্দ
  • Pseudoboa fasciata Schneider, 1801
  • Boa fasciata - Shaw, 1802
  • Bungarus annularis - Daudin, 1803

বর্ণনা

শঙ্খিনীদের সহজেই চিহ্নিত করা যায় তাদের সুপরিচিত কালোর মধ্যে হলুদ ডোরা দিয়ে। তবে হলুদের মধ্যে মাথা হতে লেজ পর্যন্ত সোজা কালো ডোরাও দেখে গেছে যদিও তা বিরল খুব। শঙ্খিনী/ডোরা কাল কেউটে সাপের দৈর্ঘ্য ১৫০ সেমি, সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ সেমি পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। সাপটি বেশ বড় হলেও সাপটির লেজের অংশটি ছোট ও ভোতা। সদ্য প্রস্ফুটিত অবস্থায় এদের দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ৪০ সেমি উল্লেখ করা হয়েছে। এই সাপটি সাধারনত মানুষ দেখলে পালানোর চেষ্টা করে। মাথা ঝোপ বা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। তখন ভোতা লেজটিকে অনেকে মাথা ভেবে ভুল করে।

স্বভাব

শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। সাধারণত মানুষ এড়িয়ে চলে। এমনকি বিরক্ত করলে শরীর পেঁচিয়ে মাথা শরীরের নিচে লুকিয়ে রাখে। বলা যায় মানুষের জন্য হুমকিস্বরুপ নয় মোটেও। তবে শিকারে বেশ দ্রুত। অন্য সাপ খায় বিশেষ করে রাসেল ভাইপারের মত বিষাক্ত সাপগুলিও। কাল কেউটে সাপ সমতল ভূমির উন্মুক্ত স্থানে বাস করে। তবে পাহাড়ি জলস্রোতেও এদের দেখা যায়। এরা ধীর গতিসম্পন্ন এবং তীব্র বিষ ধারণ করে। স্ত্রী সাপ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দেয় এবং ডিমের পরিস্ফুটনকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ডিমের পরিস্ফুটনের জন্য ৬১ দিন সময় লাগে।

বিস্তৃতি

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে ডোরা কাল কেউটে সাপকে বাংলাদেশের আবাসিক সাপ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ প্রজাতির সাপ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্যাপক বিস্তৃত। এরা ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস, ম্যাকাও, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনেই অংশে পাওয়া যায়।

অবস্থা

আইইউসিএন এটিকে বাংলাদেশে বিপন্ন এবং বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচনা করে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

শঙ্খিনী বর্ণনাশঙ্খিনী স্বভাবশঙ্খিনী বিস্তৃতিশঙ্খিনী অবস্থাশঙ্খিনী তথ্যসূত্রশঙ্খিনী বহিঃসংযোগশঙ্খিনী

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

০ (সংখ্যা)গুগলটাঙ্গাইল জেলা২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগসেন রাজবংশমিয়া খলিফাতরমুজচট্টগ্রাম বিভাগবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়পীযূষ চাওলাউসমানীয় উজিরে আজমদের তালিকাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিবাল্যবিবাহতৃণমূল কংগ্রেসবলরাজশাহী বিভাগহিমালয় পর্বতমালাঅভিষেক শর্মা (পাঞ্জাবের ক্রিকেটার)র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নবাংলাদেশের উপজেলাজসীম উদ্‌দীনবাংলাদেশ বিমান বাহিনীক্যাসিনোফিলিস্তিনগীতাঞ্জলিফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংপ্রোফেসর শঙ্কুমুহাম্মাদের সন্তানগণখেজুরজাকির নায়েকইসলামজগদীশ চন্দ্র বসুপায়ুসঙ্গমআকবরবিটিএসগুগল ম্যাপসএইচআইভিযকৃৎবুর্জ খলিফাগোপনীয়তাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মরত জেনারেলদের তালিকামুহাম্মদ ইউনূসঅস্ট্রেলিয়া (মহাদেশ)বেগম রোকেয়াপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদমুস্তাফিজুর রহমানপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমলোটে শেরিংকুরআনব্রাহ্মসমাজছিয়াত্তরের মন্বন্তরবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীবসন্ত উৎসবহাদিসময়মনসিংহশবনম বুবলিকুরআনের ইতিহাসলিওনেল মেসিবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসগোপাল ভাঁড়ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানস্ক্যাবিসহৃৎপিণ্ডঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকা১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহবীর্যচ্যাটজিপিটি২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব (এএফসি)মহাদেশমূত্রনালীর সংক্রমণআবদুল হামিদ খান ভাসানীকোস্টা রিকা জাতীয় ফুটবল দলমাহদীহোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীনীলদর্পণবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমসাইপ্রাসকোণ🡆 More