বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রথম সংক্রমণ ঘটে ৮ই মার্চ ২০২০ সালে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ও পরে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়। অতঃপর পুনরায় তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়। এরপরে পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ষষ্ঠ দফায় এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত এবং সর্বশেষ সপ্তম দফায় ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত হয়। এর মধ্যে ২৪-২৬ মে ঈদের ছুটি ছিল। সাধারণ ছুটির মধ্যে সারা দেশেই পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা ইত্যাদি অতি-প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ছাড়া গণপরিবহনও অবরুদ্ধ করা হয়।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ
করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯
২০২০ বাংলাদেশে অবরুদ্ধকরণ
তারিখসাধারণ ছুটি: ২৬ মার্চ ২০২০ (2020-03-26)– ৩০ মে ২০২০ (2020-05-30)
(৪ বছর, ১ মাস ও ২ দিন)। রোগ বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়, তবে পুরো দেশকে অবরুদ্ধকরণ করা হয়নি। সংক্রমণের পরিধি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
অবস্থান
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা
কারণবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী
লক্ষ্যসমূহবাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব হ্রাস করা
প্রক্রিয়াসমূহ
  • অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধকরণ
  • একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত মুক্ত চলাচল সীমাবদ্ধকরণ
  • জনসমাগম হয় এমন সকল আয়োজন বাতিল
  • নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ব্যাংক বাদে সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ
  • স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
  • সংক্রমিত ব্যক্তিদের নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা

দেশজুড়ে লকডাউন বা অবরুদ্ধকরণ আরোপ করা না হলেও আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা ইত্যাদি অবরুদ্ধকরণ করা হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট ৫৮টি জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

পরবর্তী আক্রান্তের ভিত্তিতে সবুজ, হলুদ ও লাল অঞ্চলে ভাগ করা হয় এবং অবরুদ্ধকরণ করা হয়। এরপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হয়।

পটভূমি

১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা প্রতিবেদনে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছিল যে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের মানুষের জন্য নভেল করোনাভাইরাস শ্বাসকষ্টের একটি কারণ ছিল। মানুষের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল। কোভিড-১৯ এর কারণে আক্রান্তের মৃত্যুহার ২০০৩-এর সার্স এর চেয়ে অনেক কম ছিল। তবে সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে এটা উল্লেখযোগ্য।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ প্রবাসী বাংলাদেশী ছিলেন যারা সবে ইতালি থেকে ফিরে এসেছিলেন এবং একজন মহিলা আত্মীয় ছিলেন, যিনি তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে সংক্রামিত হন।

অবরুদ্ধকরণ বা লকডাউন

২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমণ সংখ্যা ২,৯৪৮ জন। কিছু অঞ্চলে সম্প্রদায় সংক্রমণ হয়েছে বলে জানানো হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট ৫২টি জেলাকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অবরুদ্ধকরণ করা হয়। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল গাজীপুর জেলা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ঢাকায় সংক্রমণ অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীর বসবাসরত ভবন বা গলি অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার টোলারবাগ এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন মারা যাওয়ার পর অবরুদ্ধ করা হয়। এটিই ঢাকার অন্যতম প্রথম এলাকা যা অবরুদ্ধ করা হয়।

ঈদকে সামনে রেখে ১০মে সীমিত আকারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল, দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার আদেশ দেয়া হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিল থেকে তৈরি পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে সতর্কতাবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়। তবে ঈদের আগে যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, নিউ মার্কেট, বেশকিছু বড় বড় মার্কেট নিজেদের থেকেই বন্ধ রাখে।

সাধারণ ছুটি

২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দফায় দফায় বাড়িয়ে অতঃপর ৩০মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়, যার মধ্যে ঈদের ছুটি পড়ে।

বিভিন্ন দেশের মত দেশজুড়ে অবরুদ্ধকরণ না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়ে। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করে।

ছুটির সমাপ্তি

শর্ত সাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলোকে নিজ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হয়। সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়। একইসাথে শর্ত মেনে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল চালু করা হয়। গণপরিবহনে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়। নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলও শুরু হয়। বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তবে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চালু রাখা হয়। রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। তবে গণপরিবহনে, বিশেষ করে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কথা শোনা যায়।

অবরুদ্ধকৃত জেলা

বিভাগ জেলা অবরুদ্ধকরণের শুরুর তারিখ
ঢাকা গাজীপুর ১১ এপ্রিল
মাদারীপুর ১৬ এপ্রিল
মানিকগঞ্জ ১৯ এপ্রিল
নারায়ণগঞ্জ ৮ এপ্রিল
মুন্সীগঞ্জ ১১ এপ্রিল
নরসিংদী ৯ এপ্রিল
টাঙ্গাইল ৭ এপ্রিল
শরীয়তপুর ১৫ এপ্রিল
কিশোরগঞ্জ ১০ এপ্রিল
রাজবাড়ি ২১ এপ্রিল
গোপালগঞ্জ ১৫ এপ্রিল
চট্টগ্রাম কক্সবাজার ৮ এপ্রিল
কুমিল্লা ১০ এপ্রিল
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ১১ এপ্রিল
লক্ষ্মীপুর ১৩ এপ্রিল
নোয়াখালী ১১ এপ্রিল
চাঁদপুর ৯ এপ্রিল
সিলেট মৌলভীবাজার ১৩ এপ্রিল
সুনামগঞ্জ ১২ এপ্রিল
হবিগঞ্জ ৭ এপ্রিল
সিলেট ১১ এপ্রিল
রংপুর রংপুর ১৫ এপ্রিল
গাইবান্ধা ১০ এপ্রিল
নীলফামারী ১৪ এপ্রিল
কুড়িগ্রাম ২৩ এপ্রিল
দিনাজপুর ১৫ এপ্রিল
ঠাকুরগাঁও ১১ এপ্রিল
পঞ্চগড় ১৭ এপ্রিল
খুলনা চুয়াডাঙ্গা ২৩ এপ্রিল
যশোর ২৭ এপ্রিল
খুলনা ৮ এপ্রিল
মেহেরপুর ১৭ মে
নড়াইল ২৮ এপ্রিল
সাতক্ষীরা
ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ ১৪ এপ্রিল
জামালপুর ৮ এপ্রিল
নেত্রকোণা ১৩ এপ্রিল
শেরপুর ১৬ এপ্রিল
বরিশাল বরগুনা ১৮ এপ্রিল
বরিশাল ১২ এপ্রিল
পটুয়াখালী ১৯ এপ্রিল
পিরোজপুর ১৭ এপ্রিল
রাজশাহী রাজশাহী ১৪ এপ্রিল
জয়পুরহাট ১৬ এপ্রিল
নওগাঁ ১৫ এপ্রিল
নাটোর ৩০ এপ্রিল
বগুড়া ২১ এপ্রিল
সর্বমোট (৮টি বিভাগ)
উপর্যুক্ত তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়।

প্রভাব

কৃষিখাতে প্রভাব

এপ্রিল-মে মাস বাংলাদেশের প্রধান ফসল বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম। অবরুদ্ধকরণের ফলে ধান কাটার শ্রমিকেরা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে না যেতে পারায় সংকট সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মোট চাহিদার পাঁচ ভাগের এক ভাগ খাদ্যের জোগান আসে হাওর অঞ্চল থেকে। এ অঞ্চলের ধান কাটা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। পরবর্তীতে পুলিশের উদ্যোগে সরকারিভাবে কৃষকদের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটার জন্য নেওয়া হয়।

এছাড়া অন্যান্য কৃষিখাতেও ক্রেতার অভাবে শাকসব্জির দাম কমে যায়, ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুধ অবিক্রীত থাকায় দুগ্ধখামারীর, মিষ্টির দোকান প্রভৃতি পণ্য অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে।

শিক্ষাখাতে প্রভাব

২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল স্কুল, কলেজ এবং সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখে। পরবর্তীতে ইউজিসি ক্লাস করানো গেলেও পরীক্ষা ও ভর্তির কাজ বন্ধ ঘোষণা করে।

১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত, এবং পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর এক ঘোষণায় বাতিল করা হয়। ফলাফল প্রস্তুত করা হবে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংসদ টিভিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২৯ মার্চ থেকে এভাবে ক্লাস শুরু করে। ৭ এপ্রিল থেকে ঘরে বসে শিখি শিরোনামে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানও শুরু হয়।

২০২০ সালের ২২ নভেম্বর করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলে, "ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাক্সিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না বলে মতামত প্রকাশ করেন।

অর্থনৈতিক প্রভাব

কোভিড-১৯ এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে সাথে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবরুদ্ধকরণ এলাকাতেও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব

সাধারণ ছুটির মধ্যে গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ করা হয়। পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকে।

মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব

সারা বিশ্বেই অবরুদ্ধকরণের ফলে মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়ে বহুল প্রচারণা, অর্থনীতিতে এর প্রভাব এবং এর ফলাফলে সৃষ্ট অস্বচ্ছলতা উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যত্যয় এবং অনিশ্চয়তা অন্যদের থেকে দূরে থাকা মিলিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। কিশোরবয়সীরা সমবয়সীদের সাথে মিশতে পারছে না, সারাক্ষণ বাসায় থাকার ফলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যা বৈশ্বিক মহামারী কেটে গেলেও বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিক্রিয়া

নির্দেশ অমান্য

অবরুদ্ধকরণ সত্ত্বেও অধিকাংশ অঞ্চলে নির্দেশ মানা হয়না। প্রতিরোধের অন্যতম উপায় সামাজিক দূরত্ব স্থাপন না মানার ফলে সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধিলাভ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮ এপ্রিল এক ইসলামী বক্তার জানাজায় হাজারের বেশি মানুষ অবরুদ্ধকরণ উপেক্ষা করে জমায়েত হয়। পরবর্তীতে সরাইল উপজেলা ও তার আশেপাশের আটটি গ্রাম অবরুদ্ধকরণ করা হয়, দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী

২৩ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়ন করা হয়। সামাজিক দূরত্ব স্থাপন, অন্তরণ, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য পুলিশ, প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনী কাজ করে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

কক্সবাজার অবরুদ্ধকরণের সাথে সাথেই উখিয়াটেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ক্যাম্পগুলোতে সতর্কতার সাথে খাবার ও চিকিৎসীয় ব্যবস্থা ছাড়া সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ২০১৬-১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ফলে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

Tags:

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ পটভূমিবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ অবরুদ্ধকরণ বা লকডাউনবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ ছুটির সমাপ্তিবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ অবরুদ্ধকৃত জেলাবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ প্রভাববাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ প্রতিক্রিয়াবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ আরো দেখুনবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ তথ্যসূত্রবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ বহিঃসংযোগবাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণবাংলাদেশ সরকার২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কলকাতা উচ্চ আদালতজার্মানিমেঘালয়বাংলাদেশে হিন্দুধর্মদেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরনামাজপ্রিয়তমাতাসনিয়া ফারিণ২০২২ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরউপন্যাসআবদুল হামিদ খান ভাসানীমাযহাবজাপানবাংলাদেশের সংবাদপত্রের তালিকাশিক্ষাতত্ত্বকৃষকডেঙ্গু জ্বরজীবনপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলযক্ষ্মাঅপু বিশ্বাসসুভাষচন্দ্র বসুবিভিন্ন দেশের মুদ্রাদুবাইমুসলিমসূর্যবাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবপশ্চিমবঙ্গে ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিআন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসচন্দ্রবোড়াদৈনিক ইনকিলাববটস্বামী বিবেকানন্দনরেন্দ্র মোদীরক্তের গ্রুপ২০২১–২২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরবেদত্রিপুরাগণিতবিদীপ্তা চক্রবর্তীঅষ্টাঙ্গিক মার্গশরীয়তপুর জেলাসাহাবিদের তালিকাপশ্চিমবঙ্গধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কঢাকা জেলারবীন্দ্রসঙ্গীতগোপাল ভাঁড়শাকিব খানমান্নাআওরঙ্গজেবগায়ত্রী মন্ত্রকালেমাকমলাকান্তণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানশনি (দেবতা)পেপসিশিক্ষাঅনাভেদী যৌনক্রিয়ামহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রহিন্দুধর্মযোনি পিচ্ছিলকারকআন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকিশোরগঞ্জ জেলাফিলিস্তিনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরনোয়াখালী জেলাবেলি ফুলকলকাতা নাইট রাইডার্সভৌগোলিক নির্দেশকআল-আকসা মসজিদআডলফ হিটলার🡆 More