বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগের মহামারী বলতে বাংলাদেশে এটির প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের চলমান ঘটনাটিকে নির্দেশ করে, যা বর্তমানে চলমান বিশ্বজুড়ে মহামারীর একটি অংশ। করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) নামক একটি রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই বৈশ্বিক মহামারীটির সৃষ্টি হয়েছে। গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভ-২) নামক সংক্রামক ধরনের একটি জীবাণুই প্রকৃতপক্ষে, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে মানবদেহে এই রোগটি সৃষ্টি করে।
২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী | |
---|---|
রোগ | কোভিড-১৯ |
ভাইরাসের প্রজাতি | সার্স-কোভ-২ |
প্রথম সংক্রমণের ঘটনা |
|
আগমনের তারিখ | ৮ মার্চ ২০২০ (৪ বছর ও ৩ দিন) |
উৎপত্তি | উহান, হুবেই প্রদেশ, চীন |
নিশ্চিত আক্রান্ত | ১৭,৩১,৫২৪ |
সুস্থ | ১৫,৬০,০০৬ |
মৃত্যু | ২৮,২৭৩ |
মৃত্যুর হার | ১.৬৩% |
অঞ্চল | |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
corona |
চীন থেকে প্রথম উৎপত্তি হওয়ার পর; বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কথা প্রথম জানা যায় ৮ই মার্চ, ২০২০ সালে (৪ বছর ও ৩ দিন আগে) এবং প্রথম মৃত্যুটি ঘটে ১৮ই মার্চ, ২০২০ সালে। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৩ অংকের মধ্যে ছিল যা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চতে পৌঁছেছিল। ২ জুলাই তারিখে সর্বোচ্চ ৪০১৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
ধারণা করা হয়েছিল শীতকালে এ ভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীত অবস্থাই দেখা গিয়েছিল। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা ওপরের দিকে উঠলেও ডিসেম্বর মাস থেকে সেটা দ্রুত নিচের দিকে নামতে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল আর দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩০০ জনেরও কম।
বাংলাদেশ সরকার প্রথম দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ১৭ মার্চ ২০২০ হতে, যা পরবর্তিতে ১ বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল। ২২ মার্চ ২০২০ হতে, ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল যা পরবর্তীকালে সাত দফা বাড়িয়ে ৩০ই মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল যা ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে খুলে দেয়া হয় কিন্তু করোনা ভাইরাস এর নতুন রূপ ওমিক্রন এর বিস্তার এর কারনে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিত পর্যন্ত ২ দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ছুটি বাড়ানো হয়
দেশজুড়ে 'লকডাউন' কার্যকর করার আগ পর্যন্ত আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা ইত্যাদি লকডাউন করা হয়েছিল। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছিল। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। লকডাউন অমান্যের অনেক ঘটনা জানা গিয়েছিল। লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারায় অনেক সমালোচনাও করা হয়েছিল।
৬ জুন ২০২০ সালে প্রকাশিত দি ইকোনমিস্ট এর একটি প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমেনস দাবি করেছেন যে, শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই তখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭.৫ লাখের'ও বেশি ব্যক্তি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, বাংলাদেশের 'কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি' জানিয়েছিল যে, তারা এই রোগের সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন।
১২ জুন ২০২১ সালে প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পের (সিজিএস) প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুও বেড়েছে। ২২ মার্চ ২০২০ থেকে ৮ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত করোনার ন্যায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২,৩০২ জনের।
৭ জুলাই ২০২১ তারিখে, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন দাবী করেছেন যে বাংলাদেশ মহামারী সংক্রমনের আরেকটি পিকের (শীর্ষ চূড়া) দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে শুরুতে, সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর লক্ষণসহ অনেকসংখ্যক রোগীর মৃত্যুসংবাদ এসেছে যার মধ্যে কিছুসংখ্যক ভুয়া এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বলে প্রমাণিত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল তবে কয়েকজনকে চিকিৎসা দিতেও অস্বীকৃতি জানানো হয় যদিও যাচাই নিশ্চিত করতে কোনই পরীক্ষা করা হয়নি। দীর্ঘ সময় যাবত পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র রাজধানীর 'আইইডিসিআর' এ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল, যদিও কোভিড-১৯ এর লক্ষণসহ রোগীর খোঁজ সারাদেশেই পাওয়া গিয়েছিল।
'আইইডিসিআর' কর্তৃক একগুচ্ছ হটলাইন নাম্বার, ই মেইল অ্যাড্রেস এবং তাদের ফেসবুক পাতা জনগণের জন্য সরবরাহ ও নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে তারা দরকারি তথ্য বা কোভিড-১৯ সন্দেহে যোগাযোগ করতে পারেন।
২২ মার্চ, বাংলাদেশ সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল যা পরবর্তীকালে ৭ বার বর্ধিত করে ৩০ই মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশে 'লকডাউন' প্রয়োগের সময়টিকে সরকারিভাবে 'সাধারণ ছুটি' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। 'সাধারণ ছুটি'র মধ্যে; সারা দেশেই জরুরি সেবা, পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা ইত্যাদি অতি-প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো ছাড়া গণপরিবহনও অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। দেশজুড়ে অবরুদ্ধকরণ (লকডাউন) আরোপ করার আগ পর্যন্ত; আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা ইত্যাদি অবরুদ্ধকরণ করা হয়েছিল। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের মত দেশজুড়ে অবরুদ্ধকরণ না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়েছিল। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করেছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কে অজানা কোন কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীদের কথা জানায়। ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছিল যে, একটি করোনাভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের জনগণের মধ্যে গুচ্ছ আকারে শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত রোগের সৃষ্টি করছে। ৩০ জানুয়ারী'তে এই রোগের প্রাদুর্ভাবকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি (PHEIC) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর ১১ই মার্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ রোগের সেই প্রাদুর্ভাবটিকে বৈশ্বিক মহামারী (Pandemic) হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
কোভিড-১৯ এর কারণে আক্রান্তের মৃত্যুহার, ২০০৩-এর সার্স এর চেয়ে অনেক কম ছিল। তবে সংক্রমণের ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা যে পরিমাণে বেড়েছে তা অনেক বেশি।
কোভিড-১৯ বিষয়ে, বাংলাদেশ বেশ বড় রকমের একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছ, যেহেতু এটি পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। বহুসংখ্যক বাংলাদেশি ইতালিতে বসবাস করতেন যা কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঘনসন্নিবিষ্ট ক্যাম্পে রাখার কারনে মহামারী ঠেকানো বাংলাদেশের জন্য কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ প্রবাসী বাংলাদেশি ছিলেন যারা সবে ইতালি থেকে ফিরে এসেছিলেন এবং একজন মহিলা আত্মীয় ছিলেন, যিনি তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হন।
৮ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশে প্রথম করোনভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিন জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করেন তিনি। তিনি জানান, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ প্রবাসী বাংলাদেশি ছিলেন যারা সবে ইতালি থেকে ফিরে এসেছিলেন এবং একজন মহিলা আত্মীয় ছিলেন, যিনি তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হন। এর আগে আইইডিসিআর এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, দেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে, করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, এবং একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ঘোষণা করে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, বাংলাদেশ সরকার এর আগে বাংলাদেশে প্রবেশের সমস্ত বন্দরগুলিতে তাপীয় পর্দা (থার্মাল স্ক্রিনার) স্থাপন করে এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে স্থল ও বিমান ভ্রমণ স্থগিত করে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় যে অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রায় একশত প্রবাসীকে নিজগৃহে সঙ্গনিরোধ (হোম কোয়ারেন্টিন) অবস্থায় রাখা হয়েছে।
১০ মার্চ, আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজন ছাড়া বাংলাদেশে নতুন কোন আক্রান্ত ব্যক্তি নেই।
১১ মার্চ, আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ১০ মার্চের পরীক্ষায় আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন এবং তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।
১২ মার্চ, দুইজন করোনভাইরাস রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে, পরীক্ষা করে তাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া যায়নি। ডব্লিউএইচও প্রোটোকল ব্যবহার করে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং পরপর দুটি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে তারা আর সংক্রমিত নন। ফলস্বরূপ, আইইডিসিআর ছাড়পত্র দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে অনুমতি দেয়।
১৪ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, পুনরায় আরো ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
১৬ মার্চ, ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ১৮ মার্চ হতে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর স্থগিত করা হয়। আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, পুনরায় আরো ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
১৭ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা জানান নতুন করে আরও ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
১৮ মার্চ, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় আরও ৪ জন, এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ তে পৌছায়। আইইডিসিআর কর্তৃক বলা হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বয়স ছিল ৭০ বছর। মারা যাওয়া ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসা ও সংক্রমিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
১৯ মার্চ, বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় আরও ৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা মোট ১৭ জনে পৌঁছায়। নতুন করে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, তারা ইতালিফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। ঐদিন বিকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লক ডাউন তথা ওষুধ, কাঁচামাল, মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকার সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সচিবালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রস্তুতি বিষয় জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাকাজে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তুরাগতীরের মাঠ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে সকল প্রকার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০ মার্চ, বাংলাদেশে নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে জানান, এদের সবাই কোনো না কোনোভাবে প্রবাসীর সংস্পর্শে ছিলেন।
২১ মার্চ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২য় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ৪ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪। এদিন মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ১০ রুটের সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়ে।
২২ মার্চ, নতুন করে আরো ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আগের তিনজনসহ মোট পাঁচজন সুস্থতা লাভ করে। পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বিকালে এক ঘোষণায় দোকান মালিক সমিতি ২৫শে মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব বিপণিবিতান বন্ধ ঘোষণা করে।
২৩ মার্চ, নতুন করে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩ এ। মন্ত্রিপরিষদের ঘোষণায় ২৯শে মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটি সহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কাঁচাবাজার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতালসহ জরুরি সেবা বিভাগ বাদে সকল সরকারি অফিস বন্ধ হয়। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
২৪ মার্চ, নতুন ৬ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে একজন ছিলেন বিদেশি প্রত্যাবাসী। ৭০ বছর বয়সী একজন কোভিড-১৯-এ মারা যান।
২৫ মার্চ, নতুন কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি, নতুন একজন মৃত্যুবরণ করেন।
২৬ মার্চ, নতুন ৫ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪৪-এ পৌঁছায়। এর মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
২৭ মার্চ, নতুন আরো ৪ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮-এ পৌঁছালো। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসক।
২৮ মার্চ, নতুন করে ০ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা এখনো ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
২৯ মার্চ, নতুন কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি, এমনকি কোনো রোগী সুস্থ বা মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি।
৩০ মার্চ, নতুন ১ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন, যার মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং এর মধ্যে ৩ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিও আছেন।
৩১ মার্চ, নতুন করে আরও ২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ জন, মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ২৫ জন।
১ এপ্রিল, নতুন করে আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪-এ। এছাড়াও আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৩ জন।
২ এপ্রিল, আরোও ২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ জন। নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ৬ জনে রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
৩ এপ্রিল, আরোও ৫ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬১ জন। নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন, যার মধ্যে ৭ জন নিজ বাসায় এবং ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৪ এপ্রিল, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন।
৫ এপ্রিল, একদিনেই নতুন ১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৮৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ জন। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এটাই ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
৬ এপ্রিল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন। ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত করা হলো। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার ৬৪,নারায়ণগঞ্জ এর ২০, মাদারীপুরের ১১ এবং গাইবান্ধা জেলার ৫ জন ব্যক্তি ছিলেন। IEDCR কর্তৃক ৫টি জেলাকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ সংক্রমণের কেন্দ্র বলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত মূল সংক্রমণ এই পাঁচ জেলাতেই হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। এছাড়াও, কয়েকটি জেলায় গুচ্ছ সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে যেগুলোতে এরই মধ্যে একাধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২, জামালপুরে ৩, কুমিল্লায় ২,চুয়াডাঙ্গায় ১ ও সিলেটে ১ জন সহ সারা বাংলাদেশের ১৫ জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে বলা গেছে।
৭ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরো ৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৪১ জন, যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১৬৪ জন।
৮ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
৯ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জন মারা গেছেন। এ সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১১২ জন। আজ ১ জনের মৃত্যু দিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
১০ এপ্রিল, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছালো। এছাড়াও নতুন করে আরো ৯৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৪।
১১ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জন। এ সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৮ জন। সব মিলে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪৮২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
১২ এপ্রিল, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে পৌঁছালো। এছাড়াও নতুন করে আরো ১৩৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২১। নতুন করে ৩ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯।
১৩ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এসময়ের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৮২। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮০৩। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৭০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৬২৩টি।
১৪ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২০৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,০১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
১৫ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দিন, যিনি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা একমাত্র ডাক্তার। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেলেন ৫০ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,২৩১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৪৯ জন।
১৬ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১,৫৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
১৭ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৫। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৮৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
১৮ এপ্রিল, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত হলেন ২,১৪৪ জন এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সর্বমোট ৮৪ জনের। এছাড়াও নতুন করে ৮ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৬।
১৯ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩১২ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২,৪৫৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে ৯ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৫ জন।
২০ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০১। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২,৯৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মোট ৮৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন।
২১ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩,৩৮২ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মোট ৮৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২,৯৭৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯,৫৭৮টি।
২২ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২০। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৯০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩,৭৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে মোট ৯২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,০৯৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২,৬৭৪টি ।
২৩ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২৭। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪,১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬ জন। এ নিয়ে মোট ১০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।
২৪ এপ্রিল,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪ জন মারা গেছেন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ১৩১ । গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন।
২৫ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪০ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩০৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪,৯৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মোট সুস্থের সংখ্যা ১১২ জন।
২৬ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫,৪১৬ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মোট ১২২ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৪৭৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬,৫৮৯টি।
২৭ এপ্রিল, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫,৯১৩ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মোট ১৩১ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৮১২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০,৪০১টি।
২৮ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫৫। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬,৪৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন। এ নিয়ে মোট ১৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪,৩৩২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৪,৭৩৩টি।
২৯ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬৩। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬৪১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭,১০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১১ জন। এ নিয়ে মোট ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪,৯৬৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯,৭০১টি।
৩০ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬৮। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৬৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭,৬৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মোট ১৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪,৯৬৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪,৬৬৬টি।
১ মে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭০ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। আজ দেশে প্রথম কোনো সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার নাম মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং তিনি নওগাঁ–২ আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪ জন। এ নিয়ে মোট ১৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।
২ মে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭৫। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৫২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮,৭৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ জন। এ নিয়ে মোট ১৭৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫,৮২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬,০৬৬টি।
৩ মে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৭ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯,৪৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৮৬ জন। এ নিয়ে মোট ১,০৬৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন। যদিও বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে একদিনে এত সংখ্যক রোগী সুস্থ হবার বিষয়ে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যেখানে গত দিনেগুলতে খুব অল্পসংখ্যক রোগী সুস্থ হয়েছেন।উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত মোট সুস্থ হবার ঘটনা ছিল মাত্র ১৭৭টি।
৪ মে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮২। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০,১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪৭ জন। এ নিয়ে মোট ১,২০৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬,২০৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭,৬৪১টি।
৫ মে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৩ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০,৯২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৩ জন। এ নিয়ে মোট ১৪০৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।
৬ মে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৬ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৭৯০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১,৭১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে হয়েছেন আরও ৩৭৭ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৮০ জন।
৭-৯ মে, গত ৭ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ১৩ জন, ৭ জন এবং ৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৪ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৭০৬ জন, ৭০৯ জন এবং ৬৩৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩,৭৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে হয়েছেন যথাক্রমে ১৩০ জন, ১৯১ জন এবং ৩১৩ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৪১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১৬,৯১৯টি।
১০-১৫ মে, গত ১০ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ১৪ জন, ১১ জন, ১১ জন, ১৯ জন, ১৪ জন এবং ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৮ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৮৮৭ জন, ১০৩৪ জন, ৯৬৯ জন, ১১৬২ জন, ১০৪১ জন এবং ১২০২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০,০৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ১৫ মে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ২৩৬ জন, ২৫২ জন, ২৪৫ জন, ২১৪ জন, ২৪২ জন এবং ২৭৯ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩,৮৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১,৬০,৫১২টি।
১৬-১৭ মে, ১৬-১৭ মে দেশে নিশ্চিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ১৬ এবং ১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২৮ জন। ১৬ মে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৯৩০ জন এবং ১২৭৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২,২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ২৩৫ জন এবং ২৫৬ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৩৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১,৭৫,২২৮ টি।
১৮-২৬ মে, গত ১৮ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ২১ জন, ২১ জন, ১৬ জন, ২২ জন, ২৪ জন, ২০ জন, ২৮ জন, ২১ জন এবং ২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২২ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১,৬০২ জন, ১,২৫১ জন, ১,৬১৭ জন, ১,৭৭৩ জন, ১,৬৯৪ জন, ১,৮৭৩ জন, ১,৫৩২ জন, ১,৯৭৫ জন এবং ১,১৬৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬,৭৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৫ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ২১২ জন, ৪০৮ জন, ২১৪ জন, ৩৯৫ জন, ৪১৫ জন, ৪৩৩ জন এবং ২৪৫ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২,৫৮,৪৫১টি।
২৭-৩১ মে, গত ২৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ২২ জন, ১৫ জন, ২৩ জন, ২৮ জন এবং ৪০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫০ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১,৫৪১ জন, ২,০২৯ জন, ২,৫২৩ জন, ১,৭৬৪ জন এবং ২,৫৪৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৭,১৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ৩১ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৩৬৪ জন, ৫০০ জন, ৫৯০ জন, ৩৬০ জন এবং ৪০৬ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯,৭৮১ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,০৮,৯৩০টি।
১-৭ জুন, গত ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ২২ জন, ৩৭ জন, ৩৭ জন, ৩৫ জন, ৩০ জন, ৩৫ জন এবং ৪২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮৮ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২,৩৮১ জন, ২,৯১১ জন, ২,৬৯৫ জন, ২,৪২৩ জন, ২,৮২৮ জন, ২,৬৩৫ জন এবং ২,৭৪৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৫,৭৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৮১৬ জন, ৫২৩ জন, ৪৭০ জন, ৫৭১ জন, ৬৪৩ জন, ৫২১ জন এবং ৫৭৮ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩,৯০৩ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৯৭,৯৮৭টি।
৮-১৪ জুন, গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ৪২ জন, ৪৫ জন, ৩৭ জন, ৩৭ জন, ৪৬ জন, ৪৪ জন এবং ৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,১৭১ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২,৭৩৫ জন, ৩,১৭১ জন, ৩,১৯০ জন, ৩,১৮৭ জন, ৩,৪৭১ জন, ২,৮৫৬ জন এবং ৩,১৪১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৭,৫২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬৫৭ জন, ৭৭৭ জন, ৫৬৩ জন, ৮৪৮ জন, ৫০২ জন, ৫৭৮ জন এবং ৯০৩ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮,৭৩০ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫,০৪,৪৬৫টি।
১৫-২২ জুন, গত ১৫ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ৩৪ জন, ৫৩ জন, ৪৩ জন, ৩৮ জন, ৪৫ জন, ৩৭ জন, ৩৯ জন এবং ৩৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,৫০২ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩,০৯৯ জন, ৩,৮৬২ জন, ৪,০০৮ জন, ৩,৮০৩ জন, ৩,২৪৩ জন, ৩,২৪০ জন, ৩,৫৩১ জন এবং ৩,৪৮০ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,১৫,৭৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ২২ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১,৫০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ১৫,২৯৬ জন, ২,২৩৭ জন, ১,৯২৫ জন, ১,৯৭৫ জন, ২,৭৮১ জন, ১,০৪৮ জন, ১,০৮৪ জন এবং ১,৬৭৮ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬,৭৫৫ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬,৩০,৭১৯টি।
২৩-৩০ জুন, গত ২৩ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ৩৪ জন, ৫৩ জন, ৪০ জন, ৩৪ জন, ৪৩ জন, ৩৭ জন, ৪৫ জন এবং ৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৮৪৭ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩,৪১২ জন, ৩,৪৬২ জন, ৩,৯৪৬ জন, ৩,৮৬৮ জন, ৩,৫০৪ জন, ৩,৮০৯ জন, ৪,০১৪ জন এবং ৩,৬৮২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৪৫,৪৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ৩০ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১,৮০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৮৮০ জন, ২,০৩১ জন, ১,৮২৯ জন, ১,৬৩৮ জন, ১,১৮৫ জন, ১,৪০৯ জন, ২,০৫৩ জন এবং ১,৮৪৪ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯,৬২৪ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭,৬৯,৪৬০টি।
১-৭ জুলাই, গত ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছে যথাক্রমে ৪১ জন, ৩৮ জন, ৪২ জন, ২৯ জন, ৫৫ জন, ৪৪ জন এবং ৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫১ জন। ৫ জুলাই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩,৭৭৫ জন, ৪,০১৯ জন, ৩,১১৪ জন, ৩,২২৮ জন, ২,৭৩৮ জন, ৩,২০১ জন এবং ৩,০২৭ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৬৮,৬৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ২,৪৮৪ জন, ৪,৩৩৪ জন, ১,৬০৬০ জন, ২,৬৭৩ জন, ১,৯০৪ জন, ৩,৫২৪ জন এবং ১,৯৫৩ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮,১০২ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৮,৭৬,৪৮০টি।
৮-১৪ জুলাই
১৫-২২ জুলাই
২৩-৩১ জুলাই
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়কালে বিভিন্ন গনমাধ্যমে, স্বাস্থ্যখাতের বহুবিধ অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির তথ্য জানা গেছে।
১৫ই জুন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন৷ এছাড়াও হাসপাতাসমূহের কী কী প্রয়োজন তা নিয়ে সেই কমিটির করা সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
১৫ই জুন বাংলাদেশের হাইকোর্ট এক আদেশে জানিয়েছে যে, কোভিড-১৯ বা অন্য যেকোন রোগে আক্রান্ত রোগীকে কোনো হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। কারও অবহেলায় যদি কোনো রোগী মারা যায় বা কোনো হাসপাতাল যদি কোনো রোগীকে চিকিৎসাসেবা না দেয়, তাহলে সেটি একটি ফৌজদারি অপরাধ হবে। সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনীহা দেখালে ও তাতে ওই রোগীর মৃত্যু ঘটলে তা অবহেলা জনিত মৃত্যু হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) দেওয়া নির্দেশাবলী (১১ ও ২৪ মে) কঠোরভাবে কার্যকর করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাসপাতালে কতগুলো বেড খালি আছে এবং কখন কত বেড খালি হচ্ছে, সে বিষয়ের তথ্য গণমাধ্যমকে জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব ও ডিজিএইচএসের মহাপরিচালককে ১৫ দিনের মধ্যে এসব নির্দেশনা অনুযায়ী একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
১৭ই জুন প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, (১০১ তম দিন) তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং সাধারণ রোগের রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বহুবিধ জটিলতা, অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। দেশের সব জেলাতেই সাধারণ রোগের চিকিৎসাসেবা নিতে অনেক রকমের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল এবং ভোগান্তি, হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল, বলে জানা গেছে। সরকারি নির্দেশনা দেয়ার পরেও, দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল করোনা পরীক্ষার ফলাফল (কোভিড-১৯ নেগেটিভ ছাড়পত্র) না দেখে সাধারণ রোগী ভর্তি নেয় নি, বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র সরকারি 'করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল'গুলোতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল ছাড়া রোগী ভর্তি নিয়েছিল যা চাহিদার তুলনায় অনেক অপ্রতুল ছিল বলে গনমাধ্যমগুলো দাবী করেছিল। বেসরকারি হাসপাতালসমূহে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের বহু ব্যর্থ চেষ্টা এবং ফলাফলের অপেক্ষার সময়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল। আর, কোভিড-১৯ এর নমুনা দেয়া এবং ফলাফল পেতেও দীর্ঘসূত্রতায় ভুগতে হয়েছিল।
২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমণ সংখ্যা ২,৯৪৮ জন। কিছু অঞ্চলে সম্প্রদায় সংক্রমণ হয়েছে বলে জানানো হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট ৫২টি জেলাকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অবরুদ্ধকরণ করা হয়। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল গাজীপুর জেলা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ঢাকায় সংক্রমণ অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীর বসবাসরত ভবন বা গলি অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার টোলারবাগ এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন মারা যাওয়ার পর অবরুদ্ধ করা হয়। এটিই ঢাকার অন্যতম প্রথম এলাকা যা অবরুদ্ধ করা হয়।
সম্পূর্ণ লকডাউন:
৩০ এপ্রিল থেকে নাটোর (পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত)
২৭ এপ্রিল থেকে নড়াইল (অনির্দিষ্টকালের জন্য)
২৬ এপ্রিল থেকে যশোর (অনির্দিষ্টকালের জন্য)
২১ এপ্রিল থেকে বগুড়া (পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত)
১৯ এপ্রিল থেকে মানিকগঞ্জ (পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত)
১৫ এপ্রিল থেকে শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও নওগাঁ
১৪ এপ্রিল থেকে গোপালগঞ্জ (পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত), নীলফামারী ও ময়মনসিংহ
১১ এপ্রিল থেকে গাজীপুর, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী (আগামী ১০ দিনের জন্য), নোয়াখালী
১০ এপ্রিল থেকে: কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা,
৯ এপ্রিল থেকে: জামালপুর, নরসিংদী, চাঁদপুর,
৮ এপ্রিল থেকে: নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার,
৭ এপ্রিল থেকে: টাঙ্গাইল
আংশিক লকডাউন:
বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রুমা উপজেলা (২৪ মার্চ থেকে)
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর পৌরসভা, সিংগাইর উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়ন। শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের আটটি গ্রাম। হরিরামপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন এর কয়েকটি বাড়ি।
সিরাজগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় আংশিক লকডাউন। সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১৭টি ওয়ার্ড লকডাউন। এছাড়া খোকশাবাড়ী, ছোনগাছা, রতনকান্দি, সয়দাবাদ, মেছড়া ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন।
খুলনা জেলায় সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধ করলেও জেলা প্রশাসন এটিকে লকডাউন বলেনি।
সাতক্ষীরা জেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সব জেলার সীমান্ত এবং আন্তঃউপজেলা সীমান্তে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সব জেলার ব্যক্তি ও পরিবহন প্রবেশে কুষ্টিয়া জেলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন (৯ এপ্রিল থেকে)
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা (৭ এপ্রিল থেকে)
বরিশালে প্রবেশ ও ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা (৭ এপ্রিল থেকে)
দিনাজপুর জেলায় ঘরের বাইরে বের হওয়াসহ যানচলাচলের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া হলেও জেলা প্রশাসন এটিকে লকডাউন বলেনি।
২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে দফায় দফায় বাড়িয়ে অতঃপর ৩০মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। বিভিন্ন দেশের মত দেশজুড়ে অবরুদ্ধকরণ না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়ে। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করে। ২৮ মে, ২০২০ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যক্রম চালু ও জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সীমিত করার লক্ষ্যে ৩০ মে, ২০২০ থেকে সাধারণ ছুটি বাতিল ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ।
এপ্রিল-মে মাস বাংলাদেশের প্রধান ফসল বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম। অবরুদ্ধকরণের ফলে ধান কাটার শ্রমিকেরা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে না যেতে পারায় সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মোট চাহিদার পাঁচ ভাগের এক ভাগ খাদ্যের জোগান আসে হাওর অঞ্চল থেকে। এ অঞ্চলের ধান কাটা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডক্টর আঃ রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় সরকারিভাবে কৃষকদের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া অন্যান্য কৃষিখাতেও ক্রেতার অভাবে শাকসব্জির দাম কমে গিয়েছিল, ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দুধ অবিক্রীত থাকায় দুগ্ধখামারীর, মিষ্টির দোকান প্রভৃতি পণ্য অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে।
২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল স্কুল, কলেজ এবং সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখে। পরবর্তীকালে ইউজিসি ক্লাস করানো গেলেও পরীক্ষা ও ভর্তির কাজ বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষা ও ভর্তির কাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছিল।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সংসদ টিভিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২৯ মার্চ থেকে এভাবে ক্লাস শুরু করে। ৭ এপ্রিল থেকে ঘরে বসে শিখি শিরোনামে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানও শুরু হয়।
কোভিড-১৯ এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে সাথে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবরুদ্ধকরণ এলাকাতেও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়।
সাধারণ ছুটির মধ্যে গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ করা হয়েছিল। পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে ছিল।
সারা বিশ্বেই অবরুদ্ধকরণের ফলে মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়ে বহুল প্রচারণা, অর্থনীতিতে এর প্রভাব এবং এর ফলাফলে সৃষ্ট অস্বচ্ছলতা উৎকণ্ঠা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে রূপ নিয়েছিল। দৈনন্দিন জীবনের ব্যত্যয় এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে অন্যদের থেকে দূরে থাকা, সবমিলিয়ে জনমনে একটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিশোরবয়সীরা সমবয়সীদের সাথে মেশার সুযোগ না পাওয়া, সারাক্ষণ বাসায় থাকার ফলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যা বৈশ্বিক মহামারী কেটে গেলেও বজায় থাকার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ এপ্রিলের তথ্যানুসারে, তখন পর্যন্ত সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৬,২৬১ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১,০৯৭ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৬১৮ টি এবং ঢাকার বাইরে ৪৭৯ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৯০৫ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৫৫৫ টি এবং ঢাকার বাইরে ৩৫০ টি।
৮ এপ্রিলের তথ্যানুসারে, তখন পর্যন্ত সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৫,১৬৪ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯৮৮ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৫৬৩ টি এবং ঢাকার বাইরে ৪২৫ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৯৮১ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৬২২ টি এবং ঢাকার বাইরে ৩৫৯ টি।
৭ এপ্রিলের তথ্যানুসারে, তখন পর্যন্ত সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৪,২৮৯ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৭৯২ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৬৪৭ টি এবং ঢাকার বাইরে ১৪৫ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৬৭৯ টি যার মধ্যে ঢাকাতে ৫৮২ টি এবং ঢাকার বাইরে ৯৭ টি।
৬ এপ্রিলের তথ্যানুসারে, সেদিনের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ভেতরে সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪২৪ টি এবং ঢাকার বাইরে ১২৬ টি। ঢাকার ভেতরে পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে ৩৬২ টি এবং ঢাকার বাইরে ১০৬ টি। তখন পর্যন্ত সর্বমোট সম্পাদিত পরীক্ষা: ৩৬১০ টি।
৩ এপ্রিল এর তথ্যানুসারে, সেদিন নমুনা সংগৃহীত হয়েছিল ৫২৩ টি, যার মধ্যে 'আইডিসিআর' কর্তৃক ১২৬ টি। বাকি ৩৯৭ টি নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো। পরীক্ষাকৃত নমুনার মধ্যে বিএসএমএমইউ (BSMMU) কেন্দ্রে ২ টি, আইইডিসিআর (IEDCR) কেন্দ্রে ২ টি এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ১টি নমুনা নিশ্চিত আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
২ এপ্রিল, ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর ২৫৫ টি নমুনা দেশের ৩৯ টি জেলা থেকে মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ পিসিআর টেস্টের জন্য সংগ্রহ করেছেন। সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা মহাননগরীর ৯ টি এবং ঢাকার বাইরে ৫টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। [২ এপ্রিলের জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে]
৮ এপ্রিলের, তথ্যানুযায়ী দেশে ১৬ টি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৯ টি ঢাকার মধ্যে এবং ৭ টি ঢাকার বাইরে। ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলো (গত ২৪ ঘণ্টায়):
১. আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউট অব প্যাথলজি: নমুনা সংগ্রহ: ১২ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ১২ জন; সর্বমোট পরীক্ষা:৪৩ জন
২. বিএসএমএমইউ (BSMMU): নমুনা সংগ্রহ: ৪৭ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৪৭ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ১৩৮ জন
৩. ঢাকা শিশু হাসপাতাল (চাইল্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর সহায়তায়): নমুনা সংগ্রহ: ৩২ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৩৩ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৯৬ জন
৪. ঢাকা মেডিকেল কলেজ: নমুনা সংগ্রহ: ১৪ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ১৫ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৫৩ জন
৫. আইসিডিডিআরবি (ICDDRB): নমুনা সংগ্রহ: ৫১ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৫১ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৫২৬ জন
৬. ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ (ideSHi)(আইদেশী, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, গত ২৪ ঘণ্টা):নমুনা সংগ্রহ: ৩৩ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৩৩ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ১৪৬ জন
৭. আইপিএইচ (IPH): নমুনা সংগ্রহ: ১৩১ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ১৮৮ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৭৫৫ জন
৮. আইইডিসিআর (IEDCR): নমুনা সংগ্রহ: ২০৫ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ২০৫ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ২,৪৭৬ জন
৯. ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন: নমুনা সংগ্রহ: ৩৮ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৩৮ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ১৮০ জন
ঢাকার বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হচ্ছে (২৪ ঘণ্টায়):
১০. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস (BITID), চট্টগ্রাম: নমুনা সংগ্রহ: ৯০ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৪৭ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ২০৯ জন
১১. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ,কক্সবাজার: নমুনা সংগ্রহ: ১৯ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ২৬ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৪৯ জন
১২. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: নমুনা সংগ্রহ: ৯৩ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ):: ৯৩ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ২৩৯ জন
১৩. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: নমুনা সংগ্রহ: ৩৫ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ):: ৩৫ জন; সর্বমোট পরীক্ষা:১৩২ জন
১৪. রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: নমুনা সংগ্রহ: ৫৩ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ):: ৫৩ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ১২২ জন
১৫. সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: নমুনা সংগ্রহ: ১১৬ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ৯৪ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ৯৪ জন
১৬. খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: নমুনা সংগ্রহ: ১৯ জন; পরীক্ষা (পূর্বের নমুনা সহ): ১২ জন; সর্বমোট পরীক্ষা: ১২ জন [৮ এপ্রিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে](৭ এপ্রিল দুপুর ১২- ৮ এপ্রিল দুপুর ১২)
ঢাকার বাইরের এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোগীদের বিনামূল্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে। অধ্যক্ষগণ জনগণকে নমুনা পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছেন। আইইডিসিআর এর পরিচালক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
২৯ মার্চের, তথ্যানুযায়ী দেশে ৭ টি স্থানে করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে এবং শীঘ্রই ১১ টি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং শুরু করা হবে। ২৯ মার্চ 'আইইডিসিআর' এর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন যে: আইইডিসিআর (IEDCR), আইপিএইচ (IPH), ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন, আইসিডিডিআরবি (ICDDRB), শিশু হাসপাতাল, চিলড্রেন হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও ideSHi নামের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই PCR (পলিমারেজ চেইন রিএকশন) টেস্ট করার জন্য প্রস্তুত আছে এবং এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
ঢাকার বাইরে প্রতিটি বিভাগে পিসিআর পরীক্ষা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয়। রংপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ প্রায় শেষ এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অন্য বিভাগগুলোতেও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা শুরু হবে।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে তিন লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। ২৯ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ভেন্টিলেটর হাতে ছিলো। এ ছাড়া আরো সাড়ে ৪০০ আসবে, ২৯ মার্চ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কিট ছিলো ৪৫ হাজার।
আমাদের হাতে আড়াইশ ভেন্টিলেটর চলে আছে। বিভিন্ন হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। এবং ইমপোর্টেও প্রায় সাড়ে ৩০০ ভেন্টিলেটর আছে। অনেক বড় বড় দেশেও এতগুলো ভেন্টিলেটর থাকে না। আমরা এর আগে প্রস্তুতি নিয়েছি বিধায় বাংলাদেশ ভালো আছে।’
এরপর তিনি বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল এর পরীক্ষা কার্যক্রম Child Health Research Foundation এর সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (BITID) এ ২৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ৮ জন ব্যক্তির পরীক্ষা করা হয় এবং নতুন কোনো সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
২৮ মার্চ, জানানো হয়েছিলো যে রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের আরও ৬ মেডিক্যাল কলেজে পিসিআর মেশিন পাঠানো হয়েছে।
২৭ মার্চে রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে (PCR) মেশিন স্থাপন করা হয় এবং এর অধ্যক্ষ আশা করছেন ২৮ তারিখ থেকেই কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে। এছাড়াও এর আট উপজেলাতে হটলাইন সেবা চালু করেছে জেলা প্রশাসন।
২১ তারিখে বলা হয়েছিল ১৬ টি (PCR) মেশিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ৭ টি মেশিন CMSD তে রয়েছে।
৩১ মার্চের তথ্যানুসারে, দেশে কোভিড–১৯ রোগের পরীক্ষার পরিসর ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে, বারবার অনুরোধের পরও 'আইইডিসিআর' পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছে না; অন্যদিকে আবার প্রভাবশালীরা পরীক্ষার জন্য 'আইইডিসিআর' কে চাপ দিচ্ছে এমন তথ্যও গণমাধ্যমে এসেছে।
'আইইডিসিআর' ২৮ জানুয়ারি থেকে নিয়মিত কোভিড–১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার খবর প্রকাশ করে এবং সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কতটি নমুনার পরীক্ষা করেছে তা জনায়। প্রতিদিনের সংবাদ সম্মেলনে মোট সংখ্যাটি তারা প্রকাশ করে এবং এই হিসাবটি তারা প্রতি সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমেও পাঠায় (করোনা ইনফো ওয়েবসাইটে পাবেন)। তবে ৩১ মার্চের তাদের দেওয়া হিসাবে কিছু গরমিল দেখা যায় (৬৩টি নমুনা বেশি পরীক্ষা দেখানো হয়েছিলো)।
আইইডিসিআরের একটি সূত্র থেকে নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি জানা গেছে। 'আইইডিসিআর' নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিলে তখন নিয়ে প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ২৪ জনের একটি দল ঢাকায় কাজ করেন যারা দুই পালায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা হাসপাতালে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনেন। যে কেউ চাইলেই আইইডিসিআরে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতে পারেন না।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ এ (বিআইটিআইডি) চার দিন আগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
কক্সবাজারেও একটি ল্যাবরেটরি আছে 'আইইডিসিআর' এর, তবে গতকাল পর্যন্ত সেখানে কোনো পরীক্ষা শুরু হয়নি। একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন যে তাকে নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে তবে কোন ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী দেওয়া হয়নি। জানা যায়, দেশে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিটেরও সংকট আছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে, লোকজন তেমন একটা এগিয়ে আসছে না বলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে পরীক্ষা খুব কম হচ্ছে। তিনি এখানকার জনগণকে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার বা ফোন করার আহ্বান জানান।
এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা এগিয়ে আছে। এর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, এছাড়াও পরীক্ষার জন্য যারা যোগাযোগ করছে, তাদেরও নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তারা দাবি করছেন যে মাত্র ৪ ঘণ্টায় তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল দিতে সক্ষম। এখানে প্রথমে চিকিৎসকেরা রোগীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং লক্ষণ বিচার করবেন। যদি সন্দেহ হয় ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত তাহলেই কেবলমাত্র তারা পরীক্ষা করবেন। রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর চার ঘণ্টার মধ্যে ফল জানানো হবে অর্থাৎ দিনে দিনেই ব্যক্তি জানতে পারবেন যে তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না।
এখানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিনামূল্যেই রোগীদের পরীক্ষা করা হবে। এখানে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে আসা ব্যক্তির মুখের লালা বা নাকের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়।
এর উপাচার্য বলেন, ‘যারা সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্য আমরা ফিভার ক্লিনিক নামে আলাদা বিভাগ চালু করেছি। যে কেউ আমাদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হবে, তাদের পরীক্ষা করা হবে।’
পরীক্ষাপদ্ধতিঃ করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য দুটি মেশিন (যন্ত্র) ব্যবহার করা হয় যার একটির নাম এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিন এবং অপরটি রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন।
প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুখের লালা কিংবা নাকের সোয়াব নমুনা হিসিবে সংগ্রহ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ল্যাব টেকনোলোজিস্ট। এরপর ওই নমুনা নিয়ে আসা হয় ল্যাবরেটরির করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের 'এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু' মেশিনে। নমুনাগুলো প্রথমে ইনঅ্যাক্টিভেশন করা হয়। এই মেশিনে নমুনা আসার পর বিভিন্ন রিএজেন্টের মাধ্যমে তা প্রসেসিং করা হয়। এরপর বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনে প্রস্তুত করা নমুনা নিয়ে আসা হয় রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিনে। নমুনাগুলো প্রসেসিং করার পর করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের কিটসের মাধ্যমে রাইবো নিউক্লিক এসিড (RNA) বের করে আনা হয়। এরপর RNA কোষের নমুনা ল্যাবরেটরিতে রাখা আরেকটি এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনে রাখা হয়। সংযুক্ত করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যাদি। এরপর বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনে প্রস্তুত করা নমুনা নিয়ে আসা হয় রিয়েল টাইম পিসিআর (PCR) মেশিনে। এই মেশিনের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত রয়েছে। কম্পিউটারে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের সফটওয়্যার চালু করার পর যদি নমুনা কোষে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে, তখন তা কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে ওঠে। তখন করোনা ভাইরাস পজিটিভ দেখায়। আর যদি নমুনা কোষে করোনা ভাইরাস না পাওয়া যায়, তখন করোনা ভাইরাস নেগেটিভ লেখা ভেসে ওঠে কম্পিউটার পর্দায়।
এখানকার ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘একজন ব্যক্তির কোষের আরএনএ তে করোনা ভাইরাস থাকলেই তিনি করোনা ভাইরাস পজিটিভ বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। ল্যাবরেটরির পিসিআর মেশিনের যুক্ত কম্পিউটার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজিটিভ। আমাদের হাসপাতালে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার ল্যাবরেটরিতে যে কিট ব্যবহার করা হয় তা চায়নার একটি কোম্পানির। কোম্পানির নাম সানশিউর বায়োটেক লিমিটেড। এই কোম্পানির কিট ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হচ্ছে।’
‘করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের ল্যাবরেটরিতে বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যখন ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস রিস্ক লেবেল যখন দুই এর ওপরে হয় তখন বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিনটি ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের চার ধরনের রিস্ক লেবেল রয়েছে। রিস্ক এক, রিস্ক দুই, রিস্ক তিন, রিস্ক চার। করোনা ভাইরাস রিস্ক দুই এর ওপরে। যে কারণে বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মেশিন ছাড়া কোনোভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ব্যক্তির নমুনা আইসোলেশন কিংবা প্রসেসিং করা সম্ভব নয়।’
‘যে পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হচ্ছে, সেটি হলো পিসিআর পদ্ধতিতে মলিকুলার টেস্ট। এটা রক্তের পরীক্ষা নয়। যে কোনো ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালে এসে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা করতে পারবেন।’
৩ এপ্রিল এর নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে 'করোনাভাইরাস' আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে এবং কয়েকটি হাসপাতাল শুধুমাত্র করোনা রোগী চিকিৎসার জন্যই প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর একইসাথে জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর'ও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২ এপ্রিলের, তথ্যানুযায়ী দেশে ১১ টি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং এর সবগুলোই ঢাকাতে অবস্থিত। কোভিড-১৯ এর জন্য সুনির্ধারিত (ডেডিকেটেড) করা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো হলো:
বেসরকারি হাসপাতাল: (সাজিদা ফাউন্ডেশন, রিজেন্ট হাসপাতাল (উত্তরা,মিরপুর), ইউনাইটেড হাসপাতাল (মুন্সীগঞ্জ), আকিজ গ্রুপ)।
২৭ মার্চ থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষায় পরিবর্তন এনেছে আইইডিসিআর। এখন বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে আসাদেরও নমুনা পরীক্ষা করছে তারা। এক্ষেত্রে যাদের ৬০-এর বেশি বয়স এবং দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ভুগছেন তাদের মধ্যে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা গেলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও যেসব নিউমোনিয়া রোগীর ডায়াগনোসিস করা হয়নি এবং যাদেরকে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয় এমন মানুষদেরর মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে, তাদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতি জেলায় হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে যাতে জেলায় যারা গিয়েছেন তাদের মধ্যেও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে যাতে নমুনা সংগ্রহ করে অতি দ্রুত বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো যায়। 'আইইডিসিআর' পরীক্ষার ভিত্তিতে দেখতে চায় দেশের কোথাও কোনও সংক্রমণ রয়েছে কিনা।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বেশ কিছু কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রথমে আইইডিসিআর এ খোলার পর পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরেও একটি সমন্বিত কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে বলে আইইডিসিআর পরিচালক দাবি করেন।
তিনি আরও বলেছেন ‘হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর নমুনা হাসপাতালগুলোতেই সংগ্রহ করা হবে এবং তারাই আমাদের কাছে পাঠাবে, যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইইডিসিআর কর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করতে বিলম্ব না হয়।’
‘নম্বর বাড়ানোর পাশাপাশি দুটি হান্টিং নম্বর করা হয়েছে। তা হলো—১৯৪৪৩৩৩২২ এবং ১০৬৫৫। এই দুই নম্বরে যোগাযোগ করলে আমাদের লোক সেখানে চলে যাবে।’
উল্লেখ্য পূর্বের হটলাইন নাম্বারগুলো (১২ টি) দেশের মোবাইল ফোন অপরাটররা (বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, টেলিটক ও রবি) টোল ফ্রি করে দিয়েছিলো । যাতে প্রতিটি নম্বরে চেষ্টা না করতে হয় তাই এই 'হান্টিং নম্বর'। যখনি যে কোনো লাইন খোলা থাকবে তখন কল সেখানে চলে যাবে।
২৮ মার্চের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএইউ) সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা হবে এবং ৭ -১০ দিনের মধ্যেই দেশের সব কটি বিভাগে পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। এছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুয়েত মৈত্রীতে ১৬টি ভেন্টিলেটর, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ৮টি ভেন্টিলেটর ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা বাড়ানো হয়েছে।
দেশের ৬৪টি জেলা এবং ১০০ উপজেলায় সকল ধরনের ল্যাবরেটরি, ট্রেনিং টেকনিশিয়ান, ইপিআই টেকনিশিয়ান, এমটি ল্যাব, রেডিওগ্রাফারদের কীভাবে পিসিআর মেশিন ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে ।
সব বিভাগে পিসিআর মেশিন বসানোর পদক্ষেপ গ্রহণ নেয়া হয়েছে এবং ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এগুলোতে কোভিক-১৯ টেস্ট শুরু করা সম্ভব হবে বলে তারা দাবি করেছে।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অতিরিক্ত ১৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে এবং শেখ রাসেল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতালে আটটি ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই এটি ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড-১৯-এর জন্য সম্পূর্ণরূপে নির্ধারিত করা হয়েছে। সেখানে আইসিইউ শয্যা বসানোর কাজ চলছে।
২৯ মার্চ, জানানো হয়, কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও হাসপাতাল সংক্রমণরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যেই ৭১০ জন চিকিৎসক ও ৪৩ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে ২ জন চিকিৎসক অর্থাৎ আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসারগণ ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, মিরপুর পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতাল (লালকুঠি) এবং রিজেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগণ এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তা ছাড়া দেশের সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এখন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং ইপিআই সার্ভিলেন্স টিমের মাধ্যমে - সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন এবং নমুনাগুলো পিসিআর টেস্ট সেবা প্রদানকারী নিকটস্থ বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / আইপিএইচ এ প্রেরণ করবেন। জনগণকে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ সংক্রমনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), ৩৩৩, আইডিসিআর এর হটলাইনসমূহ (০১৯৪৪৩৩৩২২২২, ০১৬৫৫) এবং স্থানীয় হাসপাতালসমূহে কল করে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে না আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কেননা এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ১১২৭ জন চিকিৎসক এই সেবা (মোবাইল চিকিৎসা সেবা "উবার ডাক্তার") প্রদানে যুক্ত হয়েছেন এবং ৭২২৭ জন চিকিৎসক এ সেবা প্রদানের জন্য নিবন্ধনকৃত হয়ে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন।
মোট সংগ্রহ: ৫,৫৬,৯৫২ টি
মোট বিতরণ: ৪,৫৬,১৭৪ টি
মোট মজুদ: ১,০০,৭৭৮ টি
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ৪,৫৬,১৭৪ টি (চার লাখ ছাপান্ন হাজার একশত আটাত্তর টি) ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা হয়েছে। (সূত্র: সিএমএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) [৬ এপ্রিল সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত সর্বশেষ আহরণ ও বিতরণ অনুযায়ী]
সর্বমোট ব্যবহার করা হয়েছে (সরবরাহ): ৩,৬৮,০৫৩ টি
বর্তমানে জমা আছে (মজুদ): ১৬,৫৫,৯৯০ টি
সর্বমোট ব্যবহার করা হয়েছে (সরবরাহ): ৩৫,৮৬০ টি বর্তমানে জমা আছে (মজুদ): ৭৯,৪১৬ টি
গাউন - সর্বমোট অধিগ্রহণ করা হয়েছিল: ১৬,০০০, সর্বমোট ব্যবহার করা হয়েছে (সরবরাহ): ১২,৬৬০, বর্তমানে জমা আছে (মজুদ): ৩,৩৪০
কম্বো সার্জিক্যাল প্রোটেকশন ড্রেস- সর্বমোট অধিগ্রহণ করা হয়েছিল: ৮৪০, সর্বমোট ব্যবহার করা হয়েছে (সরবরাহ): বর্তমানে জমা আছে (মজুদ):
প্রোটেকটিভ কভার অল অ্যান্ড সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক- সর্বোমোট অধিগ্রহণ করা হয়েছিল: ২৫,১০২, সর্বমোট ব্যবহার করা হয়েছে (সরবরাহ): ১৯,০০০, বর্তমানে জমা আছে (মজুদ): ৬,১০২ [২৩ মার্চ এর রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত সর্বশেষ আহরণ ও বিতরণ অনুযায়ী] (সূত্র: সিএমএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
মোট সংগ্রহ: ৯২,০০০ টি
মোট বিতরণ: ২১,০০০ টি
মোট মজুদ: ৭১,০০০ টি
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ৩,৩৪,২৭০ টি (তিন লাখ চৌত্রিশ হাজার দুইশত সত্তুর টি) পিসিআর (PCR) কিটস সরবরাহ করা হয়েছে। [১-৫ এপ্রিল সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত সর্বশেষ আহরণ ও বিতরণ অনুযায়ী] (সূত্র: সিএমএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
১ এপ্রিলের তথ্যানুসারে, ৫০ হাজার মেডিকেল গ্রেড মানসম্পন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (পিপিই) দেবে গ্রামীণফোন। চিকিৎসক ও নার্সদেরকে এই সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, এন৯৫ মাস্ক, গ্লাভস ও গগলস এবং ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিটও দেবে তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত হাসপাতালসমূহে তারা এগুলো পৌঁছে দেবে।
ঢাকা - ১০৭০ টি
চট্টগ্রাম - ১,১৪৯ টি
বরিশাল - ৫৭০ টি
খুলনা - ৬৭২ টি
ময়মনসিংহ - ৪০৮ টি
সিলেট - ৮৯৮ টি
রাজশাহী - ৬৭৯ টি
রংপুর - ৪৫৩ টি (সূত্র: ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
২৭ মার্চের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) সেবা দেয়ার জন্য সারাদেশে ৩২৩ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে যার মাধ্যমে ১৮,৯২৩ জনকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
সেবা প্রদান করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১,১২৩ জন চিকিৎসক, ১,৫৭৫ জন নার্স ও অন্যান্য ১,২৮৪ জনসহ সর্বমোট ৩,৯৮২ জন সেবাদানকারী প্রস্তুত রয়েছেন।
রোগ-অন্তরণ (আইসোলেশন) করা সর্বমোট শয্যা: ৪৫৩৯ টি।
ঢাকা শহরের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা; রিজেন্ট হাসপাতাল,মিরপুর ও সাজেদা ফাউন্ডেশন যাত্রাবাড়ী - এই ৫ টি হাসপাতালে ২৯ টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ১৬ টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৫ টি Dialysis শয্যা প্রস্তুত আছে। [২৭ মার্চ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এর তথ্যানুসারে]
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক সংখ্যা (৫ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী):
যারা কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন (১ এপ্রিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী):
১ এপ্রিলের, নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভাইরোলজিষ্ট, ন্যাশনাল পোলিও অ্যান্ড মিজেলস ল্যাবরেটরী, আইপিএইচ, ডাঃ খন্দকার মাহবুবা জামিল জানান, কোন মৃত ব্যক্তির নাক-মুখ নিঃসৃত পদার্থে ২-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর জীবাণু জীবিত থাকে। তবে ভাইরাস আক্রান্ত হলে মৃত ব্যক্তির নাক-মুখের ভিতর জীবিত বা মৃত ভাইরাস থাকলে তা পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ আসবে।
৭ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট বিদেশাগত স্ক্রিনকৃত যাত্রীসংখ্যা হল: ৬,৬৮,৩৮৬ (ছয় লাখ আটষট্টি হাজার তিনশত ছিয়াশি) জন। ৭ এপ্রিল এসেছে: ৩৪০ জন
৬ এপ্রিল এসেছে: ২৬৯ জন
৫ এপ্রিল এসেছে: ২১৯ জন
৪ এপ্রিল এসেছে: ৩২৪ জন
৩ এপ্রিল এসেছে: ৩০৩ জন
২ এপ্রিল এসেছে: ৪০১ জন
১ এপ্রিল এসেছে: ৩১৩ জন
৩১ মার্চ এসেছে: ৪৬৩ জন
৩০ মার্চ এসেছে: জন
২৯ মার্চ এসেছে: জন
২৮ মার্চ এসেছে: জন
২৭ মার্চ এসেছে: ৪৪৬ জন
২৬ মার্চ এসেছে: ৭৩৬ জন
২৫ মার্চ এসেছে: ১,১৩২ জন
২৪ মার্চ এসেছে: ৩,০০৮ জন
২৩ মার্চ এসেছে: ১,০০৯ জন
২২ মার্চ এসেছে: ৬,৫০২ জন
২১ মার্চ এসেছে: ৬,৯৬৮ জন
ঢাকা: ৯২,৩৩০ জন চট্টগ্রাম: ২৭,২২৯ জন সাতক্ষীরা: ১৫,১৬৫ জন লালমনিরহাট: ৮,৩৩৯ জন দিনাজপুর: ৬,৬৩৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ১,৫৪২ জন বাগেরহাট: ৩৯৩ জন মৌলভীবাজার: ২১১ জন কক্সবাজার: ৯১ জন হবিগঞ্জ: ৫৫ জন জামালপুর: ১৩ জন (সূত্র: ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
(৬ এপ্রিল পর্যন্ত হালনাগাদ)
২৬ মার্চ,চীন প্রদান করেছে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী, ১ হাজার হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার (ইনফ্রারেড) ও ১৫ হাজার এন ৯৫ মাস্ক।
উল্লেখ্য, পূর্বে বাংলাদেশ; চীন সরকারকে ৫ লাখ মাস্ক, ১০ লাখ গ্লোভস,১ লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১ লাখ ৫০ হাজার ক্যাপ ও ৮ হাজার গাউন প্রদান করেছিল।
'জ্যাক মা ফাউন্ডেশন' (আলিবাবা) ২৭ মার্চ, ৩০ হাজার টেস্ট কিট এবং ২৯ মার্চ, ২,৭০,০০০ ফেস মাস্ক ও ৩০ হাজার এন ৯৫ মাস্ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কে প্রদান করেছে।
২৫ মার্চ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ৫০০০ টি ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী প্রদান করেছে।
বাংলা ট্রাক গ্রুপ ৩ টি ভেন্টিলেটর মেশিন প্রদান করেছে।
4A YARN Dyeing প্রদান করেছে ২০০ টি পিপিই, ৪০০ টি মাস্ক (কটন), ২০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ১০০০ টি গ্লোভস।
আয়েশা মেমোরিয়াল প্রদান করেছে ৩৪৬০ টি পিপিই, ৮০০০ টি সু-কভার, ১৭০ টি চশমা।
ইস্পাহানী গ্রুপ প্রদান করেছে ১৫০০ টি N-95 মাস্ক, ওয়াটার এইড - ১০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ৯৭ টি স্প্রে মেশিন
এছাড়াও চীন সরকার এবং ওয়াল্টন গ্রুপ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে পিপিই এবং টেষ্টকীট সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করেছে। [৬ এপ্রিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে]
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ পরিমাণ তৈরীর কার্যাদেশ পেয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেড এর পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেড, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী তৈরীর কাজ শুরু করেছে এবং ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১৩০০ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে ৫৮ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী বানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করেছে।
এগুলো উন্নতমানের পানি ও বায়ুরোধী রপ্তানীযোগ্য মানের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী এবং বুয়েট, আইডিসিআর ছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাপ্ত গুণগত মানের সনদ তাদের আছে। আমেরিকার ক্রেতা প্রতিষ্ঠান 'উডব্রিজ' এর জন্য গত ৫ বছর ধরে তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী তৈরি করে আসছে যারা নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য এই ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীর অর্ডার তারা সাধারণত পেয়ে থাকে।
এর নির্বাহী পরিচালক জানান যে, তাদের বর্তমান মজুদকৃত কাঁচামাল দিয়ে আরও দেড় লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৫ মার্চ, অনুমোদন দেওয়ার পর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী তৈরির কাজ চলছে ৫ টি কারখানায় এবং আরও কয়েকটি কারখানা সুরক্ষা পোশাক তৈরি শুরু করবে ১ সপ্তাহের মধ্যেই।
বিজিএমই, অরুণাচল ট্রাস্ট, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই প্রতিষ্ঠান ৫ টি যৌথভাবে এ পদক্ষেপটি নিয়েছে। পাঁচটি গার্মেন্টস ঊর্মি গ্রুপ, স্নো টেক্স, আমান গ্রুপ, ডেকো গ্রুপ এবং স্মার্টেক্স গ্রুপ বুধবার থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী উৎপাদন শুরু করেছে এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ সুরক্ষা পোশাক তৈরি করবে তারা আর অনেক হাসপাতাল ও ব্যাংক ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে তাদেরকে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম ইপিজেডে 'মোস্তফা গ্রুপ' উন্নত ধরনের মাস্ক তৈরি করছে এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে ১০ লাখ মাস্কের ক্রয়াদেশ পেয়েছে।
'ওয়ালটন' ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী ও জীবাণুরোধক (স্যানিটাইজার) তৈরি করে বিনামূল্যে বিতরণ করতে শুরু করতে যাচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং অ্যাম্বুলেন্সের গাড়ি চালকদের জন্যই মূলত এই ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীগুলো তৈরি হবে।
সরকারথেকে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী তিন মাসের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীর সর্বোচ্চ চাহিদা থাকতে পারে ১০ লাখ, একইসাথে এ মাসেই বিভিন্ন দেশ থেকে আরও এক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী দেশে আসবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, তারা করোনা'র সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই সরকারকে এক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী দিয়েছিল এবং ২৮ তারিখ নাগাদ আরও ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী দিতে পারবে।
২৯ মার্চ পর্যন্ত বেশ কিছু গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ ও বণ্টনে অব্যবস্থাপনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী ছাড়াই কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে বলে একাধিক উৎসে দাবি করেছেন এবং চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছেন বলে একাধিক উৎসে জানা গেছে।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, ‘পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী) এসেছে, আসছে এবং আসতেই থাকবে। চিন্তিত হবার কিছু নেই’। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন আসলে এমূহূর্তে দেশ 'পিপিই আছে, পিপিই নেই!' এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে।
৮ মার্চ, 'আইইডিসিআর' প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের কথা জানানোর পর থেকেই চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী বা পিপিই’র দাবি তুলেছিলেন এবং কিছু জায়গায় ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী না থাকায় চিকিৎসাসেবা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী সংগ্রহ করতে বা বানিয়ে নেয়ার অনুরোধে নোটিশ জারিও করা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যদেকে নিজ দায়িত্বে পিপিই কেনার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেন।
এ ব্যপারে তথ্যের প্রাপ্যতা বা গোটা ব্যাপারটা পরিষ্কার নয় কেন সে বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আবার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী নিয়ে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর কাছাকাছি সময়ে বক্তব্যও পরস্পরবিরোধী। ২০ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের জন্য ১০ লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করা হবে। তাতে করে কোনও সেবাকেন্দ্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীর কোনও অভাব হবে না। তবে এ ঘোষণার ৩ দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীর এখন এত প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো (CMSD) তে গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত তিন লাখ ৫০ হাজারের মতো পিপিই সংগ্রহ করার পর ২ লাখ ৮৫ হাজারের মতো বিতরণ করা হয়েছে এবং মজুত আছে ৬৫ হাজারের মতো, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অপরদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানিয়েছেন যে এপ্রিল থেকে আমাগী তিন মাস পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখে পিপিই আর মাস্ক প্রয়োজন হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসক বা নার্সরা যে পিপিই পরবেন, সেটিকে হতে হবে যে'কোন তরল (বমি, রক্ত, রাসায়নিক পদার্থ) প্রতিরোধী তবে তাতে নিঃশ্বাস নেওয়ার উপায় থাকতে হবে। আর এসমস্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রীকে একবার ব্যবহারযোগ্য হতে হয় অর্থাৎ একবার ব্যবহারের পরই সেটি আর পরা যাবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশেষজ্ঞ ভাইরাসবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. নজরুল বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, এসব (ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী) পিপিইর কাপড় হতে হবে নির্ধারিত। কিন্তু তা যদি না হয়, তাহলে এর উদ্দেশ্য সফল হবে না, বরং তাতে আরও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগের এক চিকিৎসক জানান যে এ বিভাগের জন্য হিসাব করে এক মাসের জন্য ৭৮ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী চাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের হাতে আছে মাত্র ২ হাজার ৯০০ টি। ২৮ মার্চ মোটে সাড়ে তিনশ’ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন যে ১০০টি উপজেলায় ৩টি সরবরাহ করা হলেও এ সংখ্যা যথেষ্ট নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্রে জানা গেছে বিভিন্ন সময়ে অনুদান থেকে যেসমস্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী এসেছে সেগুলোর গুণগত মান খুবই নিম্নমানের। কোনগুলোর চশমা বা গগল্সের প্লাস্টিক খুলে গেছে আবার কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক সেবা দেয়ার উপযুক্ত নয়। মানসম্মত নয় বলে অনেকগুলো আবার তালাবদ্ধ করেও রাখা হয়েছে।
৮ জুন, বাংলাদেশের হাই কোর্ট, রাষ্ট্রপক্ষের নিকট জানতে চেয়েছে যে বাংলাদেশে সর্বমোট কতটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) রয়েছে এবং সেগুলোর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের হাসপাতালসমূহের আইসিইউগুলোর কোন সেন্ট্রাল মনিটরিং আছে কিনা এবং প্রয়োজন পড়লে কোভিড-১৯ রোগীদেরকে কীভাবে বণ্টন করা হয় রাষ্ট্রপক্ষকে তা ১০ জুনের মধ্যে জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। বেসরকারি হাসপাতালসমূহের আইসিইউ অধিগ্রহণ এবং অনলাইনে একটি সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুর নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের শুনানিতে, হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ঐ আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ১,১৬৯ টি আইসিইউ বিছানা রয়েছে এবং ৪৩২টি ব্যতীত বাকি সবগুলো বেসরকারি হাসাপাতালের অধীনে। তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমান 'ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট' অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি হাসপাতালের এই আইসিইউগুলো অধিগ্রহণ করতে সক্ষম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ চালুর প্রয়োজনীয়তা আছে।
অবরুদ্ধকরণ সত্ত্বেও অধিকাংশ অঞ্চলে নির্দেশ মানা হয়নি। প্রতিরোধের অন্যতম উপায় সামাজিক দূরত্ব স্থাপন না মানার ফলে সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধিলাভ করতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৮ এপ্রিল, এক ইসলামী বক্তার জানাজায় শ্রদ্ধা জানাতে হাজারের বেশি মানুষ অবরুদ্ধকরণ উপেক্ষা করে জমায়েত হয়। তবে নিকট সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উক্ত জনসমাগমের বিশেষ বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
পরবর্তীতে সরাইল উপজেলা ও তার আশেপাশের আটটি গ্রাম অবরুদ্ধকরণ করা হয়, দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
২৩ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব স্থাপন, অন্তরণ, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য পুলিশ, প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনী কাজ করে।
কক্সবাজার অবরুদ্ধকরণের সাথে সাথেই উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ক্যাম্পগুলোতে সতর্কতার সাথে খাবার ও চিকিৎসাব্যবস্থা ছাড়া সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বিশ্বের ১৭ টি দেশে ৬৬৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৯,০০০ জন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২৫৮; যুক্তরাজ্যে ২০০; সৌদি আরবে ১০২; সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৫; কুয়েতে ১৭; ইতালিতে ৯; কানাডায় ৯; ফ্রান্সে ৫; স্পেনে ৫; কাতারে ৪; সুইডেনে ৮; মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন।
২৭ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ চলছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা এবং আইইডিসিআরের কর্মীরা রোগ শনাক্ত করেন, তবে তাদের জনবল কম বলে নমুনা সংগ্রহের জন্য সব জায়গায় কর্মী পাঠাতে পারছে না।
এর মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন,সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) কাজে লাগানো হবে যারা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ব্যাপারে তথ্য দিতে উপজেলা হাসপাতালে যোগাযোগ করবে তখন উপজেলা থেকে কর্মী গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। নমুনা দেওয়ার জন্য কেউ হাসপাতালে যাবে না। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ব্যাপারে সিএইচসিপিরা উপজেলা হাসপাতালে যোগাযোগ করবে। উপজেলা থেকে কর্মী গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে।
জনবল সম্পর্কে তিনি বলেন, ৬৪ জেলা পর্যায়ের এবং ১০০টি উপজেলার কর্মীদের ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইপিআইয়ের মাঠকর্মীদের নমুনা সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে।
যদিও চিকিৎসার কাজে নির্দিষ্ট রাজধানীর আটটি হাসপাতালের ২ টি ব্যতীত সবগুলো এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি তবে একাজে জেলা শহরের সদর হাসপাতালগুলোকে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
সরকার দাবি করছে, সরকারের সব মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস মোকাবিলার কাজে যুক্ত হয়েছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠিত হয়েছে,
যার প্রথম সভা হয়েছিল ৩ মার্চে, কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে ১৮ মার্চে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রণীত দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে তার আলোকে দেশের প্রেক্ষাপটে রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ অভিজ্ঞ সবার মতামতের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি গাইডলাইন (২০ টি) প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনাগুলোর বিস্তারিত তথ্য রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে এবং 'করোনা ইনফো' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ মার্চ ২০২০ তারিখে তে।
হাসপাতালের প্রবেশমুখে স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) সহ রোগী শনাক্ত | |||||||||||||||||||||||||||||
* সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীকে আলাদা বিশেষ কোভিড-১৯ বর্হিবিভাগ/ জরুরি বিভাগ কক্ষে স্থানান্তর
| |||||||||||||||||||||||||||||
* চিকিৎসক রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং রোগীর ভ্রমণ ইতিহাস বা অন্য দেশ থেকে আশা মানুষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করবেন।
| |||||||||||||||||||||||||||||
সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ড বা কেবিনে পাঠানো হবে। | সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগী না হলে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান এবং ভ্রমণ ইতিহাস বা অন্য দেশ থেকে আসা মানুষের বা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন | ||||||||||||||||||||||||||||
রোগীর কাছ হতে কোভিড-১৯ এর RT-PCR পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে। | *কোভিড-১৯ প্রমানিত না হলে এবং রোগীর অন্য জটিল সমস্যা না থাকলে হোম কোয়ারেন্টাইন করা ১৪ দিনের জন্য
| ||||||||||||||||||||||||||||
* কোভিড-১৯ প্রমানিত হলে চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
| * নিউমোনিয়া, সেপটিক শক বা অন্য জটিলতার চিকিৎসা প্রচলিত প্রটোকল অনুযায়ী করা হবে হবে। | ||||||||||||||||||||||||||||
* পরপর ২ দিন জ্বরের ঔষধ ছাড়াই জ্বর না থাকলে এবং পর পর দুই দিন কোভিড-১৯ এর RT-PCR পরীক্ষা নেগেটিভ হলে রোগকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার ছাড়পত্র দেয়া হবে। | |||||||||||||||||||||||||||||
বাংলাদেশের একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের, জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিমত দিয়েছেন যে, বাংলাদেশে জুলাই মাসে মহামারীটির মূল প্রবাহ (পিক টাইম) শুরু হতে পারে যখন দেশের গ্রামাঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগটি ছড়িয়ে পড়বে।
প্রায় সব বিশেষজ্ঞ,স্বাস্থ্য সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে একমত যে কয়েক মাসের মধ্যে এর সংক্রমণের তীব্রতা কমে আসলেও সম্পুর্নভাবে থামতে লাগবে দীর্ঘ সময়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (BCG) পূর্বাভাস দিয়েছে যে, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোয় এর সংক্রমণের তীব্রতা এ বছরের জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ভারতের ক্ষেত্রে সংক্রমণটি জুনের তৃতীয় সপ্তাহে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে তারা দাবী করেছে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে ৩ টি কৌশলের কথা বলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সর্বোচ্চ দ্রুতগতিতে চেষ্টা করা হলেও সম্ভাব্য কার্যকরী টিকা প্রস্তুত করতে সময় লাগবে ১-১.৫ বছর। এরপর অনুমোদন এবং বিশ্বজুড়ে সফলভাবে প্রয়োগ করতেও অনেকটা সময় দরকার।
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেছেন যে তারা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার প্রতি (ফ্ল্যাটেন দ্যা কার্ভ) জোর দিচ্ছেন যাতে করে দেশের একটি কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। তিনি মনে করেন দুই বছরের বেশি সময় যাবত যদি তারা এটা করতে পারেন তাহলে দেশের একটি বড় অংশ আক্রান্ত হবে খুবই ধীরে ধীরে এবং যার ফলে স্বাভাবিক নিয়মে মানবদেহে এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যেহেতু দ্রুতই এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব নয় তাই অবশ্যই মানবজাতিকেই তাদের অভ্যাস ও আচার-আচরণ বদলাতে হবে। তাদেরকে আরও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং শারীরিক/সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার চর্চা চালিয়ে যেতে হবে।
এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে যে পদক্ষেপগুলো নিতে হয় তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি কড়াভাবে মেনে চলা, হাত ধোয়া, না ধুয়ে নাকে-মুখে-চোখে হাত না দেওয়া এবং সাথে টিস্যু পেপার রাখা যাতে হাঁচি-কাশি এলে ব্যবহার করে সরাসরি ময়লা ফেলার ঝুড়িতে নিক্ষেপ যায়। যারা এরইমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন জনসমক্ষে এলে তাদেরকে অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক পরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
রোগী ও সন্সেহভাজনদেরকে সেবা দেয়ার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে যথাসম্ভব পূর্বসতর্কতা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত কর্তাব্যক্তিদের জন্য 'কন্টাক্ট ট্রেসিং' একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করা যায় এবং ছড়িয়ে পড়াকে থামানো যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাংলাদেশেও ব্যাপক ও দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষণের ব্যবস্থা থাকাটা জরুরি। জনসচেতনতা, অন্তরণ, সঙ্গনিরোধ এমনকি অবরুদ্ধকরণের (আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন) পরেও উপসর্গহীন (Asymptomatic) ভাইরাসবাহক ব্যক্তিদের কারণে দেশের মধ্যে নিরবে এটি ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ একটি ঝুঁকি রয়েছে। সেকারণে উপসর্গ বা লক্ষণের প্রকাশ না পেলেও সবাইকে ঘরে বসে অবরুদ্ধ অবস্থাতে থাকার সময় এবং চলাচল সীমিত রেখে সামাজিক আন্তঃক্রিয়া সম্পাদনের সময়েও শারীরিক/সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা, নাকে-মুখে-চোখে হাত না দেওয়া, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা, ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি অত্যন্ত সাবধানতার সাথে মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
ব্যক্তি পর্যায়ে এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে তারা কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। জীবাণুটি মানুষ-থেকে-মানুষে প্রধানত ২ প্রক্রিয়াতে ছড়াতে পারে। প্রথম প্রক্রিয়াটি ঘটে আবার ২ ধাপে।
১ম ধাপ: সংক্রমিত ব্যক্তি ঘরের বাইরে অবস্থানের সময় মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলে করোনাভাইরাস তার আশেপাশের (১-২ মিটার পরিধির মধ্যে) বাতাসে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে।
২য় ধাপ: অতঃপর সেই করোনাভাইরাস কণাযুক্ত বাতাসে কেউ যদি শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে তাহলে তার (একাধিক ব্যক্তিও হতে পারেন) ফুসফুসেও শ্বাসনালি দিয়ে এই করোনাভাইরাসগুলি প্রবেশ করতে পারে।
'সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিও রয়েছে কয়েক ধাপ। ১ম ধাপ: সংক্রমিত ব্যক্তি যদি হাঁচি-কাশি-নাক ঝাড়ার শিষ্টাচার না মানেন, তাহলে তার হাতে বা ব্যবহৃত বস্তুতে করোনাভাইরাসগুলো লেগে থাকবে।
২য় ধাপ: এখন যদি সেই ব্যক্তি তার পরিবেশে, আশপাশের কোথাও যেকোনও বস্তুর পৃষ্ঠতলে তার করোনাভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করে, তাহলে সেই পৃষ্ঠতলেই জীবাণুগুলো পরবর্তী একাধিক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
৩য় ধাপ: এখন যদি অন্য কোনও ব্যক্তি সেই করোনাভাইরাসযুক্ত পৃষ্ঠটি কোনভাবে হাত দিয়ে স্পর্শ করে ফেলে সেক্ষেত্রে ঐ নতুন ব্যক্তির হাতেও জীবাণুগুলো চলে আসবে।
৪র্থ ধাপ : তবে হাতে লাগলেই জীবাণুগুলো দেহের ভেতরে বা ফুসফুসকে সংক্রমিত করতে পারবে না যদি তিনি যেকোন পদ্ধতিতে হাত জীবাণুমুক্ত করে ফেলেন। তবে তিনি যদি ভুলক্রমে ঐ জীবাণুযুক্ত হাতটি দিয়েই নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করে ফেলেন কেবল তখনই করোনাভাইরাসগুলো ঐসব এলাকার উন্মুক্ত শ্লেষ্মাঝিল্লি দিয়ে দেহের ভিতরে প্রবেশ করবে ও প্রথমে গলায় ও পরে ফুসফুসে বংশবিস্তার করা শুরু করবে।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রতিটি অন্তর্বর্তী ধাপেই যদি করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করা যায়, তাহলে সফলভাবে এই ভাইরাস ও রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
শারীরিক/ সামাজিক দূরত্বের উদ্দেশ্য হলো, সংক্রমণ বহনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এবং সংক্রমিত না হওয়া অন্যদের মধ্যে যোগাযোগের সম্ভাবনা হ্রাস করা, যাতে রোগ সংক্রমণ, অসুস্থতা এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ জীবাণুর বিস্তাররোধে এবং নিজে নিরাপদ থাকতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি হল ঘরে থাকা, মানুষের কাছাকাছি না আসা।
এই জীবাণু কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়াই দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যেকোনও ব্যক্তির দেহে তার অজান্তেই বিদ্যমান থাকতে পারে। এরকম করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি যদি কোনও কারণে হাঁচি-কাশি বা নাক ঝাড়েন, তাহলে তার আশেপাশের বাতাসে ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে করোনাভাইরাসবাহী জলীয় কণা বাতাসে ভাসতে শুরু করে এবং ঐ পরিধির মধ্যে অবস্থিত অন্য যেকোনও ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে জনসমাগম বেশি আছে, এরকম এলাকা অতি-আবশ্যক প্রয়োজন না হলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে যাতে বাতাসে ভাসমান সম্ভাব্য করোনাভাইরাস কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ না করতে পারে।
এর মানে হলো, আপনি অকারণে অবশ্যই ঘরের বাইরে যাবেন না। কোথাও একজোট হয়ে আড্ডা দেওয়া, সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করবেন। পারস্পরিক আলাপে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখবেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, সন্দেহ আসলে দিনে কয়েকবার করে হাত ধুবেন। ভিড়ে যাবেন না, গণপরিবহনে পারতপক্ষে উঠবেন না, ভ্রমণ করবেন না, সিনেমা–থিয়েটার–প্রার্থনাগৃহেও যাবেন না। বন্ধুবান্ধবের কাছে যাবেন না, তাঁরাও আসবেন না এবং সম্ভব হলে কাউকে স্পর্শ না করে প্রত্যেকের সঙ্গে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন। খাবার, ঔষধ কেনা ও সৎকারের মত অতি জরুরি কাজগুলো সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে সতর্কতার সাথে করবেন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি-এর সংজ্ঞানুসারে এটি হল, "রোগের সঞ্চালন ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য মানুষের মধ্যকার সংস্পর্শের ঘটনা কমানোর পদ্ধতি"। এর উদ্দেশ্য হল সংক্রামক রোগ বহনকারী ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা কমানো। একইসাথে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন অপরের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তথা রোগ সংবহন কমানো এবং সর্বোপরি মৃত্যুহার কমানো। সিডিসি প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের ১.৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে এবং এই দূরত্ব যত বেশি হবে, নিরাপত্তাও ততই বেশি হবে বলে দাবি করেছে। অন্যদের সাথে দেখা করতে হলে কিংবা কেনাকাটায় গেলেও এটা মানতে হবে।
এই রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হাত ধৌতকরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসিও জনগণকে দিনে কয়েকবার করে সাবান পানি দিয়ে ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধৌতকরণের অভ্যাস তৈরি করতে বলেছে। পয়ঃনিষ্কাশন কর্মের পর, খাবার পূর্বে, কাশি-হাঁচি-নাক ঝাড়ার পর বা এমনকি হাত নোংরা দেখালেও ধুতে হবে। কারণটা হল, মানবদেহের বাইরে এই জীবাণু বেশ দুর্বল। এমনকি ঘরের ব্যবহৃত সাধারণ সাবানও এর সুরক্ষা বুদবুদ ফাটিয়ে একে মেরে ফেলে। সাবান পানি কাছে না থাকলে অ্যালকোহলভিত্তিক (ন্যূনতম ৬০℅) 'হ্যান্ড স্যানিটাইজার' ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি। না ধোয়া হাতে, নাকে-মুখে-চোখে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
পরিবেশে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তুতে করোনাভাইরাস লেগে থাকতে পারে, তাই এগুলি কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করলে তার হাতেও এই জীবাণু লেগে যেতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনাভাইরাস কাঠ, প্লাস্টিক বা ধাতুর তৈরি বস্তুর পৃষ্ঠে গড়ে চার থেকে পাঁচ দিন লেগে থাকতে পারে। মানুষকে জীবনযাপনের প্রয়োজনে এগুলিকে প্রতিনিয়তই হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। তাই এগুলি স্পর্শ করার পরে হাত ভাল করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। কিছু কিছু বস্তু হাত দিয়ে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া জরুরি।
এইসব ক্ষেত্রগুলিতে হাত দিয়ে স্পর্শের পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং যত ঘনঘন সম্ভব হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সিডিসি'র হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে
কখন হাত ধুতে হবে, তা জানার জন্য নিচের নির্দেশনাগুলি মনে রাখা জরুরি:
এ জীবাণু কেবলমাত্র নাক, মুখ, চোখের উন্মুক্ত শ্লেষ্মাঝিল্লি দিয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। পরিবেশে উপস্থিত করোনাভাইরাস স্পর্শের মাধ্যমে হাতে লেগে থাকতে পারে। তাই আধোয়া জীবাণুযুক্ত হাতে কখনোই নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা যাবে না। যদি একান্তই নাকে মুখে চোখে হাত দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিয়ে তারপর করতে হবে, কিংবা কাগজের রুমাল ব্যবহার করে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করতে হবে। এজন্য সবসময় হাতের কাছে সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হস্ত জীবাণুমুক্তকারক (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) কিংবা কাগজের রুমালের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মটি মেনে চলা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে। নাক, মুখ ও চোখে হাত দেওয়া খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি ঘটনা এবং বহুদিনের অভ্যাসের বশে প্রায় সবাই কারণে-অকারণে এ কাজটি করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষ ঘণ্টায় ২০ বারেরও বেশি মুখের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে স্পর্শ করে। কিন্তু নিজদেহে এই জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে এই অভ্যাসের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। অনেকে মানসিক চাপের কারণে, গভীর চিন্তা করার সময়, অন্য কোনও অজ্ঞাত মানসিক কারণে কিংবা চুলকানির জন্য নাকে, মুখে, চোখে হাত দিয়ে থাকেন। তাই প্রথমে প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজেকে বেশ কিছু সময় ধরে নিয়মিত আত্ম-পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কোন্ কোন্ সময়ে বা কারণে সে নিজের নাক, চোখ বা মুখে হাত দিচ্ছে। কারণগুলি চিহ্নিত করার পর এবং এগুলি সম্বন্ধে সচেতন হবার পরে একে একে এগুলিকে দূর করার চেষ্টা করতে হবে এবং নাকে,মুখে, চোখে হাত দেয়ার মাত্রা যথাসর্বোচ্চ সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
কীভাবে এড়াবেন: বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা অনুসরণ করলে এ অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব হতে পারে।
হাঁচি-কাশি দিতে হলে কনুই ভাঁজ করে বা টিশু দিয়ে নাক-মুখ ঢেঁকে তারপর দিতে হবে এবং সাথেসাথে উপযুক্তভাবে ফেলে দিতে হবে সেই টিস্যু এমন পরামর্শই দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সব সংস্থাগুলো ।
সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ তাদের জন্য যারা হয়তোবা আক্রান্ত, কারণ এটা হাঁচি-কাশি বা কথা বলার সময় যে শুষ্ক থুতুকণা ভেসে আসে তার পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং বেশিদূর পর্যন্ত ছড়াতে দেয়না। যদিও কিছু দেশ যেমন চীন সবাইকেই এটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় কারণ এটি নাক-মুখ হাত দিয়ে স্পর্শ করার পরিমাণ (অভ্যাস) কমিয়ে দেয়। কখন এবং কীভাবে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তারও নির্দেশনা দিয়েছে
হাসপাতালের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রিত সমীক্ষায় দেখা গেছে যে রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্ক ইনফ্লুয়েঞ্জা ঠেকাতে পারে।
রেসপিরেটর হচ্ছে এমন একধরনের কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র যার মধ্যে থাকে একটি বিশেষায়িত ফিল্টার যা মূলত বায়ুবাহিত ক্ষতিকর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থের হাত থেকে শ্বাসনালিকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কখন ও কেন:
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
মাস্ক থেকে উপকার পেতে হলে, এটিকে পরতে হবে সঠিকভাবে, নিয়ম মেনে। বদলাতে হবে নিয়মিত। এবং এগুলো যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না, এক্ষেত্রেও নিরাপত্তা নির্দেশিকা মানতে হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কয়েকটি কারণে আবার সাধারণ জনগণেকে ফেস মাস্ক ব্যবহারের সুপারিশ করছেন না।
অনেকরকম জীবাণুনাশক বা অ্যালকোহল জাতীয় তরল দিয়ে গৃহ ও বিভিন্ন পৃষ্ঠতল পরিষ্কার করতে পারেন। অফিস বা ডে-কেয়ার এর মত কর্মক্ষেত্রে/প্রতিষ্ঠানে যদি কোভিড সন্দেহজনক বা নিশ্চিতকৃত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে গোটা অফিস এলাকাটিকেই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বাথরুম, সবাই ব্যবহার করে এমন স্থান, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যেমন ট্যাবলেট, টাচ স্ক্রিন, কিবোর্ড, রিমোট কন্ট্রোল এসব আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত হলে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও,
বাড়িতে সবার নিয়মিত হাত ধুয়ে পরিষ্কার করার অভ্যাস রপ্ত করা দরকার। বাড়ির মেঝে এবং অন্যান্য সকল পৃষ্ঠতল পরিষ্কার রাখার দুটি ধাপ রয়েছে। যার একটি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন (ক্লিনিং) করা, এবং অপরটি হলো জীবাণুনাশ (ডিজইনফেকটিং) করা।
প্রথমে পানি, ডিটারজেন্ট বা মেঝে পরিষ্কারক (ফ্লোর ক্লিনার) জাতীয় উপাদান দিয়ে মেঝে, তল ইত্যাদি পরিষ্কার করতে পারেন। এরপর জীবাণুনাশক উপাদান দিয়ে জীবাণুমুক্ত করবেন। জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং বা ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলের মিশ্রণ কার্যকর। পরিষ্কার কার্যক্রম শুরুর আগে গ্লাভস পরা জরুরি এবং কাজ শেষে সেটিকে ফেলে দেয়ে বা জীবাণুমুক্ত করা দরকার। বাড়ীর কার্পেট, মাদুর, ম্যাট ইত্যাদি জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিস্যু পেপার বা কিচেন রোল রাখাটা খুবই দরকারি , যাতে হাঁচি-কাশির সময় হাত বাড়ালেই এটি পাওয়া যায়। টিস্যু বা ময়লা ফেলার পাত্রটি (বিন) ঢাকনাযুক্ত হওয়া দরকার।
গৃহ ও কার্যালয়ে যেসব বস্তু অনেক বহিরাগত মানুষ হাত দিয়ে স্পর্শ করে, যেমন দরজার হাতল, নব, ছিটকিনি, লিফটের বোতাম, কম্পিউটারের কিবোর্ড ও মনিটরের পর্দা, ইলেক্ট্রিক সুইচস বা অন্য কোনও বহুল ব্যবহৃত আসবাব, ইত্যাদি নিয়মিতভাবে কিছু সময় পরপর জীবাণুনিরোধক স্প্রে বা দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও টাকা (নোট), টেলিফোন, মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ কম্পিউটার, টিভি রিমোট কেও জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
ঘরে ফিরে যা করা উচিত: ঘরে প্রবেশের মুখেই বেসিন,সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বাইরে থেকে ফিরে যেকোনো বস্তু স্পর্শ করার আগেই সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এর আগে বাসার কোন কিছু না ধরাই শ্রেয় কারণ এ হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে, সেখানেই এ জীবাণু থেকে যেতে পারে। বাইরে পরে যাওয়া জামা-কাপড়গুলো দ্রুত বদলে ফেলা জরুরি। বাইরের যেকোনো পার্সেল, প্যাকেট বা অন্য কিছু হাতে নেওয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলা উচিত। সাবান, স্যানিটাইজার অথবা ব্লিচিং মিশ্রণ সরাসরি স্প্রে করে অথবা পরিষ্কার কাপড়ে লাগিয়ে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। বাইরে থেকে পরে আসা জুতো ঘরে ঢোকাবেন না, সম্ভব হলে জুতার তলাটিও জীবাণুনিরোধক স্প্রে বা দ্রবণ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন। ঘরে ব্যবহারের জন্য আলাদা একজোড়া জুতা প্রস্তুত রাখবেন।
চিকিৎসকরা বলছেন যে ঘড়ির ব্যান্ড, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ও এর কভার, চশমা ও এর খাপ, বেল্ট, জুতোর নিচের অংশ, হাতের আংটির মাধ্যমেও বাড়িতে এই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে সেকারণে ঘরে ঢোকামাত্রই এগুলো জীবাণুমুক্ত করা অতি জরুরি। তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে এগুলো জীবাণুমুক্তকরণের পরামর্শ দিয়েছেন কারণ ভাল মানের হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলোতে থাকে ইথাইল অ্যালকোহল যা এসব কাজের জন্য উপযুক্ত। মোবাইল ফোন, চশমা, এবং অলংকারসমূহ জীবাণুমুক্তকরণের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। শুকনো কাপড়ে স্যানিটাইজার লাগিয়ে সেই কাপড় দিয়ে চশমার ডাঁটি, ফ্রেম, চশমার খাপ, মোবাইল ফোন ও তার কভার, মানিব্যাগ, বেল্ট খুব ভালোভাবে মুছে নেয়া উচিত ।
মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোন আমাদের কান-নাক-মুখ আর চোখের সংস্পর্শে আসে। আর যেহেতু যেখানে-সেখানে মোবাইল ফোন কানে চেপে ধরতে একটুও দ্বিধা করি না আমরা, সেকারণে এটি একটি অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। কান থেকে চোখ, নাক, মুখের দূরত্ব খুবই যৎসামান্য তাই এটির মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
ভাইরোলজিস্টদের মতে, মোবাইল ফোন হল 'হাই টাচ সারফেস'-এর একটি অন্যতম উদাহরণ। সেকারণে ঠিক ভাবে পরিষ্কার করা না এটির মাধ্যমেও 'কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশন' শুরু হতে পারে। সেকারণে বাইরে থেকে আসার পর সন্দেহ থাকলে স্যানিটাইজার দিয়ে মোবাইল ফোন মুছে অল্প সময়ের জন্য রোদে রাখা যেতে পারে।
বিবিধ:
করোনাভাইরাস-বহনকারী সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে করণীয়:
অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে করোনাভাইরাসের অতিমারীর কারণে বিশ্বজুড়ে গত কয়েক শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সুদূরপ্রসারী যে মন্দাটি ঘটবে বাংলাদেশেও তার বিরাট এক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এতে বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। শিল্পোৎপাদন, পণ্য বিক্রি ও জনগণের আয় কমে যাবে এবং কর্মী ছাঁটাই, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাবে।
বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক এক পূর্বাভাসে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশ সম্বন্ধে বেশ ইতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ রাষ্ট্রসমূহের জিডিপি বৃদ্ধির হারের যে তালিকা তারা তৈরী করেছে সেখানে সবচেয়ে ভাল অবস্থান দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে ৭.৯ % জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ যা ২০২০ সালে করোনা সম্পর্কিত সমস্ত সঙ্কটের মধ্যেও ২ % ধরে রাখতে পারবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসও প্রায় অনুরূপ। তারা ২-৩ শতাংশের কথা বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটি হবে যথাক্রমে -৫.৯; ১.২; ১.৯ ও -১.৫। ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.৫ %। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটি হবে যথাক্রমে ৪.৭; ৯.২; ৭.৪ এবং ২.০।
১ জুন প্রকাশিত; ব্র্যাক, ডেটা সেন্স ও উন্নয়ন সমন্বয়-এর এক যৌথ সমীক্ষা ও জরিপে জানা গেছে যে, চলমান মহামারী সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ৭৪% পরিবারের উপার্জন কমে গেছে এবং ১০ কোটি ২২ লাখ মানুষ অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে পড়েছেন। এছাড়াও ১৪ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন বা আসছেন।
সমীক্ষায় জানা গেছে, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র (যাদের দৈনিক আয় ১.৯ ডলার), যাদের মধ্যে নতুন করে চরম দরিদ্র হয়ে পড়া পরিবারগুলোও রয়েছে। উচ্চ অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে রয়েছে এমন চরম দরিদ্র ব্যক্তির সংখ্যা ৪ কোটি ৭৩ লাখ এবং উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লাখ।
সমীক্ষায় যেসব পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৪.৮% পরিবারের কমপক্ষে ১ জন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন এবং মার্চ-মে মাসের মধ্যে গড় পারিবারিক উপার্জন প্রায় ৭৪ % কমে গেছে।
তৈরি পোশাক খাতে (গার্মেন্টস) রপ্তানি এপ্রিল ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ সালের এপ্রিলে ৮৪ % কমে গিয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে ১,১১৬টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২২ লাখ পোশাক শ্রমিক।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে যে, নিম্নআয়ের মানুষের এই রোগের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি আছে। এছাড়াও এসব পরিবারের উপার্জনশীল সদস্যের মৃত্যু হলে তখন নারী ও শিশুদের মধ্যে অনাহার এবং অপুষ্টির শিকার হওয়ার উচ্চ আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। দেশব্যাপী সমন্বয়ের অভাবের কারণে দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের কাছে সরকারের দেওয়া খাদ্য এবং নগদ সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে।
চলমান মহামারী সঙ্কট বাংলাদেশে নতুন ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ডিজিটাল বিভাজন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে যে, বাংলাদেশে কেবল ৩৪ % পরিবারের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে এবং ৫৪ % পরিবারের টেলিভিশন দেখার সুযোগ রয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে বহুসংখ্যক শিশু ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশের ৭৮ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে যে ১০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে তা জরুরি ভিত্তিতে এখনই ৫০০' টাকায় উন্নীত করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে সঠিক জায়গায় সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারটা অনেকটা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
মে ২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে দেশের অর্থনীতির সূচকসমূহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি বছরে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার ৭৮,৩০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ফেলেছে যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে ১ বছরের হিসেবে সর্বোচ্চ। একারনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভ মানি (আরএম)/ হাই-পাওয়ার্ড মানি বাজারে সরবরাহ করতে হচ্ছে, যা প্রকৃতপক্ষে ছাপানো টাকা।
এপ্রিল মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশের রপ্তানি আয় কমেছে ৮৩%। এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫২ কোটি মার্কিন ডলার যা গতবছর একই সময়ে হয়েছিল ৩০৩ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার; যা প্রকৃতপক্ষে ৮২.৮৬% কমেছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ২,৯৪৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩% কমেছে।
আমদানি, ঋণপত্র খোলা বা নিষ্পত্তি অনেক পরিমাণে কমেছে যা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। এপ্রিল মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারের যা গতবছর একইসময়ে খোলা হয়েছিলো ৫২৬ কোটি মার্কিন ডলারের; যা প্রকৃতপক্ষে কমেছে ২৬৮%। এপ্রিল মাসে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৫ কোটি মার্কিন ডলারের যা গতবছর একইসময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৫০৮ কোটি মার্কিন ডলারের; যা প্রকৃতপক্ষে কমেছে ৬২%।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো বিদেশি আয়ের (রেমিট্যান্স) হার কমে আসছে এবং অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন তা আরও কমে যাবে। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যা গতবছর একই সময়ে এসেছিল ১৪৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার; যা প্রকৃতপক্ষে কমেছে ২৪.২৬%।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে (গার্মেন্টস) ক্রয়আদেশ (অর্ডার) অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশর পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং 'বিকেএমইএর' তথ্যানুসারে, করোনা সঙ্কটের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। শুধুমাত্র বিজিএমইএ'রই ১,১৫০টি কারখানার ২২,৮০,০০০ জন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদিও এপ্রিল মাস থেকে দেশের পোশাক কারখানায় পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। ক্রয়াদেশ এবং দ্রুত কাজের গতি বাড়লে তা দেশের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ সর্বোচ্চ পরিমাণে কমেছে যা রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, অর্থসচিব কে চিঠিতে জানিয়েছেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছরই রাজস্ব আয় বেড়েছে তবে চলমান অর্থবছরে তা কমবে এবং রাজস্ব বোর্ডের চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে না, বলা হয়েছে। গত অর্থবছরে ২,৩৪,৬৮৪ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছিল যা চলমান অর্থবছর শেষে অনুমিত হিসাবে হতে পারে ২,২০,০০০ কোটি টাকা। আদায় এর পরিমাণ, রাজস্ব বোর্ডের চলতি অর্থবছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১,০৫,৬০০ কোটি এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৮০,৫০০ কোটি টাকা কমবে।
চাকরি হারানো, বেতন না পাওয়া ইত্যাদি বহুবিধ কারনে ব্যাংকে জমানো সঞ্চয় ভেঙ্গে খেতে হচ্ছে সীমিত আয়ের ব্যক্তিদেরকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার পরিমাণ অনেক কমেছে আবার একইভাবে বেড়েছে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা। গত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত যত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি পরিমানে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির কারণে ভাঙানো হয়েছে।
ঋণ নিচ্ছেন না বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। এছাড়াও ব্যাংকে রাখা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেসরকারি খাতের ঋণ বিতরণ অনেক কমে গেছে।
করোনা অতিমারী সঙ্কটে বাংলাদেশে প্রতি ৬ যুবকের ১ জন কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং যাদের কাজ রয়েছে তাদের ২৩ শতাংশের কর্মঘণ্টা কমে এসেছে৷ ২৭শে মে প্রকাশিত, ‘আইএলও মনিটর : কোভিড-১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’ এর চতুর্থ সংস্করণে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এই দাবি করেছে। শ্রমবাজারের উপর করোনা অতিমারীর প্রভাব নিয়ে প্রকাশিত আইএলও এর এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৪ ভাগের ১ ভাগের বেশি (২৭.৩৯%) যুবক বেকার রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বেকারত্ব বাড়ছে এবং এতে যুবা নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই সঙ্কটে যুবকরা ৩ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে তারা কাজ হারাচ্ছেন, অন্যদিকে তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে আবার একইসাথে চাকরিতে প্রবেশ ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সোয়া ৩ কোটির বেশি৷ এর বাইরে গত দেড় যুগে ২.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ উপার্জন না থাকলে দ্রুতই তারা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন৷ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সাম্প্রতিক এক জরিপেও দেখা গেছে করোনার প্রভাবে দেশের নিম্নবিত্তের আয় ৭৫% কমে গেছে, হতদরিদ্র বা যাদের দৈনিক আয় ১৬০ টাকার কম এমন মানুষের সংখ্যা ৬০% বেড়ে গেছে৷
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর তথ্য অনুসারে তৈরি পোশাক খাতে ৪ হাজারেরও বেশি পোশাক কারখানায় প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ কর্মরত আছে। করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্য খাতের মত হুমকির মুখে দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই খাত। ইতোমধ্যে দেশের লকডাউন পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ কারখানার উৎপাদন। ফলে অধিকাংশ কারখানার মালিক তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। এই খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ঘোষণা করেছে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ। এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অর্থ নিয়ে অনেক পোশাক কারখানা মালিক তাদের কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন। অনেকে বলছে যে এই প্যাকেজ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে অনেকেই দিতে পারছেনা বেতন ভাতা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে কিছু কারখানা খুলে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক প্রভাবে সকল দেশেই কমতে থাকে তৈরি পোশাকের চাহিদা। যার ফলে বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করতে শুরু করে। বিজিএমইএ বলছে, এরই মধ্যে অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করেছে বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। ৪ এপ্রিল, ২০২০ বিবিসি বাংলা “করোনাভাইরাস: বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকতে পারবে?” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে করে। প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার যত বাড়ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগও ততটাই ঘনীভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে এরই মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এই শিল্প টিকে আছে ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারের উপর নীর্ভর করে। কিন্তু সেসব দেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ফলে বহু পশ্চিমা ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে তাদের অর্ডার বাতিল কিংবা স্থগিত করছেন। ২১ মে ২০২০ প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয় করোনার প্রভাবে বন্ধ দেশের ৪১৯ পোশাক কারখানা। বিশ্লেষকরা বলছে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গভীর সঙ্কটে পরবে তৈরি পোশাক শিল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ “অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব: আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ‘বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প আরো বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রয়োজন’। বিবিসি বাংলার অন্য একটি প্রতিবেদনে ‘ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে করণীয় পদক্ষেপসমূহ’ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে মোটা দাগে কিছু সম্ভব্য পদক্ষেপের কথা বলা হয়। সেগুলো হচ্ছে ক্রেতাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও ক্রয় আদেশ পুনর্বহাল করা, দেনা পরিশোধ, দেউলিয়া হওয়া ঠেকানো, উৎপাদন মৌসুম নষ্ট হতে না দেয়া, লকডাউন উঠে গেলে করণীয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, চীন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হওয়ার কারণে ক্রেতারা পণ্য উৎপাদন অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে চান, ফলে এটি বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা। সার্বিক বিবেচনায় এটা প্রতীয়মান যে, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প এক গভীর সঙ্কটের দিকেই যাচ্ছে। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তাই সরকার, শিল্প মালিক, শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সবারই এগিয়ে এসে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, এখনও বাংলাদেশের ৮৭ % গ্রামীণ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষি ও অকৃষিজ উভয় ধরনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল এমনকি শহরে বসবাসকারীদের মধ্যেও ১১ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপের হিসাবমতে, বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫.৭ শতাংশই কৃষিতে নিয়োজিত।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত তথ্যানুসারে বাংলাদেশ সবজি, ধান ও আলু উৎপাদনে বিশ্বে যথাক্রমে ৩য়, ৪র্থ ও ৭ম। এছাড়াও মাছে ৪র্থ, আমে ৭ম, পেয়ারায় ৮ম এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে ১০ম। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষির অবদান ১৬.৬ %। বাংলাদেশের 'কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০১৯' এ বিনা সুদে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ঋণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং 'জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৯' চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও কৃষির উন্নতিকল্পে 'ক্ষুদ্র সেচ নীতিমালা', 'জৈব কৃষিনীতি' এবং 'কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯' প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও 'জাতীয় কৃষিনীতি' ও 'ডেল্টাপ্ল্যান: ২১০০' তৈরি করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের জন্য সর্বমোট ৪৯৯টি 'কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র' (এআইসিসি) স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্দেশ্যে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ হারে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ভর্তুকি প্রদান করে সরকার।
বাংলাদেশের অনেক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ এই মহামারী পরবর্তী সঙ্কট মোকাবেলার জন্য এখন থেকেই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন।
১৩ই এপ্রিল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন; ‘'এই দুঃসময়ে আমাদের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা শুধু সচল রাখা নয়, আরও জোরদার করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে যাতে কোনোপ্রকার খাদ্য সঙ্কট না হয়, সেজন্য আমাদের একখণ্ড জমিও ফেলে রাখা চলবে না।’' প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সরকার এ বছর কৃষকদের থেকে ২,০০,০০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান ক্রয় করবে এবং কৃষকরা যাতে সহজে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারে, সেজন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি ভর্তুকি বাবদ ৯,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; ‘'কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের কৃষি, মৎস্য, ডেইরি এবং পোল্ট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদান করা হবে।’'
বিভাগ | জেলা/শহর | মোট আক্রান্ত | |
---|---|---|---|
জেলা | বিভাগ | ||
ঢাকা | ঢাকা শহর | ১৫০৬২৯ | ২,০৫,১১৪ (৫৬.৮%) |
ঢাকা (জেলা) | ৬১৭৯ | ||
গাজীপুর | ৬৬৯৪ | ||
কিশোরগঞ্জ | ৩৩৪১ | ||
মাদারীপুর | ১৫৯৯ | ||
মানিকগঞ্জ | ১৭১৩ | ||
নারায়ণগঞ্জ | ৮২৯০ | ||
মুন্সীগঞ্জ | ৪২৫১ | ||
নরসিংদী | ২৭০১ | ||
রাজবাড়ী | ৩৩৫২ | ||
ফরিদপুর | ৭৯৮১ | ||
টাঙ্গাইল | ৩৬০১ | ||
শরীয়তপুর | ১৮৫৪ | ||
গোপালগঞ্জ | ২৯২৯ | ||
চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম | ২৮১১২ | ৬০,৪৯৭ (১৬.৭%) |
কক্সবাজার | ৫৬০৮ | ||
কুমিল্লা | ৮৮০৩ | ||
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ২৭১৪ | ||
লক্ষ্মীপুর | ২২৮৩ | ||
চাঁদপুর | ২৬০০ | ||
নোয়াখালী | ৫৪৫৫ | ||
বান্দরবান | ৮৭১ | ||
রাঙামাটি | ১০৯৮ | ||
ফেনী | ২১৮০ | ||
খাগড়াছড়ি | ৭৭৩ | ||
সিলেট | মৌলভীবাজার | ১৮৫৪ | ১৫,১২০ (৪.২%) |
সুনামগঞ্জ | ২৪৯৫ | ||
হবিগঞ্জ | ১৯৩৪ | ||
সিলেট | ৮৮৩৭ | ||
রংপুর | রংপুর | ৩৮০৩ | ১৪,৯০৫ (৪.১%) |
গাইবান্ধা | ১৪০৩ | ||
নীলফামারী | ১২৮০ | ||
লালমনিরহাট | ৯৪২ | ||
কুড়িগ্রাম | ৯৮৭ | ||
দিনাজপুর | ৪২৯৫ | ||
ঠাকুরগাঁও | ১৪৪২ | ||
পঞ্চগড় | ৭৫৩ | ||
খুলনা | খুলনা | ৭০২৭ | ২৪,৬০১ (৬.৮%) |
নড়াইল | ১৫১১ | ||
চুয়াডাঙ্গা | ১৬১৯ | ||
যশোর | ৪৫৪২ | ||
বাগেরহাট | ১০৩২ | ||
মাগুরা | ১০৩২ | ||
মেহেরপুর | ৭৩৯ | ||
ঝিনাইদহ | ২২৪৫ | ||
কুষ্টিয়া | ৩৭০৭ | ||
সাতক্ষীরা | ১১৪৭ | ||
ময়মনসিংহ | ময়মনসিংহ | ৪২৭৮ | ৭৩৯০ (২.০%) |
জামালপুর | ১৭৫৩ | ||
নেত্রকোণা | ৮১৭ | ||
শেরপুর | ৫৪২ | ||
বরিশাল | বরগুনা | ১০০৮ | ১০,১১৩ (২.৮%) |
বরিশাল | ৪৫৭১ | ||
পটুয়াখালী | ১৬৬০ | ||
পিরোজপুর | ১১৪৪ | ||
ঝালকাঠি | ৮০৪ | ||
ভোলা | ৯২৬ | ||
রাজশাহী | রাজশাহী | ৫৬৮৭ | ২৩,৬৮২ (৬.৬%) |
জয়পুরহাট | ১২৫০ | ||
পাবনা | ১৫৪৪ | ||
চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৮১১ | ||
বগুড়া | ৯২৪০ | ||
নওগাঁ | ১৪৯৯ | ||
সিরাজগঞ্জ | ২৪৮৯ | ||
নাটোর | ১১৬২ | ||
মোট (৮টি বিভাগ) | ৩,৬১,৪২২ | ||
১৫ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত (আইইডিসিআর-এর সর্বশেষ হালনাগাদ অনুসারে)। |
মিরপুর ২,১৮৭, উত্তরা ৮৫৯, মোহাম্মদপুর ৭২৩, মহাখালী ৬১৭, ধানমন্ডি ৬০১, যাত্রাবাড়ী ৫৯৬, মুগদা ৫৫৫, মগবাজার ৪১৩, খিলগাঁও ৪০৪, তেজগাঁও ৩৭৯, রামপুরা ৩৭৭, বাড্ডা ৩৫৮, লালবাগ ৩৩৭, কাকরাইল ৩১৮, গুলশান ৩১৪, বাসাবো ২৭৬, রাজারবাগ ২৪৫, মালিবাগ ২৩৬, গেন্ডারিয়া ২০৪, ওয়ারী ১৮৭, আদাবর ১৭৫, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ১৬৮, আজিমপুর ১৬৫, বাবু বাজার ১৬২, বনশ্রী ১৬২, বংশাল ১৬০, আগারগাঁও ১৫৯, শ্যামলী ১৫৬, ডেমরা ১৫৩, হাজারীবাগ ১৪৭, বনানী ১৪১, শাহবাগ ১৪০, রমনা ১৩১, শান্তিনগর ১১৭, পল্টন ১১২ এবং পোস্তগোলা'তে ৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ আগষ্টে'র বুলেটিন অনুসারে।
সর্বমোট | গত ২৪ ঘণ্টায় | টীকা | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
তারিখ | মোট পরীক্ষিত | সর্বোমোট আক্রান্ত | সর্বোমোট মৃত্যু | সর্বোমোট সুস্থ হয়েছেন | নতুন পরীক্ষা করা হয়েছে | নতুন আক্রান্ত | নতুন মৃত্যু | নতুন সুস্থ হয়েছেন | |
২০২০-০৩-০৭ | ১১১ | ০ | ০ | ০ | ০ | ||||
২০২০-০৩-০৮ | ১১১ | ৩ | ০ | ০ | ০ | ||||
২০২০-০৩-০৯ | ১১১ | ৩ | ০ | ০ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১০ | ১১১ | ৩ | ০ | ০ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১১ | ১৪২ | ৩ | ০ | ২ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১২ | ১৬৩ | ৩ | ০ | ২ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১৩ | ১৮৭ | ৩ | ০ | ২ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১৪ | ২১১ | ৫ | ০ | ৩ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১৫ | ২৩১ | ৫ | ০ | ৩ | ০ | ||||
২০২০-০৩-১৬ | ২৪১ | ৮ | ০ | ৩ | ০ | ০ | |||
২০২০-০৩-১৭ | ২৭৭ | ১০ | ০ | ২ | ০ | ০ | |||
২০২০-০৩-১৮ | ৩৫১ | ১৪ | ১ | ৩ | ১০ | ৪ | ১ | ১ | |
২০২০-০৩-১৯ | ৩৯৭ | ১৭ | ১ | ৩ | ৪৬ | ৩ | ০ | ০ | পুরুষ ২ জন ইতালি ফেরত এবং সেই মহিলা একজনের পরিবারের সদস্য। |
২০২০-০৩-২০ | ৪৩৩ | ২০ | ১ | ৩ | ৩৬ | ৩ | ০ | ০ | |
২০২০-০৩-২১ | ৪৩৩* (টীকা দেখুন) | ২৪ | ২ | ৩ | ৩৬* (টীকা দেখুন) | ৪ | ১ | ২ | সম্প্রদায় বাহিত হয়ে প্রথম সংক্রমন * ২০ ও ২১ তারিখের সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একই হিসাবের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে যা সাম্ভব্য টাইপিং ত্রুটি। |
২০২০-০৩-২২ | ৫৬৪ | ২৭ | ২ | ৫ | ২৭ | ৩ | ০ | ০ | নতুন একজন চিকিৎসক সংক্রমিত হয়েছেন যিনি ২০ মার্চ মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন |
২০২০-০৩-২৩ | ৬২০ | ৩৩ | ৩ | ৫ | ৫৬ | ৬ | ১ | ০ | ৩ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ; ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২ জন ভারত ও বাহরাইন ফেরত। নতুন মৃত্যুটি সম্প্রদায় বাহিত। |
২০২০-০৩-২৪ | ৭১২ | ৩৯ | ৪ | ৫ | ৯২ | ৫ | ১ | ০ | |
২০২০-০৩-২৫ | ৭৯৪ | ৩৯ | ৫ | ৫ | ৮২ | ০ | ১ | ৬ | |
২০২০-০৩-২৬ | ৯২০ | ৪৪ | ৫ | ১১ | ১২৬ | ৫ | ০ | ০ | |
২০২০-০৩-২৭ | ১,০২৬ | ৪৮ | ৫ | ১১ | ১০৬ | ৩ | ০ | ০ | |
২০২০-০৩-২৮ | ১,০৭৬ | ৪৮ | ৫ | ১৫ | ৪৭ | ০ | ০ | ৪ | |
২০২০-০৩-২৯ | ১,১৮৫ | ৪৮ | ৫ | ১৫ | ১০৯ | ০ | ০ | ০ | |
২০২০-০৩-৩০ | ১,৩৩৮ | ৪৯ | ৫ | ১৯ | ১৫৩ | ১ | ০ | ৪ | |
২০২০-০৩-৩১ | ১,৬০২ | ৫১ | ৫ | ২৫ | ১৪০ | ২ | ০ | ৬ | |
২০২০-০৪-০১ | ১,৭৫৯ | ৫৪ | ৬ | ২৬ | ১৫৭ | ১ | ১ | ১ | |
২০২০-০৪-০২ | ১,৯০৬ | ৫৬ | ৬ | ২৬ | ১৪১ | ২ | ০ | ০ | |
২০২০-০৪-০৩ | ২,১১৩ | ৬১ | ৬ | ২৬ | ২০৩ | ৫ | ০ | ০ | |
২০২০-০৪-০৪ | ২,৫৪৭ | ৭০ | ৮ | ৩০ | ৪৩৪ | ৯ | ২ | ৪ | |
২০২০-০৪-০৫ | ২,৯১৪ | ৮৮ | ৯ | ৩৩ | ৩৬৭ | ১৮ | ১ | ৩ | |
২০২০-০৪-০৬ | ৩,৬১০ | ১৬৪ | ১৭ | ৩৩ | ৪৬৮ | ৪১ | ৫ | ০ | |
২০২০-০৪-০৭ | ৪,২৮৯ | ১৬৪ | ১৭ | ৩৩ | ৭৯২ | ৪১ | ৫ | ০ | |
২০২০-০৪-০৮ | ৫,১৬৪ | ২১৮ | ২০ | ৩৩ | ৯৮১ | ৫৪ | ৩ | ০ | |
২০২০-০৪-০৯ | ৬,১৭৫ | ৩৩০ | ২১ | ৩৩ | ৯০৫ | ১১২ | ১ | ০ | |
২০২০-০৪-১০ | ৭,৩৫৯ | ৪২৪ | ২৭ | ৩৩ | ১,১৮৪ | ৯৪ | ৬ | ০ | |
২০২০-০৪-১১ | ৮,৩১৩ | ৪৮২ | ৩০ | ৩৬ | ৯৫৪ | ৫৮ | ৩ | ৩ | |
২০২০-০৪-১২ | ৯,৬৫৩ | ৬২১ | ৩৪ | ৩৯ | ১,৩৪০ | ১৩৯ | ৪ | ৩ | |
২০২০-০৪-১৩ | ১১,২২৩ | ৮০৩ | ৩৯ | ৪২ | ১,৫৭০ | ১৮২ | ৫ | ৩ | |
২০২০-০৪-১৪ | ১৩,১২৮ | ১,০১২ | ৪৬ | ৪২ | ১,৯০৫ | ২০৯ | ৭ | ০ | |
২০২০-০৪-১৫ | ১৪,৮৬৮ | ১,২৩১ | ৫০ | ৪৯ | ১,৭৪০ | ২১৯ | ৪ | ৭ | |
২০২০-০৪-১৬ | ১৬,৯৮৭ | ১,৫৭২ | ৬০ | ৪৯ | ২,০১৯ | ৩৪১ | ১০ | ||
২০২০-০৪-১৭ | ১৯,০৭৭ | ১,৮৩৮ | ৭৫ | ৫৮ | ২,১৯০ | ২৬৬ | ১৫ | ৯ | |
২০২০-০৪-১৮ | ২১,১৯১ | ২,১৪৪ | ৮৪ | ৬৬ | ২,১১৪ | ৩০৬ | ৯ | ৮ | |
২০২০-০৪-১৯ | ২৩,৮২৫ | ২,৪৫৬ | ৯১ | ৭৫ | ২,৬৩৪ | ৩১২ | ৭ | ৯ | |
২০২০-০৪-২০ | ২৬,৬০৪ | ২,৯৪৮ | ১০১ | ৮৫ | ২,৭৭৯ | ৪৯২ | ১০ | ১০ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৪-২১ | ২৯,৫৭৮ | ৩,৩৮২ | ১১০ | ৮৭ | ২,৯৭৪ | ৪৩৪ | ৯ | ২ | |
২০২০-০৪-২২ | ৩২,৬৭৪ | ৩,৭৭২ | ১২০ | ৯২ | ৩,০৯৬ | ৩৯০ | ১০ | ৫ | |
২০২০-০৪-২৩ | ৩৬,০৯০ | ৪,১৮৬ | ১২৭ | ১০৮ | ৩,৪১৬ | ৪১৪ | ৭ | ১৬ | |
২০২০-০৪-২৪ | ৩৯,৭৭৬ | ৪,৬৮৯ | ১৩১ | ১১২ | ৩,৬৮৬ | ৫০৩ | ৪ | ৪ | |
২০২০-০৪-২৫ | ৪৩,১১৩ | ৪,৯৯৮ | ১৪০ | ১১৩ | ৩,৩৩৭ | ৩০৯ | ৯ | ১ | |
২০২০-০৪-২৬ | ৪৬,৫৮৯ | ৫,৪১৬ | ১৪৫ | ১২২ | ৩,৪৭৬ | ৪১৮ | ৫ | ৯ | করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৪-২৭ | ৫০,৪০১ | ৫,৯১৩ | ১৫২ | ১৩১ | ৩,৮১২ | ৪৯৭ | ৭ | ৯ | |
২০২০-০৪-২৮ | ৫৪,৭৩৩ | ৬,৪৬২ | ১৫৫ | ১৩৯ | ৪,৩৩২ | ৫৪৯ | ৩ | ৮ | |
২০২০-০৪-২৯ | ৫৯,৭০১ | ৭,১০৩ | ১৬৩ | ১৫০ | ৫,৯৬৮ | ৬৪১ | ৮ | ১১ | |
২০২০-০৪-৩০ | ৬৪,৬৬৬ | ৭,৬৬৭ | ১৬৮ | ১৬০ | ৫,৯৬৫ | ৫৬৪ | ৫ | ১০ | |
২০২০-০৫-০১ | ৭০,২৩৯ | ৮,২৩৮ | ১৭০ | ১৭৪ | ৫,৫৭৩ | ৫৭১ | ২ | ১৪ | |
২০২০-০৫-০২ | ৭৬,০৬৬ | ৮,৭৯০ | ১৭৫ | ১৭৭ | ৫,৮২৭ | ৫৫২ | ৫ | ৩ | |
২০২০-০৫-০৩ | ৮১,৪৩৪ | ৯,৪৫৫ | ১৭৭ | ১,০৬৩ | ৫,৩৬৮ | ৬৬৫ | ২ | ৮৮৬ | ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী সুস্থ হয়েছেন। |
২০২০-০৫-০৪ | ৮৭,৬৯৪ | ১০,১৪৩ | ১৮২ | ১,২০৯ | ৬,২৬০ | ৬৮৮ | ৫ | ১৪৬ | দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-০৫ | ৯৩,৪০৫ | ১০,৯২৯ | ১৮৩ | ১,৪০২ | ৫,৭১১ | ৭৮৬ | ১ | ১৯৩ | |
২০২০-০৫-০৬ | ৯৯,৬৪৬ | ১১,৭১৯ | ১৮৬ | ১,৭৭৯ | ৬,২৪১ | ৭৯০ | ৩ | ৩৭৭ | |
২০২০-০৫-০৭ | ১,০৫,৫১৩ | ১২,৪২৫ | ১৯৯ | ১,৯০৯ | ৫,৮৬৭ | ৭০৬ | ১৩ | ১৩০ | |
২০২০-০৫-০৮ | ১,১১,৪৫৪ | ১৩,১৪৫ | ২০৬ | ২,১০০ | ৫,৯৪১ | ৭০৯ | ৭ | ১৯১ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ২০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-০৯ | ১,১৬,৯১৯ | ১৩,৭৭০ | ২১৪ | ২,৪১৪ | ৫,৫১৮ | ৬৩৬ | ৮ | ৩১৩ | |
২০২০-০৫-১০ | ১,২২,৬৫৭ | ১৪,৬৫৭ | ২২৮ | ২,৬৫০ | ৫,৭৩৮ | ৮৮৭ | ১৪ | ২৩৬ | |
২০২০-০৫-১১ | ১,২৯,৮৬৫ | ১৫,৬৯১ | ২৩৯ | ২,৯০২ | ৭,২০৮ | ১,০৩৪ | ১১ | ২৫২ | প্রথম বারের মত ২৪ ঘণ্টায় ১০০০ এর বেশি রোগী শনাক্ত। |
২০২০-০৫-১২ | ১,৩৬,৬৩৮ | ১৬,৬৬০ | ২৫০ | ৩,১৪৭ | ৬,৭৭৩ | ৯৬৯ | ১১ | ২৪৫ | |
২০২০-০৫-১৩ | ১,৪৪,৫৩৮ | ১৭,৮২২ | ২৬৯ | ৩,৩৬১ | ৭,৯৯০ | ১,১৬২ | ১৯ | ২১৪ | |
২০২০-০৫-১৪ | ১,৫১,৯৩০ | ১৮,৮৬৩ | ২৮৩ | ৩,৬০৩ | ৭,৩৯২ | ১,০৪১ | ১৪ | ২৪২ | |
২০২০-০৫-১৫ | ১,৬০,৫১২ | ২০,০৬৫ | ২৯৮ | ৩,৮৮২ | ৮,৫৮২ | ১,২০২ | ১৫ | ২৭৯ | দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-১৬ | ১,৬৭,১১৪ | ২০,৯৯৫ | ৩১৪ | ৪,১১৭ | ৬,৬০২ | ৯৩০ | ১৬ | ২৩৫ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৩০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-১৭ | ১,৭৫,২২৮ | ২২,২৬৮ | ৩২৮ | ৪,৩৭৩ | ৮,১১৪ | ১,২৭৩ | ১৪ | ২৫৬ | |
২০২০-০৫-১৮ | ১,৮৫,০৮৬ | ২৩,৮৭০ | ৩৪৯ | ৪,৫৮৫ | ৯,৮৫৮ | ১,৬০২ | ২১ | ২১২ | |
২০২০-০৫-১৯ | ১,৯৩,৬৪৫ | ২৫,১২১ | ৩৭০ | ৪,৯৯৩ | ৮,৫৫৯ | ১,২৫১ | ২১ | ৪০৮ | |
২০২০-০৫-২০ | ২,০৩,৮৫২ | ২৬,৭৩৮ | ৩৮৬ | ৫,২০৭ | ১০,২০৭ | ১,৬১৭ | ১৬ | ২১৪ | |
২০২০-০৫-২১ | ২,১৪,১১৪ | ২৮,৫১১ | ৪০৮ | ৫,৬০২ | ১০,২৬২ | ১,৭৭৩ | ২২ | ৩৯৫ | |
২০২০-০৫-২২ | ২,২৩,৮৪১ | ৩০,২০৫ | ৪৩২ | ৬,১৯০ | ৯,৭২৭ | ১,৬৯৪ | ২৪ | ৫৮৮ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৪০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-২৩ | ২,৩৪,৬৭৫ | ৩২,০৭৮ | ৪৫২ | ৬,৪৮৬ | ১০,৮৩৪ | ১,৮৭৩ | ২০ | ২৯৬ | |
২০২০-০৫-২৪ | ২,৪৩,৫৮৩ | ৩৩,৬১০ | ৪৮০ | ৬,৯০১ | ৮,৯০৮ | ১,৫৩২ | ২৮ | ৪১৫ | |
২০২০-০৫-২৫ | ২,৫৩,০৩৪ | ৩৫,৫৮৫ | ৫০১ | ৭,৩৩৪ | ৯,৪৫১ | ১,৯৭৫ | ২১ | ৪৩৩ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৫০০ ও মোট পরীক্ষা সংখ্যা আড়াইলক্ষ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-২৬ | ২,৫৮,৫৫০ | ৩৬,৭৫১ | ৫২২ | ৭,৫৭৯ | ৫,৫১৬ | ১,১৬৬ | ২১ | ২৪৫ | |
২০২০-০৫-২৭ | ২,৬৬,৪৫৬ | ৩৮,২৯২ | ৫৪৪ | ৭,৯২৫ | ৭,৯০৬ | ১,৫৪১ | ২২ | ৩৪৬ | |
২০২০-০৫-২৮ | ২,৭৫,৭৭৬ | ৪০,৩২১ | ৫৫৯ | ৮,৪২৫ | ৯,৩২০ | ২,০২৯ | ১৫ | ৫০০ | |
২০২০-০৫-২৯ | ২,৮৭,০৬৭ | ৪২,৮৪৪ | ৫৮২ | ৯,০১৫ | ১১,২৯১ | ২,৫২৩ | ২৩ | ৫৯০ | |
২০২০-০৫-৩০ | ২,৯৭,০৫৪ | ৪৪,৬০৮ | ৬১০ | ৯,৩৭৫ | ৯,৯৮৭ | ১,৭৬৪ | ২৮ | ৩৬০ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৬০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৫-৩১ | ৩,০৮,৯৩০ | ৪৭,১৫৩ | ৬৫০ | ৯,৭৮১ | ১১,৮৭৬ | ২,৫৪৫ | ৪০ | ৪০৬ | |
২০২০-০৬-০১ | ৩,২০,৯৬৯ | ৪৯,৫৩৪ | ৬৭২ | ১০,৫৯৭ | ১২,০৩৯ | ২,৩৮১ | ২২ | ৮১৬ | |
২০২০-০৬-০২ | ৩,৩৩,০৭৩ | ৫২,৪৪৫ | ৭০৯ | ১১,১২০ | ১২,১০৪ | ২,৯১১ | ৩৭ | ৫২৩ | করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ ও মৃত্যু সংখ্যা ৭০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-০৩ | ৩,৪৫,৫৮৩ | ৫৫,১৪০ | ৭৪৬ | ১১,৫৯০ | ১২,৫১০ | ২,৬৯৫ | ৩৭ | ৪৭০ | |
২০২০-০৬-০৪ | ৩,৫৮,২৭৭ | ৫৭,৫৬৩ | ৭৮১ | ১২,১৬১ | ১২,৬৯৪ | ২,৪২৩ | ৩৫ | ৫৭১ | |
২০২০-০৬-০৫ | ৩,৭২,৩৬৫ | ৬০,৩৯১ | ৮১১ | ১২,৮০৪ | ১৪,০৮৮ | ২,৮২৮ | ৩০ | ৬৪৩ | |
২০২০-০৬-০৬ | ৩,৮৪,৮৫১ | ৬৩,০২৬ | ৮৪৬ | ১৩,৩২৫ | ১২,৪৮৬ | ২,৬৩৫ | ৩৫ | ৫২১ | |
২০২০-০৬-০৭ | ৩,৯৭,৯৮৭ | ৬৫,৭৬৯ | ৮৮৮ | ১৩,৯০৩ | ১৩,১৩৬ | ২,৭৪৩ | ৪২ | ৫৭৮ | |
২০২০-০৬-০৮ | ৪,১০,৯৩১ | ৬৮,৫০৪ | ৯৩০ | ১৪,৫৬০ | ১২,৯৪৪ | ২,৭৩৫ | ৪২ | ৬৫৭ | |
২০২০-০৬-০৯ | ৪,২৫,৫৯৫ | ৭১,৬৭৫ | ৯৭৫ | ১৫,৩৩৭ | ১৪,৬৬৪ | ৩,১৭১ | ৪৫ | ৭৭৭ | প্রথম বারের মত ২৪ ঘণ্টায় ৩০০০ এর বেশি রোগী শনাক্ত। |
২০২০-০৬-১০ | ৪,৪১,৯৫৮ | ৭৪,৮৬৫ | ১,০১২ | ১৫,৮৯৯ | ১৫,৯৬৫ | ৩,১৯০ | ৩৭ | ৫৬৩ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-১১ | ৪,৫৭,৩৩২ | ৭৮,০৫২ | ১,০৪৯ | ১৬,৭৪৭ | ১৫,৭৭২ | ৩,১৮৭ | ৩৭ | ৮৪৮ | |
২০২০-০৬-১২ | ৪,৭৩,৩২২ | ৮১,৫২৩ | ১,০৯৫ | ১৭,২৪৯ | ১৫,৯৯০ | ৩,৪৭১ | ৪৬ | ৫০২ | |
২০২০-০৬-১৩ | ৪,৮৯,৯৬০ | ৮৪,৩৭৯ | ১,১৩৯ | ১৭,৮২৮ | ১৬,৬৩৮ | ২,৮৫৬ | ৪৪ | ৫৭৯ | |
২০২০-০৬-১৪ | ৫,০৪,৪৬৫ | ৮৭,৫২০ | ১,১৭১ | ১৮,৭৩০ | ১৪,৫০৫ | ৩,১৪১ | ৩২ | ৯০২ | |
২০২০-০৬-১৫ | ৫,১৯,৫০৩ | ৯০,৬১৯ | ১,২০৯ | ৩৪,০২৭ | ১৫,০৩৮ | ৩,০৯৯ | ৩৮ | ১৫,২৯৭ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১২০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-১৬ | ৫,৩৬,৭১৭ | ৯৪,৪৮১ | ১,২৬২ | ৩৬,২৬৪ | ১৭,২১৪ | ৩,৮৬২ | ৫৩ | ২,২৩৭ | |
২০২০-০৬-১৭ | ৫,৫৪,২৪৪ | ৯৮,৪৮৯ | ১,৩০৫ | ৩৮,১৮৯ | ১৭,৫২৭ | ৪,০০৮ | ৫৩ | ১,৯২৫ | |
২০২০-০৬-১৮ | ৫,৭০,৫০৩ | ১,০২,২৯২ | ১,৩৪৩ | ৪০,১৬৪ | ১৬,২৫৯ | ৩,৮০৩ | ৩৮ | ১,৯৭৫ | দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০,০০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-১৯ | ৫,৮৫,৫৪৮ | ১,০৫,৫৩৫ | ১,৩৮৮ | ৪২,৯৪৫ | ১৫,০৪৫ | ৩,২৪৩ | ৪৫ | ২,৭৮১ | |
২০২০-০৬-২০ | ৫,৯৯,৫৭৯ | ১,০৮,৭৭৫ | ১,৪২৫ | ৪৩,৯৯৩ | ১৪,০৩১ | ৩,২৪০ | ৩৭ | ১,০৪৮ | |
২০২০-০৬-২১ | ৬,১৫,১৬৪ | ১,১২,৩০৬ | ১,৪৬৪ | ৪৫,০৫৭ | ১৫,৫৮৫ | ৩,৫৩১ | ৩৯ | ১,০৮৪ | পরীক্ষা সংখ্যা ৬ লাখ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-২২ | ৬,৩০,৭১৯ | ১,১৫,৭৮৬ | ১,৫০২ | ৪৬,৭৫৫ | ১৫,৫৫৫ | ৩,৪৮০ | ৩৮ | ১,৬৭৮ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১৫০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৬-২৩ | ৬,৪৭,০১১ | ১,১৯,১৯৮ | ১,৫৪৫ | ৪৭,৬৩৫ | ১৬,২৯২ | ৩,৪১২ | ৪৩ | ৮৮০ | |
২০২০-০৬-২৪ | ৬,৬৩,৪৪৪ | ১,২২,৬৬০ | ১,৫৮২ | ৪৯,৬৬৬ | ১৬,৪৩৩ | ৩,৪৬২ | ৩৭ | ২,০৩১ | |
২০২০-০৬-২৫ | ৬,৮১,৪৪৩ | ১,২৬,৬০৬ | ১,৬২১ | ৫১,৪৯৫ | ১৭,৯৯৯ | ৩,৯৪৬ | ৩৯ | ১,৮২৯ | করোনা থেকে সুস্থতাপ্রাপ্তি ৫০ হাজার অতিক্রম৷ |
২০২০-০৬-২৬ | ৬,৯৯,৯৪১ | ১,৩০,৪৭৪ | ১,৬৬১ | ৫৩,১৩৩ | ১৮,৪৯৮ | ৩,৮৬৮ | ৪০ | ১,৬৩৮ | |
২০২০-০৬-২৭ | ৭,১৫,০৯৮ | ১,৩৩,৯৭৮ | ১,৬৯৫ | ৫৪,৩১৮ | ১৫,১৫৭ | ৩,৫০৪ | ৩৪ | ১,১৮৫ | মোট পরীক্ষা সংখ্যা ৭ লক্ষ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৬-২৮ | ৭,৩৩,১৯৭ | ১,৩৭,৭৮৭ | ১,৭৩৮ | ৫৫,৭২৭ | ১৮,০৯৯ | ৩,৮০৯ | ৪৩ | ১,৪০৯ | |
২০২০-০৬-২৯ | ৭,৫১,০৩৪ | ১,৪১,৮০১ | ১,৭৮৩ | ৫৭,৭৮০ | ১৭,৮৩৭ | ৪,০১৪ | ৪৫ | ২,০৫৩ | |
২০২০-০৬-৩০ | ৭,৬৯,৪৬০ | ১,৪৫,৪৮৩ | ১,৮৪৭ | ৫৯,৬২৪ | ১৮,৪২৬ | ৩,৬৮২ | ৬৪ | ১,৮৪৪ | করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১৮০০ অতিক্রম। |
২০২০-০৭-০১ | ৭,৮৭,৩৩৫ | ১,৪৯,২৫৮ | ১,৮৮৮ | ৬২,১০৮ | ১৭,৮৭৫ | ৩,৭৭৫ | ৪১ | ২,৪৮৪ | |
২০২০-০৭-০২ | ৮,০৫,৬৯৭ | ১,৫৩,২৭৭ | ১,৯২৬ | ৬৬,৪৪২ | ১৮,৩৬২ | ৪,০১৯ | ৩৮ | ৪,৩৩৪ | মোট পরীক্ষা সংখ্যা ৮ লক্ষ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-০৩ | ৮,২০,৩৪৭ | ১,৫৬,৩৯১ | ১,৯৬৮ | ৬৮,০৪৮ | ১৪,৬৫০ | ৩,১১৪ | ৪২ | ১,৬০৬ | |
২০২০-০৭-০৪ | ৮,৩৫,০৭৪ | ১,৫৯,৬৭৯ | ১,৯৯৭ | ৭০,৭২১ | ১৪,৭২৭ | ৩,২২৮ | ২৯ | ২,৬৭৩ | |
২০২০-০৭-০৫ | ৮,৪৯,০৬২ | ১,৬২,৪১৭ | ২,০৫২ | ৭২,৬২৫ | ১৩,৯৮৮ | ২,৭৩৮ | ৫৫ | ১,৯০৪ | করোনায় মৃৃত্যু সংখ্যা ২০০০ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-০৬ | ৮,৬৩,৩০৭ | ১,৬৫,৬১৮ | ২,০৯৬ | ৭৬,১৪৯ | ১৪,২৪৫ | ৩,২০১ | ৪৪ | ৩,৫২৪ | |
২০২০-০৭-০৭ | ৮,৭৬,৪৮০ | ১,৬৮,৬৪৫ | ২,১৫১ | ৭৮,১০২ | ১৩,১৭৩ | ৩,০২৭ | ৫৫ | ১,৯৫৩ | |
২০২০-০৭-০৮ | ৮,৯২,১৫২ | ১,৭২,১৩৪ | ২,১৯৭ | ৮০,৮৩৮ | ১৫,৬৭২ | ৩,৪৮৯ | ৪৬ | ২,৭৩৬ | করোনামুক্ত সংখ্যা আশি হাজার অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-০৯ | ৯,০৭,৭৮৪ | ১,৭৫,৪৯৪ | ২,২৩৮ | ৮৪,৫৪৪ | ১৫,৬৩২ | ৩,৩৬০ | ৪১ | ৩,৭০৬ | মোট পরীক্ষা সংখ্যা নয় লক্ষ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-১০ | ৯,২১,২৭২ | ১,৭৮,৪৪৩ | ২,২৭৫ | ৮৬,৪০৬ | ১৩,৪৪৮ | ২,৯৪৯ | ৩৭ | ১,৮৬২ | |
২০২০-০৭-১১ | ৯,৩২,৪৬৫ | ১,৮১,১২৯ | ২,৩০৫ | ৮৮,০৩৪ | ১১,১৯৩ | ২,৬৮৬ | ৩০ | ১,৬২৮ | |
২০২০-০৭-১২ | ৯,৪৩,৫২৪ | ১,৮৩,৭৯৫ | ২,৩৫২ | ৯৩,৬১৪ | ১১,০৫৯ | ২,৬৬৬ | ৪৭ | ৫,৫৮০ | সক্রিয় করোনা আক্রান্ত সংখ্যা করোনা থেকে সুস্থতা প্রাপ্তির থেকে হ্রাস পেলো৷ |
২০২০-০৭-১৩ | ৯,৫৫,৯৪৭ | ১,৮৬,৮৯৪ | ২,৩৯১ | ৯৮,৩১৭ | ১২,৪২৩ | ৩,০৯৯ | ৩৯ | ৪,৭০৩ | |
২০২০-০৭-১৪ | ৯,৬৯,৪০০ | ১,৯০,০৫৭ | ২,৪২৪ | ১,০৩,২২৭ | ১৩,৪৫৩ | ৩,১৬৩ | ৩৩ | ৪,৯১০ | |
২০২০-০৭-১৫ | ৯,৮৩,৪০২ | ১,৯৩,৫৯০ | ২,৪৫৭ | ১,০৫,৫২৩ | ১৪,০০২ | ৩,৫৩৩ | ৩৩ | ২,২৯৬ | |
২০২০-০৭-১৬ | ৯,৯৬,২৯১ | ১,৯৬,৩২৩ | ২,৪৯৬ | ১,০৬,৯৬৩ | ১২,৮৮৯ | ২,৭৩৩ | ৩৯ | ১,৪৪০ | |
২০২০-০৭-১৭ | ১০,০৯,৭৫১ | ১,৯৯,৩৫৭ | ২,৫৪৭ | ১,০৮,৭২৫ | ১৩,৪৬০ | ৩,০৩৪ | ৫১ | ১,৭৬২ | করোনা পরীক্ষা সংখ্যা দশলক্ষ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-১৮ | ১০,২০,৬৭৪ | ২,০২,০৬৬ | ২,৫৮১ | ১,১০,০৯৮ | ১০,৯২৩ | ২,৭০৯ | ৩৪ | ১,৩৭৩ | মোট আক্রান্ত শনাক্তকৃত সংখ্যা দুই লক্ষ অতিক্রম৷ |
২০২০-০৭-১৯ | ১০,২৮,২৯৯ | ২,০৪,৫২৫ | ২,৬১৮ | ১,১১,৬৪২ | ১০,৬২৫ | ২,৫৪৯ | ৩৭ | ১,৫৪৪ | |
২০২০-০৭-২০ | ১০,৪১,৬৬১ | ২,০৭,৪৫৩ | ২,৬৬৮ | ১,১৩,৫৫৬ | ১৩,৩৬২ | ২,৯২৮ | ৫০ | ১,৯১৪ | |
২০২০-০৭-২১ | ১০,৫৪,৫৫৯ | ২,১০,৫১০ | ২,৭০৯ | ১,১৫,৩৯৯ | ১২,৮৯৮ | ৩,০৫৭ | ৩৯ | ১,৮৪৩ | |
২০২০-০৭-২২ | ১০,৬৬,৬০৯ | ২,১৩,২৫৪ | ২,৭৫১ | ১,১৭,২০২ | ১২,০৫০ | ২,৭৪৪ | ৪২ | ১,৮০৩ | |
২০২০-০৭-২৩ | ১০,৭৯,০০৭ | ২,১৬,১১০ | ২,৮০১ | ১,১৯,২০৮ | ১২,৩৯৮ | ২,৮৫৬ | ৫০ | ২,০০৬ | |
২০২০-০৭-২৪ | ১০,৯১,০৩৪ | ২,১৮,৬৫৮ | ২,৮৩৬ | ১,২০,৯৭৬ | ১২,০২৭ | ২,৫৪৮ | ৩৫ | ১,৭৬৮ | |
২০২০-০৭-২৫ | ১১,০১,৪৮০ | ২,২১,১৭৮ | ২,৮৭৪ | ১,২২,০৯০ | ১০,৪৪৬ | ২,৫২০ | ৩৮ | ১,১১৪ | |
২০২০-০৭-২৬ | ১১,১১,৫৫৮ | ২,২৩,৪৫৩ | ২,৯২৮ | ১,২৩,৮৮২ | ১০,০৭৮ | ২,২৭৫ | ৫৪ | ১,৭৯২ | |
২০২০-০৭-২৭ | ১১,২৪,৪১৭ | ২,২৬,২২৫ | ২,৯৬৫ | ১,২৫,৬৮৩ | ১২,৮৫৯ | ২,৭৭২ | ৩৭ | ১,৮০১ | |
২০২০-০৭-২৮ | ১১,৩৭,১৩১ | ২,২৯,১৮৫ | ৩,০০০ | ১,২৭,৪১৪ | ১২,৭১৪ | ২,৯৬০ | ৩৫ | ১,৭৩১ | করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার অতিক্রম। |
২০২০-০৭-২৯ | ১১,৫১,২৫৮ | ২,৩২,১৯৪ | ৩,০৩৫ | ১,৩০,২৯২ | ১৪,১২৭ | ৩,০০৯ | ৩৫ | ২,৮৭৮ | |
২০২০-০৭-৩০ | ১১,৬৪,১৯৫ | ২,৩৪,৮৮৯ | ৩,০৮৩ | ১,৩২,৯৬০ | ১২,৯৩৭ | ২,৬৯৫ | ৪৮ | ২,৬৬৮ |
সর্বোমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে | ১১,০১,৪৮০ |
---|---|
প্রতি দশ লাখে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে | ৬,৬৮৭ |
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা | ১০,৪৪৬ |
সর্বোমোট আক্রান্ত | ২,২১,১৭৮ |
২৫ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে |
টেমপ্লেট:সূত্র তালিকা
টেমপ্লেট:২০১৯–২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী টেমপ্লেট:২০২০-এ বাংলাদেশে বিপর্যয়
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.