কেইথ রবার্টস পোর্টার (১১ জুন ১৯১২ - ২ মে ১৯৯৭) একজন কানাডীয়-মার্কিন কোষ জীববিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি কোষের ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ ব্যবহার করে জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। সিলিয়ার অ্যাক্সোনোমের ৯+২ মাইক্রোটিউবিউলের গঠন নিয়ে পোর্টার বিস্তারিত গবেষণা করেন। কোষ কালচার ও নিউক্লীয় প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে তিনি ব্যবহারিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এছাড়াও পোর্টার এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের নামকরণ করেন।
কেইথ রবার্টস পোর্টার | |
---|---|
জন্ম | ইয়ারমাউথ, নোভা স্কোশিয়া, কানাডা | ১১ জুন ১৯১২
মৃত্যু | ২ মে ১৯৯৭ ব্রায়ান মুর, পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৪)
জাতীয়তা | কানাডীয়, আমেরিকান |
পেশা | কোষ জীববিজ্ঞানী |
কেইথ পোর্টার নোভা স্কোশিয়া প্রদেশের ইয়ারমাউথ শহরে ১৯১২ সালের ১১ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অ্যারন ও জোসেফিন রবার্টস পোর্টারের পুত্র ছিলেন। তিনি অ্যাকাডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক-পূর্ব ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়া করেন। ১৯৩০ এর দশকে পোর্টার রকফেলার চিকিৎসা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
পোর্টার মার্কিন কোষ জীববিজ্ঞান সমিতি ও কোষ জীববিজ্ঞান জার্নাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। ১৯৮১ সালে কেইথ আর পোর্টার জীববিজ্ঞান তহবিল প্রবর্তিত হয়, যার সাহায্যে প্রতি বছর আমেরিকান কোষ জীববিজ্ঞান সম্মেলনে কেইথ আর পোর্টার ভাষণ প্রদানে অর্থায়ন করা হয়।
১৯৬১ সালে বোল্ডার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত জীববিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অতঃপর তিনি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বোল্ডার শাখায় ১৯৬৮ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। এছাড়াও বেশ কয়েক বছর তিনি ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের উডস হোল শহরে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানাগারের খণ্ডকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আমেরিকার জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ২০০টিরও অধিক গবেষণাপত্র রচনা করেছেন। ১৯৮২ সালে পোর্টার ৭০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করলে তিনি যে ভবনে কাজ করতেন, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার নাম দেয় পোর্টার জীবনবিজ্ঞান ভবন। অতঃপর তিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিমোর কাউন্টি শাখা ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরোত্তর গবেষণা করেন। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোর্টারের সম্মানে কেইথ আর পোর্টার অভ্যন্তরীণ প্রতিচ্ছবিকরণ অনুষদের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ মে পোর্টার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ব্রায়ান মুর শহরে মৃত্যুবরণ করেন।
পোর্টার কোষগুলোর উচ্চ রেজোল্যুশনের ছবি গ্রহণ করেন। এর সাহায্যে প্রথমবারের মতো কোষীয় অঙ্গাণুগুলোর উন্নতমানের ছবি ধারণ করা সম্ভব হয়। পোর্টার এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের মাধ্যমে আন্তঃপরিবহন ব্যবস্থার কার্যপদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এরূপেই তিনি কঙ্কালসদৃশ মাইক্রোটিউবিউল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
১৯৭০ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেইথ আর পোর্টার, অ্যালবার্ট ক্লড ও জর্জ ই প্যালেডকে লুইজা গ্রোস হরউইটস পুরস্কারে ভূষিত করে। পোর্টারের সহকর্মী ক্লড, প্যালেড ও ক্রিশ্চিয়ান দ্য দুভ ১৯৭৪ সালে "জীবকোষের অঙ্গাণুসমূহের গঠন ও কাজ" বর্ণনা করার জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। পোর্টার এ কাজের জন্য সুপরিচিত হলেও তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
কেইথ আর পোর্টার জীববিজ্ঞানে অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। এগুলো হলো:
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article কেইথ আর. পোর্টার, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.