সুলাগিত্তি নরসাম্মা (১৯২০ - ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৮) ছিলেন কর্ণাটক রাজ্যের টুমকুর জেলার পাওগড়া অঞ্চলের একজন ভারতীয় ধাত্রী। তিনি কর্ণাটকের সুবিধাবঞ্চিত এই অঞ্চলে কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই ৭০ বছর ধরে প্রায় ১৫,০০০ এরও বেশি প্রসব করিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে। টুমকুর জেলার এই অংশে তাঁর নাম ঘরে ঘরে প্রচারিত হলেও, ২০১২ সালে তিনি জাতীয় ভাবে প্রথম স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, যখন ২০১২ সালে ভারতের জাতীয় নাগরিকের পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাবিদ্যায় তাঁর অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে ভারত সরকার তাঁকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী দ্বারা সম্মানিত করেন।
সুলাগিত্তি নরসাম্মা | |
---|---|
জন্ম | ১৯২০ |
মৃত্যু | ডিসেম্বর ২০১৮ (বয়স ৯৭–৯৮) বেঙ্গালুরু, কর্ণাতক, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | ধাত্রীমা |
দাম্পত্য সঙ্গী | আঞ্জিনাপ্পা |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (২০১৮) জাতীয় নাগরিক পুরস্কার (২০১৩) সাম্মানিক ডক্টরেট (২০১৪) |
নরসাম্মার জন্ম ১৯২০ সালে ব্রিটিশ ভারতের মাইসোর দেশীয় রাজ্যের কৃষ্ণপুরে, বর্তমানে কর্ণাটকের টুমকুর জেলার পাওগড়া গ্রামের এক পরিবারে। তাঁর মাতৃভাষা ছিল তেলুগু। তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া বা প্রথাগত পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তার বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং তাঁর ১২টি সন্তান হয়। ।
তাঁর ঠাকুমা মারিগাম্মা ছিলেন একজন ধাত্রী এবং ঠাকুমার কাছেই নরসাম্মার ধাত্রীবিদ্যার হাতেখড়ি। ১৯৪০ সালে, ২০ বছর বয়সে এক আত্মীয়ার প্রসবে সহায়তা করার মাধ্যমেই নরসাম্মার এই কাজে হাতেখড়ি।
ঠাকুমার কাছে হাতেখড়ি হলেও, নরসাম্মা তাঁদের গ্রামে আগত বিভিন্ন যাযাবর উপজাতি এবং বেদেদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ এবং গাছ গাছড়া সম্পর্কে শিখে নিয়ে তাঁর অধীত বিদ্যাকে আরও বলশালী করে তুলেছিলেন। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ প্রস্তুত করার শিল্প শেখার পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য এবং অবস্থান যাচাই করতেও শিখে নেন তিনি। তিনি কোনও যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই গর্ভে থাকা অবস্থায় ভ্রূণের নাড়ি সনাক্ত করতে সক্ষম হন বলেও জানা যায়।
২০১৮ সাল অবধি ৯৭ বছর বয়সী, নরসাম্মা ১৫,০০০ এরও বেশি বাচ্চা প্রসব করাতে সহায়তা করেছিলেন এবং কৃষ্ণপুরের সবথেকে জ্ঞাত ধাত্রী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।। তিনি তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা জয়াম্মা সহ এখন প্রায় ১৮০ জন শিক্ষার্থীকে ধাত্রীবিদ্যা শিখিয়ে যান, যাঁরা নিজেরাই এখন অভিজ্ঞ ধাত্রী।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে নরসাম্মাকে সিদ্ধাগঙ্গা হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল এবং পরে ২৯শে নভেম্বর তাঁকে বিজিএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ৯৮ বছর বয়সে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বিজেএস গ্লেনেগালস গ্লোবাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর ২২ জন নাতি নাতনী এবং ১৪ জন পুতি-পুতনী বর্তমান ছিল।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article সুলাগিত্তি নরসাম্মা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.