সিনকোনা যা সাধারণভাবে কুইনা নামে পরিচিত, রুবিয়াসিয়াসি পরিবারের একটি গোত্র যার ২৫ টি প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছে, আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত আন্দিজ জঙ্গলে। সামান্য কিছু প্রজাতি মধ্য আমেরিকা, জ্যামাইকা, ফরাসি পলিনেশিয়া, সুলাওয়েসি, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত সেন্ট হেলেনা এবন নিরক্ষীয় আফ্রিকার উপকূলে সাঁও টোমে এন্ড পিন্সিপেতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে। কুইনিনের অল্প কিছু প্রজাতির ঔষধি গুণ আছে। এই সকল গাছের বাকল থেকে কুইনিন এবং অন্যান্য যৌগ আহরণ করা হয়।
সিনকোনা | |
---|---|
Cinchona pubescens - flowers | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | রুবিয়াসিয়াসি |
উপপরিবার: | Cinchonoideae |
গোত্র: | Cinchoneae |
গণ: | সিনকোনা ক্যারোলাস লিনিয়াস |
আদর্শ প্রজাতি | |
সিনকোনা অফিসিনালিস ক্যারোলাস লিনিয়াস | |
প্রজাতি | |
৩৮ টি প্রজাতি |
বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৪২ সালে পেরুর সেই সময়কার ভাইরয়ের পত্নী কাউন্টেস অফ সিনকোন এর নামানুসারে এই বৃক্ষের নামকরণ করেন। যদিও কয়েক শতাব্দী ধরে মানুষ এই গাছের ছালের বাকলের উপকারীতার কথা অবগত ছিলো। সিনকোনা গাছ ইকুয়েডর এবং পেরুর জাতীয় বৃক্ষ।
সিনকোনা গাছ ৫-১৫ মিটার (১৬-৪৯ ফুট) উঁচু হয়। পাতা বিপরীতমুখী, ১০-৪০ সে.মি. লম্বা। ফুল সাদা, গোলাপী বা লাল বর্ণের হয়। ছোট ক্যাপস্যুলের মত ফলের মধ্যে অনেকগুলো বীজ থাকে।
সিনকোনা গাছে ঔষধি গুণ আবিষ্কার করে পেরু, বলিভিয়া ও ইকুয়েডর অঞ্চলের কুইচুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। নিম্ন তাপমাত্রায় কম্পন থেকে রক্ষা পেতে তারা দীর্ঘকাল ধরে এই গাছের চাষ করে। ম্যালেরিয়া জ্বরে তীব্র কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এই কাঁপুনি নিরাময়ে তারা সিনকোনা গাছের পাতা ব্যবহার করতো। জেসুইট মিশনারীগণ সিনকোনা গাছ প্রথম ইউরোপে নিয়ে আসে।
লেপিডোপ্টেরা প্রজাতির কিছু লার্ভা সিনকোনা গাছ থেকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করে।
সিনকোনা গণের বিভিন্ন গাছের ছাল বিভিন্ন ধরনের অ্যালক্যালয়েডের উৎস হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে সবথেকে পরিচিত রূপ হচ্ছে কুইনিন। একটি এন্টিপাইরেটি (জ্বরনাশক) উপাদান যা বিশেষ করে ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। সিনকোনা অ্যালক্যালয়েডসে থাকেঃ
অজৈব রসায়নে অসম্পৃক্ত সংশ্লেষনে এগুলোকে অজৈব প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
অ্যালক্যালয়েডের পাশাপাশি অনেক সিনকোনা গাছের বাকলে সিনকোট্যানিক এসিড পাওয়া যায়, একটি বিশেষ ধরনের ট্যানিন, যা জারণের মাধ্যমে দ্রুত গাঢ় বর্ণের ফ্লোবাফেনে রুপান্তরিত হয়, যা লাল সিনকোনিক নামে পরিচিত, সিনকোনো-ফুলভিক এসিড অথবা সিনকোনা লাল নামেও ডাকা হয়।
উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে ৩১ প্রজাতির সিনকোনা গাছ পাওয়া যায়। কিন্তু সংকরায়নের মাধ্যমে এর প্রজাতি সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
(সিনকোনা রোবুস্টা বিভিন্ন সংকর সুকিরুব্রার সংকর।
|
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article সিনকোনা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.