সিঙ্গাপুরের ইতিহাস: ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

সিঙ্গাপুর নামটি এসেছে মালেশিয়ান শব্দ 'সিঙ্গাপুরা' (singapura) থেকে। যেখানে Singa শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'সিমহা'(simha) থেকে যার অর্থ সিংহ এবং 'পুরা'(pura) শব্দটির অর্থ সিটি বা শহর। সুতরাং সিঙ্গাপুর শব্দের অর্থ সিংহের শহর।

সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্র

রাজধানীসিঙ্গাপুর সিটি
সরকারি ভাষাইংলিশ মালয় ম্যান্ডারিন
ধর্ম
৩৩.২% বৌদ্ধ
১৮.৮% খ্রিস্ট
১৮.৫% না ধর্ম
১৪% ইসলাম
১০% সিঙ্গাপুরে তাওবাদ ও লোকধর্মরতাওবাদ ও লোকধর্ম
৫% হিন্দু
0.৬% অন্যান্য
আইন-সভাপার্লামেন্ট

সিঙ্গাপুর নামকরণের ইতিহাস

মালয় কাহিনী অনুসারে, ১২৯৯ সালে স্যাঙ নিলা উতামা(Sang Nila Utama) আজকের সিঙ্গাপুরকে 'সিঙ্গাপুরা' নামে নামকরণ করেন। স্যাঙ নিলা উতামা তখন শ্রীবিজয়া(Srivijiya) সাম্রাজ্যের রাজধানী প্যালেমবাগ (Palembang) এর রাজপুত্র ছিলেন। একদিন তিনি ও তার কিছু সৈন্য মিলে বিনটান দ্বীপে শিকারের করতে যান। শিকারের সময় সে একটা হরিণের পিছু নিতে নিতে একটা ছোট পাহাড়ের কাছে উপনীত হয় কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি আর হরিণকে দেখতে পায় নাহ। তারপর হরিণটিকে শিকারের উদ্দেশ্যে সামনে থাকা একটা বড় পাহাড়ের চূড়ায় উঠার সিদ্ধান্ত নেন। পাহাড়ে উঠার পর তিনি আরও একটা দ্বীপ দেখতে পান। মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি জানতে পারলেন দ্বীপটির নাম 'তেমাসেক'। তিনি সেখানে যাওয়ার জন্য তার লোকজনকে আদেশ করলেন এবং জাহাজে চড়ে তেমাসেক দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। তেমাসেক যাওয়ার পথে তার জাহাজ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে, ঝড়ের তান্ডবলীলা বেড়ে যাওয়ার কারণে তিনি জাহাজ থেকে ভারী মালামাল ফেলে দেওয়ার আদেশ দেন। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল নাহ, ঝড়ের গতি বেড়েই চলেছিল। এমতবস্থায় জাহাজের ক্যাপ্টেন, রাজপুত্র স্যাঙ নিলা উতামাকে তার মুকুট সাগরে ফেলে দেওয়ার কথা বললেন। ক্যাপ্টেনের কথা অনুযায়ী স্যাঙ নিলা তার মাথার মুকুট সমুদ্রে ফেলে দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড় থেমে যায় এবং তারা সবাই 'তেমাসেক' দ্বীপে নিরাপদে পৌছান। সেখানে তিনি দ্রুতগতিতে জঙ্গলের দিকে চলে যাওয়া একটি জন্তু দেখতে পান। মন্ত্রী জন্তুটিকে সিংহ নামে অভিহিত করে। এরপর স্যাঙ নিলা উতামা সেখানে বাস করা শুরু করলেন এবং একটা শহর প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শহরটির নাম দেন সিঙ্গাপুরা(Singapura) বা সিংহের শহর(Lion City)। তবে সবথেকে মজার বিষয় হল সিঙ্গাপুরে কোন সিংহ নেই। ধারণা করা হয় স্যাঙ নিলা উতামা যে জন্তুটাকে দেখেছিলেন সেটি আসলে সিংহ ছিল নাহ সেটি 'মালেশিয়ান বাঘ' ছিল।

ভূগোল

সিঙ্গাপুর ৬৩ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। 'জুরং দ্বীপ','পালাও ওজাং', 'পালাও টেকং', 'পালাও উবিন', এবং 'সেন্টোসা' সিঙ্গাপুরের উল্লেখযোগ্য কিছু দ্বীপ। এর মধ্যে 'পালাও ওজাং' প্রধান দ্বীপ।

জীববৈচিত্র্য

নগরায়নের ফলে সিঙ্গাপুরের ৯৫% বনভূমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যার কারণে এখানে কোন জীববৈচিত্র্যতাও দেখা যায় নাহ। তবে এখানে ১৫০ বছরের পুরানো একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন আছে। সরকার সেটিকে যথাযথ সংরক্ষণ করার মাধ্যমে প্রসারিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

তথ্যসূত্র

Tags:

সিঙ্গাপুরের ইতিহাস সিঙ্গাপুর নামকরণের ইতিহাসসিঙ্গাপুরের ইতিহাস ভূগোলসিঙ্গাপুরের ইতিহাস জীববৈচিত্র্যসিঙ্গাপুরের ইতিহাস তথ্যসূত্রসিঙ্গাপুরের ইতিহাস

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশশেংগেন অঞ্চলঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাগাঁজা (মাদক)নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীহারুনুর রশিদমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রচিকিৎসকপ্যারাচৌম্বক পদার্থমেষ রাশি (জ্যোতিষ শাস্ত্র)বাংলাদেশ সেনাবাহিনীভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহনয়নতারা (উদ্ভিদ)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলবাংলাদেশের বিমানবন্দরের তালিকারাষ্ট্রশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ভৌগোলিক নির্দেশকবাংলা ভাষাদেব (অভিনেতা)ব্রিটিশ ভারতকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টতাপপ্রবাহদীন-ই-ইলাহিমহাত্মা গান্ধীনিউটনের গতিসূত্রসমূহঅরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিতামান্না ভাটিয়াচট্টগ্রাম বিভাগকালিদাসফুলমঙ্গল গ্রহআসিয়ানবিজ্ঞানরক্তঅণুজীবশাহ জাহানচন্দ্রগ্রহণআবহাওয়াঅন্ধকূপ হত্যাদেশ অনুযায়ী ইসলামমক্কানগরায়নসিরাজউদ্দৌলাসাকিব আল হাসানব্যাংকইসলামি বর্ষপঞ্জিক্রোমোজোমসামাজিক কাঠামোওয়ালাইকুমুস-সালামজীবনানন্দ দাশপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাসমরেশ মজুমদারইন্দোনেশিয়াক্রিয়েটিনিনসাঁওতালহরমোনমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহবাংলাদেশী টাকাভারত ছাড়ো আন্দোলনসৈয়দ শামসুল হকবাইতুল হিকমাহতাপস রায়বিরসা দাশগুপ্তবঙ্গবন্ধু সেতুহৃৎপিণ্ডন্যাটোবীর শ্রেষ্ঠপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)কোষ বিভাজনআশারায়ে মুবাশশারাহুনাইন ইবনে ইসহাকউসমানীয় সাম্রাজ্যকারকগ্রামীণফোনশাহরুখ খানটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবাঙালি মুসলিমদের পদবিসমূহ🡆 More