রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (ইংরেজি: Research and Analysis Wing, শব্দ সংক্ষেপ:র বা RAW বা R&AW) ভারতের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই গোয়েন্দা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও। ১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধ ও ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে পূর্বতন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ব্যর্থতার জন্য নতুন গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান হিসেবে র প্রতিষ্ঠা করা হয়। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের তথ্য সরবরাহ করা। বিদেশী সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং। কখনো কখনো বলা হয়, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং হচ্ছে ভারতের জাতীয় শক্তির দক্ষ ব্যবহারের একটি মাধ্যম। র ভারতের পরমাণু কর্মসূচির নিরাপত্তাজনিত ক্ষেত্রতেও নিযুক্ত ছিল ভারতীয় সংসদের কাছে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং দায়বদ্ধ নয়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নিকট দায়বদ্ধ।

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং
রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮
সদর দপ্তরনতুন দিল্লী, ভারত
নীতিবাক্যধর্ম রক্ষতি রক্ষিতা (যে ধর্মকে রক্ষা করে, ধর্ম তাকে রক্ষা করে)
সংস্থা নির্বাহী
মূল সংস্থাকেন্দ্রীয় সচিবালয় (ভারত)
অধিভূক্ত সংস্থা
  • *অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার
    • রেডিও রিসার্চ সেন্টার
    • ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল সার্ভিসেস
    • ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ফ্যাসিলিটিস অর্গনাইজেশন
    • স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স

সদর দপ্তর

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের কেন্দ্রীয় সদর দপ্তর নতুন দিল্লীতে অবস্থিত।

ইতিহাস

ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৩৩ সালে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে সঞ্জীব পিল্লাই আই.বি'র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের বিভিন্ন যুদ্ধে এর ব্যর্থতার কারণে নতুন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রশিক্ষণ

প্রাথমিক প্রশিক্ষণ

নিয়োগকৃত নতুন এজেণ্টদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু উৎসাহমূলক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। এটি একটি দশ-দিন ব্যাপী কার্যক্রম যেখানে নতুন এজেণ্টরা গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত বাস্তবতা, গোয়েন্দা জ্ঞান সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়াও সাধারণ রীতিনীতি, বাণিজ্যিক কৌশল, এবং তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কেও তাদের অবহিত করা হয়। পাশাপাশি স্পেস টেকনোলোজি, তথ্যগত নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সম্পর্কিত নানান ধারণাও তাদের শেখানো হয়। নব নিযুক্ত এজেণ্টদের বিভিন্ন বৈদেশিক ভাষা ও ভৌগোলিক কৌশলগত বিশ্লেষণ নিয়েও তাদের পারদর্শী করে গড়ে তোলা হয়। তাদের অধ্যয়নের তালিকায় সিআইএ, কেজিবি, মোসাদএমআই৬ নিয়েও কেইস স্টাডি রয়েছে। তাদের এও শিক্ষা দেওয়া হয় যে শত্রু-মিত্র নিরূপণ করা দেশের পররাষ্ট্র নীতির কাজ, গোয়েন্দা সংস্থার নয়। গুরগাঁওয়ের একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ও ভাষা ইনস্টিটিউটে অফিসারদের এই প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। মুম্বাইয়ে আর্থিক-গোয়েন্দাগিরি সংক্রান্ত একটি বহুমুখী-নিয়মানুবর্তীতামূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত করা হচ্ছে যেখানে নব-নিযুক্ত এজেণ্ট অফিসারদের মানি-লন্ডারিং-কে ঘিরে গড়ে উঠা বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আগাম প্রশিক্ষণ

প্রাথমিক প্রশিক্ষণের সমাপ্তির পর এজেণ্টরা ফিল্ড ইনট্যালিজেন্স ব্যুরো (সংক্ষেপেঃ এফআইবি)-এর অধীনে প্রশিক্ষিত হতে থাকে। এখানে একজন এজেণ্টের প্রশিক্ষণ সময়কাল ১-২ বছর অব্দি হয়ে থাকে। মূলত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে তা শেখানোর জন্য প্রতীকি প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করে এখানে এজেণ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও রাতের আঁধারে কীভাবে অনুপ্রবেশ করতে হয় তা নিয়েও এজেণ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া কীভাবে ধরা পড়ে যাওয়া থেকে এড়ানো যায় এবং ধরা পড়ে গেলেও কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়েও বিস্তারিত মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি নিরীক্ষণ দক্ষতা, মনোযোগ আকর্ষণ এবং গোয়েন্দা অভিযান অপারেট করার মত নানা নৈপুণ্যও এজেণ্টরা এই প্রশিক্ষণে পেয়ে থাকে। ফিল্ড প্রশিক্ষণ শেষে এজেণ্টদের চূড়ান্তভাবে নিরীক্ষণ করা হয়। অভিযানে নামার পূর্বে এজেণ্টদের আত্ম-রক্ষা সম্পর্কিত নানা দক্ষতা, বিশেষ করে ক্রেভ মাগা এবং গুপ্তচরবৃত্তি কাজে ব্যবহৃত নানান ধরনের প্রযুক্তিগত ডিভাইসের ব্যবহার শেখানো হয়। এজেণ্টদের এমনভাবে প্রশাসনিক নিয়মানুবর্তীতা শেখানো হয় যাতে করে কোনরূপ সন্দেহের উদ্রেক না করে যেন এজেণ্টরা তাদের গোপন অভিযান লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এজেণ্টদের এই ফিল্ড প্রশিক্ষণ দেরাদুনে ভারতীয় সেনাবাহিনী একাডেমীতে প্রদান করা করা হয়।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Tags:

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং সদর দপ্তররিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ইতিহাসরিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং প্রশিক্ষণরিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং তথ্যসূত্ররিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং আরও পড়ুনরিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বহিঃসংযোগরিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংইংরেজি ভাষাভারত-চীন যুদ্ধভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫রামেশ্বর নাথ কাও

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

আসামনামাজআলিইবনে বতুতাপৃথিবীকিশোর কুমারঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুররিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবঅপারেশন সার্চলাইটপশ্চিমবঙ্গের নদনদীর তালিকাসার্বিয়াভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাগোলাপদি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশশিল্প বিপ্লবআরবি ভাষানোরা ফাতেহিদারুল উলুম দেওবন্দভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহএ. পি. জে. আবদুল কালামমৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসবারো ভূঁইয়াআমার দেখা নয়াচীনভারতের রাষ্ট্রপতিআলিফ লায়লাফুসফুসকনডমআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসজাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দামৃণালিনী দেবীআরবি বর্ণমালাইউটিউববাংলা একাডেমিওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবধর্মসত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রপ্রোফেসর শঙ্কুমাইকেল মধুসূদন দত্তব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাআবদুল মোনেম লিমিটেডচিরস্থায়ী বন্দোবস্তভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিইসতিসকার নামাজভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধিহীরক রাজার দেশেজাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদগজনভি রাজবংশপূরণবাচক সংখ্যা (ভাষাতত্ত্ব)ভিটামিনভূমি পরিমাপচর্যাপদমেঘনা বিভাগবাংলার ইতিহাসওয়ালটন গ্রুপবইদুবাইযক্ষ্মামান্নাপ্যারাচৌম্বক পদার্থমৌলিক পদার্থের তালিকাবেগম রোকেয়া০ (সংখ্যা)ধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাশর্করাসুন্দরবনকমনওয়েলথ অব নেশনসজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাববাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টফরাসি বিপ্লবহুনাইন ইবনে ইসহাকবাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরদের তালিকাবেদমৌলিক পদার্থরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরনোয়াখালী জেলাবিদ্রোহী (কবিতা)🡆 More