যুক্তরাজ্য হ'ল মহাদেশীয় ইউরোপ এর উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। ব্রিটিশ দ্বীপ অঞ্চলের প্রধান অংশ মোট প্রায় ২,৪৮,৫৩২ বর্গকিলোমিটার (৯৫,৯৬০ মা২) অঞ্চল দখল করে আছে যুক্তরাজ্য দ্বীপপুঞ্জ। যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত আছে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ, আয়ারল্যান্ড দ্বীপের উত্তর-পূর্বের এক ষষ্ঠাংশ ভাগ এবং আশেপাশের আরও অনেক ছোট ছোট দ্বীপ। এটি বিশ্বের ৭ম.
বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র। মূল ভূখণ্ড ৪৯° উত্তর এবং ৫৯° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত (শিটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ৬১° উত্তর পর্যন্ত) এবং দ্রাঘিমাংশ ৮° পশ্চিম থেকে ২° পূর্ব। দেশটির দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত গ্রিনিচ মান মন্দির হ'ল মূল মধ্যরেখা এর নির্ধারিত স্থান।
যুক্তরাজ্য উত্তর আটলান্টিক এবং উত্তর সাগর এর মধ্যে অবস্থিত এবং এর উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে ৩৫ কিমি (২২ মা) দূরত্বে অবস্থান করছে ফ্রান্স যা প্রাকৃতিকভাবে ইংলিশ চ্যানেল দ্বারা পৃথক হয়ে হয়েছে। দেশটি আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের এর সাথে একটি ৪৯৯ কিমি দীর্ঘ আন্তর্জাতিক স্থল সীমানা ভাগ করে নিয়েছে। ইংলিশ চ্যানেলের নীচ দিয়ে গড়ে তোলা চ্যানেল টানেল দ্বারা এখন যুক্তরাজ্যের সাথে ফ্রান্সের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রাকৃতিক ভূগোল এ অনেক বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংল্যান্ডের বেশিরভাগটিই নিম্নভূমি অঞ্চল নিয়ে গঠিত। কেবল উত্তর-পশ্চিমে টিজ-ইএক্সই রেখা -তে উচ্চভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল পাওয়া যায়। উজান অঞ্চলের মধ্যে লেক ডিসট্রিক্ট, পেনাইনস, নর্থ ইয়র্ক মুর, এক্সমুর এবং ডার্টমুর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিম্নভূমি অঞ্চলগুলি সাধারণত নিচু পাহাড় শ্রেণী দ্বারা বিভক্ত এবং প্রায়ই খড়ি এবং সমভূমি দ্বারা গঠিত। যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক পার্বত্য অংশ হ'ল স্কটল্যান্ড এবং এর প্রাকৃতিক ভূগোলকে বিশিষ্টতা প্রদান করেছে হাইল্যান্ড বাউন্ডারি ফল্ট। এটি স্কটিশ মূল ভূখণ্ডের হেলেনসবার্গ থেকে স্টোনহ্যাভেন পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। এই চ্যুতি রেখাটি উচ্চভূমি কে উত্তর এবং পশ্চিমে এবং নিম্নভূমি কে দক্ষিণে এবং পূর্ব দিকে দুটি পৃথক পৃথক অঞ্চলে ভাগ করেছে। উচ্চভূমিটি মূলত পর্বতমালা সমন্বিত যার মধ্যে আছে স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ পর্বতমালার ভূসংস্থান এবং নিম্নভূমিতে রয়েছে সমতলভূমি বিশেষ করে মধ্য নিম্নভূমি অঞ্চল। অবশ্য দক্ষিণাঞ্চলীয় উচ্চভূমি -তে রয়েছে উঁচু পার্বত্য অঞ্চল। ওয়েলসের বেশিরভাগ অংশ পর্বত বেষ্টিত। যদিও উত্তর এবং মধ্য ওয়েলস এর চেয়ে সাউথ ওয়েলস কম পার্বত্যময়। উত্তর আয়ারল্যান্ড এর বেশিরভাগটাই পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এখানকার মরনে পর্বতমালা এর পাশাপাশি অবস্থান করছে ৩৮৮ বর্গকিলোমিটার (১৫০ মা২) পরিসরের যুক্তরাজ্যের জলের বৃহত্তম সংস্থান লফ নেগ।
যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক ভূমিরূপবিদ্যা এর স্বরূপটি লাভ করেছে টেকটনিক্স এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ শক্তির সম্মিলিত প্রভাবে। বিশেষ করে উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে হিম পর্যায় -এর প্রভাব স্পষ্ট।
ইউকে (এবং ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের) মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বত হ'ল স্কটল্যান্ডের গ্র্যাম্পিয়ান পর্বতমালা এর বেন নেভিস। দীর্ঘতম নদী হ'ল সেভার্ন নদী যা ওয়েলস থেকে ইংল্যান্ডে প্রবাহিত হয়েছে। স্থলভাগে অবস্থিত ক্ষেত্রফলে বৃহত্তম হ্রদটি হ'ল উত্তর আয়ারল্যান্ডের লফ নেগ। যদিও স্কটল্যান্ডের লচ নেস এর আয়তন সবচেয়ে বেশি।
এই নিবন্ধে তথ্যসূত্রের একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু উক্ত তালিকায় পর্যাপ্ত সংগতিপূর্ণ উদ্ধৃতির অভাব বিদ্যমান। (August 2009) |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article যুক্তরাজ্যের ভূগোল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.