পেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন

পেশাদারি কুস্তিতে বিভিন্ন প্রকারের ম্যাচ হয়। কখনো তা গিমিক অনুযায়ী হয় আবার কখনো স্টোরিলাইন অনুযায়ী। যেহেতু পেশাদারি কুস্তির ইতিহাস অনেক দশকের তাই এর ম্যাচ সবসময় বদলাতে থাকে।

একক ম্যাচ

পেশাদারি কুস্তির বেশিরভাগ ম্যাচ সিঙ্গেল ম্যাচ হয়। যেখানে দুইজন প্রতিযোগী একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। সিঙ্গেল ম্যাচ সাধারণত পিনফলের মাধ্যমে বিজয়ী হয়। এছাড়াও ডিসকোয়ালিফিকেশন, কাউন্টআউট, নকআউট, সাবমিশন এর মাধ্যমে ম্যাচ জিতা যায়।

ট্যাগ টিম ম্যাচ

পেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন 
ডাব্লিউডাব্লিউই ওয়ার্ল্ড ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি ট্রিপল থ্রেট ট্যাগ টিম ম্যাচ

ট্যাগ টিম ম্যাচ হয় দুই দলের মধ্যে যেখানে প্রতি দলে দুই বা তার অধিক প্রতিযোগী থাকে। এই ম্যাচে প্রতি দলের একজন রিংয়ে থাকে। কুস্তিগিররা তাদের অবস্থান ট্যাগ (হাই ফাইভ) এর মাধ্যমে বদলায়। যাকে ট্যাগ দেওয়া হয় সে রিংয়ে এসে লড়াই করে। একটি সাধারণ ট্যাগ টিম ম্যাচে পিনফল, সাবমিশন, কাউন্টআউট, নকআউট, ডিসকোয়ালিফিকেশনের মাধ্যমে জয় লাভ করা যায়। ডাব্লিউডাব্লিউই এর মতো প্রোমোশনে ট্যাগ টিম ম্যাচে সাধারণত প্রতি দলে দুই জন থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে তিন (ট্রিপল থ্রেট) বা চার (ফেটাল-৪-ওয়ে) বা পাচঁজনের মধ্যে হতে পারে। কিন্তু মেক্সিকান প্রোমোশন লুচা লিবারে ডাব্লিউসিডাব্লিউ তে তিন জনের ট্যাগ টিম ম্যাচ সাধারণ ব্যাপার।

টর্নেডো ট্যাগ টিম ম্যাচ

টর্নেডো ট্যাগ টিম বলা হয় অনেকগুলো ট্যাগ টিম একসাথে খেলা বিশেষ করে ডাব্লিউডাব্লিউইতে। এসব ম্যাচ স্টিল কেইজ ম্যাচ, ল্যাডার ম্যাচও হতে পারে।(যদি টাইটেল ম্যাচ হয় তাহলে যদি টাইটেলধারী দলের একজনকে পিন করলেও অপর জনকে পিন না করা পর্যন্ত টাইটেল তাদের কাছে থাকে)

এলিমিনেশন ট্যাগ টিম ম্যাচ

এই ম্যাচগুলো হয় এলিমিনেশনের নিয়মের মধ্যে। যেখানে সবাইকে এলিমিনেট করে যে টিম রিংয়ে থাকে সে বিজয়ী হয়। একটি সহজ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সার্ভাইভার সিরিজ এর ম্যাচ। যেখানে চার বা পাচঁ কখনো কখনো সাতজনও এই ম্যাচগুলো তে অংশ নেয়। এই ম্যাচে সিঙ্গেল ম্যাচের নিয়মে জয় লাভ করা যায়।

ইন্টারজেন্ডার ট্যাগ টিম ম্যাচ

এই ধরনের ট্যাগ-টিম ম্যাচে উভয় লিঙ্গের ব্যক্তিত্ব থাকে। এটি মিশ্র ট্যাগ টিম ম্যাচ থেকে পৃথক একটি ম্যাচের ধরন, যেখানে বিভিন্ন লিঙ্গের কুস্তিগিররা একে অপরের মুখোমুখি হতে পারে। ছয় ব্যক্তির ইন্টারজেন্ডার ট্যাগ টিম ম্যাচগুলোও সাধারণ, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, টিম এক্সট্রিম দ্বারা এটি জনপ্রিয় হয়েছিল।

মিক্সড ট্যাগ টিম ম্যাচ

এই ধরনের ট্যাগ-টিম ম্যাচে মিশ্র লিঙ্গের অথবা মিক্সড আকারের (বামন সাধারণ আকারের কুস্তিগির সহ) কুস্তিগিররা কুস্তি লড়ে থাকেন। প্রতিটি কুস্তিগিরকে বিভাগ অনুসারে ভাগ করা হয়, যেখানে মিশ্র লিঙ্গের দলগুলোতে পুরুষ বা মহিলা এবং মিক্সড আকারের দলগুলোরতে স্বাভাবিক বা বামন থাকে। একসাথে কেবল একই বিভাগের কুস্তিগিররা একই সময়ে রিংয়ে থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও মহিলা তার পুরুষ সঙ্গীকে ট্যাগ দেয়, তবে উভয় মহিলাই রিং ছেড়ে দিতে হবে এবং উভয় পুরুষ প্রবেশ করবে। যদি একজন বামন তার স্বাভাবিক-আকারের অংশীদারকে ট্যাগ করে, উভয় বামন রিং ছেড়ে দিতে হবে এবং উভয়ই স্বাভাবিক আকারের কুস্তিগির প্রবেশ করবে।

একাধিক কুস্তিগির দলবদ্ধ ম্যাচ

ট্যাগ টিম ম্যাচ দুটি লড়াইয়ের দুটি দল থেকে শুরু করে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করা একাধিক ব্যক্তি দল পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরনের উদাহরণ হল সিক্স-ম্যান ট্যাগ টিম ম্যাচ (লুচা লিব্রেতে '"ট্রিওস" এবং ব্রিটিশ রেসলিং -এ "ট্রিপল ট্যাগ" নামে পরিচিত) বা এইট-ম্যান ট্যাগ টিম ম্যাচ', যেখানে তিনজনের দুটি দল বা চারজনের দুটি দল লড়াই করে। স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান ফল ট্যাগ টিম ম্যাচ।

ট্রিপল থ্রেট ম্যাচ

ট্রিপল থ্রেট ম্যাচ, যেখানে তিনজন কুস্তিগির সাধারণ নিয়মের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম প্রতিযোগীকে একটি পিনফল বা জমা দেওয়ার জন্য বিজয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে। ট্রিপল থ্রেট ম্যাচ নো-অযোগ্যতা এবং নো-কাউন্টআউট শর্তের অধীনে লড়াই করা হয়। ত্রিভুজ ম্যাচগুলি প্রায়শই একটি ট্যাগ ম্যাচের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয় যেখানে এক সময়ে শুধুমাত্র দুটি ম্যাচে থাকতে পারে যখন তৃতীয়টি রিং এপ্রোনের উপর অপেক্ষা করে এবং শুধুমাত্র বাদ দেওয়ার কারণটি যদি একজন প্রতিযোগীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

উইনার টেকস অল ম্যাচ

এই ম্যাচে দুইজন চ্যাম্পিয়ন মুখোমুখি হয়। যেখানে বিজয়ী উভয় টাইটেল নিয়ে নেয়। এটি কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ ইউনিফিকেশন ম্যাচ না।

নো ডিসকোয়ালিফিকেশন ম্যাচ

একটি নো ডিসকোয়ালিফিকেশন ম্যাচ, যা নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ নামেও পরিচিত, বা কখনও কখনও এনিথিং গোজ ম্যাচ হিসাবে , একটি র‍্যাভেনের নিয়ম ম্যাচ, (২০০৬ সালের আগে ডব্লিউডব্লিউই-তে), একটি চরম নিয়মের ম্যাচ (ডাব্লিউডাব্লিউই ২০০৬ এবং পরে) বা নো রোপস ক্যাচ রেসলিং ম্যাচ (এমএলডাব্লিউ- তে), এমন একটি ম্যাচ যেখানে কোনও কুস্তিগিরকে অযোগ্য ঘোষণা করা যায় না, অস্ত্র এবং বাইরের হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয়। যাইহোক, একটি হার্ডকোর ম্যাচ পিনফল বিপরীত এবং জমা রিং ভিতরে করা আবশ্যক.

নো-অযোগ্যতা ম্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে এমন দ্বন্দ্বে যেখানে একজন চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে থাকতে পারে, কিন্তু চ্যাম্পিয়নশিপ দাবি করেনি কারণ চ্যাম্পিয়ন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল (চ্যাম্পিয়নশিপ সাধারণত শুধুমাত্র পিনফল বা জমা দেওয়ার মাধ্যমে হাত পরিবর্তন করে)। নির্ধারিত না হলে, নো-অযোগ্যতার ম্যাচ একটি কাউন্টআউটে শেষ হতে পারে। যেগুলো নো-ডিসকোয়ালিফিকেশন, নো-কাউন্টআউট ম্যাচ, তাই তাদের নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ বলা হয়।

ওয়ার গেমস ম্যাচ

ওয়ার গেমস পেশাদার কুস্তি খেলায় একটি বিশেষ ইস্পাত খাঁচা ম্যাচ। ম্যাচটিতে সাধারণত চার, পাঁচ বা ততোধিক কুস্তিগিরদের দুটি দলকে একটি স্টিলের খাঁচায় আটকে রাখা হয় যা পাশাপাশি রাখা দুটি রিংকে ঘিরে থাকে। খাঁচায় ছাদ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, ম্যাচটি কোন পেশাদার কুস্তি প্রচারের উপর নির্ভর করে।

স্ট্রিট ফাইট

একটি স্ট্রিট ফাইট হল এক ধরনের হার্ডকোর ম্যাচ যার কোনো অযোগ্যতা নেই, যেটিতে যেকোনো জায়গায় গণনা করা হয় এবং অস্ত্র বৈধ। একটি হার্ডকোর ম্যাচ এবং একটি রাস্তার লড়াইয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল যে হার্ডকোর ম্যাচে কুস্তিগিররা তাদের সাধারণ রেসলিং গিয়ার পরেন, কুস্তিগিররা (বিশেষ করে আধুনিক সময়ে) প্রায় সবসময় রাস্তার লড়াইয়ে তাদের নিজস্ব রাস্তার পোশাক পরেন এবং সাধারণত রাস্তার লড়াইয়ে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি আইটেমগুলি সাধারণত শহরের রাস্তায় পাওয়া যায় বা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, যেমন ট্র্যাশ ক্যান, রাস্তার চিহ্ন, ঝাড়ু, ডাম্পস্টার এবং কখনও কখনও যানবাহন এবং শপিং কার্টগুলি অন্যান্য জিনিসগুলির মধ্যে সেই আইটেমগুলিতে ভরা। কখনও কখনও রাস্তার লড়াইয়ে আয়োজক অঙ্গনের শহরের নাম থাকে, যেমন "শিকাগো স্ট্রিট ফাইট" বা "নিউ ইয়র্ক স্ট্রিট ফাইট"।

এম্পটি এরেনা ম্যাচ

এটি হচ্ছে একধরনের হার্ডকোর ম্যাচ যেটি শূন্য এরেনায় অনুষ্ঠিত হয়। মানে সেখানে দর্শক থাকে না। শুধুমাত্র রেফারি, কুস্তিগিররা, ধারাভাষ্যকার এবং ক্যামেরাম্যান ছাড়া কেউই এই ম্যাচ চলাকালীন উপস্থিত থাকে না। এই ম্যাচ পরে ভিডিওটেপ বা দেখানো হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় দ্য রক এবং ম্যানকাইন্ড এর ম্যাচ যেটি ডাব্লিউডাব্লিউএফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য হয়েছিল। যেটি হয়েছিল জানুয়ারি ৩১, ১৯৯৯ সালে ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর সুপার বউল হাফটাইম শো তে। এম্পটি এরেনা ম্যাচ খুবই দুষ্প্রাপ্য কারণ এই ম্যাচগুলো দর্শক দেখে না এবং এদের টিকিট বিক্রি করা হয় না।

ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচ

ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে যেকোনো জায়গায়, এরেনার যেকোনো অংশে একজন কুস্তিগির কে শুধুমাত্র পিন করে ম্যাচ জিতা যায়। এ ম্যাচে কাউন্টআউটের রুলও রয়েছে। এ ম্যাচটিকে হার্ডকোর বানানোর জন্য এই ম্যাচটি সাধারণত নো ডিসকোয়ালিফিকেশন রুলে হয়। ম্যাচ চলাকালীন কুস্তিগিররা হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই ম্যাচ খেলতে পারবে।

এটির পরিবর্তনকৃত ম্যাচে পিন কুস্তিগিররা রেফারির ১০ বা ৩০ কাউন্টের মধ্যে যদি রিংয়ে আসতে না পারে তাহলে অপর কুস্তিগির কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এই ম্যাচের স্টিপুলেশন এর একটি নতুন পরিবর্তন হলো সাবমিশন কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর। যেটি ব্রেকিং পয়েন্টে ডিএক্স আর দ্য লিগেসির ম্যাচের মাধ্যমে অভিষিক্ত হয়।

সাধারণত ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে এরেনার যেকেনো জায়গায় পিন করে ম্যাচ জিততে হয়। কিন্তু মাসএকার:ইন ইউর হাউজে হার্ডকোর হলি অল স্নোকে একটি নদীর তীরে পিন করেছিল।

ফ্ল্যাগ ম্যাচ

এই ম্যাচটি হলো ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ এর পেশাদারি কুস্তি সংস্করণ। যেখানে দুইটি পতাকা দুই বিপরীত টার্নবাকলে থাকে। এই ম্যাচে কুস্তিগির তার দেশের পতাকা নেওয়ার চেষ্টা করে আর অন্য কুস্তিগির বাধা দেয়। যে পতাকা নিতে সক্ষম হয় সেই বিজয়ী হয়। যদি রেফারির ফলাফল নির্ধারণ করতে সমস্যা হয় তাহলে কুস্তিগিররা আবার পতাকা টার্নবাকলে রাখে এবং ম্যাচ পুনরায় শুরু হয়। এই ম্যাচ শেষে বিজয়ী কুস্তিগিরের দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। যেমনটা অলিম্পিকে গোল্ড মেডেল জিতলে করা হয়। মূলত এই ম্যাচে ফেস কুস্তিগিরদের দেশপ্রেম দেখানো হয়।

রিডিইউসড ক্লোথিং ম্যাচ

এটি নারীদের রেসলিং ম্যাচ। যেখানে তারা শুধু লিংগেরি, বিকিনি, স্কুলগার্ল আউটফিট, ভিজা কাপড় বা নগ্ন হয়ে রেসলিং করে। নেকড ওমেন রেসলিং লিগ এ এরকম নগ্ন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে নারী রেফারি নগ্ন অবস্থায় থাকে।

হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ

এরকম ম্যাচে একজন কুস্তিগির বা একটি ট্যাগ টিম তাদের থেকে দুই বা তিনজনের সাথে ম্যাচ খেলে। যেমন একজনের সাথে দুইজন বা দুইজনের সাথে তিনজন ম্যাচ খেলে। সাধারণত একজন বেবিফেস কুস্তিগির দুইজন বা টিমের সাথে (হিল) ম্যাচ খেলে যেখানে তারা অন্যায়ভাবে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। ২-অন-১ হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ ট্যাগ টিম নিয়মে হয় যেখানে একজন কুস্তিগির রিংয়ে থাকে। এবং একে অপর কে ট্যাগ করতে পারে। মূলত ১৯৮০-৯০ এর দশকে হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ খেলা শুরু হয়। যেখানে বিশালদেহের কুস্তিগিররা (যেমন: কিং কং বাডি, বিগ ভ্যান ভেদার, ইয়োকুজনা) প্রতিপক্ষকে টিমকে অধিক ডমিনেট করার মাধ্যমে তাদের গিমিক ফুটিয়ে তুলতো।

আয়রন ম্যান ম্যাচ

এই ম্যাচটি হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে কুস্তিগির সবচেয়ে বেশিবার জিতবে সে ম্যাচে জয়ী হবে। যেখানে পিনফল, সাবমিশন, ডিসকোয়ালিফিকেশন আর কাউন্টআউটের মাধ্যমে ম্যাচ জিতা যায়।

লাম্বারজ্যাক ম্যাচ

লাম্বারজ্যাক ম্যাচে কয়েকজন কুস্তিগির (যারা এই ম্যাচে খেলছে না) তারা রিংয়ের চারপাশে ঘিরে রাখে। লাম্বারজ্যাক ম্যাচে কুস্তিগিররা রিংয়ের বাইরে গেলে লাম্বারজ্যাকসরা (যারা লাম্বারজ্যাকে অংশগ্রহণ করে) তাদের রিংয়ে ফেরত পাঠায়। নারী লাম্বারজ্যাক হলে তাদের লাম্বারজিলস বলে। লাম্বারজ্যাক ম্যাচ চলাকালীন রিংয়ের বাইরে হিল এবং ফেস কুস্তিগিরদের ব্রল এই ধরনের ম্যাচের সাধারণ বিষয়। এছাড়াও হিল ও ফেস কুস্তিগিররা আলাদা দল থাকায় মাঝেমাঝে হিল রা রিংয়ের ভিতরে অন্য আরেক হিল কুস্তিগির (রিংয়ের দুইজন প্রতিযোগির যেকোনো একজন) এর সাহায্যে করে।

গন্টলেট ম্যাচ

একটি গন্টলেট ম্যাচ, যাকে একটি টার্মায়েল ম্যাচ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, এটি একের পর এক ম্যাচের একটি দ্রুত সিরিজ। দুজন কুস্তিগির ম্যাচ শুরু করে এবং যখনই একজনকে বাদ দেওয়া হয় (পিনফল বা জমা দিয়ে) তখন প্রতিস্থাপিত হয়। একটি পূর্বনির্ধারিত সংখ্যক কুস্তিগির ম্যাচটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরে, সর্বশেষে দাঁড়ানো ব্যক্তিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একটি গল্পের অংশ হিসাবে একটি গন্টলেট ম্যাচ একাধিক "অংশে" খেলাও হতে পারে (যেটিতে একজন মুখ কুস্তিগিরকে হিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে একটি হিল রেসলারের আন্ডারলিংগুলির একটি সিরিজের মুখোমুখি হতে হবে, উদাহরণস্বরূপ) এটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ রেসলিং -এ সাধারণ ছিল। ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে। একটি গন্টলেট ম্যাচে জড়িত একজন অংশগ্রহণকারীকে "গন্টলেট চালানো" বলা যেতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পদবীটি তাদের জন্য সংরক্ষিত হয় যারা বেশিরভাগ ম্যাচের জন্য জড়িত। কখনও কখনও, এটি (ওয়ান-অন-থ্রি) বা (ওয়ান-অন-ফোর) হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচও হতে পারে। ট্যাগ ম্যাচের বিপরীতে, তিন/চার সদস্যের দল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে স্বতন্ত্রভাবে চ্যালেঞ্জ করবে যতক্ষণ না সে ছিটকে যায়, সেই সময়ে ম্যাচ শেষ হয়। এর একটি উদাহরণ ছিল ২৩শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯, ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন এর সংস্করণ যেখানে ট্রিপল এইচ , তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে তার কর্মের জন্য ভিন্স ম্যাকম্যান দ্বারা শাস্তি পেয়েছিলেন , এক রাতে পাঁচটি গিমিক ম্যাচে বুক করা হয়েছিল: একটি চোকস্লাম চ্যালেঞ্জ ম্যাচ (একটি ম্যাচ যেখানে প্রথম চোকস্লাম তাদের প্রতিপক্ষ জিতেছে) দ্য বিগ শো-এর বিরুদ্ধে , ভিসেরা এবং মিডিয়নের বিরুদ্ধে একটি হ্যান্ডিক্যাপ ক্যাসকেট ম্যাচ , কেনের বিরুদ্ধে একটি ইনফার্নো ম্যাচ , ম্যানকাইন্ডের বিরুদ্ধে একটি বয়লার রুম ঝগড়া এবং দ্য রকের বিরুদ্ধে একটি ব্রহ্মা বুলরোপ ম্যাচ।

স্ট্রিপ ম্যাচ

এই ধরনের ম্যাচে পিনফল বা সাবমিশনের মাধ্যমে জয়ী হয় না। জয়ী হতে হলে প্রতিপক্ষ কুস্তিগিরের কাপড় খুলে ফেলতে হয়। এটিটিউড এরা তে নারী কুস্তিগিররা এই ধরনের ম্যাচ খেলতো।

ব্রা অ্যান্ড প্যান্টি ম্যাচ

ব্রা এন্ড প্যান্টি ম্যাচ মূলত নারী কুস্তিগিরদের ম্যাচ। এই ম্যাচে যে আগে প্রতিপক্ষের ব্রা বা প্যান্টি খুলে ফেলবে সে বিজয়ী হবে।

টুক্সেডো ম্যাচ

এই ম্যাচ হয় দুইজন পুরুষ প্রতিযোগী মুখোমুখি হয় যেখানে প্রতিযোগী রা একে অপরের টুক্সেডো খুলার চেষ্টা করে। যে টুক্সেডো খুলতে সক্ষম হয় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

নন রেসলিং ম্যাচ

নন রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন রকম এক নিয়মে। যেখানে পেশাদার কুস্তির বাইরে রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আর্ম রেসলিং ম্যাচ

একটি আর্ম রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় আর্ম রেসলিং এর রুলস অনুযায়ী।

বক্সিং ম্যাচ

বক্সিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বক্সিং এর নিয়মানুযায়ী। যেখানে কুস্তিগিররা বক্সিং গ্লাভস পরে এবং রাউন্ড অনুযায়ী ম্যাচ হয়। সাধারণ এসব ম্যাচে শেষ হয় যখন একজন কুস্তিগির চিটিং করে বা পেশাদারি কুস্তির মুভস গুলো ব্যবহার করে।

মিক্সড মার্শাল আর্টস ম্যাচ

মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় নিজস্ব নিয়মানুযায়ী। যেখানে পিনফলের মাধ্যমে জয়ী হওয়া যায় না।

সুমো ম্যাচ

সুমো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সুমোর নিয়মে। যেখানে একজন কুস্তিগির অপর কুস্তিগিরের দেহের যেকেনো অংশ ম্যাটে স্পর্শ করাতে পারলেই বিজয়ী হয়।

হার্ডকোর রুলস ভিত্তিক ম্যাচ

হার্ডকোর ম্যাচ হলো যেখানে প্রথাগত পেশাদারি কুস্তির নিয়ম প্রয়োগ করা হয় না। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে "নো ডিসকোয়ালিফিকেশন" রুলের ম্যাচ। কয়েকটি হার্ডকোর ম্যাচ হলো স্ট্রিট ফাইট, এক্সটিম রুলস ম্যাচ, আল্ট্রাভায়োলেন্ট রুলস ম্যাচ (সিজেডডাব্লিউ এর নতুন হার্ডকোর ম্যাচ যেখানে ল্যাডার, টেবিল, স্টিল চেয়ার, টাম্বটেকস, বার্বেট ওয়্যার, হুইট ওয়েকারস, লাইচ টিউব এবং আগুন যুক্ত থাকে), হার্ডকর এক্স-ট্রিম ম্যাচ (হার্ডকোর মম্যাচের একটি সংস্করণ যেখানে অন্যান্য হাতিয়ার ছাড়াও জলন্ত টেবিল, জলন্ত চেয়ার, রেজার ওয়্যার, কাঁচের এর টুকরা, বার্বেট ওয়্যারে মুড়ানো হাতিয়ার যুক্ত থাকে), নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ, বিম্বো ব্রল (নারীদের হার্ডকোর ম্যাচ) এবং গুড হাউসকিপিং ম্যাচ (যেখানে রান্নাঘরের হাতিয়ার যুক্ত থাকে)

বার্বেট ওয়্যার স্টিল কেইজ ম্যাচ

বার্বেট ওয়্যার স্টিল কেইজ ম্যাচ একটি সাধারণ স্টিল কেইজ ম্যাচের মতো না। এই ম্যাচগুলোতে স্টিল কেইজ বার্বেট ওয়্যার দিয়ে মুড়ানো থাকে। এই ম্যাচের আরেকটি পরিবর্তমান ম্যাচ হলো রেজার ওয়্যার ম্যাচ।

ক্লক ওয়ার্ক অরেঞ্জ হাউজ অফ ফান ম্যাচ

ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ হাউজ অফ ফান ম্যাচটি রাভেন'স হাউজ অফ ফান বা সহজভাবে হাউজ অফ ফান ম্যাচ নামে পরিচিত। এ ম্যাচটি একজন পেশাদার কুস্তিগির রাভেন তৈরি করেছে। এটি একটি সিঙ্গেল ম্যাচ যেখানে রিং পোস্টের পাচঁ থেকে ছয় ফুট উপরে স্টিল চেইন ঝুলানো থাকে। আর বিভিন্ন পোস্টে বিভিন্ন ধরনের স্টিল চেইন আে হাতিয়ার থাকে। প্রথম ম্যাচে এই ম্যাচ জেতার একটাই উপায় ছিল যেটা ছিল প্রতিপক্ষকে রাভেন'স পার্চ এ ছুড়ে ফেলার পর দুইটি টেবিলের মধ্যে ছুড়ে মারা। পরে এটিকে ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে রূপান্তর করা হয়।

ফ্যান'স ব্রিং দ্য ওয়েপুন ম্যাচ

এই ম্যাচে দর্শকরা হাতিয়ার নিয়ে আসে। মাঝেমাঝে এগুলো রিং সাইডে থাকে। এই ধরনের ম্যাচ ইসিডাব্লিউ তে বেশি জনপ্রিয় যেটি এখন বন্ধ হয়ে আছে।

ফার্স্ট ব্লাড ম্যাচ

এই ম্যাচটি একটি নো ডিসকোয়ালিফিকেশন ম্যাচ যেখানে প্রতিপক্ষকে আগে রক্তাক্ত করলে ম্যাচ জেতা যায়। একই ধরনের একটি ম্যাচ "স্যাডিস্টিক ম্যাডনেস" যেটি টোটাল ননস্টপ অ্যাকশন রেসলিং দ্বারা তৈরিকৃত, যেখানে একজন কুস্তিগিরকে পিন করতে হয়।

লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং ম্যাচ

এটি একটি হার্ডকোর স্টাইলের ম্যাচ যেখানে নকআউট এর মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া যায়। কোনো কুস্তিগির যদি রেফারির ১০ কাউন্টের আগে উঠতে সক্ষম না হয় তবে প্রতিপক্ষ ম্যাচের বিজয়ী হবে। এটি বক্সিং এর নকআউট এর সাথে মিলে যায়। এরকম সাদৃশ্যপূর্ণ ম্যাচ টেক্সাস ডেথ ম্যাচ (বা মেক্সিকান ডেথ ম্যাচ) যেখানে একজন কুস্তিগির যদি রেফারির ১০ কাউন্টের মধ্য টেপআউট করে তাহলে প্রতিপক্ষ জয়ী হয়।

নো কাউন্টআউট ম্যাচ

নো কাউন্টআউট ম্যাচে যেখানে দুজন প্রতিযোগীই রিংয়ের বাইরে থাকতে পারবে এবং রিংয়ের বাইরে ১০ বা ২০ সেকেন্ডের মতো পড়ে থাকতে পারবে।

নো হোল্ডস বারড ম্যাচ

একটি নো হোল্ডস বারড ম্যাচ "নো ডিসকোয়ালিফিকেশন" ম্যাচ হিসেবেও পরিচিত। কখনো কখনো "অ্যানিথিং গো'স ম্যাচ", "বুট ক্যাম্প ম্যাচ" ও রাভেন'স রুল ম্যাচ ও বলা যায়। যেখানে একজন কুস্তিগির আরেকজনের হস্তক্ষেপের ফলে এবং বিভিন্ন হাতিয়ার ব্যবহারের ফলে ডিসকোয়ালিফাই হয় না। এটির মূল পার্থক্য হলো প্রথাগত হার্ডকোর ম্যাচগুলোই বিভিন্ন হাতিয়ার ব্যবহারের কথা বলা থাকলেও এটিতে চাইলেই ব্যবহার করতে পারে। আর ম্যাচের পিনফল রিংয়ের ভিতরে হতে হয়। নাহলে এটি একটি স্ট্রিট ফাইট হিসেবে পরিচিতি পেত।

টাইপেই ডেথম্যাচ

টাইপেই ডেথম্যাচে কুস্তিগিরদের প্রতিপক্ষকে কাঁচে ছুড়ে মারা, ভাঙ্গা গামে আটকিয়ে রাখা যায়। ম্যাচগুলোতে পিনফল, সাবমিশন এবং পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে জয়ী হওয়া যায়।

তথ্যসূত্র

Tags:

পেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন একক ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন ট্যাগ টিম ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন একাধিক কুস্তিগির দলবদ্ধ ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন ট্রিপল থ্রেট ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন উইনার টেকস অল ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন নো ডিসকোয়ালিফিকেশন ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন ওয়ার গেমস ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন স্ট্রিট ফাইটপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন এম্পটি এরেনা ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন ফ্ল্যাগ ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন রিডিইউসড ক্লোথিং ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন আয়রন ম্যান ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন লাম্বারজ্যাক ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন গন্টলেট ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন স্ট্রিপ ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন নন রেসলিং ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন হার্ডকোর রুলস ভিত্তিক ম্যাচপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরন তথ্যসূত্রপেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরনপেশাদারি কুস্তি

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সালমান বিন আবদুল আজিজবাংলাদেশী অভিনেত্রীদের তালিকাসংস্কৃতিমহেন্দ্র সিং ধোনিবীর্যখুলনা জেলা২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগসার্বজনীন পেনশনসন্ধিগাজওয়াতুল হিন্দগজনভি রাজবংশলক্ষ্মীবাঙালি জাতিভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪হরমোনকাঁঠালরাজ্যসভাবিশ্ব ব্যাংকজয়নুল আবেদিনসিলেটআমার দেখা নয়াচীনকক্সবাজারকলকাতাআসিয়ানঅণুজীবপথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)টুইটারমালদ্বীপবাংলা ভাষা আন্দোলনশর্করাপ্রাকৃতিক পরিবেশজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়অস্ট্রেলিয়ারঙের তালিকাণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানজাতীয় সংসদযোনিনোয়াখালী জেলাহস্তমৈথুনের ইতিহাসচুম্বকমাওলানাজেরুসালেমজ্ঞানবঙ্গবন্ধু সেতুউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকাবাংলাদেশ আনসারবিশেষ্যবাংলাদেশের মন্ত্রিসভামীর জাফর আলী খানবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরশুক্রাণুবাংলা বাগধারার তালিকাযুক্তরাজ্যওয়ালাইকুমুস-সালামবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রবাংলাদেশ রেলওয়েদেশ অনুযায়ী ইসলামক্রিস্তিয়ানো রোনালদোবায়ুদূষণবারমাকিবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীবাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারকবৃন্দরাজা মানসিংহদাজ্জালদৌলতদিয়া যৌনপল্লিযিনাজাতিসংঘের মহাসচিবমেঘনা বিভাগতাহসান রহমান খানকোকা-কোলাস্মার্ট বাংলাদেশজয় চৌধুরীবাংলাদেশের ইউনিয়নের তালিকাদুর্নীতি দমন কমিশন (বাংলাদেশ)শীর্ষে নারী (যৌনাসন)বাংলাদেশের নদীর তালিকা🡆 More