নীল রিচার্ড ম্যাক্কিনন গেইম্যান (/ˈɡeɪmən/; জন্মসূত্রে নীল রিচার্ড গেইম্যান, ১০ নভেম্বর ১৯৬০) হলেন একজন ইংরেজ লেখক যিনি ছোটগল্প, উপন্যাস, কমিকবই, গ্রাফিক উপন্যাস, বাস্তবনির্ভর সাহিত্য, কন্ঠনাট্য, এবং চলচ্চিত্রে অবদান রেখেছেন। তার কাজের ভিতর রয়েছে, কমিকবই সিরিজ দ্য স্যান্ডম্যান এবং উপন্যাস স্টারডাস্ট, আমেরিকান গড্স, কোরালাইন, এবং দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক। তিনি প্রচুর পুরস্কারের বিজেতা, যার মধ্যে রয়েছে হ্যুগো, নেবুলা, ব্রাম স্টোকার পুরস্কার, এবং নিউবেরি ও কার্নেগী মেডাল। তিনিই প্রথম লেখক যিনি একই কাজের জন্য নিউবেরি এবং কার্নেগী মেডাল জয় করেছেন (২০০৮ সালে দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক এর জন্য)। তার দ্য ওশান অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য লেন ২০১৩ সালে ব্রিটিশ ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডস এর বুক অফ দ্য ইয়ার ঘোষিত হয়েছিল।
নীল গেইম্যান | |
---|---|
জন্ম | নীল রিচার্ড গেইম্যান ১০ নভেম্বর ১৯৬০ পোর্টচেস্টার, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড |
পেশা | লেখক, কমিকবই রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, কন্ঠ অভিনেতা |
ধরন | ফ্যান্টাসি, হরর, কল্পবিজ্ঞান, ডার্ক ফ্যান্টাসি, কমেডি |
উল্লেখযোগ্য রচনা | দ্য স্যান্ডম্যান, নেভারহোয়্যার, আমেরিকান গড্স, স্টারডাস্ট, কোরালাইন, দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক, গুড ওমেনস, দ্য ওশান অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য লেন |
সক্রিয় বছর | ১৯৮৪–বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী |
|
সন্তান | ৪ |
ওয়েবসাইট | |
neilgaiman |
গেইম্যান পরিবার পোলিশ-ইহুদী এবং অন্যান্য পূর্ব-ইউরোপীয় ইহুদী গোত্রীয়। নীল গেইম্যানের প্রপিতামহ বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প থেকে ১৯১৪ সালে যুক্তরাজ্যে আগমন করেন এবং তার পিতামহ ইংল্যান্ডের দক্ষিণে পোর্টস্মাথের হ্যাম্পশায়ারে মুদিদোকানের সারি খোলেন। গেইম্যানের বাবা ডেভিড বার্নার্ড গেইম্যান পরবর্তীকালে এ দোকানের দায়িত্ব নেন এবং মা শীলা গেইম্যান (বিবাহোত্তর পদবী গোল্ডম্যান) ছিলেন একজন ফার্মাসিস্ট। গেইম্যানের ছোট দুই বোন রয়েছে, ক্লেয়ার এবং লিজি।
১৯৬০ সালে হ্যাম্পশায়ারে নীল গেইম্যানের জন্ম হয়। ১৯৬৫ সালে তার পরিবার ওয়েস্ট সাসেক্সের ইস্ট গ্রিনস্টেড শহরে চলে আসে। তার বাবা-মা এখানকার স্থানীয় সায়েন্টোলজি কেন্দ্রে ডায়ানেটিক্স বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। তার এক বোন ক্লেয়ার পরবর্তীকালে লস এঞ্জেলসে সায়েন্টোলজিবিষয়ক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। তার অপর বোন লিজির কথায়, "আমাদের সামাজিকতা ঘিরে ছিল সায়েন্টোলজি এবং ইহুদী ধর্মীয়তা। কৈশোরে কেউ যদি আমার ধর্ম জানতে চাইতো, আমি বলতাম, 'আমি একজন ইহুদী সায়েন্টোলজিস্ট'"। নীল গেইম্যান নিজেকে সায়েন্টোলজিস্ট বলে পরিচয় দেননা, বরং সায়েন্টোলজি এবং ইহুদী ধর্ম দুটোকেই তাঁর পারিবারিক ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।। তাঁর ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি বলেছেন, "আমার মনে হয় ডিসি জগতে ঈশ্বর রয়েছেন এটা বলতে পারি। এই জগতে ঈশ্বরের উপস্থিতির পক্ষে আমি ঢাক পেটাবো না। জানি না, আমার মনে হয় এর সুযোগ ৫০/৫০। এটা আমার কাছে কোন ব্যাপার না।"
গেইম্যান মাত্র চার বছর বয়সে পড়তে শেখেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই পড়তে ভালোবাসেন, এবং পড়ার মত যা কিছু পেতেন, তাই পড়তেন। দশ বছর বয়সে তিনি ডেনিস হুইটলির সমস্ত লেখা পড়ে শেষ করেন, যার মধ্যে দ্য কা অফ গিফর্ড হিলারি এবং দ্য হন্টিং অফ টোবি জুগ তার বিশেষ পছন্দ হয়েছিল। জে. আর. আর. টলকিন এর দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে, যদিও তার বিদ্যালয়ের পাঠাগারে এর প্রথম দুটি খণ্ডই শুধু ছিল। বিদ্যালয়ের ইংরেজি পুরস্কার এবং পাঠ পুরস্কার জেতার পর তিনি তৃতীয় খণ্ডটি কিনতে সক্ষম হন।
তার সপ্তম জন্মদিনে তিনি সি এস লুইস এর দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া সিরিজটি হাতে পান। নার্নিয়া তাকে সাহিত্যিক পুরস্কারের সাথেও পরিচিত করে; ১৯৫৬ সালে সিরিজটির শেষ খণ্ড কার্নেগী মেডাল জয় করেছিল। ২০১০ সালে যখণ নীল গেইম্যান নিজেও মেডালটি জয় করেন, তখন একেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার বলে মন্তব্য করেছিলেন
লুইস ক্যারল এর লিখিত অ্যালিস' অ্যাডভেঞ্চার্স ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড তার আরেকটি প্রিয় বই ছিল। তিনি একে সবসময়ের প্রিয় বই বলে গণনা করেন, এবং কৈশোরে নিয়মিত পড়তে পড়তে কাহিনীটি প্রায় মুখ্স্থ করে ফেলেছিলেন। এছাড়া কৈশোরে ব্যাটম্যান তার প্রিয় কমিক ছিল।
গেইম্যান চার্চ অফ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শিক্ষালয়ে পড়াশোনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে ইস্ট গ্রিনস্টেডের ফন্টহিল স্কুল, আর্ডিংলি কলেজ (১৯৭০–১৯৭৪), এবং ক্রয়ডনের উইটগিফ্ট স্কুল (১৯৭৪–১৯৭৭)। তার বাবার সায়েন্টোলজি বিষয়ক কার্যকলাপের কারণে একটি বালক বিদ্যালয় সাত বছর বয়সী গেইম্যানকে ভর্তি করতে চায়নি
নীল গেইম্যান ইস্ট গ্রিনস্টেডে বহু বছর কাটিয়েছেন, ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত, এবং পরে ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত। এখানেই গেইম্যান তার প্রথম স্ত্রী মেরী ম্যাক্গ্রাথের সঙ্গে পরিচিত হন। মেরী সেসময় সায়েন্টোলজি পড়াশোনা করছিলেন, এবং গেইম্যানের বাবার ক্রয়কৃত একটি বাড়িতে বসবাসরত ছিলেন।১৯৮৫ সালে তাদের প্রথম সন্তান মাইকেলের জন্মের পর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
নীল গেইম্যানের প্রারম্ভিক জীবনে পাঠ করা লেখকদের মধ্যে রয়েছেন সি এস লুইস, জে আর আর টলকিন, লুইস ক্যারল, মেরী শেলি, রুডইয়ার্ড কিপলিং, এডগার অ্যালান পো, মাইকেল মুরকক, অ্যালান মুর, স্টিভ ডিটকো, উইল আইজনার, উরসুলা কে লে গুইন, হারলান এলিসন, লর্ড ডানসনি এবং জি কে চেস্টারটন। ১৯-২০ বছর বয়সে তিনি তার প্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক আর এ ল্যাফার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেন লেখক হওয়ার জন্য পরামর্শ চান। ল্যাফার্টি তাকে একটি অনুপ্রেরণামূলক এবং তথ্যপূর্ণ চিঠির মাধ্যমে সাহিত্যিক পরামর্শ লিখে পাঠান।
গেইম্যন বলেছেন তার ওপর সবচে বেশি প্রভাব ফেলেছেন রজার জিলানি, গেইম্যানের সাহিত্যিক ঢং এবং বিষয়বস্তু থেকে এ কথার সমর্থন পাওয়া যায়। গেইম্যানের মতে তার মননকে প্রভাবিত করা অন্যান্য লেখকরা হলেন মুরকক, এলিসন, স্যামুয়েল আর ডিল্যানি, অ্যাঞ্জেলা কার্টার, ল্যাফার্টি এবং লে গুইন। এছাড়া গেইম্যান লোককথা ঐতিহ্য থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
১৯৮০ দশকের শুরুতে গেইম্যান সাংবাদিকতায় মনোনিবেশ করেন, যার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যজগৎে প্রবেশ করে নিজের লেখা প্রকাশ করা সুযোগ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ফ্যান্টাসি সোসাইটির জন্য প্রচুর প্রতিবেদন লিখেছেন। তার প্রথম প্রকাশিত লেখা হল "ফেদারকোয়েস্ট" নামের একটি ফ্যান্টাসি ছোটগল্প, যা ইম্যাজিন ম্যাগাজিন এর মে ১৯৮৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
১৯৮৪ সালে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করার সময়ে তিনি অ্যালান মূর এর লেখা সোয়াম্প থিং কমিকটি হাতে পান, এবং গুরুতব দিয়ে সেটি পড়েন। কমিকলেখনে মূরের অভিনব এবং সতেজ ভঙ্গি তাকে এতটা প্রভাবিত করে যে তিনি কমিকবইয়ের প্রচণ্ড ভক্ত হয়ে ওঠেন এবং নিয়মিত কমিক পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন।
১৯৮৪ সালে গেইম্যান তার প্রথম বইটি লেখেন, যা ছিল ডুরান ডুরান ব্যান্ডের একটি জীবনী, এবং কিম নিউম্যানের সঙ্গে গ্যাস্টলি বিয়ন্ড বিলিফ নামের একটি উক্তিসংগ্রহও লেখেন। যদিও গেইম্যান বইটি সম্বন্ধে উঁচু ধারণা পোষণ করেননি, তথাপি বইটির প্রথম সংষ্করণ খুব দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়। এরপর পেন্টহাউজ ম্যাগাজিন তাকে চাকরির প্রস্তাব পাঠায়, তবে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
তিনি বিভিন্ন ব্রিটিশ ম্যাগাজিনের জন্য সাক্ষাৎকার ও প্রবন্ধ লিখেছেন। এসময় তিনি কখনও কখনও কিছু ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন, যেমন জেরি মাসগ্রেভ, রিচার্ড গ্রে, ইত্যাদি। ব্রিটিশ পত্রিকাগুলিকে নিয়মিত অসত্য তথ্যকে সত্য বলে প্রকাশ করতে দেখে তিনি ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। ১৯৮০ দশকের শেষের দিকে গেইম্যান, বিশুদ্ধ ব্রিটিশ রসবোধের ঢংয়ে (তার নিজের মত) লেখেন ডোন্ট প্যানিক: দ্য অফিশিয়াল হিচহাইকার্স গাইড টু দ্য গ্যালাক্সী কম্পানিয়ন। এরপরে তিনি কমিক উপন্যাস গুড ওমেনস এর প্রথম ভাগ লেখেন, যা ছিল ইংরেজ লেখক টেরি প্র্যাচেট এর সঙ্গে তার সাহচর্যের আরম্ভ।
অ্যালান মূর এর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের পর গেইম্যান কমিক বই রচনায় হাত দেন। মূর মিরাকলম্যান সিরিজ থেকে সরে আসার পর গেইম্যান সিরিজটিতে কাজ শুরু করেন, যদিও পরবর্তীকালে এর প্রকাশক এক্লিপ্স কমিকস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিরিজটি অসমাপ্ত থেকে যায়। তার প্রকাশিত প্রথম কমিক ছইল ২০০০ এডি এর ফিউচার শক কমিকের চারটি পর্ব (১৯৮৬-১৯৮৭)। দীর্ঘদিনের বন্ধু ডেভ ম্যাক্কীনের সঙ্গে মিলিতভাবে গেইম্যান তিনটি কমিকবই তৈরি করেন: ভায়োলেন্ট কেসেস, সিগনাল টু নয়েজ, এবং দ্য ট্র্যাজিকাল কমেডি অর দ্য কমিকাল ট্র্যাজেডি অফ মিস্টার পাঞ্চ। এই কাজের প্রেক্ষিতে ডিসি কমিক্স ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে কাজের প্রস্তাব দেয়, এবং সেখানে গেইম্যান ব্ল্যাক অর্কিড মিনিসিরিজি লেখেন। কারেন বার্জার (যিনি পরে ডিসি কমকসের ভার্টিগো ব্র্যান্ডের পরিচালক পদে গিয়েছেন) ব্ল্যাক অর্কিড পড়ে গেইম্যানকে প্রস্তাব করেন একটি পুরাতন চরিত্র স্যান্ডম্যানকে তার নিজ রূপে উপস্থাপন করার জন্য।
স্যান্ডম্যান চরিত্রটি হল স্বপ্নের (Dream) বার্ধক্যহীন মানব-রূপায়ন, যা অনেকের কাছে অনেক নামে পরিচিত, যেমন মর্ফিয়াস। সিরিজটি ১৯৮৯ এর জানুয়ারি থেকে ১৯৯৬ এর মার্চ পর্যন্ত চলে। দ্য স্যান্ডম্যানের ৮ম পর্বে গেইম্যান এবং চিত্রকর মাইক ড্রিঞ্জেনবার্গ মৃত্যু (Death) চরিত্রটি উপস্থাপন করা হয় স্যান্ডম্যানের বড় বোন হিসেবে, এবং এটিও বিপুল জনপ্রিয়তা পায় ১৯৯৩ সালে ডেথ: দ্য হাই কস্ট অফ লিভিং সিরিজটি দিয়ে ডিসির ভার্টিগো প্রকাশনা শাখা যাত্রা শুরু করে। মূল সিরিজের ৭৫ পর্ব, সঙ্গে একটি চিত্রিত প্রবন্ধ, এবং সাতটি গল্প নিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা, মোট ১২ খণ্ডে সংকলিত হয়েছে, যা এখনও নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে (১৪ খণ্ড, যদি ডেথ: দ্য হাই কস্ট অফ লিভিং এবং ডেথ: দ্য টাইম অফ ইয়োর লাইফ অন্তর্ভুক্ত করা হয়)। এর চিত্রকরদের মধ্যে রয়েছেন, স্যাম কীথ, মাইক ড্রিঞ্জেনবার্গ, জিল থম্পসন, শন ম্যাকম্যানাস, মার্ক হেম্পেল এবং মাইকেল জুলি, অক্ষরায়নে টড ক্লাইন, রঞ্জনে ড্যানিয়েল ভোজো, এবং কভার চিত্রে ডেভ ম্যাককিন। এটি ডিসির অন্যতম বিক্রিত সিরিজে পরিণত হয়, এমনকি একসময় ব্যাটম্যান এবং সুপারম্যান সিরিজকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কমিক ইতিহাসবিদ লেস ড্যানিয়েল্স মন্তব্য করেন যে গেইম্যানের কাজ "আশ্চর্যজনক" এবং দ্য স্যান্ডম্যান-এ "ফ্যান্টাসি, হরর, শ্লেষাত্বক রসকে এমনভাবে একীভূত করা হয়েছে যা কমিকে ইতিপূর্বে দেখা যায়নি"। ডিসি কমিকসের পল লেভিৎজ বলেন যে দ্য স্যান্ডম্যান এর তুমুল জনপ্রিয়তা অনেক নতুন পাঠকদের কমিক পড়তে উৎসাহী করেছে, বিশেষত কলেজপড়ুয়া তরুনীদের, এবং গেইম্যানকে জনপ্রিয় সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্বে উন্নীত করেছে।
গেইম্যান এবং জেমি ডেলানো সোয়াম্প থিং সিরিজটিতেও কাজ করছিলেন, তবে ডিসি কমিক্সের সেন্সর-সংক্রান্ত সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সিরিজটি থেকে সরে আসেন।
গেইম্যান ১৯৮৯ সালে ডিসি এর সিক্রেট অরিজিনস সিরিজের দুটি পর্বে কাজ করেছেন: পয়জন আইভি এবং রিডলার। একশন কমিকস উইকলি এর জন্য গেইম্যানের লিখিত একটি পর্বের প্রকাশনা সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়েছিল, তবে তা অবশেষে ২০০০ সালে গ্রীন ল্যান্টার্ন/সুপারম্যান: লেজেন্ড অফ দ্য গ্রিন ফ্লেম নামে প্রকাশিত হয়।
১৯৯০ সালে গেইম্যান লেখেন দ্য বুকস অফ ম্যাজিক, যা ছিল ডিসি কমিকজগতের জাদুকরী এবং পৌরাণিক ধারা নিয়ে চার পর্বের একটি মিনিসিরিজ, যার কাহিনী অগ্রসর হয় একজন ইংরেজ টিন-এজারকে কেন্দ্র করে যে আবিষ্কার করেছিল যে তার নিয়তি হচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাদুকর হওয়া। এটি পরে একটি নিয়মিত কমিক সিরিজে উন্নীত হয়।
মাইকেল জুলি এবং স্টিভেন আর. বিসেট এর চিত্রায়িত ট্যাবু কমিক সংকলনের জন্য গেইম্যান ঐতিহাসিক সুইনি টড চরিত্রটির সম্পাদনা করেছেন, তবে সংকলনটির সম্পূর্ণ হবার আগেই তার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৯০ এর দশকের মধ্যভাগে গেইম্যান টেকনো কমিকসের জন্য একাধিক চরিত্র রচনা করেন, যেগুলো সম্পাদনাপূর্বক লেডি জাস্টিস, মিস্টার হিরো দ্য নিউম্যাটিক ম্যান, এবং টেকনোফেজ চরিত্র তিনটিতে রূপান্তরিত হয়। এসব চরিত্রনির্ভর কমিকবইতে চরিত্রগুলোর স্রষ্টা হিসেবে গেইম্যানের নাম স্পষ্টাক্ষরে লেখা থাকত, যদিও তিনি কাহিনীগুলো রচনায় জড়িত ছিলেন না।
এড ক্রেমার সম্পাদিত সংকলন টেলস অফ দ্য হোয়াইট উল্ফ এর জন্য নীল গেইম্যান একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক গল্প লিখেছিলেন, যা উপজীব্য ছিল মাইকেল মুরকক এর অনায়কোচিত চরিত্র মেলনিবনি-এর এলরিক নিয়ে এক কিশোরের মুগ্ধতা। ১৯৯৬ সালে গেইম্যান ক্রেমারের দ্য স্যান্ডম্যান: বুক অফ ড্রীমস সংকলনটি সহসম্পাদনা করেন, যাতে টোরি আমোস, ক্লাইভ বার্কার, জীন উল্ফ, ট্যাড উইলিয়ামস এবং অন্যান্যদের রচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কাহিনী বর্ণনার জন্য অন্যান্য মাধ্যম থেকে কমিক কেন বেশি পছন্দ করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে গেইম্যান বলেছেন:
মার্ভেল কমিক্স এর জন্য গেইম্যান দুটি সিরিজ লিখেছেন: মার্ভেল ১৬০২, নভেম্বর ২০০৩ থেকে জুন ২০০৪ পর্যন্ত প্রকাশিত আট-পর্বের মিনিসিরিজ, এবং দ্য এটার্নালস, আগস্ট ২০০৬ থেকে মার্চ ২০০৭ পর্য্ন্ত প্রকাশিত সাত-পর্বের মিনিসিরিজ।
২০০৯ সালে গেইম্যান ব্যাটম্যান চরিত্রের একটি দুই-পর্বের গল্প লেখেন, "হোয়াটএভার হ্যাপেন্ড টু দ্য কেপ্ড ক্রুসেডার?", যা এলান মূরের ক্লাসিক সুপারম্যান গল্প "হোয়াটএভার হ্যাপেন্ড টু দ্য ম্যান অফ টুমরো?" এর অনুপেরণায় লিখিত। এছাড়া গেইম্যান ওয়েন্সডে কমিকসের মাসিক পত্রিকার মত সজ্জিত এবং মাইক অলরেডের চিত্রায়িত মেটামরফো সিরিজের বারো পর্বে কাজ করেছেন। অ্যাকশন কমিকস #৮৯৪ (ডিসেম্বর ২০১০) এ গেইম্যান এবং পল করনেল কাজ করেন, এবং এই পর্বে গেইম্যানের স্যান্ডম্যানের মৃত্যু চরিত্রটি উপস্থিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ডিসি কমিক্স জে এইচ. উইলিয়ামস III এর চিত্রিত দ্য স্যান্ডম্যান: ওভারচ্যুর সংকলনটি প্রকাশ করে। গেইম্যানের অ্যাঞ্জেলা চরিত্রটি ২০১৩ সালে এজ অফ আলট্রন মিনিসিরিজের শেষ পর্বে মার্ভেল কমিকজগতে প্রবেশ করে।
গেইম্যান ভার্টিগোর প্রকাশিত দ্য স্যান্ডম্যান ইউনিভার্স কাহিনীসম্ভারের পরিচালক। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে এর প্রকাশনা শুরু হয়েছে, এবং এর অধীনে চারটি নতুন সিরিজ প্রকাশিত হচ্ছে: হাউজ অফ হুইস্পারস, লুসিফার, দ্য বুকস অফ ম্যাজিক, এবং দ্য ড্রিমিং।।
ডিস্কওয়ার্ল্ড উপন্যাসগুলোর জন্য জনপ্রিয় লেখক টেরি প্র্যাচেটের সহাযোগিতায় নীল গেইম্যান ১৯৯০ সালে তার প্রথম উপন্যাস গুড ওমেনস প্রকাশ করেন। ২০১১ সালে প্র্যাচেট বলেছেন উপন্যাসটির কাহিনী গঠন এবং চিন্তাভাবনা দুজনের সমান অংশগ্রহণে হলেও তিনি বেশিরভাগ অংশ লেখা ও সম্পাদনার কাজ করেছেন, কারণ সে সময় গেইম্যান প্রায়ই স্যান্ডম্যান এর কাজে ব্যস্ত থাকতেন।
বিবিসি মিনিসিরিজ নেভারহোয়্যার এর জন্য ১৯৯৬ লিখিত একই নামের উপন্যাসটি ছিল গেইম্যানের একক রচনায় প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি টিভি সিরিজের সাথে তাল মিলিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গেইম্যান উপন্যাসটি দুইবার সম্পাদনা করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৯৯ সালে গাঁর ফ্যান্টাসি উপন্যাস স্টারডাস্ট প্রকাশিত হয়। এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সাধারণ লিখিত রচনা এবং একটি চিত্রিত সংষ্করণ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] উপন্যাসটিতে ভিক্টোরিয় যুগের রূপকথা এবং সংষ্কৃতির লক্ষ্যনীয় প্রভাব রয়েছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]।
২০০১ সালে প্রকাশের পর আমেরিকান গড্স গেইম্যানের অন্যতম সর্বাধিক-বিক্রিত উপন্যাসে পরিণত হয় এবং প্রচুর সম্মাননা অর্জন করে। এর একটি বিশেষ ১০ম বার্ষিকী সংষ্করণ প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রথম সংষ্করণের চেয়ে প্রায় ১২,০০০ অধিক শব্দবাহী।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
গেইম্যান আমেরিকান গড্স এর চরিত্রগুলো বিভিন্ন সময় পুনর্ব্যবহার করেছেন। তার একটি ছোটগল্পে আমেরিকান গড্সের শ্যাডো চরিত্রটির ইউরোপ ভ্রমণের চিত্র উঠে এসেছে। ২০০৫ সালে প্রকাশিত আনানসি বয়েজ উপন্যাসটির মূল চরিত্র আনানসি বা মিস্টার ন্যান্সির দুই সন্তান এবং তাদের নিজেদের বংশানুক্রম অনুসন্ধান। উপন্যাসটি প্রকাশমাত্রই নিউ ইয়র্ক টাইমস এর বেস্ট সেলার্স তালিকার প্রথম স্থানে উঠে আসে।
২০০৮ সালের শেষভাগে, গেইম্যান একটি শিশুতোষ সাহিত্য দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক প্রকাশ করেন। এটি রুডইয়ার্ড কিপলিং এর দ্য জাঙ্গল বুক দ্বারা অনুপ্রাণিত।জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত[হালনাগাদ], এটি নিউ ইয়র্ক টাইমস এর বেস্ট সেলার্স (শিশুতোষ) তালিকায় পনের সপ্তাহ ধরে প্রথম অবস্থানে ছিল।
২০১৩ সালে প্রকাশিত দ্য ওশান অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য লেন উপন্যাসটি ব্রিটিশ স্পেকসেভার্স জাতীয় পুস্তক পুরস্কারের "বুক অফ দ্য ইয়ার" ঘোষিত হয়। উপন্যাসটির উপজীব্য হল আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান এবং "কৈশোর ও পরিণত বয়সের বিচ্ছিন্নতা"।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নীল গেইম্যান জানান যে গিনি কয়েক বছর ধরে নর্স পুরাণ পুনর্বর্ণনার কাজ করছেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নর্স মিথোলজি বইটি প্রকাশিত হয়।
১৯৯৬ সালে বিবিসিতে প্রচারিত টেলিভিশন সিরিজ নেভারহোয়্যার নীল গেইম্যানের রচিত। ডেভ ম্যাক্কীনের সঙ্গে তিনি মিররমাস্ক চলচ্ছিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। এনিমে চলচ্চিত্র প্রিন্সেস মনোনকি এর ইংরেজি ভাষান্তর গেইম্যানের করা।
২০০৭ সালে রবার্ট জেমেকিসের পরিচালিত বিওউল্ফ কাহিনীটির চলচ্চিত্রায়নের স্ক্রিপ্ট রজার অ্যাভেরি এবং নীল গেইম্যানের সহলিখিত। গিলগামেশের মহাকাব্য নিয়ে রচিত কোন চলচ্চিত্রের ওপর কাজ করতে গেইম্যান আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জে মাইকেল স্ট্রাকজিনস্কি ব্যতীত গেইম্যানই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি ব্যাবিলন ৫ কল্পবিজ্ঞান টিভি সিরিজটির সর্বশেষ তিন মৌসুমের কোন এপিসোডের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন।
রবার্ট জেমেকিসের এর পরিচালনায় চলচ্চিত্রায়নের জন্য নীল গেইম্যান নিকলসন বেকারের উপন্যাস দ্য ফার্মাটা এর অন্তত তিনটি খসড়া চিত্রনাট্য লিখেছেন যদিও উভয়ের অন্যান্য প্রকল্পের ব্যস্ততার কারণে সেটি অগ্রসর হয়নি।
গেইম্যানের একাধিক সাহিত্যকর্ম চলচ্চিত্রায়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। বিশেষত ২০০৭ সালে ম্যাথু ভন পরিচালিত চলচ্চিত্র স্টারডাস্ট, যার অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন চার্লি কক্স, রবার্ট ডি নিরো, মিশেল ফাইফার এবং ক্লেয়ার ডেনস। ২০০৯ সালে কোরালাইন নামে স্টপমোশন চলচ্চিত্র মুক্তি পায়, যার পরিচালনায় ছিলেন হেনরি সেলিক, এবং মূল কন্ঠাভিনয়ে ডাকোটা ফ্যানিং এবং টেরি হ্যাচার
২০০৭ সালে গিয়ের্মো দেল তোরো পরিচালিত ডেথ: দ্য হাই কস্ট অফ লিভিং চলচ্চিত্র পরিকল্পনাধীন ছিল ২০১০ সালের দিকে এ প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।
সিয়িং ইয়ার থিয়েটার গেইম্যানের দুটি কন্ঠনাট্য "স্নো, গ্লাস, অ্যাপল্স" এবং "মার্ডার মিস্ট্রিজ" উপস্থাপনা করে। গেইম্যানের স্মোক অ্যান্ড মিররস (১৯৯৮) সংগ্রহে দুটি নাট্যই প্রকাশিত হয়েছে।
গেইম্যানের দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক এর ভিত্তিতে একটি চলচ্চিত্র রন হাওয়ার্ড এর পরিচালনায় নির্মিতব্য রয়েছে।
এছাড়া নীল গেইম্যান বিবিসি এর জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান টিভি সিরিজ ডক্টর হু এর একটি পর্বের চিত্রনাট্য লিখেছেন, যা ২০১১ সালে ডক্টর হিসেবে ম্যাট স্মিথের দ্বিতীয় সিরিজে প্রচারিত হয়। পর্বটির নাম শুরুতে "দ্য হাউজ অফ নাথিং" তবে অবশেষে "দ্য ডক্টর্স ওয়াইফ" নামে প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে গেইম্যান "নাইটমেয়ার ইন সিলভার" নামে ডক্টর হু এর চর একট পর্বও লিখেছেন।
২০১১ সালে জানানো হয় যে গেইম্যান জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট এর চলচ্চিত্রায়ন করছেন।
দ্য সিম্পসনস এর "দ্য বুক জব" পর্বে (২০ নভেম্বর ২০১২) গেইম্যান উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৫ সালে স্টারজ থেকে গেইম্যানের আমেরিকান গড্স ভিত্তিক টিভি সিরিজ তৈরির অনুমোদন দেয়া হয়। ব্রায়ান ফুলার এবং মাইকেল গ্রিনসিরিজটি রচনা এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
২০১৩ সালের মার্চে বিবিসি রেডিও ৪ এবং রেডিও ৪ এক্সট্রায় যা ডীর্ক ম্যাগ্সের সম্পাদিত ছয় খন্ডের নেভারহোয়্যার বেতার নাটক সম্প্রচারিত হয়। এতে মুখ্য অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন জেমস ম্যাকঅ্যাভয়, নাটালি ডোর্মার, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, ক্রিস্টোফার লী, বার্নার্ড ক্রিবেন্স এবং জনি ভেগাস।
২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে গেইম্যান এবং টেরি প্র্যাচেট বিবিসি রেডিও ৪ এর সহযোগিতায় গুড ওমেনস উপন্যাসটির নাটকায়ন করেন, যা ডিসেম্বর মাসে ছয়টি পর্বে প্রচারিত হয়, যার শেষ পর্বটির জন্য এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ ছিল।
গেইম্যান নিয়মিত তার গল্প এবং কবিতা জনসম্মুখে পাঠ করেন, এবং তার স্ত্রী সঙ্গীতশিল্পী আমান্ডা পামারের সঙ্গে সফর করেন। কোন কোন সফরে তিনি নিজেও গান গেযেছেন, যা তিনি বর্ণনা করেছেন একজন ঔপন্যাসিকের ধরনের গান গাওয়া বলে যদিও তিনি মনে করেন তার কন্ঠস্বর মোটেই গায়কের মত নয়।
২০১৫ সালে, লং নাউ ফাউন্ডেশন এর জন্য হাউ স্টোরিজ লাস্ট শিরোনামে গেইম্যান একটি ১০০ মিনিটের ভাষণ দেন, যার বিষয়বস্তু ছিল কীভাবে মানব সমাজে গল্পকাহিনী টিকে থাকে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে তিনি দ্য বিগ ব্যাং থিওরি টিভি সিরিজের একটি পর্বটির নিজভূমিকায় অভিনয় করেন। সিরিজটির কাল্পনিক কমিক বইয়ের দোকান নিয়ে করা গেইম্যানের একটি টুইট ছিল পর্বটির মূল বিষয়।
২০০১ এর ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকান গড্স উপন্যাসটির প্রচারের জন্য এর প্রকাশক প্রতিষ্ঠান একটি ব্লগ ঘরানার ওয়েবসাইট খোলে, য়েখানে গেইম্যান উপন্যাসটি লেখার দৈনন্দিন অগ্রগতি বর্ণনা করতেন। উপন্যাসটি প্রকাশের পর ব্লগটি গেইম্যানের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে পরিণত হয়।
এই ওয়েবসাইটে গেইম্যান তার লেখা, প্রকাশনা, ইত্যাদি দৈনন্দিন কার্যকলাপ ও চিন্তাভাবনা সম্বন্ধে লেখেন। এছাড়া এখানে পাঠকদের ইমেইলের উত্তর দেন, যা তাকে ভক্তদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করেছে। ব্লগটি কেন লেখেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, "কারণ লেখাজোখা করা, মৃত্যুর মতই, একাকীত্বপূর্ণ একটা কাজ।"
গেইম্যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে @neilhimself নামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন, এবং তার ২৭ লক্ষেরও বেশি অনুসারী রয়েছে (জুন ২০১৮-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ])। ২০১৩ সালে, আইজিএন গেইম্যানকে "কমিকসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ টুইটার" উপাধি দেয়
এছাড়া গেইম্যান একটি টাম্বলার একাউন্টও নিয়ন্ত্রণ করেন, যেখানে তিনি মূলত ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন।
বছর | নাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
২০১০ | আর্থার | নিজভূমিকায় (কন্ঠ) | "ফেলাফেলোসফি/দ্য গ্রেট লিন্ট রাশ" |
২০১১ | দ্য গীল্ড | নিজভূমিকায় | "ডাউনটার্ন" |
২০১১ | দ্য সিম্পসনস | নিজভূমিকায় (কন্ঠ) | "দ্য বুক জব" |
২০১৩ | জে অ্যান্ড সাইলেন্ট বব'স সুপার গ্রুভি কার্টুন মুভি | ভৃত্য অ্যালবার্ট (কন্ঠ) | |
২০১৫ | দ্যা মেকিং অফ এ সুপারহিরো মিউজিকাল | মেলভিন মোরেল | |
২০১৬ | নীল গেইম্যান ড্রীম ডেঞ্জারাসলি | নিজভূমিকায় | |
২০১৭ | দ্য সিম্পসনস | স্নোবল (কন্ঠ) | "ট্রিহাউজ অফ হরর XXVIII" |
২০১৮ | দ্যা বিগ ব্যাং থিওরি | নিজভূমিকায় | "দ্য কমেট পোলারাইজেশন" |
২০১৮ | লুসিফার | ঈশ্বর | "ওয়ান্স আপন এ টাইম" |
২০১৯ | গুড ওমেনস | থিয়েটারের দর্শক/খরগোশ (কন্ঠ)/প্রধান ব্যাং (কন্ঠ) | "স্যাটারডে মর্নিং ফানটাইম" |
গেইম্যান ১৯৯২ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের মেনোমনি শহরে বসবার করছেন। তিনি এখানে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তার পরিবার এবং তংকালীন স্ত্রী মেরী ম্যাক্গ্রাথ (যার সঙ্গে তার তিন সন্তান রয়েছে: মাইকেল, হলি এবং মেডেলিন) এর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে থাকার উদ্দেশ্যে। গেইম্যান হলোকস্ট থেকে বেঁচে ফেরা অধ্যাপক হেলেন ফাগিন এর জ্ঞাতিভাই হন। ২০১৩ সাল থেকে ম্যাসাচুসেটস এর ক্যামব্রিজেও গেইম্যানের আবাস রয়েছে। নিউ ইয়র্কের বার্ড কলেজে পাঁচ বছর মেয়াদে শিল্পকলার অধ্যাপকের পদে আসীন ছিলেন।
নীল গেইম্যান সঙ্গীতরচয়িতা এবং গায়িকা আমান্ডা পামারের সঙ্গে উন্মুক্ত বৈবাহিক সম্পর্কে সম্পর্কিত। তারা ২০০৯ এর জুন মাসে নিজেদের প্রণয় জনসম্মুখে প্রকাশ করেন এবং ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর আমান্ডা পামারের নামের মধ্যাংশ, ম্যাক্কীনন, গেইম্যান নিজের নামে যুক্ত করেন ২০১৫ সালে তাদের প্রথম সন্তান এন্থনির জন্ম হয়।
২০১৬ সালে নীল গেইম্যান, কেট ব্লানচেট, চুয়াটেল এজিওফর, পিটার কাপাল্ডি, ডগলাস বুথ, জেসি আইজেনবার্গ, কিরা নাইটলি, জুলিয়েট স্টিভেনসন, কিট হ্যারিংটন, এবং স্ট্যানলি টুচি একটি ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেন: "হোয়াট দে টুক ইউথ দেম", যা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এর তত্ত্বাবধায়নে বৈশ্বিক উদ্বাস্তু সংকট বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
গেইম্যান কমিকবই আইনি প্রতিরক্ষা তহবিল পরিষদের সদস্য এবং সমর্থক।
সঙ্গীতশিল্পী টোরি আমোস এর সঙ্গে গেইম্যানের বন্ধুত্ব আলোচিত। আমোস স্যান্ডম্যান এর ভক্ত এবং ১৯৯১ সালে নিজের ডেমো টেপ "নীল অ্যান্ড দ্য ড্রীম কিং" এ এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করার পর গেইম্যানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। পরে গেইম্যান স্টারডাস্ট উপন্যাসে আমোসকে একটি চরিত্র হিসেবে য়ুক্ত করেন। আমোস নিজের বেশ কিছু গানে গেইম্যানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন: "টিয়ার ইন ইয়োর হ্যান্ড", "স্পেস ডগ", "হর্সেজ", "কার্বন", "সুইট ড্রীমস", এবং "নট ডাইয়িং টুডে"। গেইম্যান, আমোসের বয়েজ ফর পেলে এবং স্কারলেট'স ওয়াক এর সফরসহায়িকা লিখেছেন, আমেরিকান ডল পস্যে এর সফর বইয়ে একটি পত্র লিখেছেন, এবং স্ট্রেঞ্জ লিটল গার্লস এর নামভূমিকার প্রতিটি মেয়ে চরিত্রের নেপথ্যকাহিনী লিখেছেন। গেইম্যানের উপন্যাস ডেথ: দ্য হাই কস্ট অফ লিভিং এর ভূমিকা লিখেছেন আমোস, এবং বইটির প্রচ্ছদে এসেছেন। এছাড়া আমোস স্যান্ডম্যান চরিত্রের ভিত্তিতে "সিস্টার নেম্ড ডিজায়ার" গান লিখেছেন, যা গেইম্যানের হোয়্যার্স নীল হোয়েন ইউ নীড হিম? সংগ্রহে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গেইম্যান টোরি আমোসের কন্যা ট্যাশের ধর্মপিতা হন, এবং টোরি ও ট্যাশের জন্য "ব্লুবেরি গার্ল" কবিতাটি লিখেছেন গেইম্যান তার দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক বইটির পাঠ ভ্রমণ সফরকালে স্যান ফ্রানসিস্কোর সানড্যান্স কাবুকি থিয়েটারে কবিতাটি শ্রোতাদের সামনে প্রথম পাঠ করেন।। পরে অঙ্কনশিল্পী চার্লস ভেস কবিতাটিকে একটি বইয়ে রূপান্তর করেন।
১৯৯৩ সালে টড ম্যাকফার্লেন, স্পন কমিক সিরিজের একটি পর্ব লেখার প্রস্তাব নিয়ে গেইম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ম্যাকফার্লেন তার নতুন কমিক সিরিজের প্রচারের জন্য গেইম্যান, অ্যালান মূর, ফ্র্যাঙ্ক মিলার, এবং ডেভ সিম এঁর থেকে অতিথি সংখ্যা আশা করছিলেন।
তাদের আলাপের ফলস্বরূপ ওই সিরিজের নবম পর্বে গেইম্যানের লিখিত অ্যাঞ্জেলা, কলিয়োস্ত্রো, এবং মেডিভাল স্পন চরিত্র তিনটি প্রকাশিত হয়। এই পর্বের আগে স্পন চরিত্রটি ছিল একজন সরকারসমর্থিত গুপ্তঘাতক যে মৃত্যুর পরে নরকের একজন অনাগ্রহী কিন্তু উদ্দেশ্যবিহীন প্রতিনিধি হিসাবে ফেরত আসে। মেডিভাল স্পন (বা মধ্যযুগীয় স্পন) চরিত্রটির মাধ্যমে গেইম্যান স্পনের ইতিহাস সমৃদ্ধ করেন এবং একটি নজির তৈরি করেন যে স্পন সবসময় স্বার্থপর বা খলনায়োকচিত না-ও হতে পারে, এবং হেলস্পন স্রষ্টা ম্যালবোলজার চরিত্রায়নে গভীরতা আনেন। অ্যাঞ্জেলা, একজন নিষ্ঠুর স্বর্গদূত, স্পনের নৈতিক বিপরীত হিসেবে গঠিত এবং তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেয়। কলিয়োস্ত্রো চরিত্রটি গেইম্যান তৈরি করেছেন ঘটনাক্রম বর্ণনার উপায় হিসেবে এবং সে স্পনের পরামর্শদাতার ভূমিকাও পালন করে।
পরিকল্পনামত পরবর্তী দশক জুড়ে ম্যাকফার্লেন ওই তিনটি চরিত্রই স্পন কমিক জগতে একাধিকবার ব্যবহার করেন। তবে ২০০২ সালে গেইম্যান দাবি করেন, চরিত্রগুলোর অধিকার শুধু চিত্রকর ম্যাকফার্লেনের একার নয়, বরং তার পাশাপাশি লেখক হিসেবে গেইম্যানেরও। চরিত্রের স্বত্বাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্বই ছিল ম্যাকফার্লেন এবং আরও কয়েকজন চিত্রকরের সম্মিলিতভাবে ইমেজ কমিক্স প্রতিষ্ঠার মূল কারণ (যদিও এক্ষেত্রে বাদানুবাদ চলছিল চরিত্র উদ্ভাবক হিসেবে লেখক এবং চিত্রকরের মধ্যে)। গেইম্যানের অনুমতি বা রয়ালটি ছাড়া চরিত্রগুলো ব্যবহারের কারণে গেইম্যান ম্যাকফার্লেনের বিরুদ্ধে কপিরাইট ভঙ্গের অভিযোগ করেন (যদিও এবিষয়ে তাদের প্রাথমিক বন্দোবস্ত কেবল মৌখিকভাবে হয়েছিল)। ম্যাকফার্লেন প্রথমদিকে স্বীকার করেছিলেন যে গেইম্যান চরিত্রগুলো থেকে তার অধিকার হস্তান্তর করেননি, এবং একটি বিকল্প সমাধান হিসেবে তিনি গেইম্যানের সঙ্গে "মার্ভেলম্যান" চরিত্রটি বিনিময় করার প্রস্তাব করেন (ম্যাকফার্লেনের বিশ্বাস ছিল এক্লিপ্স কমিক্স বিলুপ্ত হয়ে যাবার পর "মার্ভেলম্যান" চরিত্রটি তার অধিকারে এসেছিল, এবং গেইম্যান আগ্রহী ছিলেন চরিত্রটি নিয়ে তার তার তৈরি বাধাগ্রস্ত সিরিজটি চালিয়ে যেতে)। কিন্তু পরবর্তীকালে ম্যাকফার্লেন মত পরিবর্তন করে দাবি করেন যে স্পন কমিকে গেইম্যানের কাজ ছিল চুক্তিভিত্তিক এবং ওই চরিত্রগুলোর সম্পূর্ণ অধিকার ম্যাকফার্লেনের একার। তবে "কপিরাইট অর্পণ অবশ্যই লিখিতভাবে হতে হবে", এই আইনি শর্তের ভিত্তিতে বিচারক তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন
আপিল আদালতের সপ্তম সার্কিটে পূর্ববর্তী রায় অপরিবর্তিত থাকে, যার ফলে উল্লিখিত তিনটি চরিত্রের ওপর গেইম্যান এবং ম্যাকফার্লেন উভয়ের যৌথ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষত কলিয়োস্ত্রো চরিত্রটির বিষয়ে বিচারক জন সি. শাহবাজ ঘোষণা করেন, "কমিকবই চরিত্র কাউন্ট নিকোলাস কলিয়োস্ত্রো সৃজনকর্মটি গেইম্যান এবং ম্যাকফার্লেনের সমন্বিত সৃষ্টি— এতে উভয়ের অবদান আমাদের দৃষ্টিতে বস্তুত সমান— এবং চরিত্রটির কপিরাইটের অধিকার দুজনেরই প্রাপ্য"। অন্য দুটি চরিত্র অ্যাঞ্জেলা এবং মেডিভাল স্পনের বিষয়েও অনুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।
এই আইনি প্রক্রিয়া চালানোর সাহায্যের জন্য গেইম্যান মার্ভেল অ্যান্ড মিরাকলস এলএলসি প্রতিষ্ঠানটি গঠন করেছিলেন, এবং এর সাহায্যে মার্ভেলম্যান চরিত্রটি সম্পর্কিত আইনগত জটিলতা সমাধান করেন। ২০০৩ সালে গেইম্যান এ প্রকল্পের আর্থিক প্রয়োজন পূরণের জন্য মার্ভেল কমিকস এর অধীনে মার্ভেল ১৬০২ কমিক লিখেছিলেন। এই সিরিজটির প্রথম আসল সংখ্যাগুলো থেকে মার্ভেল কমিক্সের সমস্ত আয় গেইম্যানের মার্ভেল অ্যান্ড মিরাকলস প্রতিষ্ঠানে হ্স্তান্তর করা হয়েছিল। পরে ২০০৯ সালে মার্ভেল কমিকস মার্ভেলম্যান চরিত্রের মালিকানা ক্রয় করে নেয়।
পরবর্তীতে গেইম্যান স্পন কমিকসের আরও তিনটি চরিত্রের (ডার্ক এজেস স্পন, ডমিনা, এবং টিফানি) ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ করেন, যে এগুলো তার পূর্বলিখিত তিনটি চরিত্রের ভিত্তিতে গঠিত। এক্ষেত্রেও বিচারকের রায় গেইম্যানের পক্ষে যায়, এবং ম্যাকফার্লেনকে ২০১০ এর সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমঝোতায় আসার জন্য আদেশ দেয়া হয়।।
গেইম্যানের সাহিত্যকর্ম উচ্চমাত্রার সাহিত্যিক আভাসের জন্য পরিচিত মেরেডিথ কলিন্স স্টারডাস্ট উপন্যাসে ভিক্টোরিয়ান রূপকথা ও সংষ্কৃতির লক্ষণীয় আবেশ দেখেন। বিশেষত দ্য স্যান্ডম্যান বিভিন্ন সাহিত্যিক চরিত্রকে উপস্থিত করেছে; উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এবং জেফ্রি চসার উভয়ে চরিত্র হিসেবে এসেছেন, এবং এ মিডসামার নাইট'স ড্রীম ও দ্য টেমপেস্ট এর বিভিন্ন চরিত্রও। কমিক কাহিনীটি প্রচুর মিথোলজি এবং ঐতিহাসিক সময়কাল থেকেও প্রেরণা নেয়।
দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক বিশ্লেষণ করে গ্রন্থাগারিক এবং গ্রন্থ-বিবরণবিদ রিচার্ড ব্লেইলার গথিক উপন্যাসধারার প্রভাব পেয়েছেন, বিশেষত হোরেস ওয়ালপোল এর দ্য ক্যাসল অফ অটরান্টো থেকে শার্লি জ্যাকসন এর দ্য হন্টিং অফ হিল হাউজ। এধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গেইম্যান নিজে দ্য স্যান্ডম্যান গথিক কীনা এবিষয়ে স্পষ্ট মতামত দিতে পারেননি।
ক্লে স্মিথ মন্তব্য করেন যে এধরনের সাহিত্যিক সংযোগ গেইম্যানকে সাহিত্যকর্মে প্রবল উপস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণ দেয়, যা তার সহলেখকদের পক্ষে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে তবে স্মিথের মন্তব্যের জোরালো সমর্থন পাওয়া যায় না। অনেকের মতে গেইম্যানের সাহিত্যিক দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে তার কারণ হতে পারে যে, "...তাঁর সাহিত্যিক মেধা এবং বিপুল জনপ্রিয়তা তাঁকে এত দ্রুত উদীয়মান কমিকসাহিত্যক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছে যে তাঁর কাজের আলোচনা-সমালোচনার নির্ভরযোগ্য কোন ভিত্তি এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।"
ডেভিড রুড কোরালাইন উপন্যাস পাঠে তুলনামূলক উদার দৃষ্টিকোণ নিয়েছেন। তার মতে উপন্যাসটি সিগমুন্ড ফ্রয়েডের অস্বাভাবিকতা বা Unheimlich ধারণাটি আকর্ষনীয়ভাবে প্রয়োগ করেছে।
যদিও গেইম্যানের কাজকে প্রায়ই মোনোমিথ বা নায়কোচিত অভিযাত্রা (যা জোসেফ ক্যাম্পবেলের দ্য হিরো ইউথ এ থাউজেন্ড ফেসেজ গ্রন্থে বর্ণিত) শ্রেণীভুক্ত করা হয়, তবে গেইম্যান বলেন তিনি একাধিকবার দ্য হিরো ইউথ এ থাউজেন্ড ফেসেজ পড়তে শুরু করেও শেষ করতে চান নি, কারণ তিনি ধারণাটির সম্পর্কে অজ্ঞাত থেকে এধরনের রচনা তৈরিতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
নীল গেইম্যান তার পেশাগত সাহিত্য জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন। এখানে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হয়েছে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article নীল গেইম্যান, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.