দ্য হু

দ্য হু ১৯৬৪ সালে লন্ডনে গঠিত ইংরেজ রক ব্যান্ড। মূল দলে ছিলেন প্রধান সঙ্গীতশিল্পী রজার ডাল্ট্রে, গিটারবাদক ও গায়ক পিট টাউনশ্যান্ড, বেসবাদক জন এন্টুইস্টল এবং ড্রামবাদক কিথ মুন। এদেরকে বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী রক ব্যান্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি করেছে।

দ্য হু
The Who on stage, standing and waving to a crowd
১৯৭৫ সালে দ্য হু।
বাম থেকে ডানে: রজার ডাল্ট্রে (কণ্ঠ), জন এন্টুইস্টল (বেস), কিথ মুন (ড্রাম) এবং পিট টাউনশ্যান্ড (গিটার).
প্রাথমিক তথ্য
উপনাম
  • দ্য ডিটোর্স
  • দ্য হাই নাম্বার্স
উদ্ভবলন্ডন, ইংল্যান্ড
ধরন
কার্যকাল
  • ১৯৬৪–১৯৮৩
  • ১৯৮৯
  • ১৯৯৬–বর্তমান
    (one-off reunions: ১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৪)
লেবেল
  • ব্রান্সউইক
  • রিঅ্যাকশন
  • ট্র্যাক
  • পলিডোর
  • ডেকা
  • ভার্জিন
  • এমসিএ
  • ওয়ার্নার ব্রস.
  • ইউনিভার্সাল রিপাবলিক
  • গেফেন
  • একো
সদস্য
  • রজার ডাল্ট্রে
  • পিট টাউনশ্যান্ড
প্রাক্তন
সদস্য
  • জন এন্টুইস্টল
  • কিথ মুন
  • ডগ স্যান্ডম
  • কেনি জোন্স
ওয়েবসাইটthewho.com

দ্য হু পূর্ববর্তী একটি দল, ডিটোর্স থেকে বিকাশিত হয়েছিল এবং যারা নিজেদেরকে পপ আর্ট এবং মোড আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে মঞ্চে তারা গিটার এবং ড্রাম ধ্বংস করে নিজেদের অটো-ধ্বংসাত্মক শিল্পের বৈশিষ্ট্যযুক্ত করেছে। দ্য হু হিসেবে তাদের প্রথম একক, "আই ক্যান্ট এক্সপ্লেইন", ইউকে শীর্ষ দশে পৌঁছেছিল এবং তারপরে "মাই জেনারেশন", "সাবস্টিটিউট" এবং "হ্যাপি জ্যাক" এককগুলি সহ একটি ধারা অনুসরণ করেছিল। ১৯৬৭ সালে, তারা মন্টেরি পপ উৎসবে পরিবেশন করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা দশ এককের তালিকায় থাকা "আই ক্যান সি ফোর মাইলস" প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তারা বড় বড় সফরে অংশ নিয়েছিল। দলের চতুর্থ অ্যালবাম, ১৯৬৯-এর "পিনবল উইজার্ড" একক অন্তর্ভুক্ত রক অপেরা টমি, যেটি প্রকাশের পর সমালোচনা এবং বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করেছিল। ১৯৬৯ সালের আগস্টে উডস্টকে এবং ১৯৭০ সালে আইল অব লাইভ উৎসবে সরাসরি পরিবেশনা, পাশাপাশি ১৯৭০-এর লাইভ অ্যাট লিড্‌স সরাসরি অ্যালবামের সাথে তারা সম্মানজনক রক শিল্প হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল। তাদের সাফল্যের সাথে সাথে মূল গীতিকার টাউনশ্যান্ডের উপর চাপ বেড়ে যায় এবং টমির পরবর্তী লাইফহাউস অ্যালবামের সরাসরি পরিবেশনা বর্জন করা হয়। এই প্রকল্পের গানগুলি নিয়ে ১৯৭১-এর হু'স নেক্সট তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে হিট "ওন্ট গেট ফুল্‌ড অইগেন" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দলটি ১৯৭৩ সালে কাদেরোফেনিয়া অ্যালবাম, যেটি তাদের আধুনিক শেকড়গুলির উদ্‌যাপন হিসেবে প্রকাশ করেছিল। ১৯৭৫ সালে টমি চলচ্চিত্রে অভিযোজনের তত্ত্বাবধান করেছিল। তারা ১৯৭৬-এর শেষে সরাসরি পরিবেশনা থেকে আধা-অবসর নেওয়ার পূর্বে বিশাল সংখ্যক শ্রোতাদের কাছে সফর অব্যাহত রেখেছিল। ১৯৭৮ সালে হু আর ইউ প্রকাশের পরপরই মুনের মৃত্যু ঘটে।

কেনি জোন্স মুনের স্থানে যোগ দিয়েছিল এবং দলটি আবারো কার্যক্রম শুরু করে, কোয়াড্রোফিনিয়ার চলচ্চিত্র অভিযোজন এবং দ্য কিডস আর অলাইট চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট সংক্রান্ত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রকাশ করে। টাউনশ্যান্ড সফরে ক্লান্ত হয়ে ওঠার পরে, দলটি ১৯৮৩ সালে বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮৫ সালে লাইভ এইড, ১৯৮৯-এর ২৫তম বার্ষিকী সফর এবং ১৯৯৬–১৯৯৭ সালে কোয়াড্রোফেনিয়া সফরের মতো সরাসরি উপস্থিতির জন্য দ্য হু প্রায়শই পুনরায় গঠিত হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ড্রামবাদক জাক স্টারকির সঙ্গে তারা পুনরায় নিয়মিত সফর শুরু করেন। ২০০২ সালে এন্টুইস্টলের মৃত্যুর পরে, একটি নতুন অ্যালবামের পরিকল্পনা বিলম্বিত হয়েছিল। টাউনশ্যান্ড এবং ডাল্ট্রে দ্য হু হিসেবে অব্যাহত ছিলেন, এবং ২০০৬ সালে এন্ডলেস ওয়্যার মুক্তি দিয়ে স্টারকি, বেসবাদক পিনো প্যালাদিনো (২০০৬–২০১৭) এবং জন বাটন (২০১৭–বর্তমান) এবং গিটারবাদক সাইমন টাউনশ্যান্ড (পিটের ভাই) পরিবেশনার সাথে নিয়মিত সরাসরি পরিবেশনায় অংশগ্রহণের করে। ২০১৯ সালে, তাদের দ্বাদশ অ্যালবাম হু প্রকাশের সমর্থনে তারা একটি সম্পূর্ণ সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা সফর করেছিল।

রক সঙ্গীতে হুয়ের প্রধান অবদানগুলির মধ্যে রয়েছে মার্শাল স্ট্যাকের বিকাশ, বৃহত পিএ সিস্টেম, সিনথেসাইজার ব্যবহার, এন্টুইস্টল এবং মুনের লিড বাজানোর শৈলী, টাউনশ্যান্ডের ফিডব্যাক এবং পাওয়ার কর্ড গিটার কৌশল ও রক অপারার বিকাশ। তাদেরকে হার্ড রক, পাংক রক এবং মোড ব্যান্ডের প্রভাব হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং তাদের গানগুলি এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হয়।

বহিঃসংযোগ

Tags:

Rock musicলন্ডনসর্বোচ্চ-বিক্রি সঙ্গীত শিল্পী তালিকা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকারশ্মিকা মন্দানাবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীমানুষঅর্থনীতিনরেন্দ্র মোদীবর্তমান (দৈনিক পত্রিকা)অস্ট্রেলিয়া (মহাদেশ)ভিটামিনকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারপদ্মা নদীহাসান হাফিজুর রহমানসাকিব আল হাসানক্যাসিনোবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাসহীহ বুখারীছিয়াত্তরের মন্বন্তরদুবাইমরিয়ম বিনতে ইমরানবায়ুদূষণমসজিদে হারামবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র২০২৩–২৪ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগজাতিসংঘবাংলাদেশ আওয়ামী লীগআদম২৭ মার্চঅস্ট্রেলিয়াফুসফুসসন্ধিপেশাদ্বৈত শাসন ব্যবস্থাআবুল আ'লা মওদুদীফরাসি বিপ্লবের পূর্বের অবস্থাসমাসব্রিটিশ রাজের ইতিহাসবীর উত্তমফজলুর রহমান খানপাবনা জেলাচ্যাটজিপিটিযক্ষ্মাবরিশাল বিভাগদৈনিক প্রথম আলোবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধমুহাম্মাদের বংশধারারচিন রবীন্দ্রব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসুকান্ত ভট্টাচার্যবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদীপু মনিকনডমশবনম বুবলিএইচআইভি/এইডসপ্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারগায়ত্রী মন্ত্রহরিচাঁদ ঠাকুরপাল সাম্রাজ্যবিজ্ঞানঅকাল বীর্যপাতকুড়িগ্রাম জেলানেপোলিয়ন বোনাপার্টসূর্যএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)চৈতন্য মহাপ্রভুভাষা আন্দোলন দিবসবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহমুহাম্মাদের নেতৃত্বে যুদ্ধের তালিকানারীওমানমার্চবাংলার শাসকগণস্বাধীনতা দিবস (ভারত)বাংলাদেশের নদীবন্দরের তালিকাবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকালগইন০ (সংখ্যা)ব্রাজিল বনাম জার্মানি (২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ)🡆 More