ডিপ ইম্প্যাক্ট (ইংরেজি Deep Impact) নাসা কর্তৃক উৎক্ষেপিত একটি অনুসন্ধানী নভোযান। ১২ জানুয়ারি ২০০৫ সালে কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে এই নভোযানটি উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। এই নভোযানটি তৈরী করা হয়েছিল টেম্পল ১ ধূমকেতুটির গঠন নির্ণয় করা জন্য। ৪ জুলাই ২০০৫ তারিখে ৫ টা ৫২ মিনিটে (ইউটিসি) নভোযানটির ইম্প্যাক্ট অংশটি ধূমকেতুটিতে আঘাত হানে। ডিপ ইম্প্যাক্ট ধূমকেতুটির নিউক্লিয়াস থেকে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে ও বিশ্লেষণ করে। অভিযানের সময় সংগ্রীহিত ছবিতে দেখা যায় যে পূর্বে যা ধারণা করা হয়েছিল ধূমকেতুটিতে তার চেয়ে অনেক বেশি ধূলা ও বরফের উপস্থিতি আছে।
সংস্থা | নাসা/জেপিএল |
---|---|
প্রধান কনট্রাক্টর | বেল এ্যারোস্পেস এন্ড টেকনলজি কর্পোরেশন। |
অভিযানের ধরন | ফ্লাইবাই/ইম্প্যাক্টর |
ফ্লাইবাই করেছে |
|
উৎক্ষেপণের তারিখ | ১২ জানুয়ারি ২০০৫ |
উৎক্ষেপণ যান | ডেল্টা II-7925 |
উৎক্ষেপণ স্থান | Space Launch Complex 17B, Cape Canaveral Air Force Station |
অভিযানের ব্যাপ্তিকাল | ৮ বছর ৮ মাস ১ সপ্তাহ ১ দিন |
COSPAR ID | 2005-001A |
হোমপেজ | Deep Impact at JPL |
ভর | ৬৫০ কেজি, ইম্প্যাক্টর ৩০ কেজি। |
ক্ষমতা | ৬২০ ওয়াট |
তথ্যসূত্র: |
পূর্বে জিওটো আর স্টারডাস্টের মতো যে অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়েছিল সেখানে নভোযানগুলো ধূমকেতুর পাশ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল মাত্র। ডিপ ইম্প্যাক্টই হল প্রথম অভিযান যেটি সরাসরি কোন ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসে আঘাত করে তার ভিতরকার নমুনা বিশ্লেষণ করেছিল।
ডিপ ইম্প্যাক্ট মিশনকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল ধূমকেতু সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য। বিজ্ঞানিরা জানতে চেয়েছিলেন ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস আসলে কোন কোন জিনিস দ্বারা গঠিত। এবং ধূমকেতুর উৎপত্তি কোথায় ও কীভাবে হয়েছিল। ধূমকেতুর অন্তরগঠন ও বহিরগঠন সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক ধারণা অর্জনের পর জ্যেতির্বিদরা আশা করেছিলেন যে ধূমকেতুর জন্ম ইতিহাসও জানতে পারবেন। মিশনটির প্রধান ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির মাইকেল আ’হেয়ার্ণ।
ডিপ ইম্প্যাক্ট ধূমকেতুটিতে যে গর্ত সৃষ্টি করেছিল তার ছবি খুব স্পষ্ট না হওয়ায় অভিযানের ফলাফল পুনরায় বিশ্লেষণ করার জন্য ২০০৭ সালের ৩ জুলােই টেম্পল ১ (অথবা নেক্সট) মিশন অনুমোদন করা হয়। এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় স্টারডাস্ট নামক একটি নভোযানকে। স্টারডাস্টকে এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াইল্ড ২ ধূমকেতুকে পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্টারডাস্ট কে নতুন একটি কক্ষপথ পুনারায় স্থাপন করা হয়। ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নভোযানটি টেম্পল ১ এর ২০০ কিলোমটির কাছে যেয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ধূমকেতুকে দ্বিতীয়বার পর্যবেক্ষণ করা হল। স্টারডাস্টের পাঠানো ছবিতে দেখা যায় ডিপ ইম্প্যাক্ট ১৫০ মিটার চওড়া একটি গর্ত করেছিল। সেই গর্তের মধ্যে ধূলাবালির একটি স্তুপ দেখাতে পাওয়া গিয়েছিল। এই স্তুপটি তৈর হয়েছিল প্রথম সংঘর্ষের ফলে উৎক্ষেপিত ধূলাবালি পুনরায় এর পৃষ্ঠে ফিরে গিয়ে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ডিপ ইম্প্যাক্ট (মহাকাশযান), which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.