জেসিকা মারি আলবা (ইংরেজি: Jessica Marie Alba) (জন্ম: ২৮ এপ্রিল, ১৯৮১) একজন মার্কিন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয়জীবন শুরু করেন তেরো বছর বয়সে, ক্যাম্প নোহোয়ার, ও দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অফ অ্যালেক্স ম্যাক (১৯৯৪)-এর মাধ্যমে। আলবা ২০০০-২০০২ সালে টিভি ধারাবাহিক ডার্ক অ্যাঞ্জেল-এ মূল অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। এরপর বিভিন্ন চলচ্চিত্রে আলবাকে দেখা যায়। যেমন: হানি (২০০৩), সিন সিটি (২০০৫), ফ্যানটাস্টিক ফোর (২০০৫), ইনটু দ্য ব্লু (২০০৫), ফ্যানটাস্টিক ফোর: রাইস অফ দ্য সিলভার সার্ফার (২০০৭), এবং গুড লাক চাক (২০০৭)।
জেসিকা অ্যালবা | |
---|---|
জন্ম | জেসিকা মারি আলবা ২৮ এপ্রিল ১৯৮১ পোমোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯৪–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্যাশ ওয়ারেন (২০০৮–বর্তমান) |
সঙ্গী | মাইকেল ওয়েদারলি (২০০০-২০০৩) |
সন্তান | ৩ |
গণমাধ্যমের কাছে আলবা একজন যৌনদেবী (Sex Symbol); এবং তার চাহনির জন্য তিনি সবসময় গণমাধ্যমের কাছে আলাদা গুরুত্ব পান। ২০০৬ সালে, ম্যাক্সিম ম্যাগাজিনের “হট ১০০” সেকশনে খুব সহজেই জেসিকা আলবা স্থান পান। একই বছর আস্কমেন ডট কম-এর “৯৯ আকাঙ্ক্ষিত নারী”-র তালিকায় আলবা প্রথম স্থান অধিকার করেন। এছাড়া ২০০৭ সালে এফএইচএম-এর পরিচালিত জরিপে তিনি “বিশ্বের সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী নারী” খেতাবে ভূষিত হন। ২০০৬ সালে প্লেবয় ম্যাগাজিনে আলবা বিকিনি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। তিনি তার অভিনয়ের জন্য বিভিন্নরকমের পুরস্কার লাভ করেছেন। যেমন: টিন চয়েজ পুরস্কার, টিভিতে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে স্যাটার্ন পুরস্কার, এবং টিভি ধারাবাহিক ডার্ক অ্যাঞ্জেল-এ অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পেয়েছেন। পেশাজীবনে বেশ কয়েকবার রেজি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় তার অভিনয় প্রতিভা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। পর্দার বাইরে আলবা, ও তার ব্যক্তিগত জীবন বিভিন্ন গণমাধ্যম, তারকা ও ক্রোড়পত্র সাংবাদিকতার একটি নিয়মিত খোরাক।
অ্যালবা ক্যালিফোর্নিয়ার পোমোনাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম মার্ক অ্যালবা এবং মাতার নাম ক্যাথরিন। তার মা ফ্রেঞ্চ ও ড্যানিশ বংশোদ্ভূত এবং তার বাবা মেক্সিকান বংশোদ্ভূট মার্কিন নাগরিক। অ্যালবার পিতা-মাতা উভয়ই ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অ্যালবার একজন ছোট ভাই রয়েছে, তার নাম জোশ অ্যালবা। জেসিকা অ্যালবার পিতা মার্কিন বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন। চাকরিসূত্রে তার পরিবার মিসিসিপিতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তিতে তারা টেস্কাসেও স্থানান্তরিত হন। অবশেষে অ্যালবার বয়স যখন নয় বছর, তখন তারা ক্যালিফোর্নিয়ার স্থায়ী অধিবাসী হন। অ্যালবা বলেছেন যে, তার পরিবার খুব রক্ষণশীল ঐতিহ্যবাহী ক্যাথোলিক ল্যাটিন অ্যামেরিকান পরিবার। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে অ্যালবা নিজেকে স্বাধীনচেতা মনে করেন। তিনি নিজেকে পাঁচ বছর বয়স হতে নারীবাদী মনে করেন।
শৈশবে অ্যালবা বেশ শারীরিক পীড়া পেয়েছিলেন। বছরে ৪-৫ বার তার নিউমোনিয়া হয়েছিল। এছাড়া তার টনসিল, অ্যাপেনডিক্স ও ফুসফুসেও সমস্যা ছিল। পরবর্তিতে অ্যালবা বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে পৃথক হন, কারণ অধিকাংশ সময়েই তাকে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় থাকতে হত। ফলে তেমন কেউই তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেনি। শৈশবে অ্যালবার হাঁপানী রোগও ছিল। অ্যালবা বলেছেন যে, তার পরিবারের বারবার স্থানান্তর হওয়ার কারণেও তার ভাল বন্ধু গড়ে ওঠেনি। তিনি আরো বলেছেন যে, শৈশবে তিনি উৎকন্ঠা রোগেও ভুগেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে অ্যালবা বিদ্যালয়ের পড়ালেখা সম্পন্ন করেন। বিদ্যালয় জীবন শেষ হতে না হতেই তিনি আটলান্টিক থিয়েটার কোম্পানিতে ভর্তি হন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article জেসিকা অ্যালবা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.