গোল্ডা মেয়ার

গোল্ডা মেয়ার (হিব্রু ভাষায়: גּוֹלְדָּה מֵאִיר‎; হিব্রু উচ্চারণ: ; জন্ম: ৩ মে, ১৮৯৮ - মৃত্যু: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৮) রুশ সাম্রাজ্যের কিয়েভে জন্মগ্রহণকারী ইসরায়েলের বিশিষ্ট প্রমিলা শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইসরায়েলের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরফলে তিনি ইসরায়েলের প্রথম তথা বিশ্বের চতুর্থ মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবার গৌরব অর্জন করেন। এরপূর্বে তিনি শ্রম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

গোল্ডা মেয়ার
גולדה מאיר
গোল্ডা মেয়ার
ইসরায়েলের ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৭ মার্চ, ১৯৬৯ – ৩ জুন, ১৯৭৪
রাষ্ট্রপতি
  • জালমান শাজার
  • ইফরাইম কাতজিরর
পূর্বসূরীইগাল অ্যালন (ভারপ্রাপ্ত)
উত্তরসূরীআইজাক রবিন
স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৬ জুলাই, ১৯৭০ – ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০
প্রধানমন্ত্রীস্বয়ং
পূর্বসূরীহাইম-মোশে শাপিরা
উত্তরসূরীইউসেফ বার্গ
পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৮ জুন, ১৯৫৬ – ১২ জানুয়ারি, ১৯৬৬
প্রধানমন্ত্রী
পূর্বসূরীমোশে শারেত
উত্তরসূরীআবা এবান
শ্রমমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১০ মার্চ, ১৯৪৯ – ১৯ জুন, ১৯৫৬
প্রধানমন্ত্রীডেভিড বেন-গুরিয়ন
পূর্বসূরীমোরদেশাই বেনতভ (অস্থায়ী)
উত্তরসূরীমোরদেশাই নামির
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মগোল্ডা মাবোভিচ
(১৮৯৮-০৫-০৩)৩ মে ১৮৯৮
কিয়েভ, রুশ সাম্রাজ্য
মৃত্যুডিসেম্বর ৮, ১৯৭৮(1978-12-08) (বয়স ৮০)
জেরুসালেম, ইসরায়েল
জাতীয়তাগোল্ডা মেয়ার ইসরায়েল
রাজনৈতিক দলঅ্যালাইনমেন্ট
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
  • মাপাই
  • লেবার পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীমরিস মেয়ারসন (মৃত্যু: ১৯৫১)
সন্তানমেনাখেম (১৯২৪-২০১৪)
সারাহ (১৯২৬-২০১০)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীমিলওয়াকি স্টেট নর্মাল স্কুল (বর্তমানে - উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয়)
জীবিকাশিক্ষক, কূটনীতিবিদ
স্বাক্ষরগোল্ডা মেয়ার

প্রারম্ভিক জীবন

ব্লাম নেইডিচ ও মোশে মাবোভিচ দম্পতির সন্তান ছিলেন তিনি। শেনা ও জিপকে নাম্নী তার দুই বোন ছিল। ১৯০৩ সালে কাজের সন্ধানে কাঠমিস্ত্রী বাবা মোশে মাবোভিচ নিউইয়র্ক সিটিতে চলে যান। তার অনুপস্থিতিতে পরিবারটি পিনস্কে এলাকায় অবস্থিত মাতুলালয়ে অবস্থান করে। ১৯০৫ সালে উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে উচ্চ বেতন নিয়ে কাজ করেন ও স্থানীয় রেলরোডের উদ্যানে ওয়ার্কশপ খোলেন মোশে। পরের বছর পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করে পরিবারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন।

চৌদ্দ বছর বয়সে নর্থ ডিভিশন হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন ও খণ্ডকালীন কাজে মনোনিবেশ ঘটান। মা তাকে বিদ্যালয় ত্যাগের আদেশ দেন ও বিয়ে দিতে চান। কিন্তু তিনি না-রাজী হওয়ায় টিকেট কেটে কলোরাডোর ডেনেভারে বিবাহিতা বোন শেনা কর্নগোল্ডের সংসারে অবস্থান করেন। সেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক সান্ধ্যকালীন আসরে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের পুণর্বাসন, সাহিত্য, মহিলাদের মতপ্রকাশ, শ্রমিক আন্দোলনসহ বিবিধ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কে অংশ নিতেন।

রাজনৈতিক জীবন

২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে লেভি ইশকোলের আকস্মিক দেহাবসান ঘটে। এরফলে ১৭ মার্চ, ১৯৬৯ তারিখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ইসরাইলের রাজনীতিতে ‘আয়রন লেডি’ নামে তাকে ডাকা হতো যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের উপাধি থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাকে সরকারের সেরা ব্যক্তি নামে আখ্যায়িত করেন।প্রায়শঃই তাকে প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন, স্পষ্টভাষী ও ইহুদিব্যক্তিদের দাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধ শেষ হবার পর ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ৩ জুন, ১৯৭৪ তারিখে আইজাক রবিন তার স্থলাভিষিক্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবন

কলোরাডোর ডেনেভারে মরিস মেয়ারসন নামীয় চিত্রকরের সাথে পরিচিত হন ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঘটান। ফিলিস্তিনে আবাসন গড়ার পূর্ব শর্ত পালনে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯১৭ তারিখে উভয়ে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে তারা আসতে পারেননি। বিয়ের কিছুদিন পর পোল জিয়নের জন্য অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা চালান। ১৯২১ সালে শেনাসহ এ দম্পতি ফিলিস্তিনে স্থানান্তরিত হন। তাদের সংসারে মেনাখেম ও সারাহ নামের সন্তান ছিল। ১৯৭৮ সালে লিমফোমায় আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জী

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ইগল অ্যালন
ভারপ্রাপ্ত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
১৯৬৯-৭৪
উত্তরসূরী
আইজাক রবিন
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়
পূর্বসূরী
ইগল অ্যালন
ভারপ্রাপ্ত
অ্যালাইনমেন্টের নেতা
১৯৬৯-৭৪
উত্তরসূরী
আইজাক রবিন

Tags:

গোল্ডা মেয়ার প্রারম্ভিক জীবনগোল্ডা মেয়ার রাজনৈতিক জীবনগোল্ডা মেয়ার ব্যক্তিগত জীবনগোল্ডা মেয়ার তথ্যসূত্রগোল্ডা মেয়ার আরও দেখুনগোল্ডা মেয়ার গ্রন্থপঞ্জীগোল্ডা মেয়ার আরও পড়ুনগোল্ডা মেয়ার বহিঃসংযোগগোল্ডা মেয়ারইসরায়েলহিব্রু ভাষা১৮৯৮

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

হিরণ চট্টোপাধ্যায়নিরাপদ যৌনতাজনি সিন্সসাপহস্তমৈথুনের ইতিহাসদৈনিক যুগান্তরযোহরের নামাজটিকটকদীপু মনিপূর্ণ সংখ্যারায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রবাংলাদেশস্মার্ট বাংলাদেশবিদ্যা সিনহা সাহা মীমসমকামিতাটাঙ্গাইল জেলাবঙ্গবন্ধু সেতুদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনহরমোনবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রক্রিকেটদার্জিলিংসাজেক উপত্যকা২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপহৃৎপিণ্ডউত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাসেলিম আল দীনব্যাকটেরিয়াজার্মানিবিভক্তিসম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিবিদায় হজ্জের ভাষণকবিতাবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানারায়ণ সান্যালব্রিটিশ রাজের ইতিহাসতুলসীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলআন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থারক্তমুসাফিরের নামাজযতিচিহ্নশাবনূরদক্ষিণবঙ্গআয়িশাঅ্যাটর্নি জেনারেলঘূর্ণিঝড়কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিপ্রাকৃতিক সম্পদউইকিপিডিয়াবেল (ফল)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)নামাজের নিয়মাবলীরাইবোজোমকামরুল হাসানব্রহ্মপুত্র নদমৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটবাংলাদেশ-ভারত ছিটমহলচিরস্থায়ী বন্দোবস্তবেদআবু হানিফাথ্যালাসেমিয়াদোয়া কুনুতইমাম বুখারীহস্তমৈথুনমিশরপ্রবাসী বাংলাদেশীলোকনাথ ব্রহ্মচারী২০২২ ফিফা বিশ্বকাপযিনাজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেইহুদি গণহত্যাবিন্দুবাংলা সাহিত্যের ইতিহাস🡆 More