ক্লাউড কম্পিউটিং (cloud computing) হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (বিশেষত ইন্টারনেট) কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা। ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটা ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা। এই মডেলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু চলমান প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিভিন্ন রিসোর্স এবং সার্ভিস বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এই উন্নত পরিসেবাটি কিছু কম্পিউটারকে গ্রিড সিস্টেম এর মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং (NIST) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা নিম্নরূপ-
"Cloud computing is a model for enabling ubiquitous, convenient, on-demand network access to a shared pool of configurable computing resources (e.g., networks, servers, storage, applications, and services) that can be rapidly provisioned and released with minimal management effort or service provider interaction."
অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রোগ্রাম ও সেবা প্রভৃতি সহজে, ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান বা ভাড়া দেয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।
ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটিং শক্তি, অনলাইন পরিসেবা, ডাটা অ্যাক্সেস এবং ডাটা স্পেস প্রদান করে যেখানে পরিসেবাগুলি ব্যবহারে ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ে গভীর ভাবে জানার দরকার পড়েনা, পরিসেবা হিসাবে যে কেউ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক যেমন বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে বিদ্যুৎ কী করে সংগৃহীত হয় তা জানার দরকার হয় না। ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটার ব্যবহারের কতগুলো সমন্বিত উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে :
ডিস্ট্রিবিউটেড, গ্রিড কম্পিউটিং এবং প্যারালাল কম্পিউটিং এর সাথে ক্লাউড কম্পিউটিং এর চরিত্রগত মিল কম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের বাণিজ্য বিভাগের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বারা সংজ্ঞায়িত ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নিম্নলিখিত ৫টি প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন-
ক্লাউড কম্পিউটিং এর ইতিহাস শুরু ১৯৬০ সাল থেকে। ২০১০ সালে The Rackspace Cloud এবং NASA মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস ব্যবহার শুরু করে। এভাবেই ক্লাউড কম্পিউটিং জন সাধারণের মুঠোয় আসতে শুরু করে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত ধারণা ভার্চুয়ালাইজেশনের জন্ম সেই ষাটের দশকে। সে সময় কোনো একটি কোম্পানি Multics নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম বানানোর পরিকল্পনা করেছিলো, প্রাথমিক দিকে ধারণাটি ছিল এমন, প্রতি শহরে একটি বা দুইটি মেগা কম্পিউটার থাকবে, আর ইলেকট্রিকের বা ডিশের লাইন নেয়ার মতো সবাই সেখান থেকেই কম্পিউটারের লাইন নিবে। প্রত্যেকে ঘরে শুধু থাকবে টিভির মতো একটি যন্ত্র ও কীবোর্ড। মূলত সেযুগে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের দাম কমে যাবার ফলে “কম্পিউটারের লাইন” নেয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ফলে সে সময় ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা সফল হয়নি।
নব্বই দশকের দিকে শুরু হয় গ্রিড কম্পিউটিংয়ের ধারণা। তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গবেষণার জন্য নতুন করে কেন্দ্রীয় কম্পিউটার ব্যবস্থার প্রয়োজীনয়তা দেখা দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সুপার কম্পিউটার সেন্টারে বড় বড় কম্পিউটার ক্লাস্টার বসানো হয়েছিল। যেমন- Oak Ridge National Lab, National Center for Supercomputing Applications, San Diego Supercomputing Center ইত্যাদি। এসব কম্পিউটার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের গবেষণা করতেন। প্রতিটি ক্লাস্টারে ছিল ১ হাজার থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজার কম্পিউটার নোড। কিন্তু সমস্যাটা ছিল এরকম, এগুলো ব্যবহার করতে হলে ঐ সুপারকম্পিউটার সেন্টারে অ্যাকাউন্ট পেতে হবে, আর কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য রীতিমত আবেদন করে জানাতে হতো। তার উপরে ধীরে ধীরে বিজ্ঞানীদের আরো অনেক বেশি প্রসেসর বা কম্পিউটার নোডের প্রয়োজন হতে থাকলো। তখন একটি সুপারকম্পিউটার সেন্টারে এতগুলো কম্পিউটার ছিল না।
এই সমস্যাটা এড়াবার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ভাবলেন, ইলেকট্রিক পাওয়ার গ্রিডের মতোই একটা জাতীয় কম্পিউটার গ্রিড বানানো হবে। অর্থাৎ এই বিচ্ছিন্ন সুপারকম্পিউটারগুলোকে একই সিস্টেমের অধীনে নিয়ে আসা হলো, আর আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্টের বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে সব কাজ করা হলো। ফলে কোনো বিজ্ঞানীর অনেক কম্পিউটারের দরকার হলে একাধিক সেন্টারের কম্পিউটার ক্লাস্টার থেকে সেটা দেয়ার সহজ ব্যবস্থা হলো। এই সিস্টেমের নাম দেয়া হলো টেরাগ্রিড। আর এই পদ্ধতির মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারের নাম দেয়া হলো গ্রিড কম্পিউটিং, যা থেকে মূলত তৈরি হয় ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ধারণা। ২০০৫-৬ সাল থেকে শুরু হয় আমাজন ডট কমের ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড বা (EC2)। এর পর থেকে আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে।
ক্লাউড মানে মেঘ, রূপক ধর্মী হিসাবে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিলো। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস দাতার তত্ত্বাবধানে সকল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার থাকবে, ক্রেতা বা ব্যবহারকারী শুধু ছোট ও কম খরচের একটি ডিভাইসের মাধ্যমে তারমাধ্যম বা তারবিহীন মাধ্যমে সার্ভিসদাতার মূল কম্পিউটার বা সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে কম্পিউটিংয়ের কাজ সম্পদন করে থাকে। মূল কম্পিউটার যেহেতেু ক্রেতা বা ব্যবহারকারী থেকে অনেক দূরে থাকে ফলে সার্ভিসদাতার অবকাঠামো, রিসোর্সসমূহ সব প্রক্রিয়া ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর কাছে অনেকটা অদৃশ্যমান মনে হয়। ফলে ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর কাছে এসব সার্ভিস অনেকটা মেঘ (Cloud) কিংবা কল্পনার কোনো রাজ্য থেকে পাওয়ার মতো মনে হয়। নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম আঁকার সময়ে ক্রেতা ও সার্ভারের মাঝের ইন্টারনেটের অংশটিকে অনেক আগে থেকেই মেঘের (Cloud) ছবি দিয়ে বোঝানো হতো। আবার সিস্টেম ডায়াগ্রামে জটিল সাংগঠনিক কোনো বিষয় সম্পর্কে ধারণার জন্য ক্লাউড বা মেঘের মতো প্রতীক ব্যবহার করা হয়। সেই থেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটি এসেছে।
যেসব ক্রেতার অল্প সময়ের জন্য তথ্য রাখার জায়গা বা কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহারের প্রয়োজন, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় সর্বনিু বা শূন্য পর্যায়ে রাখার প্রয়োজন, সর্বশেষ প্রজন্মের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন কিংবা অর্থের বিনিময়ে অন্যের তত্ত্বাবধানে তথ্য রাখার প্রয়োজন, মূলত তারাই ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে সেবাদাতার কাছ থেকে কম্পিউটার সার্ভিস বা স্টোরেজ স্পেস ভাড়া নিয়ে থাকেন।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী থেকে সংগৃহীত উপাত্ত কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করে রিমোট (দূর বা বহুদূর থেকে) সার্ভিস প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের মৌলিক কাঠামো অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং নিুলিখিত ৪ ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। সার্ভিসগুলো হলো-
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধাসমূহ (Advantages of Cloud Computing):
# অপারেটিং কস্ট বা পরিচালন ব্যয় হ্রাস: বড় কোনো কোম্পনির ক্লাউডে কম্পিউটার ভাড়া নিলে লোকাল মেশিন ব্যবহারে খরচ অর্ধেক হবে। তার উপরে সুবিধা হলো, অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার চালাবার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ বা কম্পিউটার কক্ষ ঠাণ্ডা রাখার প্রয়োজন নেই। অফিসে লো-কনফিগারেশনের কিছু মেশিন আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলেই হবে। অফিসের সাধারণ মানের কম্পিউটার দিয়ে ক্লাউডের ভার্চুয়াল মেশিনগুলোকে অ্যাক্সেস করা যাবে। যেহেতু মেশিনগুলো ভাড়াপ্রদানকারী কোম্পানির অধীনে, তাই সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা ও খরচ কোনোটিরই প্রয়োজন হবে না। উপরন্তু কোনো সময় অফিস বন্ধ থাকলে ক্লাউডের মেশিনগুলো ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কারণ ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে নো-ইউজ-নো-পে মডেল। # স্টাটআপ কস্ট বা প্রারম্ভিক খরচ হ্রাস : সাধারণত ব্যবসার শুরুতেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে কম্পিউটার কেনার কাজে বিনিয়োগের একটা অংশ ব্যয় করতে হয়। অথচ ক্লাউড ব্যবহার করলে ভাড়ার ভিত্তিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়। ফলে একবারে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না। ব্যবসায় ক্ষতি হলে বা ব্যবসায় পরিবর্তন করলে সহজেই ক্লাউড কোম্পানির সাথে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করা যায়। # ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কম পুঁজিতে ব্যবসা : ছোট কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদোগ্যে একটা ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস দিতে গেলে শুরুতেই সার্ভার ভাড়া নিতে হতো বা সার্ভার কিনতে হতো। এই প্রযুক্তির ফলে এখন কোনোটাই করা লাগবে না। ক্লাউড ব্যবহার করে শুধু মাসিক ভাড়ার টাকাটা হাতে নিয়েই স্বল্প র্পুঁজির যে কেউ ব্যবসা শুরু করতে পারে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো বৃহৎ সার্ভিস দিতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হতো বড় একটা ক্লাস্টার বা ডেটা সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে শুরুতে ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারী কম থাকলে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ২/১টা সার্ভার ভাড়া নিলেই চলবে। ক্লায়েন্ট বাড়লে ক্লাউড থেকে বেশি সার্ভার ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নেয়া যাবে। বিশেষ কোনো সময়ে কিংবা রাতে কম ব্যবহারকারী থাকলে সিস্টেম সেট-আপ করে সার্ভারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাজন ডট কমের ক্লাউড ব্যবহার করে।
# বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও গবেষকদের সুবিধা : কোনো বিষয়ে গবেষণার জন্য অল্প সময় বা মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য অনেক বেশি কম্পিউটার প্রয়োজন হলে ক্লাউড কম্পিপউটার ভাড়া দিয়ে সহজেই কাজটি সম্পন্ন করা যায়। ১০ বছর আগে হলে উন্নত বিশ্বের বৃহৎ গবেষণাগার ছাড়া এটা করা সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন আমাজনের ক্লাউডে ঘণ্টায় মাত্র ২ সেন্ট দিয়ে কম্পিউটার ভাড়া করা যায়। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য না থাকলেও ভাড়া নিয়ে সহজেই ও কম খরচেই গবেষণার কাজ করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মডেল হচ্ছে-
ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুগল এর বিভিন্ন প্রয়োগ - যেমন জিমেইল, পিকাসা থেকে শুরু করে পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার। ২০০৫-৬ সাল থেকে শুরু হয় আমাজন ডট কমের ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড বা (EC2)। এর পর থেকে আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো বৃহৎ সার্ভিস দিতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হতো বড় একটা ক্লাস্টার বা ডেটা সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে শুরুতে ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারী কম থাকলে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ২/১টা সার্ভার ভাড়া নিলেই চলবে। ক্লায়েন্ট বাড়লে ক্লাউড থেকে বেশি সার্ভার ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নেয়া যাবে। বিশেষ কোনো সময়ে কিংবা রাতে কম ব্যবহারকারী থাকলে সিস্টেম সেট-আপ করে সার্ভারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাজন ডট কমের ক্লাউড ব্যবহার করে। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় ক্লাউড কম্পিউটিং এনেছে অনন্য বিপ্লব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবশ্য ক্লাউডের সুবিধা পেতে হলে কিছু সমস্যা এখনো রয়েছে। যেমন- ক্রেডিট কার্ড ব্যবস্থা সহজলভ্য না হওয়া, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারের ব্যবস্থা না থাকা কিংবা উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা প্রভৃতি। ক্লাউড ডেটা সেন্টার বিদেশে থাকতে হবে এমন কথা নেই। কম খরচে কম্পিউটার কিনে বাংলাদেশেই ক্লাউড ডেটা সেন্টার বানানো সম্ভব। এতে সাবমেরিন ক্যাবল কাটা যাওয়ার আশঙ্কা নেই কিংবা পেমেন্ট লেনদেনের ঝামেলা বা ঝুঁকি নেই।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ক্লাউড কম্পিউটিং, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.