আগ্রা

আগ্রা (হিন্দি: आगरा; উর্দু: آگرہ) উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রা জেলার রাজধানী শহর। আগ্রা শহরটি ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লি থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার (১৪০ মা) দক্ষিণ-পূর্বে যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। আগ্রা একটি রেলওয়ে জংশন এবং আশেপাশের কৃষি এলাকার জন্য এটি একটি বাণিজ্যিক ও শিল্পকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। আগ্রা শহরে তুলা, খাদ্যশস্য, তামাক, লবণ ও চিনির পাইকারি বাণিজ্য হয়। এখানকার কলকারখানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সুতির টেক্সটাইল, কার্পেট, লোহা ও ইস্পাত উৎপাদন সম্পন্ন হয়। আগ্রাতে প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ লোকের বাস।

আগ্রা
হিন্দি: आगरा
উর্দু: آگرہ‎‎
শহর
তাজমহল
দেশআগ্রা ভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
জেলাআগ্রা
প্রতিষ্ঠাতাআকবর
আয়তন
 • মোট১৮৮.৪০ বর্গকিমি (৭২.৭৪ বর্গমাইল)
উচ্চতা১৭১ মিটার (৫৬১ ফুট)
জনসংখ্যা (2008)
 • মোট১৬,৫০,০০০
 • জনঘনত্ব৮,৮০০/বর্গকিমি (২৩,০০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিহিন্দি, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারত মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন282 XXX
টেলিফোন কোড91(562)
যানবাহন নিবন্ধনUP-80
ওয়েবসাইটagra.nic.in
আগ্রা
১৯১৪ সালে বৃটিশ শাসিত আগ্রা শহরের মানচিত্র

আগ্রাতে অবস্থিত ঐতিহাসিক সৌধগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য তাজমহল। আগ্রা আরও বেশ কিছু ইন্দো-সারাসেনীয় স্থাপত্যকর্মের জন্য বিখ্যাত, যাদের মধ্যে আছে মুঘল সম্রাট আকবরের জন্য নির্মিত শ্বেত মর্মরের জাহাঙ্গীরী মহল এবং ১৭শ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত মোতি মসজিদ বা মুক্তার মসজিদ।

আগ্রার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে আছে ১৯২৭ সালে স্থাপিত আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮১ সালে স্থাপিত দয়ালবাগ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট এবং একটি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (মেডিক্যাল কলেজ)।

মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৬৬ সালে বর্তমান আগ্রা শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। অল্পদিনেই এটি সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত এটি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ঐ বছর সম্রাট আওরঙ্গজেব রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে নেন। ১৮০৩ সালে আগ্রা ব্রিটিশদের পদানত হয়। ১৮২৫ সাল থেকে এটি একটি প্রাদেশিক রাজধানী ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে।

আগ্রার মর্মর পাথর ও চামড়ার কুটিরশিল্প বিখ্যাত।

তথ্যসূত্র

Tags:

আগ্রা জেলাউত্তর ভারতউত্তরপ্রদেশউর্দু ভাষাখাদ্যশস্যনতুন দিল্লিলবণহিন্দি ভাষা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ফুটবলময়মনসিংহ জেলারাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ইরানবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমহস্তমৈথুনঢাকা মেট্রোরেলবরিশালনেপালবাংলাদেশের জনমিতিসাহাবিদের তালিকাদক্ষিণ কোরিয়াবন্ধুত্বএপ্রিলবাঁশরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)ব্রিটিশ ভারতবিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসবৃহস্পতি গ্রহআল্লাহঅক্ষয় তৃতীয়াশবনম বুবলিনারায়ণ সান্যালদারাজদার্জিলিংশিয়া ইসলামঅপারেশন সার্চলাইটহরমোনজয়া আহসানসৌরজগৎপর্নোগ্রাফি০ (সংখ্যা)বিরাট কোহলি২০২৪ ইসরায়েলে ইরানি হামলাপাগলা মসজিদমাইকেল মধুসূদন দত্তবিষ্ণু দেকুরআনের ইতিহাসউহুদের যুদ্ধরাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারঅ্যামিনো অ্যাসিডভৌগোলিক নির্দেশকআমজান্নাত২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপপ্রীতি জিনতাপানি দূষণআশারায়ে মুবাশশারামেঘালয়সার্বিয়ামুনাফিকমুস্তাফিজুর রহমানপানিজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেঅরিজিৎ সিংহিন্দুধর্মের ইতিহাসবন্যা নিয়ন্ত্রণদৈনিক যুগান্তররাহুল গান্ধীগোপাল ভাঁড়ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধআমাশয়গোবিন্দ চন্দ্র দেববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাসন্দেশখালিপ্রাকৃতিক সম্পদবোঝেনা সে বোঝেনা (টেলিভিশন ধারাবাহিক)ফুলকৃষ্ণচূড়াজলাতংকবৃষ্টিকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলি২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানগারোবাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রঢাকা🡆 More