অখিলেশ যাদব (জন্ম ১লা জুলাই ১৯৭৩) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি যিনি ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের ২১ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৫ মার্চ ২০১২তে ৩৮ বছর বয়সে দায়িত্ব গ্রহণের পরে, তিনি কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসাবে এই পদে অধিষ্ঠিত হন। যাদব ২০১৯ সালে ১৭ তম লোকসভায় আজমগড়ের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে তাঁর প্রথম উল্লেখযোগ্য সাফল্য ২০০০ সালে কান্নুজ আসনের লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়া । তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র, যিনি ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-পৃষ্ঠপোষক, তিনিভারত সরকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
অখিলেশ যাদব | |
---|---|
সমাজবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১ জানুয়ারি ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | মুলায়ম সিংহ যাদব |
২১তম উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৫ মার্চ ২০১২ – ১৯ মার্চ ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | Mayawati |
উত্তরসূরী | Yogi Adityanath |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Saifai, Uttar Pradesh, India | ১ জুলাই ১৯৭৩
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | সমাজবাদী পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডিম্পল যাদব |
সম্পর্ক | Shivpal Singh Yadav (uncle) Ram Gopal Yadav (uncle) Dharmendra Yadav (cousin) Akshay Yadav (cousin) Tej Pratap Singh Yadav (nephew) |
সন্তান | ৩ |
বাসস্থান | 1 Vikramaditya Marg, লখনউ, উত্তর প্রদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | JSS Science and Technology University (B.E.) সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভিল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং) |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
যাদব ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই উত্তর প্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব এবং মালতী দেবীর সন্তান। মুলায়ম সিং যাদব রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, অখিলেশ যাদব তাঁর দাদা-দাদির দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সাইফাইয়ের একটি স্থানীয় বিদ্যালয়ে এবং তারপরে ইটওয়াহ শহরে একটি স্কুল শেষ করেছেন তিনি রাজস্থানের ধোলপুরের মিলিটারি স্কুলে পড়াশুনা করেন , তারপরে জেএসএস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ প্রকৌশল বিষয়ে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও পেয়েছেন তিনি।
যাদব ১৫ মার্চ ২০১২-এ উত্তরপ্রদেশের ২০ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, মার্চ ২০১২ বিধানসভা নির্বাচনে ২২৪ টি আসন জিতে ৩৮ বছর বয়সে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর শাসনামলে, আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েটি, যা ভারতের সবচেয়ে আধুনিক এবং দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে, স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্মিত এবং উদ্বোধন করা হয়েছিল। যাদব "ইউপি ১০০ পুলিশ পরিষেবা", "মহিলা পাওয়ার লাইন ১০৯০" এবং "অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ১০৮" ও চালু করেছিলেন। তাঁর সরকারের অবকাঠামোগত সাফল্যের মধ্যে রয়েছে লখনউ মেট্রো রেল, লখনউ আন্তর্জাতিক একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, জেনেশ্বর মিশ্র পার্ক (এশিয়ার বৃহত্তম পার্ক), জয়প্রকাশ নারায়ণ আন্তর্জাতিক কনভেশন সেন্টার, আইটি শহর, লখনউ-বলিয়া পূর্বচঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, ইত্যাদি। তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর আমলে বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন, পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকীকরণ, কিষাণ বাজার ও মন্দি স্থাপন, লোহিয়া আবাস যোজনা, কন্যা বিদ্যা ধন, কিষাণ সর্বভারত বিমা যোজনা, পেনশন যোজনা এবং বেকার ভাতা বরাদ্দের মতো সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছিল। । ২০১২-২০১৫ এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ সরকার দশম ও দ্বাদশ পাসআউট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ লক্ষেরও বেশি ল্যাপটপ বিতরণ করেছে, এটি বিশ্বের যে কোনও সরকারের দ্বারা অন্যতম বৃহত্তম বিতরণ প্রকল্প হিসাবে স্বীকৃত।
যাদব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পরিবারটি দুটি মতবিরোধী দলে বিভক্ত ছিল, একটি তার পক্ষে এবং অন্যটি তার চাচা শিবপাল সিং যাদবের সাথে । যাদবের বাবার মামাতো ভাই, রাম গোপােলের যাদবের পক্ষে সমর্থন ছিল। তাঁর মামা শিবপাল যাদবকে অমর সিং এবং যাদবের বাবা মুলায়ম সিং যাদব সমর্থন করেছিলেন যিনি পরে অখিলেশ যাদবকে সমর্থন করেছিলেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article অখিলেশ যাদব, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.