মুহাম্মদ ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান আত-তামীমী (/wəˈhɑːb/; আরবি: مُحَمَّدُ بنُ عَبْدِ الوَهَّابِ بنِ سُلَيْمَانَ التَّمِيْمِيُّ; ১৭০৩ – ২২ জুন ১৭৯২) ছিলেন মধ্য আরবের নজদ অঞ্চলের একজন ধর্মীয় নেতা, সংস্কারক, পণ্ডিত ও ধর্মতাত্ত্বিক এবং ওয়াহাবি মতবাদ ও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রখ্যাত শিক্ষার্থীদের মধ্যে হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব, ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব, 'আবদুর-রহমান বিন হাসান, হাম্মাদ ইবনে নাসির ইবনে মুআমার, হুসাইন আল-ঘননাম এবং আবদুল আজিজ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সৌদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
মুহাম্মদ ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান আত-তামীমী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৭০৩ (১১১৫ হিজরি) আল-উয়াইনা, নজদ, আরব উপদ্বীপ |
মৃত্যু | ২২ জুন ১৭৯২ দিরিয়া, দিরিয়া আমিরাত | (বয়স ৮৮–৮৯) (১২০৬ হিজরি)
ধর্ম | ইসলাম |
সন্তান | তালিকা
|
আখ্যা | সালাফি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হাম্বলি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আছারী |
প্রধান আগ্রহ | আকীদা (ইসলামি ধর্মতত্ত্ব) |
উল্লেখযোগ্য ধারণা | ওয়াহাবি মতবাদ সালাফিবাদ তাসাউফ-বিরোধিতা |
উল্লেখযোগ্য কাজ | কিতাব আত-তাওহীদ (আরবি: كتاب التوحيد) |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
আরবি নাম | |
ব্যক্তিগত (ইসম) | মুহাম্মদ |
পৈত্রিক (নাসাব) | ইবনে আবদুল ওয়াহাব নজদি ইবনে সুলাইমান ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রশীদ |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবুল হাসান |
উপাধি (লাক্বাব) | আন-নজদী |
স্থানীয় (নিসবা) | আত-তামীমী |
ওয়াহাবি নামটি তাঁর অনুসারীরা ধারণ করে না, বরং সমালোচনার ক্ষেত্রে এটি প্রযুক্ত হয়। ফকীহদের পরিবারে জন্ম নেওয়া ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাবের প্রাথমিক শিক্ষা ইসলামের হাম্বলি মাযহাব অনুযায়ী ফিকহের একটি ন্যায্য প্রমিত পাঠ্যক্রম অধ্যয়নের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যা ছিল তাঁর জন্মস্থানের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাযহাব। তিনি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি আইনের প্রতি কঠোর আনুগত্য প্রচার করেন, মধ্যযুগের তাফসীরের উপর নির্ভরশীলতার পরিবর্তে কুরআন ও হাদিসে সরাসরি প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ঘোষণা করেন এবং প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীকে নিজে নিজে কুরআন পাঠ ও অধ্যয়নের জোর দাবি জানান। তিনি তাকলিদের বিরোধিতা করেন এবং ইজতিহাদ প্রয়োগের আহ্বান জানান। শাস্ত্রীয় সুন্নি ইসলামি ঐতিহ্যে তাঁর প্রাথমিক অপরিণত প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি ক্রমাগতভাবে বহু জনপ্রিয় সুন্নি অনুশীলন যেমন রিসালাত সুফিজম ওলী-আউলিয়ার মুর্শিদ মাজার জিয়ারত ও আদব সম্মান শ্রদ্ধা ইত্যাদির বিরোধী হয়ে ওঠেন যেসব ছিল তাঁর মতে বিদআত কিংবা এমনকি শিরক। তাঁর সমাজ সংস্কারের আহ্বানের মূল ভিত্তি ছিল তওহীদ বিষয়ক তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর শিক্ষাবলি সমসাময়িক বহু প্রসিদ্ধ সুন্নি মুসলিম ওলামা, তাঁর স্বীয় পিতা ও ভাইও ছিলেন যাদের অন্তর্ভুক্ত, কর্তৃক খারিজ ও প্রতিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাব নজদি মুহাম্মদ বিন সৌদের সঙ্গে একটি ধর্মীয়-রাজনৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন। চুক্তি মোতাবেক তিনি বিন সৌদকে প্রথম সৌদি রাষ্ট্র দিরিয়া আমিরাত প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং তাঁদের দুই পরিবারের মধ্যে একটি রাজবংশীয় জোট ও ক্ষমতা-অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা চালু করেন যার ফলে অধুনা সৌদি আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় পরিবার আল আশ-শাইখের সদস্যরা ইবনে ʿআব্দুল ওয়াহাবের বংশধর এবং ঐতিহাসিকভাবে তারা সৌদি রাষ্ট্রের ওলামা শ্রেণিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এবং দেশটির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধিপত্য বজায় রেখেছে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.