ভারতের সর্বোচ্চ আদালত

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের সিলমোহর
প্রতিষ্ঠাকাল১ অক্টোবর, ১৯৩৭
(ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া)
২৮ জানুয়ারি, ১৯৫০
(ভারতের সর্বোচ্চ আদালত)
অধিক্ষেত্রভারত
অবস্থানভগবান দাস রোড, নতুন দিল্লি – ১১০ ০০১
স্থানাঙ্ক২৮°৩৭′২০″ উত্তর ৭৭°১৪′২৩″ পূর্ব / ২৮.৬২২২৩৭° উত্তর ৭৭.২৩৯৫৮৪° পূর্ব / 28.622237; 77.239584
প্রণয়ন পদ্ধতিকলেজিয়াম ব্যবস্থা
অনুমোদনকর্তাভারতের সংবিধান
বিচারকের মেয়াদ৬৫ বছর বয়স
পদের সংখ্যা৩১ (৩০+১)
তথ্যক্ষেত্রsupremecourtofindia.nic.in
নীতিবাক্য
যতো ধর্মস্ততো জয়ঃ॥ (यतो धर्मस्ततो जयः॥)
যেখানে ধর্ম সেখানে জয়
ভারতের প্রধান বিচারপতি
সম্প্রতিধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়
হইতে৯ নভেম্বর ২০২২
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত
সর্বোচ্চ আদালত ভবন, নতুন দিল্লি

ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত গঠিত। এটির মৌলিক, আপিল ও উপদেষ্টা এক্তিয়ার রয়েছে।

দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ আদালত ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে।

ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ আদালত ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। কলকাতায় বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল।

সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।

ইতিহাস

১৮৬১ সালে ভারতীয় হাইকোর্ট আইন পাস হয়। এই আইনবলে বিভিন্ন প্রদেশে হাইকোর্ট গঠিত হয় এবং কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই সর্বোচ্চ আদালত ও প্রেসিডেন্সি শহরগুলির সদর আদালত অবলুপ্ত করা হয়। উক্ত আদালতগুলিই এর আগে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করত। নবগঠিত আইসিসি আদালতগুলি সকল মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করতে থাকে। এরপর ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন বলে ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া গঠিত হয়। এখানে বিভিন্ন প্রদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ নিরসন ও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করা হত।

১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি তদনীন্তন ভারতের সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার দুই কেন্দ্র ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ও জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিলের পরিবর্তে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বা সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।

প্রথম দিকে সর্বোচ্চ আদালত সংসদ ভবনের চেম্বার অফ প্রিন্সেস কক্ষে বসত। এখানেই ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া বসত। ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এইচ. জে. কানিয়া। প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি স্যার বিজন কুমার মুখার্জী (১৯৫৪-১৯৫৬)। ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ আদালত তার বর্তমান ভবনে উঠে আসে। প্রথম দিকে ভারতের সংবিধান সর্বোচ্চ আদালতে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৭ জন বিচারপতির ব্যবস্থা রেখেছিল এবং বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা সংসদের হাতের ন্যস্ত করেছিল। প্রথম বছরগুলিতে সর্বোচ্চ আদালত বছরে ২৮ দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি বসত।

গঠনশৈলী

বর্তমানে একজন প্রধান বিচারপতি এবং ত্রিশ জন অন্যান্য বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট গঠিত।প্রয়োজনে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থা সংবিধানে রয়েছে (অনুচ্ছেদ ১২৭)।এছাড়া প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সাময়িক কালের জন্য বিচারক হিসেবে মনোনীত করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ১২৮)। সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি পদপ্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।তাঁকে ভারতের কোনো হাইকোর্টে ৫ বছর বিচারপতিরূপে অভিজ্ঞ থাকতে হবে অথবা কোনো হাইকোর্টে ১০ বছরের অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। বিচারপতিগণ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকেন।

তথ্যসূত্র

Tags:

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ইতিহাসভারতের সর্বোচ্চ আদালত গঠনশৈলীভারতের সর্বোচ্চ আদালত তথ্যসূত্রভারতের সর্বোচ্চ আদালত বহিঃসংযোগভারতের সর্বোচ্চ আদালতভারতভারতের সংবিধানসর্বোচ্চ আদালত

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশের ইউনিয়নমহাদেশবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাব্রহ্মপুত্র নদচাঁদপুর জেলাউদ্ভিদকোষভীমরাও রামজি আম্বেদকরকার্বনআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাদ্বিপদ নামকরণহা জং-উইতিহাসমুজিবনগরআবদুল হামিদ খান ভাসানীব্রিটিশ ভারতমহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রপুরুষাঙ্গের চুল অপসারণসুনামগঞ্জ জেলাবাংলাদেশের ভূগোলআহল-ই-হাদীসকালো জাদুবিধবা বিবাহগুগলমিয়ানমারমেসোপটেমিয়াখেজুরআইজাক নিউটনজান্নাতমক্কাহনুমান চালিশারফিকুন নবীপারাফোরাতআর্যসুনীল গঙ্গোপাধ্যায়অভিমান (চলচ্চিত্র)মালয়েশিয়াশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ফেরদৌস আহমেদফজরের নামাজইন্দিরা গান্ধীবাংলা টিভি চ্যানেলের তালিকাতক্ষকমীর মশাররফ হোসেনইসলামে যৌনতানারী ক্ষমতায়নপর্যায় সারণী (লেখ্যরুপ)মেটা প্ল্যাটফর্মসদক্ষিণ এশিয়াসোভিয়েত ইউনিয়ননাইট্রোজেনবাংলা উইকিপিডিয়াণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানসালাতুত তাসবীহমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশের জনমিতিআবহাওয়াসোনালী ব্যাংক লিমিটেডশুক্রাণুশিক্ষাপলাশীর যুদ্ধ২০২২-এ ইউক্রেনে রুশ আক্রমণঋগ্বেদহিমোগ্লোবিনমহাবিশ্বজোয়ার-ভাটাআল্লাহর ৯৯টি নামরঙের তালিকাউপন্যাসবিশেষ্যসহীহ বুখারীআসমানী কিতাবআয়িশাপূরণবাচক সংখ্যা (ভাষাতত্ত্ব)সূর্যজীববৈচিত্র্যবাস্তব সংখ্যা🡆 More