বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ

বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ (বিওএআই) গবেষণা সাহিত্যে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার বিষয়ক প্রণীত নীতিমালার একটি উন্মুক্ত বিবৃতি। ২০০২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এটি সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালের ১-২ ডিসেম্বর বুদাপেস্টে ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত একটি সভায় উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার বা ফ্রি অনলাইন স্কলারশিপ-কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। স্বল্প পরিসরে আয়োজিত এই সভায় উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার আন্দোলনের বড় ধরনের অগ্রগতি সাধন হয়েছিল। ২০১২ সালে, উদ্যোগ গ্রহণের দশম বার্ষিকীতে এ-সংক্রান্ত নীতিগুলি পুনর্ব্যক্ত করা হয় এবং সম্পূরক সুপারিশ হিসাবে যোগ করা হয়, আমাদের নতুন লক্ষ্য, আগামি ১০ বছরের মধ্যে প্রতিটি দেশে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যালোচিত গবেষণাকর্ম বিতরণের সময় উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সাধারণ পন্থা হিসাবে বিবেচিত হবে।

বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ
২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর বুদাপেস্টের সভায় অংশগ্রহণকারীরা
বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ
২০১২ সালে বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ-এর ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে তৈরিকৃত লোগো, যাতে বুদাপেস্টে অবস্থিত শেনচেনয়ি সেতু দৃশ্যমান।

উদ্যোগ

বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধনী বাক্যে এর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা ও তাৎপর্য বিদ্যমান:

জনস্বার্থে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির এ এক অভূতপূর্ব সম্মিলন। এক্ষেত্রে প্রাচীন ঐতিহ্য হল জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান অনুসন্ধানের স্বার্থে, সাময়িকীতে প্রকাশিত পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণাকর্মের ফলাফল বিনা পারিশ্রমিকে প্রকাশের সদিচ্ছা। আর আধুনিক প্রযুক্তি হলো ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী, পণ্ডিত, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য অনুসন্ধিৎসু মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে পর্যালোচনাকৃত গবেষণাকর্মগুলোর ইলেকট্রনিক সংস্করণে অবাধে প্রবেশ করতে পারছেন।

— বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ

উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের সংজ্ঞা

এই ডকুমেন্টটিতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের সার্বজনীন সংজ্ঞা নির্ধারিত করা হয়েছে, যা প্রথম প্রকাশের ১০ বছর পর পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এক্ষেত্রে "উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার" বলতে আমরা সার্বজনীন ইন্টারনেটে বিনামূল্যে প্রাপ্যতাকে বুঝিয়েছি, যার মাধ্যমে যে কোনো ব্যবহারকারী এ সকল সার্বজনীন নিবন্ধ পড়া, ডাউনলোড করা, কপি করা, বিতরণ করা, প্রিন্ট করা, অনুসন্ধান করা, সূচিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা, সফটওয়্যারে ডাটা হিসেবে যোগ করা এবং যে কোনো আইনসিদ্ধ কাজে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এজন্য তাদের কোনো অর্থনৈতিক, আইনি বা কারিগরি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে না। কপিরাইটের বাধ্যবাধকতা হিসেবে শুধু শর্ত থাকবে, নিবন্ধের সর্বস্বত্ব রচয়িতা কর্তৃক সংরক্ষিত এবং গবেষণাকর্ম পুনঃপ্রকাশ ও বিতরণের ক্ষেত্রে প্রণেতার নাম যথাযথভাবে উল্লেখ ও স্বীকার করতে হবে।

স্বাক্ষরকারী

উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার আন্দোলনের প্রথম দিকের ১৬ জন নেতা বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভে স্বাক্ষর করেছিলেন: এদের মধ্যে ছিলেন বায়োলাইন ইন্টারন্যাশনালের লেসলি চ্যান, ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউটের দারিয়ুস কাপলিন্সকাস, মেলিসা হ্যাংগারমেন, রিমা কাপ্রাইট এবং ইস্তভ্যান র‍্যাভ; পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের মাইকেল অ্যাইসেন, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ফ্রেড ফ্রেন্ড, নেক্সট পেজ ফাউন্ডেশনের ইয়ানা জেনোভা, ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রিঅলের জাঁ-ক্লদ গুয়েডন, ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের স্টিভেন হার্নাড, স্কলারলি পাবলিশিং অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক রিসার্চেস কোয়ালিশন (স্পার্ক)-এর রিক জনসন; ইলেকট্রনিক সোসাইটি ফর সোশ্যাল সায়েন্টিস্টের ম্যানফ্রেডি লা মাননা; ইলেকট্রনিক ইনফরমেশন ফর লাইব্রেরিসের প্রজেক্ট কনসালট্যান্ট মনিকা সেগবার্ট; মিউজিক কানাডার ইনফরমেটিক্স ডিরেক্টর সিডনি ডি সুজা, ইয়ারলহাম কলেজের দর্শনতত্ত্বের অধ্যাপক ও বায়োলাইন ইন্টারন্যাশনালের পিটার সুবার এবং বায়োমেড সেন্ট্রালের জ্যান ভ্যালটেরপ।

২০০২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জনসাধারণের স্বাক্ষরের জন্য বিওএআইয়ের একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৯৩২ জনের অধিক ব্যক্তি ও ৮৩৭ টির অধিক প্রতিষ্ঠান এতে স্বাক্ষর করেছে।

তহবিল

উদ্যোগটির পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউট প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের সংজ্ঞাবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ স্বাক্ষরকারীবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ তহবিলবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ তথ্যসূত্রবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ বহিঃসংযোগবুদাপেস্ট ওপেন অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভউন্মুক্ত প্রবেশাধিকারউন্মুক্ত প্রবেশাধিকার আন্দোলনওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউটবুদাপেস্ট

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলার শাসকগণআলাউদ্দিন খিলজিইসলামের পঞ্চস্তম্ভমিশরতাজবিদকাবাআয়াতুল কুরসিদুরুদমালয়েশিয়াআকবরমোবাইল ফোনসাহাবিদের তালিকাভারতের সংবিধানআবদুল হামিদ খান ভাসানীবিশ্ব দিবস তালিকাগুগল ম্যাপসবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়বিপাশা বসুচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়২০১৮–১৯ লা লিগাপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১ব্রিটিশ রাজের ইতিহাসতাজমহলজসীম উদ্‌দীনফজলুর রহমান খানশিশ্ন বর্ধনলিওনেল মেসিরজঃস্রাবটাঙ্গাইল জেলাবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাপূরণবাচক সংখ্যা (ভাষাতত্ত্ব)জন্ডিসকার্তিক (দেবতা)ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলামাহিয়া মাহিরচিন রবীন্দ্রবাংলাদেশের উপজেলাসূরা ফালাকরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনলাহোর প্রস্তাবমক্কাআরবি বর্ণমালাঅভিষেক শর্মা (পাঞ্জাবের ক্রিকেটার)আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলীমিশনারি আসনবাংলাদেশ সেনাবাহিনীমাশাআল্লাহজীবনানন্দ দাশবৃষ্টিউসমানীয় সাম্রাজ্যপশ্চিমবঙ্গে ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪ফাতিমাচাকমাকোকা-কোলাফেসবুকইসলামে যৌনতাবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাস্ক্যাবিসবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩ভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাসুফিবাদআতাশিক্ষাজ্বীন জাতিনাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীআব্বাসীয় খিলাফতপুনরুত্থান পার্বণবাটাআল-আকসা মসজিদ২০২৪ কোপা আমেরিকাশ্রীকৃষ্ণকীর্তনমথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র🡆 More