অধ্যাপক পল কারার এফআরএস এফআরএসই এফসিএস (২১ এপ্রিল ১৮৮৯ - ১৮ জুন ১৯৭১) একজন সুইস জৈব রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি তার ভিটামিন সম্পর্কিত গবেষণার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি এবং ওয়াল্টার নর্মান হেওয়র্থ ১৯৩৭ সালে রসায়নের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
পল কারার | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৮ জুন ১৯৭১ | (বয়স ৮২)
জাতীয়তা | সুইস |
মাতৃশিক্ষায়তন | জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ভিটামিন |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় |
সুইস নাগরিক পল কারারের জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে জুলি লার্চের কাছে। তিনি উভয় দেশেরই নাগরিক ছিলেন। পল কারার ১৮৯২ সালে কারার সুইজারল্যান্ডে পরিবারের কাছে ফিরে লেঞ্জবার্গ, আরাউ -এর উইলডেগের গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে তিনি ১৯০৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তিনি আলফ্রেড ওয়ার্নারের অধীনে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন নিয়ে অধ্যয়ন করেন এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯১১ সালে, তিনি রাসায়নিক ইনস্টিটিউটের সহকারী হিসাবে আরও এক বছর অতিবাহিত করেছিলেন। এরপরে তিনি পল এহরলিচের সাথে জর্জি স্পিয়ার হাউসে, ফ্রাঙ্কফুর্ট মেইনে রসায়নবিদ হিসাবে পদ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯১৯ সালে তিনি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং রাসায়নিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক হন।
কারারের প্রাথমিক গবেষণা ছিল জটিল ধাতব যৌগগুলি সম্পর্কিত। তবে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল জৈব পিগমেন্ট নিয়ে। বিশেষত হলুদ ক্যারোটিনয়েডগুলি নিয়ে। তিনি এগুলোর রাসায়নিক কাঠামোকে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছিলেন যে এর মধ্যে কিছু উপাদান দেহে ভিটামিন এ -তে রূপান্তরিত হয়। তার কাজের মাধ্যমে বিটা ক্যারোটিনের জন্য সঠিক যথাযথ সূত্র প্রতিষ্ঠা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভিটামিন এ এর প্রধান পূর্বসূরি, ভিটামিন বা প্রোভিটামিনের কাঠামোটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জর্জ ওয়াল্ড রেটিনায় ভিটামিন এ এর ভূমিকা অধ্যয়ন করার সময় কারারের ল্যাবে সংক্ষিপ্তভাবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে, কারার অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের (ভিটামিন সি) কাঠামো নিশ্চিত করেন এবং ভিটামিন বি২ এবং ভিটামিন ই নিয়েও তিনি গবেষণা শুরু করেন। রসায়নে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মধ্যে রয়েছে মূলত ফ্ল্যাভিন সনাক্তকরণের নেতৃত্বে ল্যাক্টোফ্ল্যাভিনের জটিল অংশ বলে মনে করা ভিটামিন বি২।
কারার অনেকগুলি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন এবং ১৯৩৭ সালে নোবেল পুরস্কার সহ অনেক সম্মান এবং পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর রচিত পাঠ্যপুস্তক লেহরবুচ ডের অর্গানিসচেন চেমি (জৈব রসায়নের পাঠপুস্তক) ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এ বইয়ের তেরটি সংস্করণ বের হয়েছিল এবং সাতটি ভাষায় বইটি প্রকাশিত হয়েছিল।
কারার ১৯১৪ সালে হেলেনা ফ্রয়েলিচের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এবং তাদের তিন পুত্র ছিল, যাদের মধ্যে এক জন বাল্যকালেই মারা গিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৮ জুন তিনি জরিখে ৮২ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর স্ত্রী ১৯৭২ সালে মারা যান।
তার সম্মানে মর্যাদাপূর্ণ পল কারার গোল্ড মেডেল এবং পল কারার লেকচার ১৯৫৯ সালে কিছু নেতৃস্থানীয় কোম্পানি যেমন সিআইবিএ এজি, জে.আর. জেইজি, এফ. হফম্যান -লা রচ এন্ড কো. এজি, সান্দোজ এজি, সোসাইটি ডেস প্রোডুইটস নেসলে এজি এবং ডক্টর এ. ওয়ান্ডার এজি মিলে প্রতিষ্ঠা করে। এই পুরস্কারটি বার্ষিক বা দ্বিবার্ষিকভাবে একজন অসামান্য রসায়নবিদকে ভূষিত করা হয় যিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বক্তৃতা দেন।
দ্য পল কারার লেকচার ফাউন্ডেশন জুরিখের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ইনস্টিটিউটের Rämistrasse 71 এর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article পল কারার, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.